নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিরা গাছের মতো, অন্য কবির ছায়ায় বাড়ে না।

মিছিলখন্দকার০০৭

কবি

মিছিলখন্দকার০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১

(গতিসীমা)



মানুষেরও গতিসীমা আছে!



(প্রতিপদক্ষেপ)



সামান্য ঘাড় ঘোরালেই ভোর

অথচ তারা রাত্রির দিকে চোখ তাক করে

হেঁটে যায়!



(ষড়যন্ত্র)



হাওয়ার ষড়যন্ত্রে পড়েছে সে

মেনেও নিচ্ছে শেষমেষ

তবে বিব্রত

পোষাকের অবাধ্যতায়



বদ ছেলেটা

হাওয়ার সাথেই যোগসাজস

লজ্জাটজ্জা নেই

পড়েছে সে বেহায়া চোখের পাল্লায়!



(বন্ধু)



যারা আজ স্বপ্নের ইজারা নিয়েছে

তাদের কেউ কেউ আসে

আড্ডা হয়, নিজেদের সাফল্যের

উত্তেজিত বর্ননায় কাপ থেকে ছলকে পড়ে চা

সময় দেখার চেয়ে তাদের কারওবা পছন্দ

ঘড়ির জেল্লা



শার্টের আস্তিনে চশমা মুছে বন্ধু,

দেখে নিতে চায় ভেতরটা আমার

কথার মাঝেই সে

ভিক্ষুককে একশ’ টাকা দান করে

প্রমান করে সচ্ছলতা!



(ও পুষ্প ও বিহঙ্গ)



ও পুষ্প ও ফুল

আমারে ঘুমাইতে দে ঘ্রানের বিছানে

ও বিহঙ্গ, পাখিরে

তোর গানের ক্লাসে ভর্তি করায়ে নে



তার কাছে যেইটা আশঙ্কা

আমার কাছে তাহা সম্ভাবনা ক্যানে যে

ও বিহঙ্গ, পুষ্পরে

পরান ও অঙ্গে এতো এতো রঙ্গো ক্যানেরে!!



(কাব্য ভাবনা)



যদিচ তাকায়ে আছে চোখ

আমি তথা দৃশ্যের ভেতরেতো নাই

এই যে বন্ধ দুই পাতা- আসলে

অন্দরে দৃশ্যের ক্যাম্প পাতা



শ্যুটিং চলছে; আনকাট, লংশটে-

ঘটার কথা থাকলেও যাহা নাহি ঘটে

তার!



(লীলা)



লীলা যতটা জানে তার

নিজস্ব অনাচার

আর কেউ জানে না ততোটা

অবশ্য নিজের কাছেও সে

বেশিটা আড়াল



তাই সে অসুখী

অন্তর্মুখী

নিজের উপরে ক্ষোভে

অন্যকেও কিছুটা ডোবায়

অদৃষ্টে করে গালাগাল



হাহ! লীলা-

কুমির ঢোকার পরও

তুমি কি পাবে না টের

কখন রেখেছো কেটে খাল?



(পুষ্প)



পুষ্প আপনার জন্যও ফোটে।



(জেনারেল চাঁদের দখলদারিত্বের রাতে)



পৃথিবীময় জেনারেল চাঁদের দখলদারিত্বের রাতে

মুমূর্ষু এক ডাহুকবাহী অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভ করতে করতে

উদভ্রান্ত-

নার্সের ঠিকানা খুঁজছি!



সাইরেনে জেগে ওঠা নাইটগার্ড অযথা বাজাচ্ছে বাঁশি

তাতে চিরে যাচ্ছে নীরবতা

এদিকে অথৈ রাতে কেঁদে ওঠা শিশুর জন্য

ঘুম চোখে চুলায় বার্লি বসিয়েছে যে নারী

সে আমার কেউ কি ছিল কোনো দিন?



হঠাৎ সে বারান্দায় দাঁড়িয়ে

শুনছে কি অ্যাম্বুলেন্সের বিলাপ?

তার অন্তর্বাসের নিচে স্ফীত স্তনের ঠিক মাঝখানে

কেঁপে উঠছে কি নিমের অসুখী কোনো চারা?



কাছেই কোথাও নার্সিং হোম

অথচ অযথা জোৎস্নার উৎপাতময় রাতে

অপরিচিত লাগছে চির পরিচিত পাড়া!



(শহর দেখার চোখ)



বিষয়টা নদী ভাঙনের মতো

না কাউকে অভিযোগ করা যায়

না ফিরে পাওয়া যায় সাবেকি ভিটা-

এইটুকু বলে তিনি থামলেন

তারপর আবার কথার রেশ ধরে

যা বললেন

ইশ্বরের বিরুদ্ধে তেমন অভিযোগ

শারিরীক প্রতিবন্দীরা করেছে আজীবনই



এভাবে ভাঙন কবলিত মনে উপস্থাপিত হলেন তিনি!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.