নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শান্তি ও গণতন্ত্রের নামে উল্লাসরত শৃগালপৃথিবী জেগে ওঠে।
মধুবর্ষিত বক্তৃতাসমূহের ভেতর দিয়ে ছড়িয়ে পড়া গুপ্তঅগ্নিতে পুড়ে
শুকনো ভেন্না পাতা দুমড়ে মুচড়ে ছাই হয়ে যায়; এই দৃশ্যের
কাব্যানুবাদে জেনে ফেলি, ভস্মিভূত ওইসব পাতা আর কিছু নয়,
অন্তর্ভেদি মানুষের কোমল আত্মা। শৃগালোল্লাস ঘুমিয়ে পড়ে। আবার
জাগে। ক্ষমতা-উন্মাদ বসন্তের প্রশান্ত বাতাসে আবার ঘুমায়, জাগে...
এইসব ঘুম ও জাগরণের অবকাশে, বিপুল কবরস্থানের মধ্যে
নাম না জানা প্রাচীন এক বৃক্ষতলে এসে দাঁড়াই; তার স্নেহময় ছায়া
প্রসারিত মাতৃবাহুর মত ছড়িয়ে আছে, খররোদ ও বৃষ্টির বিভীষিকা
থেকে সন্তানদের মাথা বাঁচাতে বাঁচাতে জানান দিচ্ছে, সেইসব জীবনের
কথা, যারা এখন শান্তির ভেতরে শুয়ে আছে। আহ নিরপেক্ষ চোখ, দ্যাখো
আর শোনো এই কবরখানার গল্প। জানাজা বা শেষকৃত্য, যা-ই হোক,
লুকিয়ে রাখছি আমার দুচোখের গতিময় ঝর্নাজল; আর তাকিয়ে আছি
নিথর ও টানটান সেইসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জীবনীতে, যার নিচে শুকনো
পৃথিবী; ওদের বাঁচিয়েছে ঈর্ষার পাথর ও প্রতিহিংসার অগ্নিরৌদ্র থেকে।
এবং দেখছি সেই মাতৃবৃক্ষের ডালপালাগুলো কীভাবে স্বর্গীয় হয়ে ওঠে!
................
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৮
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
দারুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭
রোদেলা বলেছেন: সুন্দর।