![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(আফসোস)
নিষেধাজ্ঞার দেশে
মাস্টারবেটের মহামারী
চুমুও পাখির মতো উড়াল শিখেছে
স্তন পরিচর্যায় ব্যস্ত মেয়েরা
ইসের স্বাদ কিসে যে মেটায়!
আফসোস! দেরিতে জেনেছে-
নিজেকেও নিজের রাখতে হয় পাহারায়
(অমাবস্যা)
চুতমারানা অমাবস্যায়
মারবেলরে জলপাই ভাইবা মুখে দেই
কপাল ফাটলে চৌকাঠরে অযথা গালাগাল
মুখ খুঁজতে গিয়া হাত যায় বুকের টিলায়
আপনেই তহন এই অন্ধের ব্রেইল পদ্ধতি।
(উপর্যুপরি)
বাতাস তাকে ইভটিজিং করে রোজ
রৌদ্র তার গা'য়ে হাত দেয়
বৃষ্টি ইয়ের প্ররোচনা দিলেও
সে নাকি তাকেই আকাঙ্খা করে
জ্বরের ঘোরেও শোনে মেঘের শীৎকার
উপর্যুপরি-
তরুন কবিকে প্রেমিক আচার
আর ডাক্তারকে জামাই
হিসেবে পাবার বাসনায়
দেয় রোজ ধার!
(মেঘের অনুশীলন)
মেঘের অনুশীলন দেখে বোঝা যায়
এবার আষাঢ়ে হাতের শুকনো রেখারা
পানিতে উপচে পড়বে
করতল মেনে নেবে স্রোতের শাসন
ঔষধী মানুষেরা পাল তুলে প্রবাহিত হবে
নতুনধারায়
ফুসফুসে লাগিয়েছেন নিমের চারাতো বেশ
পানি যেন না জমে গোড়ায়।
(শিকারীর সখ্যতা)
সহজে গেল না নদীর টান
কেবলই সাঁতার ভুলে যাওয়া
কুমিরের সাথে দেখা হয়
অনিচ্ছায় পাড়ে শুয়ে আছে
দুর্দিনে শিকারের সাথে সখ্যতা গড়ে
গল্প জুড়ে দেয়
তাওতো বাড়েই ভয়ের ডগা
লতিয়ে ওঠে শূণ্যে অবলম্বহীন
পরিপার্শ্ব চমকে ওঠে মেঘের ধাক্কায়
কুমির চাইছে তাকে
সাঁতার শেখাই!
(কৈশোর)
জানালতো খোলা থাকতেই চায়
অথচ দক্ষিন দিক গোমরা হয়ে আছে
রোদও অভিযোগ করে গেলো দুপুরের কাছে
খিলের মধ্যে আটকা পড়েছে কার
হাসি; কিশোরের যাবতীয় সম্ভাবনা
সন্ধ্যায় ছেলেটা দাঁড়িয়ে থাকে
মেয়েটা কল ঘরে
বন্ধ জানালা মুক্তির আরাধনা করে রোজ!
(মিল)
অ্যাসট্রেতে ঝেড়ে ফেলা ছাই
তার সাথে কোথায় যেন মিল পাই!
(গেরো)
অভিসারে-
সে নদী দিয়া গেরো দিতে চাইছে আমারে!
(অষাঢ়ে কবিতা)
নিজের আড়ালে দাঁড়িয়ে
দেখি খেল-
বিষাক্ত মানুষ
নদীর নষ্টামি
চাঁদের ফটোগ্রাফ
হাসির মন খারাপ
রক্তবমি সুন্দরের
আকাশ আকাশি হয়ে উঠবে কবে ফের!
(মা)
এখানে দুপুর বেলা বাতাস মন্থর পায়ে চলে
চিরুনীতে কার চুল ভুলভাল ওড়ে
তরকারি পোড়া গন্ধে মনে পড়ে
মায়ের কম্পমান শিখা-
কেন যে আর অতটা
আন্দোলিত করে না চোখের দ্রষ্টব্য
আলনায় কার শাড়ি
দুস্থভাবে পড়ে আছে
দুই দশক হলো
ছবিতে স্থির, নির্বাক মুখ
ও মুখ কিছু একটা বলো!
(ভোর)
কথাগুলো বিস্মৃতি লক করে গেছে
জানালায় শুধু তার পিঠ উঁকি দেয়
এদিকে বুকের মধ্যে মিহিন একটা গান
গুপ্তভাবে ওড়ে
সুরে যার কাঁচগুড়া মাখা
লিরিকের পারদ স্বভাবে
ঘুমের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সম্পর্ক পাঠের আসর
যথার্থে উদিত হবে কাঙ্খিত কথা রেকর্ডেড ভোর?
(চুরমার)
লতার কলঙ্ক নিয়ে
কানাঘুষা করছে পাতারা
গাছের তাতে হলো মাইগ্রেন পেইন
'রেইন, রেইন' বলে চেঁচায় বিদেশী মেয়েটা
ঝিকঝিকে মিশে যায় তার যতো কথা
অযথা ট্রেন থামাতে কে যে চেইন টেনে দেয়
দুপুরটা দুষ্টুমিতে খিলখিল হাসে
হাসির মধ্যে তার ভেসে ওঠে নির্জন চুমু
শ্বেতাঙ্গ প্রেম
কিশোরির স্নান
সুন্দর সহ্য করতে না পেরে হলো আয়না খানখান!
(দেখি)
তার তাকানোর ভঙ্গি
জানালার শিক ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে
চোখ বন্ধ করলেই দেখি।
(দুঃস্বপ্ন)
একটা গানের মধ্যে আজ ঘুমিয়ে পড়েছিলাম
আর ঘুমের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল পাতার মর্মর
ভয়ে ভয়ে রাস্তা পেরুতে থাকা স্বপ্ন
ঘুমের রাস্তায় কেন ওভারব্রিজ নেই?
এই প্রশ্ন হাঁটতে হাঁটতে কার ক্রোধের মধ্যে ঢুকে
হারিয়ে ফেলল হাতঘড়ি
মোবাইল এলার্ম আড়মোড় ভাঙে
'অফিসে রেখে কেন যে বাসায় শালা'
ভাতারেরে গালি দেয় লাঙে!
(ড্রাগ)
শরীর সড়ক হয়ে উঠলে
বাগানসমগ্র থেতলে যায়
প্রতারক চাকায়,
তীর ছুঁড়তে আমাকে
ধনুক হিসেবে কে তখন বাঁকায়?
কে এ চোখ দুটো গুলতি বানিয়ে
রোজ প্রতিপক্ষে ছোঁড়ে?
ঝড়ের দিনে বজ্র সব
আমার সাক্ষাৎকার নিতে চায়
বাঁ পায়ের সাথে ডান পায়ের
বিরোধ লেগে গেলে
দৈর্ঘ্য-প্রস্থে পথ বেড়ে যায়
কার যে সাপোর্ট করি
নিজের সাথে অনুষ্ঠিতব্য খেলায়!
(ফিঙে)
কী এক বিস্তৃত ব্যথা
জেনে গেছে অমরত্ব লাভের কৌশল
জয় করে ফেলেছে গ্যাস বেলুনের অনিশ্চয়তা
পিনের চাতুর্যকে বুড়ো অঙ্গুল দেখিয়ে সে
পেয়েছে মহাকাশে ওড়ার অহ্লাদ
ভাঙা কাঁচে পা বাঁচিয়ে হাঁটছে বুকের রেলিঙে
সে ক্রমে যথার্থ চতুর কোনো ফিঙে
হয়ে উঠছে!
(পেন্ডিং অভিসার)
দূর সে যে কতো দূর
এমন প্রশ্নে স্পিড ব্রেকার তোলে হাই
এক তালার কাছে অচেনা
অন্য তালার চাবি, তাই-
তাহার কাছে আমি হাবিজাবি
তাও আমারই কাছ দাবি-দাওয়া
পেশ করছে নাভী তার
কাবাবে হাড্ডি থাকলে কী দোষ
পেন্ডিং অভিসার, ওহে?
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অ্যাসট্রেতে ঝেড়ে ফেলা ছাই
তার সাথে কোথায় যেন মিল পাই!
বেশি ভাল লেগেছে।
সুন্দর পোস্ট।