নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিরা গাছের মতো, অন্য কবির ছায়ায় বাড়ে না।

মিছিলখন্দকার০০৭

কবি

মিছিলখন্দকার০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫

(প্রিজম)

সমুদ্র লিখলে মনে হয় উত্তাল ডাকাত

তাই সমুদ্দুর লিখে ভাবি-

সামান্য দূরে থাকে; নিকটাত্মীয়



সাগর লিখলে

মনে হয় সাবেক প্রেমিক

মুখ চাওয়-চাওয়ীহীন বহুকাল পার



ওশেন ভালই জানে নানান রকম শীৎকার



(কোথায়)



মানুষ অস্তমিত হলে

আর যে উদিত হয় না

এই সত্য নিয়ে নিত্য সূর্য আসে

ডিঙিয়ে পাহাড়,

অমসৃন অন্ধকার মোম গলিয়ে গলিয়ে

আর পাখিরা বেরিয়ে পড়ে আকাশে

মানুষ জমিনে

ফুলের সাথে ফষ্টিনষ্টি করে মৌমাছি

অনুপ্রেরনা জাগে

অস্তমিত হবার আগে মানুষ দৌড়ায়

যেতে চায় সকলে সবার আগে!

কোথায়?



(মাদাম)



নৌকা বাইচের দিন

মনে আছে আপনার?

বৃষ্টি খুব বেশি বেহিসেবে পড়তেছিল

আর আমি কথা বলতে বলতে

বলতে বলতে পাশে তাকায়ে দেখি

পেছনে তাকায়ে দেখি

ডানে-বামে তাকায়ে দেখি

কারও মুখেই আপনি নেই

মানে আপনারে ভিড়ের মধ্যে..

ওদিকে আপনার বাজির নৌকা সবার আগে তীরে..

ধীরে ভিড় কমে

একে একে আমি আর নদী পাড় ছাড়া সবাই..



তারপর থেকে যেন আমি ঘাটের বটগাছ

সেদিনের মধ্যে জীবনের শেকড় গজায়ে গেছে, মাদাম!



(মৃত্যুর পরে লেখা)



নিজের করব আমি নিজেই খুঁড়েছিরে মিথুন

আর শরীরে আগুন ধরিয়ে তাতে

ঢুকে পড়েছি

শীতে মানুষ যেভাবে ঢোকে লেপের ভেতরে



তখন হয়ত শ্রাবন মাসের ঘ্রান ছড়িয়ে পড়ছে

পিতলে, গীর্জার ঘণ্টায়,

পানিতে পূর্নিমা চাঁদ খুটে খাচ্ছে মাছ



আর অভ্যাসবশত বৃষ্টি ভিজতে ভিজতে

জ্বর বাধিয়ে বসছে আমার কংকাল



আমাদের আড্ডার স্মৃতি জ্বলে উঠছে

মেঘের মলাটে, বিদ্যুতে



জীবনের ঝাল হাসছে

বজ্রপাতের নিনাদে



আর তখন অতো রাতে বৃষ্টিতে তুই বোকা

কি করছিস ছাদে!



(নখ)

ফুলের তীক্ষ্ম নখে

কেটেছে অনুভূতি

বুঝিনি

লালই ছিল প্রতিশ্রুতি!



(র‍্যাব)



দেশলাই খুঁজছে সে

অর এদিকে আগুন পালিয়েছে বনে

বড় মাছ ছোট মাছকে শেখাচ্ছে

ওর থেকে ছোটকে গিলে খাওয়াই হাদিস



শ্লেটে গনিত শিখতে বসেছে নদীটা

পাখিরাও ধরে নিয়ে পুষতে চায় মানুষের ছানা



আর র‍্যাব আমারে শাসায়-

বাইনচোদ

এইসব কথা লিখতে মানা!



(বোকা বাদুর)



বৃষ্টির আত্মবিশ্বাসের নিচে

শহরের লেকের ধারে ছাতা ছাড়া বেড়িয়েছে

ভিজছে তাহারা,

আর গাড়ির ভেতরে

আমার ভেজার পিপাসা

তিরস্কার করে-

মোবাইল ফোন ভিজবে বলে

বোকা বাদুর,

নিজেকে গুটিয়ে রাখলে হবে?



(পাথর)

ও পাথর, ভোর নিয়ে হাজির পাখিরা

বাতাসে জানালার ডানা ওড়ে

বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে ঘুমে

সাপের গর্ত থেকে ভেসে আসে ভয়ের ঘ্রান

নদীর ঘাটে উঠে বসেছে কুমির

তীর নেই, ভুলের ধনুক নিয়ে এতো

শাসিয়ে যাচ্ছি নিজেকেই!



ওভাবে ক্ষয়ে যেতে নেই!



(মেলে না)



আহা! নদী

পাড়ের সাথে তার এতোটা বিরোধ

শোধ নিতে ফনা তুলে খেয়ে নেয় গ্রাম



আমিওতো তাকে সুহৃদই জানতাম!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.