নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেলে আসা স্মৃতি ঘাটতে গেলেই মনে হয় গান গাওয়ার কথা স্মরণে আসছে
যদিও উষ্ণ সেই বিশাল কক্ষটি সর্বদাই ছিলো নৈঃশব্দের গুদামখানা
দুর্ভেদ্য, ওইসব দেয়াল, আমরা ভাবতাম
প্রাচীনত্বের অন্ধকার খোলসে খোলসে ঢাকা। আলো
ঠিকরে বেরোতো সেই বালিকার মাথা থেকে যার কোমল বাহুদুটি
ছড়িয়ে থাকতো আগোছালো। এবং তার নমিত স্বর নীরবতা ভেদ করে
জেগে উঠতে না উঠতেই মিলিয়ে যেত যেন ডুবে গেল জলের অতলে।
যদিও, সবার কাছেই সেটা ছিলো শান্ত এবং একটা বাহুর মত উষ্ণ,
যখনই কেউ একজন পর্দা সরাতো
সুচতীক্ষ্ণ বেপরোয়া বৃষ্টি বয়ে যেতো বাইরে।
কখনও কখনও কোনও একটা জানালার কাচ ফেটে যেতো,
আন্দোলিত হতো রোদের তেজ কিংবা দেয়ালে লেপ্টে যেতো নত ছায়া
কিংবা এমন হতো বাইরের দীঘল রাত্রিজুড়ে নেকড়ের ডাক
ভয়ে গা-কাঁটা দেওয়া আমরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরতাম।
অথচ ক্ষণিকের জন্য একটা নাচও চলতে থাকতো-
সেটা এমন যে, এখন আমার মনে হচ্ছে:
মেঝেময় সোনার জালের মত একটা আলোর গঠন
খুব ধীর ও শান্তভাবে গড়ে উঠতো।
হয়তো এখনও চলছে, স্বপ্নের মত, আবহমান।
কিন্তু এক বা দুবছরের মধ্যেই--- বয়ে গেল নতুন হাওয়া?
বৃষ্টি পঁচিয়ে দিলো দেয়ালগুলোকে?
পতনোন্মুখ খিলানগুলোয় ধাক্কা মারতে লাগলো নেকড়ের গর্জন?
অনেক অনেক আগের কথা।
কিন্তু কখনও কখনও পর্দাঘেরা সেই কক্ষটি আমার স্মৃতিতে জাগে
আর আমি শুনতে পাই বহুদূরে কতক যুবকণ্ঠ গেয়ে উঠছে গান।
.............
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
সানড্যান্স বলেছেন: হেনরীদা!! খবর কি?
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
অনুবাদ ভালো লাগলো।
এই কবির কবিতা আগে পড়িনি।