নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুবনাশ্বের সন্ধানে মান্ধাতা

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

১. উত্থান



একদিন বৃষ্টি হচ্ছিল। গ্রামে।



মাটির রাস্তার ওপরে পানি জমছিল। আলগা মাটি পানির স্রোতে মিশে পড়ছিল নিচু ক্ষেতে। রাস্তার এখানে ওখানে হাঁ করে ফাটল জানান দিচ্ছিল তার অস্তিত্ব। আকাশে বারবার বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল। হা হা করে বাতাস বইছিল, তাতেই সব মহীরুহ গাছেরা মাথা নুইয়ে বসেছিল। কোথায় সূর্য লুকিয়েছিল কে জানে? সব পাখি বসেছিল খড়-কুটোর বাসায়। সব কিছু কেমন ভেজা আর ঘোলাটে লাগছিল।



তবু সেদিন দুই-চারজন করে ছেলেমেয়ে বেরোচ্ছিল। মাথা কচু পাতায় ঢাকা। ভেজা গা বেয়ে টপটপিয়ে পড়ছিল পানি। ঠাণ্ডা লাগবে, পা পিছলাবে, সাপে কামড়াবে - কত কিছু বলেই না তাঁদের ঘরে আটকে রাখার চেষ্টা করা হল। লাভ নেই। গাছের আম তাদের ডাকছে তো! এ গাছ থেকে ও গাছ, এর বাড়ি থেকে ওর বাড়ি ওরা আম কুড়িয়ে বেড়ায়। প্রতি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার সময় তাঁদের দল ভারি হয়। কোঁচড়ে আম নিয়ে আনন্দে ঝড়ো বাতাস, বিদ্যুৎচমক বা গায়ে বিঁধে বিঁধে পড়া বৃষ্টির ফোঁটার পরোয়া না করে ঘুরে বেড়াতে থাকে। কোন জায়গায় হয়তো অল্প পানি জমেছে, সবাই মিলে সেখানে লাফাতে থাকে। কেউ হয়তো পিছলে পড়ে, তাতে না ঘাবড়ে সবাই হাসতে হাসতে তাঁকে টেনে তোলে। লাফাতে লাফাতে পানি উপচে বাইরে পড়ে, সেই নোংরা পানি শুষে নেয় মাটি। পড়ে থাকে শুধু নরম কাদামাটি।



দারুণ বাতাসে গাছেদের ডালপালা মড়মড়িয়ে ওঠে। টুপটাপ করে আম পড়ে। ছেলেমেয়ে এতে আরও উৎসাহিত হয়, তীক্ষ্ণ অনুসন্ধানী চোখে তারা আরো আম খোঁজে। কুড়াতে থাকে। হয়তো হঠাৎ দুহাত সামনে দিয়ে সড়সড়িয়ে চলে যায় কোন সাপ। আঁতকে ওঠে দলটি, হয়তো, কিন্তু তাতে চলা থামে না। ধীরে ধীরে দল বড় হয়, তা দেখে বৈরি প্রকৃতি একটু একটু করে হতাশ হতে শুরু করে। সুঠাম দেহের কিশোর কিশোরী, বা পেটফোলা রুগ্ন কোমরে ঘুনসি বাঁধা শিশু সবাই দলে যোগ দিতে থাকে। তাই দুরন্তপনাও বাড়ে। এই হাসি-ঠাট্টা, পাগলামির মাঝে পথের ধারে পড়ে থাকা পাথরে দুই একজনের পা যে ছড়ে যায় না, তা নয়। কিন্তু তারা ওই পথের ধারের দূর্বা চিবিয়েই লাগিয়ে দেয় ক্ষতে। সামান্য ক্ষত তাঁদের দমাতে পারে না। গ্রামের বড়রা বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে উচ্চকণ্ঠে তাঁদের ডাকে, সুযোগ থাকতে বাড়ি ফিরতে বলে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! দুরন্তের দল বধিরের ভান করে নিজেদের কাজ করে যায়, নিঃশব্দে।



একসময় বৃষ্টি থামে। সাপেরা ঢোকে গর্তে। মেঘলা আকাশ ঝকঝকে কাঁচের মত হয়ে দেখায়। জীবনানন্দের হংসী রোদ চারিদিক আলো করে ফেলে। নতুন আলোয় সূর্য ফোটে, অন্ধকার তাড়িয়ে দেয়। সে আলোর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে কিশোরের দল। আলো দেখে বড়রা জুতো পরে কাদা সামলে বেরোয়, কিশোরের দলকে ডাকে। বধির কিশোরেরা এমনকি ঘাড় ঘুরিয়েও দেখে না। তাঁদের দৃষ্টি ঐ ওপরে।





২. একটি সংলাপ, তার প্রেক্ষাপট



এখানে, শহরের খানিকটা অংশ,

──বিকালের বিদায়ী কমলা রোদ পড়ে পিঁপড়ের মতো ব্যস্ত



অভিমানী দেহের নিউরনের মতো

লাল নীল সংকেতে ব্যস্ত দুরন্ত চাকাগুলো



গোধূলির ভাপসা গন্ধে উড়ন্ত উলুর মতো

রঙবেরঙের মানুষের রাস্তা পারাপার,

অনিয়মিত হর্ন বাজে - হঠাৎ দুপুরে -

বেড়ে ওঠা দপদপ মাথাব্যথার মতো



ট্রাফিক পুলিশের ক্লান্ত হাত নড়ে যেন

হাওয়ায় সংকটাপন্ন মৃত বৃক্ষের নড়বড়ে ডাল,

দেশোদ্ধার হচ্ছে শতপায়ে ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে আশেপাশে

ঝিঁঝিঁর মতো গুঞ্জনে কবলিত চারদিক।



ল্যাম্পপোস্টগুলো রক্ত কেড়ে নিতে জ্বলে উঠলো ক্রমে ক্রমে

রাক্ষসের দীর্ঘ ধারালো চকচকে দাঁতের মতো।

গোবরপুষ্প মিশ্রিত সত্ত্বার জানালায় ভেসে ওঠে

──দূরের পথের চিহ্ন║



এখন,



এখানে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা,

তাদের দেখা হল সারিবদ্ধ ছুটন্ত পিঁপড়ের মতো

──সে তাকে বলল : 'যেয়ো না',

──সে তাকে বলল : 'আবার তো দেখা হবে'।



এখন,



এখানে সন্ধ্যা,

──সবার সাথে সেও ছুটলো পঙ্গপালের মতো

──নির্বাক মূর্তির মতো সে হয়ে রইল স্থির║





৩. বই পড়ো জীবন গড়ো



একবার একটা মানুষ বেড়াতে গেল বনে। বনটা ছিল অনেক ঘন সবুজ, আর লম্বা লম্বা গাছের ছায়ায় সারা দিন রাত সেখানে অন্ধকারের সন্তানেরা বাস করত। আলোর অনুপ্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ। এমন জায়গায় সে বেড়াতে গেল কেন? মানুষটা সবুজ ভালবাসত, প্রকৃতি ভালবাসত, আর ভালবাসত একাকী বসে বই পড়তে- তাই।



ঘুরতে ঘুরতে সে পৌঁছল বনের মাঝখানে, সেখানে গিয়ে লম্বা লম্বা কিছু দেবদারু গাছের নিচে চাদর পাতল। সে কিছুক্ষণ উপভোগ করল প্রকৃতির সান্নিধ্য, শুনল বাতাসে মড়মড়িয়ে গাছের ডাল নড়ার শব্দ, ঝিরঝির করে পাতা ঝরে পড়ার শব্দ, অদৃশ্য কোন পোকার কীটকীট ডাক। তারপর সাথে আনা ব্যাগটা থেকে সে একটা বই বের করল। চাদরে উবু হয়ে শুয়ে পড়তে লাগল বইটা। বইয়ের পাতা যে গাছগুলোর মৃত সঙ্গীদের প্রতিনিধিত্ব করছিল, সেটা তার খেয়ালে ছিল না।



চারপাশে অনেক দূর পর্যন্ত তখন কোন মানুষ ছিল না। নিস্তব্ধ, নিশ্চুপ পরিবেশ। আদিম রহস্য উন্মোচনের উপযুক্ত সময়। তাই চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছেরা একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল, তাঁদের হাজার বছরের জড়তা ভেঙে প্রতিশোধ নেবার সিদ্ধান্ত। মুহূর্তের মাঝে তাঁদের প্রাচীন ডালগুলো নখের মত বেঁকে এসে লোকটাকে মাটির সাথে চেপে ধরল, আর ছোট তীক্ষ্ণ ডালেরা চামড়ার ওপর দক্ষ সার্জনের মত আঁকিবুঁকি কাটতে শুরু করল। লোকটা আতংকে সর্বশক্তি দিয়ে চিৎকার করতে লাগল, কিন্তু যে চিৎকার কেউ শোনে না, তাকে আদৌ চিৎকার বলা যায় কি?



পরের দিন এক কাঠুরে কাঁধে কুঠার নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে সেই জায়গাটায় এল। সে অবাক হয়ে দেখল, জায়গাটার গাছগুলোকে অন্যান্য গাছ থেকে অনেকটা সতেজ দেখাচ্ছে। সতেজ, সজীব... আর কেমন যেন খুশি খুশি। কাঠুরে আরও এগুলো, তারপর সামনে সে একটা অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে পেল। মাটিতে নিখুঁত চারকোণা একটা কিছু পড়ে আছে। জিনিসটা বেশ বড়, প্রায় এক মানুষ সমান লম্বা। আরও ভালো করে তাকাতেই কাঠুরে বুঝতে পারল- জিনিসটা আসলে একটা বই! বইটার মলাট, পাতা সবই চামড়ার তৈরি, চামড়াটা কেমন কালচে বাদামী রঙের। আর বইটার মলাটের ঠিক মাঝখানটায় একটা ছোট্ট জিনিস নিয়মিত বিরতি দিয়ে ক্ষণে ক্ষণে স্পন্দিত হচ্ছে। জিনিসটা চিনতে পেরে কাঠুরে ভয়ে দুই পা পিছিয়ে এল, এরপর সে দেখতে পেল- চারপাশের গাছগুলোর কান্ডের উপরাংশ বেঁকে এসেছে বইটার দিকে। দেখে মনে হচ্ছে গাছগুলো মাথা নুইয়ে বইটা পড়ার চেষ্টা করছে!



সে প্রচণ্ড ভয়ে সেখানেই কুঠার ফেলে পালিয়ে এল লোকালয়ে। আর হ্যাঁ, তারপর থেকেই রটে গেল চারিদিকে- বই পড়াটা উদ্ভিদ-মানুষ নির্বিশেষে সবার জন্যই খুব খুব ভাল অভ্যাস।

মন্তব্য ৯৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৯৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০০

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: অভিমানী দেহের নিউরনের মতো
লাল নীল সংকেতে ব্যস্ত দুরন্ত চাকাগুলো । :)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :) পাঠের জন্য কৃতজ্ঞতা।

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৩

সুমন কর বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার লেখা পেলাম। কেমন আছেন? ফিরে এসেই দিলেন, একটা দার্শনিক লেখা। শেষেরটি বেশি ভাল লাগল।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাল আছি বেশ।

আজ লেখা দেবার কোন পরিকল্পনা ছিল না। হঠাৎ সময় পেলাম কিছুক্ষণ, একটা কিছু লিখতে গিয়েই মনে হল ব্লগে যাওয়া হচ্ছেনা অনেকদিন। তাই অল্প লিখেই পোস্ট দিয়ে দিলাম।

ভাল লাগল আপনাকে পেয়ে। শুভেচ্ছা।

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৪

অপু তানভীর বলেছেন: আপনে এতো দিন কই ডুব মেরেছিলেন বলেন তো ?

আমি যাদেরকেই অনুসরন লিষ্টে নিই তারাই সামু থেকে গায়েব হয়ে যায় !
কেমনে কি ! :( :(

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা, উধাও হইনি তো :) সবার পোস্ট পড়েছি ঠিকই, কিন্তু সময়াভাবে ব্লগে লেখালেখি করা হয় নি। যদিও সামনে আবার ডুব মারার প্ল্যান আছে, কিন্তু সামু থেকে এত সহজে যাচ্ছি না :)

ভাল থাকুন অপু।

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ১ এর আম কুড়োবার কথা এসব পড়তে পড়তে কিছু স্মৃতি ভাসছিল। এর অনুভবটা অনেক অসাধারণ।

২ টাও ভালো লাগলো।

৩ এর শুরুতে রূপক রূপকভাবে বলে গেছেন। বুঝতে সমস্যা হইছে। না বুঝেই বলি - বই পড়ার ভালো অভ্যাস। তবু কী বুঝাতে বা বলতে চাইছিলেন সেটা বলে দিলে পড়ার সুবিধা হতো

উধাউ হবার আগে বেশি করে ব্লগিং করে নেন। বইমেলায় আসছেন তো ?

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: 'বই পড়লে মানুষের মনোবিকাশ ঘটে, আর গাছেদের কেমন অনুভূতি হয়? প্রতিশোধের অপেক্ষায় তারাও হয়তো কৃচ্ছসাধন করে চলে, তারপর পূর্ণতা পায় মানুষ-বই পড়ে?' এরকম একটা ফ্যান্টাসি নিয়ে লিখেছিলাম। আর বড় করিনি।

বইমেলার আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। সহব্লগারদের বই বেরুচ্ছে, সংগ্রহ করতে হবে না!

শুভরাত্রি।

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

No, Mr. Lawrence, it's not like that! I don't mind telling you - I know a thing or two about love, Perhaps more than you do. And what I know is that you make it Too nice, too beautiful. It's not like that, you know; you fake it. It's really rather dull. ;


অসম্ভব সুন্দর +++++++

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ট্যাগের লেখাটা ডি এইচ লরেন্সের কবিতা।

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, কাণ্ডারি।

৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
২ টা আলাদা করে বার কয় পড়লাম।

অনেকদিন পর আপনার পোস্ট।
ভাল্লাগলো।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকে পেয়েও খুশি হলাম।

৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৩

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন: onak valo likha +

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ অরুদ্ধ সকাল।

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৫

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: বই পড়ো জীবন গড়ো টা দারুন এবং পুরাই অন্যরকম!


কোথায় যেন পড়ছিলাম আফ্রিকায় কোন জংগলে নাকি মানুষ খেকো গাছ আছে, তয় জানিনা সত্য না মিছা!



২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ!

মাদাগাস্কারের মানুষখেকো গাছ নিয়ে কত যে গল্প পড়েছি! সেটার একটা ছাপ এখনো থেকে গেছে মাথার ভেতরে।

৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৭

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: ++++++++++

আপনার লেখা বরাবরই ভালো লাগে,পাঠের সময় কিছুটা মাথার উপর দিয়েও চলে যায়,আর তখন কমেন্টগুলা পাঠোদ্ধারে সহায়তা করে :)

ভালো থাকুন প্রোফেসর সাব ।।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নিয়মিত পাঠককে পেয়ে খুশি হলাম অনেক:)

ভাল থাকুন আপনিও।

১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৫৬

ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: অসাধারন প্রফেসর, অসাধারন !!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, ইসতিয়াক।

১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
একরাশ মুগ্ধতা রেখে যেতে বাধ্য হলাম !

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মুগ্ধতা পেয়ে আনন্দিত!

১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৪

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: আপনি এত কম লেখেন কেন??

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লিখতে চাই। কিন্তু আশেপাশে এত এত ভাল লেখক আছেন, তাদের লেখা পড়তে পড়তেই সময় কেটে যায় অনেকটা!

১৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: কাগজের বইগুলো তৈরি হয় গাছে বিভিন্ন অংশ দিয়ে। আর গাছেদের বই হবে মানুষের অঙ্গ-প্রতঙ্গ নিয়ে। এরকম কিছু কি বুঝিয়েছেন? শিরোনামটার অর্থ বুঝলাম না।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেকটা এমনই। বই পূর্ণতার বাহক- তা সে জ্ঞানের ক্ষেত্রেই হোক, বা প্রতিশোধের ক্ষেত্রে; মানুষের জন্যই হোক, বা গাছের ক্ষেত্রে- এরকম একটা ভাবনা নিয়ে লেখা।

শিরোনামের পেছনে কাহিনি হল - হিন্দু পুরাণমতে, মান্ধাতা ছিলেন একজন সূর্যবংশীয় রাজা। তিনি তার পিতা যুবনাশ্বকে সরিয়ে সিংহাসন দখল করেন এবং রাজ্য থেকে তাকে তাড়িয়ে দেন। যুবনাশ্ব এতে ক্ষিপ্ত হন, এবং অভিশাপ দেন যেন মান্ধাতা কখনো সুখের মুখ না দেখেন।

সিংহাসনে বসার কয়েকদিন পর মান্ধাতা তার পিতার ঘরে একটা বই খুঁজে পান। দেবতারা এই বইটি সূর্যবংশের কাছে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রেখেছিলেন। বইটার নাম পদ্মপুরাণ। এই বইয়ে একটি মাত্র প্রশ্ন লেখা ছিল, মান্ধাতা সেই প্রশ্নটি পড়ে পাগলপ্রায় হয়ে যান এবং ক্ষমতা-পরিবার-পরিজন ছেড়ে রাস্তায় নেমে পাগলামি শুরু করে দেন।

তার মন্ত্রীবর্গ সবাই বইয়ে কি লেখা ছিল সেটা দেখার জন্য বই খোলেন। কিন্তু প্রশ্ন-লেখা পাতাটি ছিল ছেঁড়া, আর পরের পাতায় তিনটে কথা লেখা - 'জিজ্ঞেস কর যুবনাশ্বকে'।

এরপরে যতদিন মান্ধাতা বেঁচে ছিলেন, প্রশ্নের উত্তর জানতে তিনি পাগলের মত পিতাকে খুঁজে বেরিয়েছেন। খুঁজে পাননি।
(আর আমরা যে বলি 'মান্ধাতার আমল', তার উদ্ভব সম্ভবতঃ এই গল্প থেকেই)

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, বোধহীন স্বপ্ন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: যুবনাশ্ব ও মান্ধাতাকে নিয়ে মূল ধারার আরেকটি কাহিনি আছে। সেটি ম্যাভেরিকের এই পোস্টে পাওয়া যাবে Click This Link

১৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: নামটিই অভিনব। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভাবনার খেলা চমৎকার।

শুভকামনা।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় লেখক।

১৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮

মামুন রশিদ বলেছেন: NO! MR LAWRENCE!

No, Mr. Lawrence, it's not like that!
I don't mind telling you
I know a thing or two about love,
perhaps more than you do.

And what I know is that you make it
too nice, too beautiful.
It's not like that, you know; you fake it.
It's really rather dull.

"No! Mr Lawrence!" by D. H. Lawrence, in Pansies


লেখা, ট্যাগ আর ভাবের সাথে একাত্ম হয়ে গেলাম ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মনযোগী পাঠককে লেখায় পেয়ে আনন্দিত হই সবসময়। ধন্যবাদ, প্রিয় মামুন।

১৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১

উদাস কিশোর বলেছেন: পড়ে মুগ্ধ হলাম । চমত্‍কার

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ উদাস কিশোর।

১৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ৩ নং টা অসাধারণ হয়েছে ।


বইটার মলাট, পাতা সবই চামড়ার তৈরি, চামড়াটা কেমন কালচে বাদামী রঙের। আর বইটার মলাটের ঠিক মাঝখানটায় একটা ছোট্ট জিনিস নিয়মিত বিরতি দিয়ে ক্ষণে ক্ষণে স্পন্দিত হচ্ছে
- দারুণ ! বর্ণনায় বরাবরের মতই মুন্সিয়ানা ।

১,২ ও ভাল লেগেছে । আপনাকে অনেক মিস করি । নিয়মিত সময় দেবার
অনুরোধ রেখে গেলাম ।

ভাল থাকুন প্রোফেসর ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মাহমুদ, আপনাদের সান্নিধ্য ভীষণভাবে অনুভব করি ব্লগে। সাথে পেয়ে আনন্দিত হই বরাবরই।

অনেক অনেক ভাল থাকুন।

১৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৪

সোজা কথা বলেছেন: সবগুলাই সুন্দর হয়েছে।তবে ৭ নং টা খুবই ভালো লাগল।j

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ৭নং-টা?! লিখতে ভুল হয়েছে হয়তো।

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

১৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৩

অনিকেত রহমান বলেছেন: পাঠে একরাশ মুগ্ধতা।। চমৎকার একটা লেখা ।।

আপনার আগের কিছু লেখাও পড়েছি কিন্তু ভালো লাগা জানানো হয় নি।। আজ প্রথম জানালাম।।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কৃতজ্ঞ হলাম। ভাল থাকুন।

২০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন লাগছে। আপনার বর্ননা মানেই হচ্ছে ভাবের সঠিক দৃশ্যায়ন। আর ট্যাগ লাইনটা হচ্ছে এই লেখার অন্যতম প্রান!

আপনি আশা করি আবার নিয়মিত হবেন, এই অনুরোধই করি। :)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ কা_ভা। অনুপ্রাণিত হলাম।

আছি বেশ কয়েকদিন নিয়মিত :)

২১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩১

টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক চমৎকার লেখা। পড়ে মুগ্ধ হলেম।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পা মনি।

২২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ওয়েলকাম ব্যাক! আর হারায়েন না :)
স্নিগ্ধতার ছুটোছুটি বেশ লেগেছে!
পরের টা মুগ্ধপাঠ্য!
আর বই পড়া ভালো :)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: স্বপ্নবাজকে পেয়ে আনন্দিত হলাম!

বই পড়া ভাল :)

২৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

একজন আরমান বলেছেন:
সত্যি বলতে আমি লিখাটা বুঝিনি। মানে লিখার মাঝে তিনটা অংশ এবং ট্যাগ এই চারটা জিনিস একটু সংক্ষেপে বুঝিয়ে বলবেন?

প্রথম প্যারাটা আমার কাছে প্রানবন্ত লেগেছে খুব।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শিরোনামে জীবনের অর্থ খুঁজে ফেরার বিষয়টাকে হাইলাইট করতে চেয়েছি (১৩ নং কমেন্টে একটু ব্যাখ্যা আছে)। আর পরের বিষয়গুলো জীবনের একেকটা অর্থকে ইঙ্গিত করছে। কোনটায় জীবনের অর্থ পরিপূর্ণ হচ্ছে?

১ নং - (বাচ্চাদের দলের মাধ্যমে যুবসমাজকে বোঝানো হয়েছে), তাদের উত্থানে?
২ নং, ট্যাগ - আধুনিক জীবনের প্রেমে?
৩ নং - নাকি পারস্পরিক প্রতিশোধে?

এই-ই। লেখাটা আরও বড় করতে পারলে অর্থ পরিষ্কার হত, বেশি ছোট হয়ে গেছে বলেই বিচ্ছিন্ন মনে হচ্ছে।

শুভেচ্ছা, প্রিয় আরমান। এবং বিবাহিত জীবনের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন!

২৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার লাগল।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার প্রত্যাবর্তন প্রফেসর। লেখা পড়ে আনন্দ পেলাম।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকে পেয়ে আনন্দিত হলাম, প্রিয় হাসান!

২৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০০

না পারভীন বলেছেন: আম কুড়ানোতে এতই ডুবে ছিলাম হঠাত ২ নং এ কিভাবে কবিতা চলে এল , কোথায় গেল আমকুড়ানোর বাকি অংশ আর খুঁজে পেলাম না ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: তিনটে আলাদা আলাদা অংশ তো, তাই এরকম মনে হয়েছে হয়তো! ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

২৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩

মেহেরুন বলেছেন: এতো সুন্দর করে লেখা আমার পক্ষে সম্ভব না :(

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কে বলল? আপনি অনেক ভাল লেখেন।

২৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অনেকদিন পর আসলাম ব্লগে। পড়লাম।
সর্বশেষ অংশটুকু ভালো লেগেছে খুব। :)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আনন্দিত হলাম। শুভেচ্ছা।

২৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৪

জোবায়েদ-অর-রশিদ বলেছেন:

পুরো গল্পটি জুড়ে ‘ক্রিয়ার’ অবিনশ্বর আস্ফালন। মলাটে বইয়ের নাম কিন্তু বইয়ের ক্রিয়াশীল উপাদানটি সবসময়ই বেনামে থেকে যায় ....

আপনার অন্যান্য লেখার মত এই লেখাটি অতটা বোল্ড নয় তবে ছোটগল্পের শ্বাসটুকো আছে। [প্লাস]

লেখকের ইচ্ছেই একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্লগ পোস্ট। তবুও বলতে ইচ্ছে করছে, ট্যাগ-লাইনটি না থাকলেই ভালো ছিলো।।

শুভকামনা।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লেখকের অপূর্ণ ইচ্ছের চেয়ে মনোযোগী পাঠকের পছন্দ ওপরে আসবে সবসময়। আপনার ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিয়ে ঠিক করলাম, ট্যাগ নির্বাচনে আরেকটু সতর্ক হবো।

মনোযোগী মন্তব্য পেয়ে খুবই খুশি হলাম। ভাল থাকুন।

৩০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২

এহসান সাবির বলেছেন: মাঝে মাঝে তব দেখা পাই..........!!

আপনার লেখা মিস করি খুব।

চমৎকার লেখা। খুব ভালো লেগেছে।

শুভেচ্ছা প্রিয় লেখক।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এসব কিছু পাঠকের জন্যই তো লেখা :) ধন্যবাদ, এহসান।

শুভেচ্ছা গৃহীত হল। ভাল থাকুন আপনিও।

৩১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

নাছির84 বলেছেন: প্রথমবার পড়ে বুঝিনি। আবার পড়লাম। কিছুটা ধোঁয়া কেটে গেল। সময় নিয়ে আরও একবার পড়লাম। এবার দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার।
ফ্যান্টাসির এই লেখায় ভাল লাগা। অন্যরকমভাবে চিন্তার খোরাক যোগায়। বিশেষ করে প্রকৃতির প্রতিশোধ এবং বই পড়ার ভাবনাকে একসুত্রে গেঁথে ফেলার মুন্সীয়ানার জন্য। কিন্তু হৃদমাঝার বলছে, লেখাটা পড়ে আঁশ মেটেনি। কারণ, অর্ন্তনিহিত ভাবনাটা হয়তো আরেকটু খোলাসা করে লেখা যেত। কারণ, শব্দের ওপর আপনার দখল ঈর্ষণীয়।
প্রফেসরের তালবিলিম পাঠক হিসেবে এ দাবীটুকু তো জানাতেই পারি ?
শুভ কামনা। ভাল থাকবেন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নিয়মিত পাঠককে শুভেচ্ছা।

কিছু কিছু গল্পে অর্থ ফুটে ওঠে ঠিকমত, আবার কখনো তা হয় না। নিতান্তই লেখকের অক্ষমতার কারণে। পরের গল্পটায় খোলাসা করে লিখার ইচ্ছা রাখছি। আশা করি পড়ে এমন করেই মতামত জানাবেন।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, নাছির।

৩২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৬

নাছির84 বলেছেন: 'লেখকের অক্ষমতা'-বাক্যটিতে যথেষ্ট আপত্তি আছে।
আপনার আগের সবগুলো গল্প একবার পড়ে দেখুন। তারপর যদি মনে হয় এই গল্পটার ভাবার্থ আপনি অনেক চেষ্টা করেও ফুটিয়ে তুলতে পারেননি...তাহলে অজুহাতটা মেনে নেব।
আমার মনে হয় অক্ষমতা তো নয়ই এসব গল্পে ভাবনার সময়টা বেশি গুরুত্বপুর্ণ। হয়তো হাতে সময় ছিল না, তাই লিখেছেন দ্রুত আর আপনার নিজেরও বিশ্বাস ছিল....‌'অ' বললেই পাঠক 'অজগর' বুঝে নিবে ? কিন্তু পাঠকের প্রতি লেখক দায়বদ্ধতার শৃংখলে আবদ্ধ থাকলেও অবিচারের জায়গাটা হলো-লেখকের প্রতি পাঠকের কখনোই দায়বদ্ধতা ছিলনা, থাকবেও না।
এসব আমার একান্তই ব্যক্তিগত মতামত। ভাল থাকবেন প্রফেসর।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ব্যক্তিগত মতামতটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান বলেই মনে হল আমার কাছে। খুশি হলাম। ধন্যবাদ প্রিয় পাঠক।

৩৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৪

অচিন্ত্য বলেছেন: আপনার লেখা খুব সুন্দর। এই পৌরাণিক চরিত্রদের সম্পর্কে আমি জানি না; তাই খুব একটা কানেক্ট করতে পারি নি। যাই হোক, পড়ে ভাল লেগেছে।

ভাল থাকুন

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনুপ্রাণিত হলাম। পড়ার জন্য ধন্যবাদ, অচিন্ত্য।

৩৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা। আম কুড়ানোর অংশটা পড়ে খুব আনন্দের একটা অনুভূতি হল। যদিও নিজের এমন কোন অভিজ্ঞতা নেই আমার।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বৃষ্টির দিনে আম-রোমাঞ্চ একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা, এটা বলতে পারি:)

শুভেচ্ছা, প্রিয় পাঠক।

৩৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০২

আমিজমিদার বলেছেন: ফার্স্টটা পরথমে মনে হইল প্রকৃতি নিয়া, তারপর আবার পইরা মনে হইতাসে রাজনীতি নিয়া। 'আম'- দিয়া কি বুঝাইছেন, আমজনতা?? কনফিউজড হৈ গেলাম।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এরকম ছোট্টগল্পগুলোতে সাধারণতঃ একটা দ্বৈততা বজায় রাখার চেষ্টা করি; প্রকাশে, অর্থে ইত্যাদি। আপনি দুটো অংশই দেখতে পেয়েছেন। হ্যাঁ, আমজনতা এরকম একটা দ্বৈত অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে।

মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
বই সৃষ্টিতে হয় কাগজের ব্যবহার। সেই কাগজ তৈরির মুল উপাদান গুলো আসে প্রকৃতি থেকে। তাহলে এই কাগজ দিয়ে যে বই সৃষ্টি হল তার উপর মানুষের চেয়ে প্রকৃতির অধিকারই বেশি তাইনা? তাই কি গাছ গুলো তিল তিল করে জমতে থাকা ক্ষোভ মানবের উপর প্রতিশোধ নিয়ে মিটাল?

জানিনা কি বুঝতে কি বুঝেছি। তবে আপনাকে অনেক দিন পর আপনাকে ব্লগে দেখে ভাল লাগছে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঠিক ধরেছেন, নাজিম:) আপনাকে দেখতে পেয়েও ভাল লাগছে।

৩৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

নস্টালজিক বলেছেন: একটি সংলাপ, তার প্রেক্ষাপট[/sb


দারুণ লাগছিলো পড়তে! শক্তিশালী শব্দচয়নের দৃশ্যকল্প!



শুভেচ্ছা, প্রফেসর!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, প্রিয় নস্টালজিক!

৩৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৭

লালপরী বলেছেন: চমৎকার লাগল গল্প :)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ:)

৩৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:৩২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বইটার মলাটের ঠিক মাঝখানটায় একটা ছোট্ট জিনিস নিয়মিত বিরতি দিয়ে ক্ষণে ক্ষণে স্পন্দিত হচ্ছে

-কিন্তু কী সেইটা? যতক্ষণ জানতে না পাবো ব্যাপারটা মাথায় থাকবে বেশ কিছুদিন।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এ মাইটি হার্ট মেকস ফর এ মাইটি রিডার - দস্তয়ভস্কির এই উক্তিটি গল্পের পরিস্থিতির সাথে কোনোমতেই যায় না, কিন্তু তবু কিভাবে যেন মিলে গেছে অনেকটাই :)

শুভেচ্ছা রইল জুলিয়ান।

৪০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

বৃতি বলেছেন: মুগ্ধপাঠ!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ!

৪১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: প্রফেসর শঙ্কু, ইংল্যান্ডে রেনেসার আমলে সবচেয়ে বড় সাহিত্যিক হিসেবে শেক্সপিয়র পরিচিত। শেক্সপিয়রেরও অল্পকিছু আগে আরেকজন পর্বতসম নাট্যকার ছিলেন - ক্রিস্টোফার মারলো। সেই সময়ে যে কেউ খুবই শক্তিশালী ভাষায় কিছু লিখলে বলা হত- সিমস লাইক " মাইটি লাইনস অফ মারলোয়ে"। তার মহৎ একটা সৃষ্টি দা ট্র্যাজিকেল হিষ্ট্রি অফ ডক্টর ফাউস্টাস, যেটার অনুকরণে জার্মান মহাকবি গ্যেটে ফাউস্ট লেখেন।

ব্যাকগ্রাউনড লে করার পর বলি, আপনার লেখাটা পড়ে শেষ করার পর এই ফ্রেইজটা মাথায় ঘুরছিল - "মাইটি লাইনস অফ মারলো"।

আপনার শব্দের ওপর দখল ঈর্ষনীয়। ব্যাবহৃত দৃশ্যকল্পগুলো স্নায়ুস্পর্শী।

লেখাটা যথেষ্ট পরিমাণ মনোযোগ ডিমান্ড করে। বেশ কয়েকবার করে পড়লাম। তিনটা অনুচ্ছেদের মধ্য মিল খুঁজে পেলাম না। তবে আলাদা আলাদা ভাবে তিনটা অনুচ্ছেদই চিত্তাকর্ষক।

লেখার পরে মন্তব্যের মাঝে দেখলাম আপনি অনুষঙ্গ ব্যাখ্যা করেছেন, ইচ্ছা করেই তা পড়িনি। কথিত আছে- লেখা জন্মের মুহূর্তেই লেখকের মৃত্যু হয় - এরপর পাঠকের পুরো অধিকার তা নিজের মত করে আবিষ্কার করে নেবার।

আপনি লিখেছেন, আপনার কাজ শেষ। আবিষ্কারের দায়িত্ব আমাদের।

ভালো থাকবেন। :)

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পরিণত, মনোযোগী মন্তব্য যেকোনো লেখকের জন্য একটা টনিক হিসেবে কাজ করে। নিজের লেখা সম্পর্কে সচেতন হতে শেখায়। নিঃসন্দেহে আপনার এই মন্তব্যটিও আমার জন্য সবসময়ে উৎসাহ যোগাবার একটা উৎস হিসেবে কাজ করবে।

আমি কৃতজ্ঞ। অনেক ধন্যবাদ জানবেন।

শুভেচ্ছা:)

৪২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১

খাটাস বলেছেন: প্রফেসর শঙ্কুর লেখার বিশেষত্ব হচ্ছে পড়ার সাথে সাথে দেখা যায়। নিজে কিছুই কল্পনা করতে হয় না। লেখার অনন্য সুক্ষ বর্ণনার দক্ষতায় তা এমনিতেই মনের ক্যানভাসে সচল ছবিতে পরিণত হয়।
২ নং টা কবিতা হউয়ায় পরিনি। ১ তা যে কাওকেই অতীতে নিয়ে যাওয়ার এক অনন্য শক্তি।
৩ নং টা ভাবনার বিচিত্রতার অদ্ভুত এক প্লট।
অনেক অনেক ভাল লাগা প্রিয় শঙ্কু। আপনার ফিরে আসায় শুভ কামনা। নিয়মিত পাবার আশা রাখি।
আর ওপরে আবির ভাই এর মন্তব্বে প্লাস। ওনার কথা গুলতে পূর্ণ সমর্থন।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় পাঠক, আপনার নিয়মিত মন্তব্য পেয়ে আপ্লুত হই সব সময়। প্রথমটা আমারো খুব প্রিয় স্মৃতির মাঝে একটা। সেটা আপনাকেও একইভাবে স্পর্শ করেছে শুনে আনন্দিত হলাম।

হ্যাঁ, সাজিদ উল হক আবির -এর মন্তব্যটি এক কথায় দারুণ:)

নিয়মিত আছি কয়েকদিন। শুভেচ্ছা রইল।

৪৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৪

জুন বলেছেন: বই পড়ার মত এত আনন্দ বুঝি আর কিছুতেই নেই। গাছেরাও বই পরুক।
আম কুড়ানো সে এখন ঢাকার বুকে এক ইতিহাস প্রফেসর।
+

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা, ঠিক তো, পড়ুক!

কিছু কিছু জিনিস হারিয়ে যাওয়া উচিত নয়। কিন্তু শহরে এসব সত্যিই ইতিহাস হয়ে গেছে আজ।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ, প্রিয় জুন। ভাল থাকুন।

৪৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১২

একজন সৈকত বলেছেন: সত্যি বলতে মাথার অনেক উপর দিয়ে গেল। তবে আম কুড়োতে যাওয়ার দৃশ্যকল্পটি খুব ভালো লেগেছে। শৈশব ও কৈশোরের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে এই ঝড়-বাদলার দিনের আম কুড়নোর অভিযান নিয়ে। ভালো থাকুন।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: স্মৃতিটি আমারও অনেক প্রিয়। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, একজন সৈকত!

৪৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

কালোপরী বলেছেন: :)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :)

৪৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: মান্ধাতার কাহিনী জানা ছিল না । আপনার কমেন্ট থেকে জানলাম । বেশ মজা তো !

আর পোস্ট , এক কথায় চমৎকার । এক তিন বেশি ভালো লাগা

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রাচীন পুরাণের কাহিনীগুলো সত্যিই খুব মজার!

পড়ার জন্য ধন্যবাদ, প্রিয় সিফাত।

৪৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৭

রাসেলহাসান বলেছেন: ল্যাম্পপোস্টগুলো রক্ত কেড়ে নিতে জ্বলে উঠলো ক্রমে ক্রমে
রাক্ষসের দীর্ঘ ধারালো চকচকে দাঁতের মতো।
গোবরপুষ্প মিশ্রিত সত্ত্বার জানালায় ভেসে ওঠে
──দূরের পথের চিহ্ন║

দারুন!! অনেক ভালো লাগা থাকলো।।

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি :)

৪৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: প্রথমটা পড়ে শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম। আহারে! রঙ্গিন শৈশব! ঝড়ের রাতে ঘরের ঠিক পিছনের আম গাছটা থেকে টিনের চালে কখন আমটা পড়বে কান খাড়া হয়ে থাকতো! সবার আগে গিয়ে দখল নিতে হবে তো! আহারে!

কবিতা কম বুঝি, তাই রসটা ঠিক মত আস্বাদন করতে ব্যার্থ হয়েছি। আমার অক্ষমতা।

শেষেরটা অত্যন্ত জটিল চিন্তা থেকে লিখেছেন বুঝা যাচ্ছে! বৃক্ষপাঠক! ওয়াও, একেবারেই মৌলিক চিন্তা। গ্রেট।

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: খোলামেলা শৈশবের মাহাত্ম্য এখন বুঝতে পারি। মিস করি প্রবলভাবে।

কবিতা তো কবিতাই :) শেষেরটা আপনার ভাল লাগায় আনন্দিত হলাম।

পোস্টে নিয়মিত পাঠককে পেয়ে উৎসাহিত হলাম। শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.