![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক সময় আমার এমন কিছু সময় ছিল ঘর ভরা ছিল নিলূপ্ত অনটন। কাকের ডানার মতো দৈন্যতার সে আধারে ... মাংসহীন হাড়ের অস্তিত্ব পর্যন্ত চোখে দেখিনি। পাঁচ পয়সার আইসক্রিমের জন্য মার আঁচল ধরে কতো কেঁদেছি। দেখেছি তাঁর মুখ গ্রীষ্মের অত্যুষ্ণ নিশ্বাসে লাল হয়ে গেছে। না পারার অক্ষমতাকে বুকে চেপে চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে বলতো “কাঁদিসনা, দেখিস! এবার ঈদে ঠিকই তোকে একটা লাল জামা কিনে দিব” বহু দূরের সেই প্রাপ্তির আশায় নিঃপাপ অভিমানটুকু মুছে বলতাম “মনে রাখিস! দিবি কিন্তু মাইরী” শৈশবের সেই দীনতার ছবি এই মাঝ-বয়সে এসে আজ হারিয়ে ফেলেছি। একটা নতুন মুখ অবলম্বন করে কালের মহাশ্রুতে আমি দীর্ঘকাল ভাসতে ভাসতে এই যৌবনের চূড়ায় এসে এখনো আমি খুব অভাবী। নাহ্ মিতা, ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সার প্রাচুর্য়ে নিত্য আমার অবগাহন। তবুও সেই লাল জামার আদলে আজ সবুজ একটা মন আমার খুব প্রয়োজন... সরকার অহিদ ৩১/১০১১
“আমাকে দেবার মতো এক গ্লাস পানি
আমাকে দেবার মতো এক গ্লাস পানি
শুধু তোমার হাতেই সুন্দর মানায়।
একটু আহ্লাদিত শাসন তোমার ঠোঁটেই নেচে উঠে
আমাকে আরো এক চামচ অতিরিক্ত থাবার তুমিই দিতে পার।
বলো তো কতটা দিন মানুষ অপেক্ষার যন্ত্রণায় বাঁচতে পারে?
কতো ফোটা রক্ত সাদা হলে মানুষ লীল হতে পারে?
যোগ-বিয়োগ সব সময়ই আমি পূরণ করে ফেলি
কিন্তু কোনদিন এর হিসেব মিলাতে পারি নি।
শুধু বলতে পারি-
তোমার জন্য সেদিন একটি কবিতা লিখেছিলাম
তার পর বেশিদিনই আমি মৃত হই।
আমার অস্থি-মাংস পচে যায়,
ভেঙ্গে যায় আমার এক একটি পাঁজরের হাড়।
আমি কি ঈশ্বরের অভিশপ্ত ফেরাউন!
আমার মুত দেহ দৈবভাবে সংরক্ষণ করা হবে?
তাই কিছু যন্ত্রণা আমাকে সব সময়
“S” হরফের মতো বাঁকিয়ে তুলে।
তবুও আমি তোমার হাতের এক গ্লাস পানি চাই;
অথবা এক গ্লাস গরল।
পৃথিবীতে কতো চোখ
কেবল দুটি চোখ আমার চোখে
পাপড়ির মতো ঘুমিয়ে থাকে।
একটি ভারি নিশ্বাস, বিস্তৃত পৃথিবী,
কালো চুলে মিশে যায়।
আমার ভাবনাগুলো থমকে দাড়ায় তোমার সামনে এসে,
আর একটি চোখ, আর একটি নিশ্বাস,
আমি কোথায় রাখবো বলতে পারো?
২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:২৬
লালমেঘ বলেছেন: ভাল লাগার মেতা একটি কবিতা
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:২১
ছেঁচা ঝিনুক বলেছেন: এতটুকু ভালবাসা পাওয়া কি সম্ভব?