নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুণ্যতার নিচে পিয়ানো শুনি...

রাজসোহান

প্রিয় অন্ধকার, আমার পুরোনো বন্ধু তুমি...

রাজসোহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের রকগাথা আজম খান

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৯



কুমিল্লার সালদাহে পাকিস্তানি সেনাদের বাঙ্কার উড়িয়ে দিতে মিশনে এসেছেন কয়েকজন অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা, তাদের দলনেতা আজম খান। তবে প্রস্তুতি হিসেবে তাদের অস্ত্রশস্ত্র খুবই সামান্য। পিস্তল, একটা অটো মেশিনগান, আর চারটা হ্যাণ্ড গ্রেণেড, এইটুকুই সম্বল! তবে বাঙ্কারে গিয়ে তারা বুঝতে পারলেন ওটা সামান্য বাঙ্কার নয়, রীতিমতো ভারী মেশিনগানে সুসজ্জিত ছোটোখাটো একটা দূর্গ, সামান্য ভুল করলেই মুক্তিযোদ্ধারাই মারা যাবেন। তবে আশার বিষয় হলো, পাক সেনারা তখন খাওয়া দাওয়ায় মশগুল। এই সুযোগেই যা করার করতে হবে।

দলনেতা হিসেবে আজম খান নির্দেশনা দিলেন তিনি গুলি ছোঁড়ার আগে কেও যেনো আক্রমণে না যায়। আজম খান অপেক্ষা করতে করতে তাঁর মাথায় কী চিন্তা খেলে গেলো কে জানে! শিল্পী মানুষ, অটো মেশিন দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে গেয়ে উঠলেন, "এয়সা মওকা ফির কাহি মিলেগা..." পাক সেনারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলি বর্ষণের মুখে ৬জন বিদায় নিলো ধরাধাম থেকে।

আজম খান প্রায় ৩০টিরও বেশি সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু এগুলো কখনও কোন বইয়ের পাতায় উঠে আসেনি। এমনকি উপরে বর্ণিত এই কাহিনীটাও একমাত্র ঘটনা যেটা আজম খানের মুখ দিয়ে বের করতে পেরেছেন মাকসুদ। যুদ্ধের প্রসঙ্গ উঠলেই আজম খান চুপ হয়ে যেতেন, চোখ বন্ধ করে ফেলতেন। হয়তো ট্রমার মতো সেই সময়গুলো কখনোই মনে করতে চাননি।

এই বইয়ের আরও একটি চমৎকার অধ্যায় হচ্ছে আজম খান কেন পপ গুরু নন তার পুরোপুরি একাডেমিক ব্যাখ্যা করেছেন মাকসুদ। মিডিয়া পপ গুরু তকমা দিয়ে আজম খানের যে রক ভারমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে তারও দারুণ ব্যাখ্যা রয়েছে।

ছোট আকারে হলেও আজম খান সম্পর্কে এমন অনেক কিছুই জেনেছি যেটা মাকসুদ না লিখলে হয়তো কোনদিনই জানতাম না! যেমন আজম খানের থাপ্পড় না খেলে হয়তো মাকসুদ কোনদিন বাংলা গানই করতেন না, আমরাও পেতাম না মাকসুদের কালজয়ী গানগুলো

আজম খানকে নিয়ে খুব চমৎকার একটি মন্তব্য রয়েছে বর্তমান সময়ে আমার প্রিয় গায়ক প্রবর রিপনের। তিনি বলেছিলেন, 'বাংলায় সবচেয়ে বেশী হৃদয় দিয়ে গান গাওয়া গায়ক আজম খান।' এর একটা প্রমাণ আমি এখনই আপনাদের দিতে চাচ্ছি। বাংলায় খুব বিখ্যাত একটা গানের এলবাম হচ্ছে "দাগ থেকে যায়।" সেই এলবামে আজম খানের একটি গান রয়েছে নাম "দূরে আছি এই ভালো।" গানটির ১ মিনিট ৫০ সেকেণ্ডে আজম খান কন্ঠের যে জাদু দেখিয়েছেন তা আপনাকে নাড়া দিয়ে যাবেই।

আজম খানের চারপাশে যারা ছিলেন তাদের উচিত এমন আরও বই লেখা। সেই অস্থির সময়ে সমস্ত সমালোচনার চাদর গায়ে জড়িয়ে আজম খান ছাড়া বাংলাদেশের ব্যাণ্ড মিউজিক শুরু হতো কীভাবে?

শুভ জন্মদিন গুরু আজম খান!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: রকস্টার ও দেশপ্রমিক । জন্মদিন-উপলক্ষে গোলাপের শুভেচ্ছা।

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১০

শের শায়রী বলেছেন: যে যাই লিখুক ব্যাখ্যা দিক উনি আমাদের প্রজন্মের কাছে "গুরু"। বইটা কেনার ইচ্ছা রাখি। দয়া করে জানান কোন প্রকাশনীর।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

রাজসোহান বলেছেন: বইমেলায় চন্দ্রবিন্দু স্টলে পাবেন।

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০

রাজীব নুর বলেছেন: গানটা শুনুন-

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.