নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিরা গাছের মতো, অন্য কবির ছায়ায় বাড়ে না।

মিছিলখন্দকার০০৭

কবি

মিছিলখন্দকার০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩২

(বাড়ি ফেরা)



তারপর

সরের মতোন ছড়িয়ে পড়বে রোদ

বিনা বাক্য ব্যয়ে ভোর কাঁচুলি খুলে দেবে

নামাজ ফেরত মুসল্লিরা দেখার চেষ্টা করবে

আমি আদতেই সেই আমি কিনা

আমারই অনাগ্রহে

তাদের সাথে কোনো কথাই হবে না

রিকসার টুংটাঙে কড়া নাড়ার আগেই

অভ্যস্ত হাতে

খুলে যাবে পরিচিত দরজার কবাট

ও পাশের প্রতীক্ষিত মুখে তখন শিশুর বিস্ময়

যেন আমি না জানিয়েই এসেছি চলে

সেই খুশীতে মুখে নেই কোনো রা

অথচ সে জানতোই সকালের প্রথম কড়া নাড়াটা হবে কার

আব্বা, আমাকে তখন বাবা মনে হবে আপনার!



(জন্ম)



আর না হোক ছদ্ম কথা

ছায়াটা তাড়াতে ডাকা রাত

আটকে পড়েছে

ফের জন্ম নিক ভোর মেরির জঠরে।



(প্রতিক্রিয়াহীন)



মহান নিউটন,

কারও কারও আচরণগত ক্রিয়ার ক্ষেত্রে

আমি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারি না!!



(শত্রুর আক্রোশ)



যারা আজ কাটা ঘাঁয়ে লবন ছিটিয়ে দিয়ে হাসে

তাদের সংস্পর্শেই আছি আত্মপ্রবঞ্চক

আয়নায় দাঁড়িয়ে নিজেকে খুঁজছি ইদানিং

ছায়া পলাতক বলে গলে উবে যাচ্ছে সাহস

বন্ধুর সম্ভাষণে দেখছি শত্রুর আক্রোশ উজ্জ্বল!



(ছিয়ানব্বই সাল)



ডাঙুলিতে চোখ হারানো বন্ধু মিলন

ঠাঠা শৈশব বগল বাজায় এখনও ঘুমে

আর তুই বর্ষায় ভেজা বন্ধুত্ব শুকাতে

এখনও খুঁজে বেড়াচ্ছিস পরিচিত শরীরের ওম

লাটাই ছিঁড়ে হারানো ঘুড়ির গল্পে তোর কথা মনে হলে

বুকের ড্রয়ার থেকে বের করি ছিয়ানব্বই সাল



আয় আবারও ঝগড়া বাধিয়ে ছিঁড়ি স্কুল ড্রেস

নগেন স্যার মিমাংসা করুক!



(আবেদন)



ডুবে যাওয়া লাশভর্তি লঞ্চ

প্রবল ঘুর্নি স্রোতে ঢুকে পড়েছে আমার মাথায়!

মাননীয় মন্ত্রী উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠান।



(ঔষধী)



এই যে ঘষটাতে ঘষটাতে চলা

রাত দুপুরে শরীর য ফলা

বুকের মধ্যে হৃদয় মিথ্যাবাদী

বিষরে বলে, দারুণ ঔষধী!



(বাইনচোদ)



গণ্ডদেশে হাত বুলাইতে বুলাইতে শয়তান কয়,

আপনে একটা খাসা বাইনচোদ

ইশ্বরের পৃথিবীতে থাইকা

ইশ্বররেই নাকচ করতাছেন খোদ!



(ধরে মাছ না ছোঁয় পানি)



এমন দারুন আকালে

মেলে না মাছ জাল ফেলার পরও

তুমি কি করে যে না ছুঁয়ে পানি

মাছ শিকার করো!!



(অনর্থক)

কবরে শুয়া শুয়া সে ভাবে

দুনিয়ায় এমন রাইতের বেলা সে

কতোকিছু করতো

বউয়ের লগে শুইতে মনে না চাইলে

গিয়া মদ খাইতো, জুয়া খেলতো

কিংবা জাল ফেইলা অনর্থক বইসা থাকতো

মাছের আশায়



এখন তার ইচ্ছা করতেছে

কবরেও একটা জুয়ার আসর বসায়!



(সতর্কবার্তা)



পারিপার্শ্বিক সবকিছুই আপনাকে বিভ্রান্ত করছে, সাবধান!!



(ভূমিকা)



খালি চেয়ারেও প্রত্যাশা থাকে

কেউ এসে বসুক সেখানে

ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে

সাজের রহস্যও তাই

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে

পারদের ভূমিকা ভুলে যাই!



(অনাগ্রহ)



ভোরে হাঁটতে বেরিয়ে দেখি

এক প্রতিবেশিনীর বাড়ির পাঁচিলে

কে যেন সেঁটে দিয়েছে আমাকে

আর উৎসুক কেউ কেউ পড়ছে

অনাগ্রহে

কাকে যেন বলতে শুনলাম,

এটা কি পোস্টার? কোন ভাষায় লেখা?



(বিরোধিতা)



এদেশে-

শোকের মধ্যেও রাজনীতি পায়চারি করে

মাংসের সাথে বিরোধিতা করে হাড়ে!



(প্রতিপক্ষ)



নিজেই নিজের বিপক্ষে দাঁড়ালে, মহাবিশ্বও বিপক্ষে দাঁড়ায়!



(গর্জন)



আপনের অনুরাগে

নিজেরে সমুদ্র সমুদ্র লাগে!



(বিভ্রান্তি)



স্বপ্নের মধ্যে স্পষ্টত

কে যেন আমাকে ডাকতে এলো

আর আমি তখন একটা চন্দ্রাঙ্কিত লকেট

গলায় ঝুলিয়ে হাঁটতে বেরিয়ে বলছি-

আজ পূর্নিমা!

আমার কপালে কোনো হেডলাইট না থাকায়

ট্রাফিক পুলিশ আটকে দিল

কে যেন ঢিল ছুঁড়ল কাঁচের শরীরে

বুকে তাকিয়ে দেখছি ধীরে ধীরে

পানি উঠছে ফুঁটো হয়ে

সামুদ্রিক মাছের কাঁটায় কেটে যাচ্ছে যকৃত

সাথে দুলছি তো দুলছিই

দোলায় ঘুম ভেঙে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি

বুঝি না, আমি উন্মাদ, না মাতাল ট্রাক, না আয়না?

নাকি মাঝ সাগরে হঠাতই বিপদে পড়া কোনো মাছ ধরার ট্রলার?



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.