নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিরা গাছের মতো, অন্য কবির ছায়ায় বাড়ে না।

মিছিলখন্দকার০০৭

কবি

মিছিলখন্দকার০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা

০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫

(সাহস)

যদি হারাতেই পারি

দেখা হবে বন মোরগের সাথে

লালের আকাল এলে সে তার ঝুটিকে ছিড়ে দেবে

নিজেরই গলায় ছুরি চালাবার মতো সাহস পাব আমি!



(ভাংচুর)

বারান্দাকে বন্ধু মনে হলে

রাত নির্ঘুমই থেকে যায়

পাহারাদারের বাঁশিকে

বিদ্রুপাত্মক অট্টহাসি বলে মনে হয়

ভেতরের প্রতি অচেনা সন্দেহে

নিজেকে চুরমার করে ভেঙে ফেলি আয়নায়!



(ইরেজার)

আমি তোকে খুঁজতে খুঁজতে যাচ্ছি

আর তুই আমাকে মুছতে মুছতে যাচ্ছিস!



(শূন্যতা)

ভেতরের শূন্যতা নিয়ে কথা বলা আদতে অশ্লীল

তাই এই খিল আটকে জানালা খুলে রাখা

যদি তাতে ঢুকে পড়ে তাহার বাতাস!



(গুম)

কৃষানীর মতোন-

এইরোম বুকের মইধ্যে ঢুইকা ধান মাড়াই কে শিখাইছে তারে?

বুকের নদীতে পানি আনতে যায়া রোজ সে ঠিলা ভাইঙ্গা ফেলে

শপিংয়ে পোশাক ট্রায়াল দিতে গেলে আমারই পাজরারে তার ক্যান ক্যান

মনে হইতে পারে না ট্রায়াল রুম



এই যে এতো এতো গুমটুম হয় রোজ কতটা সহজে

একটা জীবন মুক্তিপন দেবে ভাইবা তার কাছে গুম হইতে

ভেতরে কে য্যান তারে খোঁজে!



(অন্য গ্রহের ঘটনা)

এই যে ঝড়

বিদ্যুত চমকাইতাছে আর একাধার

তুমুল বরষা

বজ্রপাতে কাইপা কাইপা উঠতেছে চরাচর

টের পাইতেছে সে?

আর পাইব ক্যামনে টের

এদিকে কারও মইধ্যের আকাশ যদি

বৈরি হইয়া ওঠে

রোদ ফকফকা পৃথিবীতে

সে তখন বিষয়টারে অন্য গ্রহের ঘটনা

বইলা ভাবতেই পারে!



(চাইছি)

ঘুমের বিরুদ্ধে একটানা নালিশ জমা হলে

ম্যাচবাক্সে নীরিহ কাঠির পাসে আত্মঘাত পুষে

শুয়ে রবো

পৃথীবির প্রতি অবিশ্বাস ঘনীভূত হলে

ফুসফুসেই লাগাব নিমের চারা

তাও যদি হঠাৎ খুয়িয়ে ফেলি

বাঁচার পিপাসা

পাহাড়ে বেড়াাতে গিয়ে পিকনিক মুডে ঝাপ দেব



চোখে কেউ রেখে দিও আমার ভঙ্গিমা!



(জীবন)

এই যে জীবনরে আমার

লোহার-তামার মনে হয়

কেন যে!



(ফেবিকল)

কাঁচের সম্পর্কের প্রতি আস্থা রাখতে বলে ফেবিকল!



(মূকাভিনয়ের সন্ধ্যা)



এদিকে মেঘের বাহুতে লেগে আছে

তুুমুুল শৈশব

ছিয়ানব্বইয়ের বর্ষাকাল

আর মূকাভিনয়ের সন্ধ্যায়

তাহার হৃদয়ের পরে কাহার ছায়ার কারসাজি

রাত রাজি তার তাবৎ ঘূর্নিস্রোত পান করে নিতে

জীবনীতে কিছু তার পাওয়া যাবে না তো



শহরে

এমন বৃষ্টি দিনে

ইচ্ছে করে ঘরে ছাতা ফেলে এসে

ভিজতে ভিজতে সেও জ্বর বাঁধিয়েছে

ফিরিয়ে আনছে ডেকে আরজন্মের ছাট!



(মেয়েটা)

এ শহরে তুমুল বর্ষা যদি নামে

মেয়েটা অযথা সাজে, লিপিস্টিক মাখে তার ঠোঁটে

খদ্দেরকে প্রেমিক ভেবে হাত ধরে হাঁটে

ভেজে-

পাঁজরে তখন তার ঢুকে পড়ে কে যে!



(বদল)

যুদ্ধে বুকের মানচিত্রও বদলে যায়!



(লবন চাষ)

এই যে ঘুমের মধ্যে ঢুকে

পেরেক ঠুকে স্বপ্ন টাঙাতে চাইছো

আর মশারি না টাঙিয়ে ঘুমিয়েছি বলে

শরীরময় মশাদের ক্যাম্পফায়ারের রাত

প্রেমেও বাড়ছে দাঁতের ব্যবহার ক্রমে

হৃদয়ের গোলক ধাঁধায় হারিয়ে ফেলেছ

স্পর্শের দাগ,

বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া বিকেলের বই

বুকের উত্তাপে শুকাতে দিয়েছো রাতে

কথার কাটা ঘাঁয়ে লাগাচ্ছো স্যাভলন

জানো তো-

কেউ কেউ চোখেও চাষ করতে শিখেছে লবন!



(ইতিহাস)



ডানা নেই

তাও সে উড়বেই!



(বর্ষা)

ছাতার উপরে ভেঙে পড়ছে পুরোটা আষাঢ় মাস

শহর যাচ্ছে ভিজে

আর সে একটা ছাতায় মাথা ঢাকতে

ভিজিয়ে ফেলছে খনিজ পা

এমন দৃশ্যে আটক হলো এবারের বর্ষা!



(সম্পর্কের মিথ)

যার সাথে যার মেলে

তার সাথে তার দেখা হয় কদাচিৎ!



(তারে ও বেতারে)

তাহার সুগন্ধ মাইখা তারে ও বেতারে ঘুরি

যেন সে লগে-রগে আছে

আমারে বুইঝা মন

মনে-সমকোনে হাসে!



(ঝঞ্ঝা আবহাওয়ায়ে)



এমন আষাঢ়ে তোমারেও ধরলো মেঘ রোগে!

আমারে ডাকতে গিয়া

কাহারে ডাকিলে তাই ভুলে

কে আসে বৃৃষ্টি বিকালে ঘরে

আর তুমি উদাসীন

চা বানায়া তাহারে খাওয়ালে

যা তাহাার কথা না পাওয়ার

দিলা তারে তা তুুমি পাওয়ায়ে



আছিতো নিরালা ঘরে

তাও মনে হয় ক্যান-

বইসা আছি নদী ভাঙনের কূলে

ঝঞ্ঝা আবহাওয়ায়ে!



(সন্ধান)

দূরবীনে

নিজের ভেতরে তাকাই

যা কিছুু হারালো যদি

কিছু ফিরে পাই!



(!)

টি-২০ যুগেও, যৌনতায়

সকলেই টেস্ট ম্যাচ চায়!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.