নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রহমান হেনরীর কবিতাব্লগ

পোয়েট ট্রি

রহমান হেনরীর কবিতাব্লগ

পোয়েট ট্রি › বিস্তারিত পোস্টঃ

।। পাবলো নেরুদার দুটি কবিতা ।।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩





।। মূর্তিগুলো ।।

................

পায়রাগুলো পুশকিনকে দেখতে গেল

এবং তার বিষণ্নতা ঠোঁকরাতে লাগলো

ব্রঞ্জের সামগ্রিক ধৈর্য ঢেলে

ধূসর সেই মূর্তি কথা বললো ওদের সাথে।



হালের পায়রাগুলো

পুশকিনকে বুঝতে পারলো না

অধুনা পাখিভাষা

ভিন্নতর।



পুশকিনে মলত্যাগ করলো তারা

তারপর উড়ে গেল মায়াকভস্কির দিকে।

তার মূর্তিটাকে সীসার মনে হয়।

তাকে মনে হয়

বুলেট নির্মিত।

ভাস্কর্যে তার কোমলতা নয়---

দাম্ভিক সৌন্দর্যই মূর্তায়িত।

সমুদয় স্নেহ-আর্দ্রতার

তিনি যদি চূর্ণকারীই হন

কী করে বাস করবেন

জ্যোৎস্নার বেগুনী আভায়?

কেমনে থাকবেন প্রণয়ের অন্দরমহলে?



সর্বদাই কিছু না কিছুর ঘাটতি থাকছে এই মূর্তিগুলোয়

নিজেদের সময়াভিমুখি করে তাদের যেন গুঁজে রাখা হয়েছে।

যুদ্ধের ছুরিতে কুচিকুচি করে

হয় ছেটানো হয়েছে হাওয়ায়

নয়তো বাগানের ট্যুরিস্ট বানিয়ে

বসিয়ে রাখা হয়েছে এক পাশে।

এবং অন্যেরা, অশ্বারোহণে ক্লান্ত যারা,

পানাহারের জন্যও সেখানে আর নামতে পারছে না।

মূর্তি যথার্থই তিক্ত ব্যাপার

কেননা, সময় তাদের ওপর জমতে জমতে

স্তূপাকৃতি হয়, জারিত করে তাদের

এবং ফুলেরাও ঢেকে দেয়

তাদের শীতল পাগুলো। চুম্বনার্থে নয়

ফুলেরাও এখানে মরতেই আসে।



লোহার মায়াকভস্কি

আর তার ভীতিকর ব্রঞ্জের জ্যাকেট

এবং হাসিহীন লৌহাবয়ব ঘিরে

দিনমান শাদা পাখিরা

রাতে কবিরা

এবং অগণিত জুতার একটা বৃত্ত তৈরি হয়ে থাকে।



একবার, যখন অনেক রাত, ঘুম ঢুলুঢুলু

আমার চোখ; শহর থেকে বহুদূরে,

একটা নদীর পাড়ে ব’সে এক আবৃত্তিকারে কণ্ঠে

ক্রমধ্বনিত, তার পংক্তিমালা স্পষ্ট শুনতে পেলাম।

মায়াকভস্কি কি শুনছিলো?

মূর্তিরা কি শুনতে পায়?

................





।। প্রাচ্যে আফিম ।।



(উদ্ধৃতাংশ)

................

শুরুতেই আফিমের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিলো সিঙ্গাপুরে

সুবোধ ইংরেজটি জানতো কী করছিলো সে

বিশ্ব সম্মেলনগুলোয় মাদকপ্রভুদের বিরুদ্ধে

কণ্ঠ থেকে বজ্র ঝরাচ্ছিলো

আর তার উপনিবেশগুলোর প্রতিটি বন্দরে

সরস ভোটাধিকার ও সরকারী নম্বর বসানো

অনুমোদিত ধোঁয়ার মেঘ পাঠাচ্ছিলো।

লন্ডনে এই সরকারী সজ্জন

নিষ্কলুষ পাপিয়ার মত পোশাক পরতো

(ডোরাকাটা প্যান্ট ও বর্মের সাথে লেপ্টে যাওয়া শার্ট)

মাদক-কারবারীদের বিরুদ্ধে

সকল ছায়ায় ক্ষোভে কম্পমান এক পাপিয়া।

অথচ, এখানে, এই প্রাচ্যে

সেই সাধুজন নিজেই নিজের মুখোশ খুললো

আর প্রতিটি কোণে বেচতে লাগলো তন্দ্রার ঝিমুনী।

.................

কবির নোট :

*বর্তমানের কোনও বাস্তব ঘটনাবলীর সাথে সাদৃশ্য পাওয়া গেলে সেটা নিতান্তই কাকতালীয়।*

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

অদৃশ্য বলেছেন:





আমার কাছে প্রথমটাই আফিমের মতো লাগছে... যদিও আফিম কখনো খাওয়া হয়নি, তারপরেও...

২য়টা চমৎকার...


আপনার জন্য
শুভকামনা...

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

পোয়েট ট্রি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। পাবলোর এই কবিতা দুটি কিছুটা স্বল্পপঠিত।
তাই বাঙলায়ন করে শেয়ার করতে ইচ্ছে করলো। ভালো থাকুন; শুভকামনা...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.