![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(জনৈক বন্ধু)
হাড়ের সাথে মাংসের জড়ায়া থাকার মতো
আপনের তারপরের আপনের
আর তারপরের আপনের
এইভাবে আপনেগোর লগে চাইছিলাম
জড়ায়া থাকি
চাইছিলাম আল্লার হাতে হই পাশাপাশি
দুইটা আঙুল
কোনো এক আপনের ছোট ভাইয়ের ড্রয়িং খাতায় আঁকা
গাছ দুইটার মতো পাশাপাশি থাকতে চাইছিলাম
দেখলাম, আপনেরা কেউই রাধা না
মরার দেশে ক্যান যে তাও হইছিলাম শ্যাম!
(অনুকূলে)
অনুকূলে থাকেন বাছা
পাছাটারেও রাখেন
তাতে সে খাক না মারা
তাহাদের বাড়া আছে বলেইতো...
যৌবনের চুল ছাড়া বলেইতো
ক্ষয় রোগে ধরেছে জোয়ান, আপনারে
তারে ও বেতারে
যতো যোগাযোগ নিয়ে পৃথিবী আগায়ে যায়
মল-মূত্র খায় বিজ্ঞানের
তাও আপনার মনের পালায় ফের
নিয়া ঘোরাফেরা
চাঁদের ছেঁড়াফাড়া আলোও সেটা জানে
অনুকূলে আছেনতো?
বসেন কঞ্চির উপরে,
তবে সাবধানে!
(চোখ থাকতে অন্ধ)
দেখ ওই পাতালের সিঁড়ি
নেমে গেছে তাদের পতন অব্দি
বনসাই মেধার মানুষ সেখানেও
আস্ফালন করে, তুঁতেকে মধু বলে
সাধুবাদ পেতে উন্মুখ
মিঠাপানিতে খুঁজে ফিরছে নুন
বেগুনকে কলা আর কলাকে
বলছে বেগুন!
(এপিটাফ)
বইয়ের মধ্যে ডুবে মরেছে বেচারা!
শব্দে ফুলে উঠেছিল তার পেট
বন্ধুটন্ধু ছিল না তেমন
বিষন্নতার ঝুলকালি মাখা থাকত মুখে
নিঃসঙ্গতা ছিল তার প্রকৃত রুমমেট!
(পৃথিবী মোটেই নয়)
একটা বিকেলের মধ্যে হাত ঘড়ি হারিয়ে ফেলতেই
তড়িঘড়ি করে সন্ধ্যা নেমে আসে
বাইরে বৃষ্টি, ঘরে রহস্য গল্পের আবহাওয়া
অন্ধকার দেখে নিচ্ছে মোমের নিয়ম
বাতাস দেখাচ্ছে ভয়, তাতে কাঁপছে আগুন
মানে আলো।
এমন ভীত আলোয় কেন যে মনে হয়-
পৃথিবী আসলে পৃথিবী মোটেই নয়!
(উপলক্ষ)
রাতের নৈকট্যে এসে মনে হতে থাকে
দুপুরের পিপাসা সকল
স্বপ্নের মধ্যে হাত থেকে আয়না পড়ে যায়
হাজারটা প্রতিবিম্বে
ভেসে ওঠছে মন খারাপ মুখ
ডায়রী থেকে গোপনে কে পড়ে নিচ্ছে
একান্ত দুঃখ
কেউ কারও উপলক্ষ হতে পারছে না!
(স্রোত)
শহরে এইভাবে বৃষ্টিপাত হলে
নিজের ভেতরে নিজে
ঢেউ নিয়ে ঢুকে পড়ে যারা
তারা মূলত চুম্বনে ভিজে যেতে
কল্পনায় পর্দা ফেলে দেয়
হেডফোনে গোপন শিৎকার শুনে
গুনে গুনে বুঝে নেয় ঋতুচক্রের হিসাব
স্মৃতি খুঁজতে বক্ষবন্ধনী খুলে দেখে
বাতাসকে আঙ্গুলে নাচায়
ভরা বাদলে ঘরেই পেখম মেলে
দীর্ঘশ্বাস কোলে তুলে চুমু খায়
গলা টিপে ধরে
ঝড়ের মধ্যে
বিদ্যুত চমকে ওঠে
বাঁধ ভেঙে স্রোত ঢুকে পড়ে শরীরে!
(শৈশব)
বুকের মধ্যে লাটিম ঘোরায় শৈশব
যারা ছিল তারা আজ কই সব??
(ময়না)
ময়না-
শার্টে চে গুয়েভারার ছবি থাকলেই বিপ্লবী হয় না!
( স্বগতোক্তি)
উইড়া যাইতে দাও তারে
হউক না কিছুটা পাখি
নিজেরে ফাঁকি দিয়া চালাক সাজুক!
(স্বগতোক্তি-২)
এই যে নিরবতার বেলচায় সে বাড়িয়ে নিচ্ছে সহ্যের ধার
নিজেকে দেশলাই বানাচ্ছে, কিংবা বানাচ্ছে অন্ধকার
সংক্ষুব্ধ হয়ে ব্লাকহোল নিজেই খেয়ে নিতে চাইছে নিজেকে
তীর দেখে শরীর স্বয়ং ধনুক হয়ে যেতে চাইছে বেঁকে!
(লোক)
এমন লোকও আছে
আগুন লাগলে বাসে
গিয়ে হাতের বিড়িটা ধরায়!
(দরজা)
জীবনের অগনিত দরজা
বন্ধ করা থাকে
খিল খুঁজে একটা একটা
খুলতে হবে আপনাকে!
(খুন)
আমিও পারতাম পেতে খুনের সুখ
ছুরিটা ঢুকিয়ে তার বুকে
নিজেকে দেখতে খুনীর লুকে
করে ফেলি একখানা খুন, এই ভেবে
প্রেমিকার একান্তে প্রবেশ করে
থরে থরে কেঁপে চুমু খাই
খুন করতে গিয়ে ভাবি
এই ভালো, তারচেয়ে ওর হাতে
নিজেই খুন হয়ে যাই!
(করতালি)
ইচ্ছে করতেই নদী তার ঢেউ খুলে দেয়
খুট ভর্তি স্নেহের তুফানে
মাঝি জানে, কোন গান ধরা লাগে
তাই সে নায়ের আঁচল তোলে
মানে পাল-
বৈঠা থামিয়ে দিয়ে গলা ছাড়ে
পাড়ে কে তুমুল বর্ষায় তার চোখ মুছে
সামনে এগোয়?
গান শেষে ঢেউ বুঝি দেয় করতালি!
ভেজা ঘুমে মাঝ রাত পাশ ফিরে শোয়
আষাঢ়ের বাংলোয়...।
(বাড়ি ফেরা-২)
বাড়িতে যাবার আগে বন্ধু মায়েরা হয়ত অস্থির করে তুলছে, কবে আসছিস? কি খেতে ইচ্ছে করছে? এবার কিন্তু অনেক দিন থাকবি! শোন, তোর বাবাকে বলেছি, বড় বড় গলদা চিংড়ি, ঢেকির শাক আর কলার মোচা আনতে। গাছ থেকে নারকেল পারিয়েছি। জানিস, নারকেলে শ্বাস হয়েছে, তোর জন্য রেখে দিয়েছি। ও, তালের শ্বাস খাবি না? রেখেছি কিন্তু। আচ্ছা, তালের শ্বাস রান্না করব, না এমনি খাবি? তোর বাবা আবার একটা হাঁস এনেছে। চালের গুড়া করালাম ৬ কেজি। কম হয়ে গেল নারে? আরও কতো কি...! আচ্ছা, মা! আমাকেতো কোনোদিন এসব বললে না! বুঝেছি, এবার বাড়ি যেতে যেতে লঞ্চে ঘুমিয়ে পড়ব আর তুমি ঘুমের মধ্যেই বলতে থাকবে, এবার কিন্তু অনেক দিন থাকবি! শোন তোর বাবাকে বলেছি, বড় বড় গলদা চিংড়ি, ঢেকির শাক আর কলার মোচা আনতে। গাছ থেকে নারকেল........!
( সাবান জীবন)
তুমুল বর্ষায়
দুপুরটা বিজ্ঞাপন হয়ে ওঠে
আষাঢ়ের
এই ক্ষণে কালো মুখ
টুকে রাখছি চোখে
চিবুকে কি কৃষ্ণবিবর,
ধরেছে তিলের বেশ-
এতো কেন টানে?
ওভারব্রিজে নিচে দাঁড়িয়ে ভাবি
সী-বিচে রয়েছি
ওইতো ভেজা পোশাক
শরীরকে জাপটে ধরে আছে
বাতাস শরীরময় শিহরণ লেখে
এখনই সাওয়ারে যাবে
তাই আজ সাবান জীবন পেতে চাই!
(সিন্ডিকেট)
এই যে এতো এতো সিন্ডিকেট,
এইসব কী ইন্ডিকেট করে মহানরা?
(বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো)
পাথরের ভেতর থেকে ভোর বের হলো
কে বলে ফেক?
ছেলে পক্ষ দেখে গেলো সুবেহ সাদেক
হাত ফসকে যাচ্ছে কেবলই উত্তাপ,
লেগে আছে সামান্য অঙুলে আঙটায়
জীবন কী আইসক্রিম হয়ে উঠতে চায়?
(থাইকো)
আমি য্যান নদীতে ঘুমায়া পড়ি
ঢেউ কোলে নিয়া
পা দিয়া পা ঘসি পাড়ের
হাটবারের দিন নৌকার ধাক্কায়
জাগিয়া উঠি
পুটি মাছের মতোন জীবন-
তার সকল কালিমা
ও অসীমা ধুইয়া আসিতেছি
থাইকো।
©somewhere in net ltd.