নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিরা গাছের মতো, অন্য কবির ছায়ায় বাড়ে না।

মিছিলখন্দকার০০৭

কবি

মিছিলখন্দকার০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা

০৮ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

(আসামী)

পা আছে দাঁড়ায়া

আর আমি আছি কাৎ

জীবন ঘুমের ভেতর

করতাছে আঘাত

ঘাতে ও আঘাতে

দাঁতে দাঁত

চেপে হাসি

যেন এটা ফাল্গুন মাস

যেন বাহাত বইতাছে

তাতে উড়তাছি আমি

ওড়া ও পোড়াই সাজা

জীবনের আসামী!



(বজ্রের ইশারা)



এইসব কথার কার্তুজ সে

লুকিয়ে রেখেছে এতোকালে সিন্দুক শরীরে

আর মনে ও অঘ্রানে বুনেছে গানের বীজ

যাতে ফুলও পায় সুরের শর্তাবলী

কূল থেকে নদীতে ঝাপিয়ে পড়া গাছ

আসলে কি স্নানের সাধেই করে আত্মহনন

কাশবন করে তাতে মৌনমিছিল

তারই গোপন আলোড়নে ছিঁড়ে যায়

বিদ্যুতের তার

তখন সে সাধ করে গলায় পরখ করে

ছুরির অগ্রভাগের ধার



আর মেঘের সঙ্গমে যদি বিদ্যুত জ্বলে ওঠে তাতে

জানা যায়-

সে নাকি জন্মেই ছিল বজ্রের ইশারা নিয়ে ঠোঁটে!



(ক্রুশ)



সমুদ্র পেরুতে পেরুতে

মচকে যাওয়া হাওয়ার চলাচল

জলোচ্ছাসের জিদে ভেঙে যাওয়া

উপকূলের এসেম্বলি

ফালি ফালি লাল গোধুলির

মৌন অত্যাচার,

অতীতের অলৌকিক ছুরি

আর কোন না পাওয়ায়

দীর্ঘশ্বাসের চারা বড় করছে ফুসফুস



আমাকে বিদ্ধ করতে

দুই হাজার বছর অপেক্ষা করেছে ক্রুশ!



(ক্রোধ)

লোহার সাথে পিতলের সাথে

কথা হয়

থাকা হয় কাঁটার কফিনে

গাছের সাথে ঝগড়া বেঁধে যায়

এমনই বানচোদ

মাস্টারবেট করে ভাবে

কমেছে কিছুটা ক্রোধ!



(ফাঁকা প্লাটফর্ম

আগন্তুক মাহফুজ বন্ধুবরেষু)



ভিজতে ভিজতে সময় আগায়ে যাচ্ছে

গাছেরও কাঁপছে শরীর

ধীরেরে বলেছি পা চালাতে জোরে

দ্রুতরে বলছি-

আপনে এতো কেন যে অস্থির



ওদিকে ট্রেন ছেড়ে গেলে

ফাঁকা প্লাটফর্ম কী তাৎপর্যে

নিরবতা রোদ্দুরে শুকাতে দেয় দুপুরবেলা

সঠিক চাবিই দেই

তাও খোলে না তালা

কেন যে!

কে বলবে?



(ওয়াসওয়াসা)



পাকা মন,বাঁকা মন

ক্যান যে এমন উড়াধুরা

ভুলভাল পড়ে যায়

কুলহু আল্লা ছুরা

আর দেয় ওয়াসওয়াসা

শয়তান তাকে

পাকা মন,বাঁকা মন

গন্ধম পেড়ে রাখে

বসে আহ ভাব করে

বিবি হাওয়া য্যান

ফলটাকে ছিঁড়ে তার

মুখে পুরে দ্যান

বলা যাবে এতে তার

দোষ মোটে নাই

গা বাঁচিয়ে ফল তার

ঠিক ঠিক চাই!



(?)

সব গাছ টবে

লাগাতে চাইলে হবে?



(সুতোয় নির্ভর)



আহা! জৈষ্ঠের উৎসবমুখর গাছ

ফুলের আঙুল ধরে বসা প্রজাপতি

ঘুড়িকে হাওয়ার প্রতিশ্রুতি

সব আজ সুতোয় নির্ভর

আবহাওয়া বার্তা মেনে

আসে না আসলে ঝড়!



(টাইটানিক)



হাওয়াইমিঠাই মানুষ

বাবল ফোলাতে ফোলাতে

ঢুকে যাচ্ছে সন্ধ্যার যোনিতে

আর তার চশমার লেঞ্চ ভরসা জাগাচ্ছে দৃষ্টিকে

হ্যাটের নিচের দুর্ভাবনা

বৈরি আবহাওয়ায় অস্থির

আপনি কি আইসবার্গ?

মাথার ভিতরে চলছে যে টাইটানিকে

আঘাতে তাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন চিড়!



(ক্যামনতর লোক)



সে চিৎকার ছুঁড়ে খানখান করে দিল

আমার ভুল রাতের ঘুম

তাতে ঘুমের ভেতরে থাকা স্বপ্নের টুকরোটাকরা

ছড়িয়ে পড়ল মেঝেতে

সেগুলো কুড়াতে গিয়ে কাটল সে নিজেরই হাত



আর আমি তার ক্ষতের রক্ত থামাতে

একজীবন ধরে খোঁজ করছি জীবানুনাশক..!



(দুরত্ব)



একজন নদীর ওইপাড়ে

অন্যজন এইপাড়ে

এইভাবে কথা হওয়া ভালো

তাতে ভেতরে সমুদ্রগামী প্রবাহ থাকে

নদীর কোলাহল থাকে

আর মারিজুয়ানাসেবী বাতাসের

অযাচিত বন্ধুতা পাওয়া যায়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭

নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: ভালো লাগলো ছবিটি।



প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.