নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...
১/ ১/২০২৩
আগের দিনের ফায়ার ওয়ার্কস দেখার মজা পরেরদিন সকালে বের হলো। মানলী বীচের ঐ পর্বতে হেঁটে হেঁটে ওঠা আর তারপর সেখান থেকে ফিরে রাত ১২টায় ইলোরা রিজার্ভে পৌছানো এসব আমার আহলাদী শরীরের জন্য বেশি হয়ে গেছিলো। রাহী আর বিভানের জন্যই কিছুই না কিন্তু আমাকে নিয়ে হাঁটতে গিয়ে তাদের রাত ১২টার ফায়ার ওয়ার্কস দর্শন নষ্ট হয় হয় আর কি। আমি হাঁটতে পারি না কিন্তু হাঁটতেই হবে কারণ অনেক দূর থেকেই বাস কার চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। আমার পা ভেঙ্গে আসছিলো তবুও মনের জোরে হেঁটে চললাম। আমরা যখন ভিউ পয়েন্টে গিয়ে পৌছালাম ঠিক তারপর পরই কাউন্ট ডাউন শুরু হলো ১০, ৯, ৮, ৭, ৬, ৫,৪,৩,২,১ হ্যাপী নিউ ইয়ার....... চারিদিকে আলোর রংধনু। যতই ছবি তুলি আর ভিডিও করি কখনই সেই সৌন্দর্য্য কাউকেই বুঝানো সম্ভব না। যাইহোক ফেরবার সময় রাস্তার ধারের পাবগুলো থেকে বারান্দায় দাঁড়িয়ে নানা বর্ণের, না না ধর্মের মানুষগুলো সবাই সবাইকে উইশ করছিলো। মানুষজন ঝলমলে পোশাক গ্লিটারী শিং এসব পরে হাঁটছিলো। আমিও কিন্তু ঝলমলে পোশাক পরেছিলাম। চারিদিকে আনন্দ তার দ্যুতি ছড়াচ্ছিলো। এত আনন্দঘন নিরাপদ মধ্যরাত এই জীবনে এর আগে দেখা হয়নি আমার। এরপর একটাও বাস পাওয়া যায় না। আমি এ কটাদিন শুধু এই দেশের সরকারের অর্থের অপচয় দেখে বিস্মিত হচ্ছিলাম। বাসে ট্রেইনে মানুষ নেই বললেই চলে। একদম ফাঁকা ফাঁকা। এমনকি একটা মানুষ নেবার জন্যও ভূতের মত মানে রোবোটের মত বাস ট্রেইন স্টপেজে আসছে যাচ্ছে। নির্বিকার নিরুত্তাপ। কেউ উঠলো কি উঠলো না তাতে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই তাদের নেই কোনো সমস্যা তারা যেন অন্ধ বোবা কালা। একটা মানুষও যদি কোনো দিন কোনো স্টপেজে না ওঠে তবুও তারা তাদের কর্মে অবিচল থাকবে।
গত দিনের ক্লান্তিতে সারাদিন বিশ্রামেই ছিলাম। কোথায় আর বের হইনি। তবে সন্ধ্যায় একটু ঢু দিতে গেলাম প্রতিবেশি মার্কেট ট্রাফালগার শপিং সেন্টারে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপাতি জরুরী ঔষধ ও চিকিৎসা সেবা এবং বার ও খানাপিনার দোকান সেখানে। সামনেই ওয়ারলু পার্ক। অনেকক্ষন বসে থাকলাম আমরা সেই অপার্থীব সৌন্দর্য্যের অপার নগরীতে। পার্কে শিশুরা খেলছিলো, অনেকেই ইভনিং ওয়াকে রত ছিলেন। মাঠের চারপাশ ঘেরা ঝাউগাছের মত কোনো এক গাছের সারি। মায়াময় ফিনফিনে পাতার চামর দুলাচ্ছিলো। ঐ সন্ধ্যেটা এক বিশেষ স্মরনীয় হয়ে থাকবে আমার বাকী জীবনে।
২/১/২০২৩
বাসা খুঁজি, ইউনিভার্সিটিতে কাজ কোনোটাই হচ্ছে না নিউ ইয়ার ছুটির কারণে। ৩ তারিখে সব কিছু খুলবে। তো কি আর করা? মার্কেটে গেলাম। নতুন সিম কিনলাম। আগের সিম রোমিং করা ছিলো।
এখন কি করা যায় ভেবে ভেবে নেনে চিকেনে টাকো খাই ভাবলাম। যেই ভাবা সেই কাজ বসে বসে খেলাম টাকো এন্ড চিকেন ইয়াম্মী ইয়াম্মী। এরপর একটু শপিং উলসওয়ার্থে। তবুও টাইম যায় না। ঠিক করলাম ম্যুভি দেখবো। ম্যুভি হলে চলছিলো আভাটার। দেখলাম আভাটার গ্লাস আর পপকর্নের কাগজের স্পেশাল প্যাক বিক্রি হচ্ছে। সে সব অবশ্য বাচ্চারা কিনছিলো। আমার তো লাগবেই লাগবে। আমিও তো বাচ্চাই। আবার একটু স্টাইলিশও বটে। একটু স্টাইলই যদি না থাকে জীবনে তো কিসের আর যে জীবন? পিচ্চিদের মত সেই গ্লাসে স্ট্রবেরী আর স্মিথ চিপস নিয়ে বসলাম আয়েশ করে। মিঃ বীনকে মনে পড়ছিলো। বুড়া ধামড়া হয়ে সে যেমন বাচ্চাদের পুলে নেমেছিলো ঠিক তেমনই আমিও। ম্যুভিটা আমার অনেক ভালো লাগলো। অবশ্য দুনিয়ার সব কিছুই আমার অনেক ভালো লাগে।
সিনেমাহলের সামনে আইসক্রিম...
এত সুন্দর নিট এন্ড ক্লীন ঝকঝকে তকতকে ট্রেইন আর বাসে আমি শুধু তাকিয়ে থাকি। সবাই চুপচাপ। ফোনের দিকে তাকিয়ে আছে। কেউ কাউকেই দেখছে না কাউকে নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই।
এমনকি বাবা মা ফোনে বসে আছে পিচ্চি বাচ্চা একা একা মন খারাপ করে দূরে বসে আছে। বদমাইশ বাবা মায়েদের কোনোই খেয়াল নেই সেখানে। কি আর করা! আগ বাড়িয়ে কথা বলতে গিয়ে আবার পুলিশে ধরায় দেয় যদি।
এই শহরের কয়েকটা বড় বিস্ময়ের মাঝে বাস আর ট্রেইনের সুশীতল আরামদায়ক বিস্ময় ছাড়াও আরও দুটি বিস্ময় ছিলো এই দেশের বৃদ্ধ এবং শিশুরা। ছোট্ট ছোট্ট শিশুদেরকে স্ট্রলারে করে নিয়ে এসেছে বাবা মায়েরা তারা সেখানে শুয়ে শুয়েই আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। কথা বলতে পারেনা অথচ কি ম্যাচিউরড তারা। কাউকে বিরক্ত করে না একটুও কাঁদেনা। আমাদের দেশের বাচ্চারা হলে তো কোল ছেড়ে নামতোই না। বাবা মায়েরাও ওলে ওলে করে কোলে নিয়ে ঘুরতো। জীবনেও স্ট্রলারে করে আনতো না।
আর অশীতিপর বৃদ্ধ বৃদ্ধারা হুইল চেয়ার ঠেলে চলে যাচ্ছে শপিং মল বা ব্যাংকেই। সবখানেই তাদের জন্য গড়ানো রাস্তা তৈরী করা আছে। মলের লোকজন, ব্যাংকের লোকজন সবাই তাদেরকে সহযোগীতা করছে এমনকি অন্যান্য কাস্টোমারও তাদের জন্য পথ ছেড়ে দিচ্ছে। সবার কাছেই সন্মানিত তারা। কিন্তু আমাদের দেশে? কে কার আগে যাবে? বৃদ্ধ শিশু প্রেগন্যান্ট মহিলা কারোরই জন্য ভ্রুক্ষেপ নেই কারো।
৩/১/২০২৩
সেদিন ছিলো আমার বাসা পাবার ইনসপেকশন ডে। প্রথমেই বাসাটা পছন্দ হয়ে গেলো। যদিও ফ্রি ফার্নিশড বাসা বলে ভাড়াটা একটু বেশি ছিলো। কিন্তু সব দিক বিবেচনা করে এটাই সেরা মনে হলো। এই বাসার লোকেশন আর সারা বাড়ি ভর্তি ফার্নিচার এমনকি জুতোর র্যাক, ময়লার বাস্কেট এবং ঝাড়ু টাড়ু সব থাকা দেখে আমি অবাক!! স্ক্রু ড্রাইভার হাতুড়ীর সেটও আছে। এমন ফ্রি ফার্নিশড বাসা আমি আসলেও আগে কখনও দেখিনি। যাইহোক সেদিনই তক্ষনাৎ বাসা বুক করে ফেললাম। কিন্তু আমার পুরো সিডনী ভ্রমনের কোনো একটা দিনও এমন অসভ্য এবং বেয়াদপ এজেন্ট তথা মানুষ আমি দেখিনি। বাসা ভাড়া দেবার সময় তার সুমধুর ব্যবহারে আর সুমিষ্ট কথায় বুঝা যায়নি এই মাইকেল চাইনিজ বুড়া যে এই পরিমান শয়তান ও অভব্য হতে পারে তা দুদিন পরেই বুঝলাম কন্ট্রাক্টসাইনের পরে। ভাগ্যিস অল্প দিনের কন্ট্রাক্ট ছিলো। বাসার সামনে এক অপরুপা পার্ক। ঐ বদমাইশ বুড়ার জন্য ওয়েট করার সময় অনেক অনেক ছবি তুললাম ঐ পার্কে বসে। এরপর একটা জাপানিজ রেস্টুরেন্ট বামবুতে খেয়ে দেয়ে আরও একটা বাসা দেখতে গেলাম। কিন্তু আমার তো অলরেডী আগের বাসাটাই মোটামুটি কনফার্ম মনে মনে। যাইহোক সেদিনের এই বাসা খুঁজাখুঁজি পর্বেই দিন কেটে গেলো।
বেয়াদপ এজেন্টের সাথে দেখা করবার আগে সামনের পার্কে বসে টাইম পাস ফটো তুলাতুলি।
৪/১/২০২৩
আমি যেই ইউনিভার্সিটির কাজে গেছিলাম সেটা এ দিন খুললো।
স্টুডেন্ট কানেক্টরে দেখা করে সেদিন কিছু ব্যাংকের কাজ ছিলো।
ইউনিভার্সিটি পরিদর্শনেও একটু ফটো তুলাতুলি
এত সুন্দর সবুজের সমারোহে ইউনিভার্সিটিটা
আমার তো ফটো তুলাতুলি থামেই না
লাল নীল ইউনিভার্সিটির একাংশ
তারপর যথারীতি খানা পিনা শপিং।
জাপানীজ শপের বাম্বু কারী
আসলে এই সিডনী ট্যুর আমার কোনো আনন্দ ভ্রমন ছিলো না। বিশেষ কিছু কাজেই গিয়েছিলাম আমি। তার মাঝে নিজের উচ্চতর পড়ালেখার বিষয়ে কিছু কাজ ও সাথে জব যোগাড় করা যায় কিনা এ সব ব্যাপারে যোগাড় যন্ত্র করা। আমি আগেই বলেছি ওয়েল প্রিপারেশন ছাড়া হুট করে আমি কিছু শুরু করতে বা বদলাতে রাজী নই।
৫/১/২০২৩
ঘুম ভেঙ্গে উঠতেই আমি শীতে ঠকঠক। এই গরমের দিনে এমনও ঠান্ডা পড়তে পারে! আমি হতবাক! বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিলো। আর রুমের ভেতরে কত ডিগ্রী ঠান্ডা ছিলো আল্লাহ জানে। অন্যান্য রুমের সবাই দেখি রুমহিটার চালিয়েছে। ওরা বললো, এই সিডনীতে এসি ছাড়া থাকা সম্ভব কিন্তু রুমহিটার ছাড়া নহে। আমি এখন কি করি? আমাকে সেদিন বের হতেই হবে। বুক শপস, পিট স্ট্রিট মার্কেট, মিডসিটি
এসবে আমার স্যুভেনিওর কিনতে যাবার কথা সেদিন। মিররমনি অনেক অনেক খানের অনেক অনেক স্যুভেনিওরের সাজেশন দিলো আর এই দিকে আমি শীতে ঠকঠক। কি করা যায়! চিরকালের অদম্য আমি বুদ্ধি খুঁজে বের করলাম। প্যান্ট শার্ট তার উপরে জ্যাকেট তার উপরে রেইনকোট। হা হা হা হা হা হা আমার সেদিনের চেহারার ছবি তোলা আছে কিন্তু আমি সেটা এখানে দেখাবোই না। আমার কাজিন আমার সেই ছবি দেখে বলে কি রে তুই পি পি ই পরছিস নাকি!! আমার তখন ঠান্ডায় পিপিই জিপিই দশা। কোনো দিকেই কর্ণপাতের সময় নেই। সেদিন সকালে ইজিমার্টে দেখা হলো বাংলাদেশের মেয়ে রাইসার সাথে। এত সুন্দর করে কথা বলে মেয়েটা!!
যাইহোক সেই পিপিই স্টাইল সাজ সজ্জা করেই চলে গেলাম প্রথমে টাউনহল কুইন ভিক্টোরিয়া মার্কেট বিল্ডিং এ আবারও। এই বিল্ডিং এর প্রেমে পড়েছিলাম আমি।
সেখানে পা দিলেই মনে হত আমি যেন শত বছর আগের কোনো রাজার রাজ্যতে এসে পড়েছি। টাউনহল কুইন ভিক্টোরিয়া মার্কেট বিল্ডিং এর উপরে কিছু কালো কালো কষ্টিপাথরের রাজা রাণীদের স্ট্যাচু আছে। বুঝলাম এই টাউনহল কুইন ভিক্টোরিয়া মার্কেট বিল্ডিং এর কোনো ইতিহাস তো আছেই। টাউনহল কুইন ভিক্টোরিয়া মার্কেট বিল্ডিং এর ইতিহাস এই এত বড় কাহিনী বঙ্গানুবাদ করা আমার পক্ষে সম্ভব নহে। যার যার জানতে ইচ্ছা করবে ডিকশন্যারী খুলে পড়ে নাও।
অস্ট্রেলিয়ান অথেনটিক ফুড খেতেই হবে তাই...
মিট পাই, সবাই বলেছিলো পঁচা হবে তবে আমার অনেক মজা লেগেছে।
মজা করে খানা পিনা...
সামনে একটা চার্চ ছিলো। সেই চার্চেও ওমন সব কালো কষ্টি পাথরের মূর্তি গড়া। সেখানে রাস্তায় বসে গিটার নিয়ে গান গাইছিলো কিছু মানুষ। আমি তাদের গান শুনে আর পুতুলের মত বেশ ভুষা দেখে মুগ্ধ!
মিডসিটি পিট স্ট্রিট মল এসব দোকানে ঘুরে ঘুরে আমার চোখ তো কপালে। এত এত দাম কেনো এক একটা পুচ্চি পাচ্চি স্যুভেনিওরের?
আমার পছন্দ হলো বুমেরাং। অনেক রকম ছোটখাটো বুমেরাং ছিলো কিন্তু আমার পছন্দ বড় সড় টাই।
স্যুভেনিওর মার্কেট
তারপর অপেরা হাউজ কিনতে হবে আমার। সেই অপেরা হাউজ গোল্ড প্লেটেডটাই পছন্দ হলো। এছাড়া ভিউ কার্ড, কাপ, মগ, ঘন্টা সো পিস প্লেট হাবি জাবি কিনে ব্যাগ ভরালাম।
এরপর বুক শপ! আমি এত বড় বুক শপ জীবনেও দেখিনি। একদম হারিয়েই গিয়েছিলাম এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত খুঁজতে। এতসব বই এর মেলা সাথে আর্ট এন্ড ক্রাফ্টসের নানা রকম টুলস। মাথা খারাপ হয়ে গেলো আমার। কিনে এনেছি পেন্সিল স্কেচের অনেক কিছুই। এখন শুধু সময় করে আঁকার অপেক্ষা। কার ছবি আঁকবো বলো? মিররমনি নাকি একলব্য পিচ্চুর?
বুক শপে এত এত বই কোনটা ছেড়ে যে কোনটা কিনি!!! শেষ মেষ সুন্দর দেখতে দুইটা বই কিনলাম! হা হা প্রথমে দর্শনধারী তারপর গুনবিচারী! বই কেনার চাইতেও বয়ে আনবো কিভাবে এই চিন্তাটাও ছিলো। নইলে আরও কিছু দর্শনধারী বুকস কেনা যেত।
৬/১/২০২৩
বাসা ভাড়ার কনট্রাক্ট সাইন হলো এ দিন ঐ বদমাইশ এজেন্টের পারমাটার অফিসে। তারপর পারমাটায় ঘোরাঘুরি। এই মার্কেটে যে কত রকমের খানা। সবাই গপাগপ খাচ্ছে আর খাচ্ছেই। আমরা খেলাম মেক্সিকান খানা সাথে তাদের বিখ্যাত লাল নীল হলুদ সবুজ মেকারন। এইখানেই আমি প্রথম হোমলেস বা রাস্তার ধারে বসা ভিক্ষুক দেখি। হাত বাড়িয়ে সাহায্য চাইছিলো। সেদিন বাসার চাবি পেয়েছিলাম আমরা। তাই আসলাম বাসা চেক করতে। বাড়িতে ঢোকার প্রাক্কালেই দেখা হয়ে গেল দুজন প্রতিবেশীর সাথে। হাসিখুশীএন্ড্রু আর ভালোমানুষ এক তামিল ইন্ডিয়ানের সাথে অনেক কথা হলো। রাতেই পরদিন সিফটিং এর কাজ শুরু হলো। সামান্য জিনিস। সবই আছে ঐ বাসায় তবুও কত কিছু কিনতে হলো।
৭/১/২০২৩
সিডনী টাওয়ার -আমি জানিনা কোন অবচেতন মনে ভর করে বা কোন ভুলে আমি উঠে গেলাম সিডনী টাওয়ারে। এই সিডনী টাওয়ার সম্পর্কে আমার আগে থেকে কোনো ধারনাই ছিলো না। আগে জানলে কি এমন ভুল করতাম! সারাজীবন লিফট ফোবিয়ায় ভোগা এই আমি লিফটে ওঠার পর বুঝলাম এমন চিপাচাপা লিফট কেনো আর থামছেই না থামছেই না কেনো!!! মনে মনে প্রমাদ গুনলাম! আল্লাহ তায়ালার সাথে কথপোকথন শুরু করলাম, ও আল্লাহ এই লিফট কোথায় উঠছে? কয় তলা? কখন থামবে? আমি কি আর এই লিফট থেকে নামতে পারবো? আল্লাহ তায়ালা উত্তর দিলেন না। নিরুত্তর রইলেন। কি আর করা আয়াতুল কূরসি পড়া শুরু করলাম। লিফটের মেয়েটা অনেক অনেক কথা বলছিলো, হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করছিলো আমাদেরকে। কিন্তু সদা হাস্যময়ী লাস্যময়ী খেতাব প্রাপ্ত আমার মুখটা হয়েছিলো মনে হয় বাংলার পাঁচ তখন।
যাইহোক সেই টাওয়ারে উঠে ভাবলাম আমি কি আর নামতে পারবো? যাক যতক্ষন উপরে আছি মন দিয়ে খুশি থাকি। তাই চারিদিকে দেখতে শুরু করলাম। পুরা সিডনী যেন পায়ের তলে আমি যেন এক বিরাট রাক্ষস বা খোক্ষস যে কিনা উপর থেকে সব কিছু দেখছি অথবা আমরা যেন আকাশের উপরের কোনো বাড়িতে। এখানে এসেও আমি আবার মিঃ বীন বা গোবোর্ধন মার্কা কাজ করলাম। ওখানে কিছু টেলিস্কোপ টাইপ বা শক্তিশালী বায়নোকুলার ছিলো। আমি সেখানে অনেকক্ষন ধরে দেখার ট্রাই করছিলাম। কিছুই দেখি না। এমন সময় দেখি একটা বাচ্চা পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমার কীর্তী দেখছে। সে হেসে বলে এই টা তোমার জন্য না এটা ছোটদের তোমার মত বুড়া ধাড়িদের জন্য এই যে পাশেরটা। কি আর করা হে হে করে সেদিকে চোখ বসালাম। সেই পিচকির আবার দয়া হলো মহিলা মিঃ বীন দেখে সে এসে আমার দিকে সেই টেলিস্কোপ বা দূরবীনের সঠিক দিকটা ঘুরিয়ে দিলো। আমি এতক্ষন ভুলভাল দিকে চোখ দিয়ে সব ঘোলা ঘোলা দেখছিলাম। যাক দুনিয়ার সকল বাচ্চারাই দেখছি আমার বিপদে সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী। মনে হয় এই জীবনে বাচ্চাদেরকে ভালোবাসার ফল।
ও আরেকটা পিচ্চির কথা মনে পড়লো। অতো উপরে উঠে ভাবছিলাম এখন নামবো কেমনে? এই ভাবনা ভাবতে ভাবতেই দেখি ফায়ার আলার্ম বেঁজে উঠলো। চারিদিক থেকে দৌড়ে এলো লোকজন। এক পিচকি ওয়াশরুমের দরজার হ্যান্ডেল ভেবে স্মোক আলর্মের হ্যান্ডেল টান দিয়েছে। কি যে জ্বালা! এমনিতেই ভয়ে বাঁচি না এর মধ্যে আবার এসব বিপদ!
টাওয়ারের উপর থেকে...
আকাশে উড়ে উড়ে দেখবার অনুভূতি
টাওয়ারের উপরের জানালা দিয়ে
আকাশের ঠিকানা থেকে
ইগলের মত দেখি
পাখির চোখে পৃথিবী দেখা
সিডনী টাওয়ার থেকে নামার সময় চোখ বন করে আবার আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে নামলাম। যাক শেষ পর্যন্ত এ যাত্রা বেঁচে গেলাম আর কি। নীচে নেমে আামাকে এই টাওয়ারের স্যুভেনিওর কিনতে হবে। কিন্তু একটু বড় সড়টার এত দাম কেনো? মনকে সান্তনা দিলাম। হোক দাম শখের তোলা আশি টাকা। তারপর বিসমিল্লাহ বলে কিনেই ফেললাম। সিডনী টাওয়ারে ওঠার পর মানুষের মনে হয় নিজেকে পাখিই মনে হয় তাই এইখানে পাখি সাজবার জন্য এই ব্যাবস্থা।
এই পাখিটা রোজ সন্ধ্যা নামবার প্রাক্কালে এসে বসতো আমার ডরমিটরী বাসাটার জানালার পাশে। গুরু গম্ভীর মুখে চুপচাপ বসে থাকতো বড়সড় পাখিটা। আমি ডাকতাম তাকে। সে ঘাড় ঘুরিয়ে একবার আমাকে দেখেই আবার সুদূরে তাকিয়ে থাকতো যেন কারো অপেক্ষায়। এই পাখিটাকে মিস করবো আমি আজীবন।
এই ছবি দুইটা আমি তুলিনি। কুইন ভিক্টোরিয়া বিল্ডিং এর সুউচ্চ চূড়ায় এত সুন্দর করে তুলতে পারিনি বলে নেট থেকে নিয়ে দিয়ে দিলাম আর রানীর স্ট্যাচুর ছবিটাও। আহা কত সুন্দর!
এটা আমার তোলা।
অস্ট্রেলিয়ার গল্প এখনও শেষ হয়নি।
নটে গাছটিও মুড়োয়নি......
আবারও আসবো অস্ট্রেলিয়ার বাকী গল্প নিয়ে..... খুব শিঘ্রীই.....
২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬
শায়মা বলেছেন: ওকে তাড়াতাড়ি এসে পড়ো ভাইয়ু! শুধু ছবি দেখিলে চলিবেক লাই!
২| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:১১
চারাগাছ বলেছেন:
একদিন অস্ট্রেলিয়া যাবো।
ছবি লেখা দুটোই অনবদ্য লেগেছে
২২ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১১
শায়মা বলেছেন: অস্ট্রেলিয়া যাবার কোনো পরিকল্পনাই ছিলো না আমার। অনেকক্ষন প্লেনে বসে থাকা আমার অসহ্য লাগে। যেতে হলো বিশেষ প্রয়োজনে আর তাতে হলো নানান অভিজ্ঞতা।
সুখী ও সুন্দর এক দেশ। মোটামুটি ভূস্বর্গ বলা যায়।
৩| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:১২
ডার্ক ম্যান বলেছেন: বেশ চমৎকার
২২ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১১
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ!
কেমন আছো ভাইয়ু?
৪| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:১৯
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপু, এই পর্ব আগেরটার চেয়ে বেশি ভালো লেগেছে, পরে বেশ আরাম পেলাম। ছবিগুলোও দারুন সুন্দর আর তোমার ছবিগুলোও দারুন হয়েছে।
কিন্তু আসল কথাটা আমাকে জানাতেই হবে।
আমার পুরো সিডনী ভ্রমনের কোনো একটা দিনও এমন অসভ্য এবং বেয়াদপ এজেন্ট তথা মানুষ আমি দেখিনি। বাসা ভাড়া দেবার সময় তার সুমধুর ব্যবহারে আর সুমিষ্ট কথায় বুঝা যায়নি এই মাইকেল চাইনিজ বুড়া যে এই পরিমান শয়তান ও অভব্য হতে পারে তা দুদিন পরেই বুঝলাম কন্ট্রাক্টসাইনের পরে।
এই এজেন্ট সম্পর্কে ডিটেইলস বলো, প্লিজ।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
শায়মা বলেছেন: হা হা সেটা তো কেবল প্রারম্ভিকা ছিলো ভাইয়া।
হ্যাঁ মাইকেল বুড়ার মত শয়তানের লাঠি আসলেও দেখিনি।
বাসা নেবার সময় আমি এত খেয়াল করিনি কি কি খারাপ ভালো এই সব। তো কন্ট্রাক্ট সাইনের সময় সে নিজেই বলেছে যা যা প্রবলেম তা দেখে এক সপ্তাহের মধ্যে জানালে সে সে সব ঠিক করে দেবে।
তো আমি দেখলাম নর্মাল লক ভালো কিন্তু সিক্রুটি লকটা ভাঙ্গা, তারপর ফায়ার এলার্ম কাজ করছেনা তারপর ইলেক্টরিক ওভেনের উপরের গ্লাসটা ফাটা।
এসব তাকে ইমেইল করতেই বেয়াদপ বুড়ার আনসার দেখে আমি অবাক!!
বেয়াদপটা বলতে পারতো কি কি ঠিক করা যাবে কি কি করা যাবে না সে বলে, তুমি কি এটা ফাইভ স্টার বাসা ভেবেছো? এটা ৫০০ ডলার উইকের একটা বাসা তোমার এত ঝামেলা মনে হলে ওমুক জায়গায় যাও ৫০০০ ডলার উইক দিয়ে থাকো এই সেই আমি তো আকাশ থেকে পড়েছি।
আমি বললাম দেখো আমি খুব ভালো করেই জানি তোমার বাসা বাজে। আমার নিজের বাসা বাংলাদেশে আছে ফাইভস্টার না সেভেন স্টার বাসাই। আমাদের বাসাও ভাড়া দেওয়া হয় এবং আমি জানি কিভাবে ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলতে হয়। তুমি তো জানোই না কেমনে কথা বলতে হয়। আমি খুব ভালোভাবে জানি এটা একটা চিপ এবং বাজে বাসা কিন্তু তুমি বলেছিলে প্রবলেমগুলো বলতে তাই বলেছি।
যত চিপ আর বাজে বাসা হোক তুমি আমাকে আমার নিরাপত্তা নষ্ট হয় এমন বাসা দিতে পারো না। ফায়ার এলার্ম সিক্রুটি লক ইলেকটরিক চুলা এসব অনিরাপদ এবং তুমি দিতে বাধ্য।
ফায়ার ট্রেডিং এ কমপ্লেইন করার কথা আমিও জানি।
তখন বুড়া পরের দিন এসে বলে ফরগেট এবাউট ইন্ডিয়া বাংলাদেশ। দিস ইস অস্ট্রেলিয়া। এ দেশে চোর নাই কোনো বাড়িতে সিক্রুটি লক নাই হেন তেন পেন পেন।
কাজেই বাড়িওয়ালা নাকি শুধু একটা লকই রাখবে এবং এটাই ছিলো। যেই ভাঙ্গা সিক্রুটি লক দেখছি তা আগের ভাড়াটিয়া নিজেরা লাগাইছিলো। তাই বাড়িওয়ালা রাগ করেছে। মানে আমাদেরকে বুঝ দিচ্ছে আর কি।
পরে অবশ্য লোক পাঠিয়ে লক আর ফায়ার এলার্ম ঠিক করেছে।
চুলা এখনও ওমনই আছে।
বেয়াদপ বুড়াকে এক থাপ্পড় দিয়ে আসতে পারলে শান্তি হত আমার!
৫| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: রাহী এবং বিভান না থাকলে আপনি বিরাট বিপদে পড়তেন।
হাঁটাহাঁটি করা ভালো। হাঁটবেন। দেশে হোক বা বিদেশে। নতুন বছরটা অস্ট্রেলিয়াতে শুরু করলেন। নতুন বছরে আপনার শাড়ি পরা দরকার ছিলো। সম্ভবত পার্কটার নাম হবে- ওয়াটার লু। ওয়ারলু না।
মিস্টার বিনকে পছন্দ করে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আমাদের দেশের শিশুরা বাবা মা, দাদা দাদী, নানা নানী, চাচা চাচী ইত্যদি সকলের কোলে থাকতে থাকতে। কোল থেকে নামতেই চায় না। বিদেশী পোলাপানদের কোলে সাধারণত নেওয়া হয় না। এই ভ্রমনে ছেলে বুড়ো সবার দিকেই আপনার যথেষ্ঠ নজর ছিলো।
চায়নিজরা লোক ভালো হয় না। এরা আমেরিকা হোক, মালোশিয়া হোক অথবা আমেরিকা এরা মানুষকে ঠকাতে ওস্তাদ। ধীরে ধীরে ওরা সব দেশে নিজেদের জায়গা বানিয়ে নিচ্ছে।
ভিক্ষুক আপনার কাছে হাত পেতেছিলো। তাকে সাহায্য করেছিলেন?
২২ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
শায়মা বলেছেন: না পড়তাম না। ঐ দেশে তেমন কেউ বিপদে পড়ে না। সবাই মোটামুটি হেল্প করে। ঠাস করে পড়ে গেলে মনে হয় এম্বুলেন্স বা পুলিশ চলে আসতো তারপর নিরাপদে পৌছে যেতাম। হা হা
নতুন বছরে শাড়ি!! কি বলো ভাইয়ু !!! সেটা তো বাংলা নতুন বছরে!! বৈদেশী নতুন বছরে তো বৈদেশী ডেরেস পরতে হয়! সেটাই তো করেছি। ঝকোমকো ড্রেস! তবে ওদের মত ঝকোমকো শিংও লাগানো উচিৎ ছিলো।
ওয়ারটারলু আর ওয়াটার লু আমার কাছে সব সমান তবে তুমিই ঠিক।
হা হা মিঃ বীন যা করে আমিও মাঝে মাঝে এমন সব বিপদেই পরে হাঁচড়ে পাঁচড়ে উঠে দাঁড়াই। আমার নজর তো সব দিকেই ঘোরে। বুড়ো আর বাচ্চারা আমার বিশেষ নজরে থাকে।
ভিক্ষুককে সাহায্য করিনি ভাইয়া!!!!! ওমন বেশ ভুষা দেখে আমি একশো হাত দূরে দৌড় ভয়ে!!!!
কি করবো আমি তো মাঝে মাঝে মহিলা মিঃ বীন হয়ে যাই।
ফেরার পথে দেখেছিলাম লোকটা ঝুম ধরে চোখ বন করে আছে। ঐ দেশের ভিক্ষুক বা হোমলেস মানুষগুলো অভাবে ওমন হয়নি।হয়েছে স্বভাবে মানে বদ স্বভাবে মানে মদ খাবার জন্য হাত পাতে কাজ করে না সব হারায়।
আর তাই আমি ভয় না পেলেও কিচ্ছি দিতাম না বদমাইশগুলোকে। আর আমার ত নিজেরই ভয় লাগছিলো কখন সব টাকা শেষ হয়ে যায় আর তখন তো আমাকেও ওর পাশে বসতে হত!
না বাবা আমি কি এত বোকা!!!!!!
৬| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২৭
২২ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
শায়মা বলেছেন: বাহ!
পরী তো আমার চাইতে বেশি জায়গায় ঘুরে আসলো।
নেক্সট টাইম তোমাকে না অমার কন্যাকে নিয়ে যেতে হবে আমার!
৭| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৪
শাওন আহমাদ বলেছেন: ভ্রমণ কাহিনী সঙ্গে সুন্দর সুন্দর ছবি।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩
শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই ভাইয়া।
যদিও সব ছবি দেইনি বা দিয়েও লাভ নেই। সামুতে সব ছোট্ট ছোট্ট হেজি আসে।
৮| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৬
কামাল১৮ বলেছেন: পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দশটি সুখি দেশের একটা অস্ট্রেলিয়া।তা সুখ কেমন পেলেন।
অনেক উপরে উঠে নিচের দিকে তাকালে একটা বিশেষ অনুভুতি হয়।
চোট চোট ঘটনাগুলো বেশ মজার ছিলো।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
শায়মা বলেছেন: আমি তো সবখানেই সুখেই থাকি ভাইয়া। তবে হ্যাঁ ভুটানকে আমার এক প্রশান্তির দেশ মনে হয়েছিলো। সে দেশের সবাই যেন বড় হিংসা দ্বেষ লোভহীন।
অস্ট্রেলিয়াকেও আমার নৈস্বর্গিক ও বসবাসের জন্যও আদর্শ স্থান মনে হয়েছে।
যদিও আমি দেশপ্রেমী নিজের দেশের ধুলো কাঁদাই আমার ভালো।
এই দেশেরই ধুলায় পড়ি মানিক যায় রে গড়াগড়ি..
বিশ্বে সবার ঘুম ভাঙ্গালো এই দেশেরই জীয়নকাঁঠি
আমার দেশের মাটি ......
৯| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৯
কামাল১৮ বলেছেন: ছোট ছোট হবে।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
শায়মা বলেছেন: বুঝেছি ভাইয়া!
১০| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারণ সুন্দর লেখনী সেই সাথে চমৎকার সব ছবি ব্লগ! ভালো লাগা অফুরান। এতো তারাতাড়ি নটে গাছটি না মুড়োক, গল্প চলুক..... +
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০৮
শায়মা বলেছেন: না না এত তাড়াতাড়ি মুড়োবে না ভাইয়ু! আরও কিছু আছে তো।
স্প্রিং ব্রেক পেয়েছি নইলে লিখতেই পারতাম না আমার স্কুলের প্রেশারের জ্বালায়!!!
১১| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩
মিরোরডডল বলেছেন:
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তোমার পোষ্ট পড়লাম আর হাসলাম, মজার সব ঘটনা
ভাবলাম লগিন করে জানিয়ে যাই, ভালো লেগেছে পড়তে।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০৯
শায়মা বলেছেন: হা হা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো তুমি!!!!!!!
আজকাল কি বেশি বিজি হয়ে পড়েছো মিররমনি!!!
আমার যে কত কিছু লেখার আছে বলার আছে সময়ই পাই না....
১২| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
শাহ আজিজ বলেছেন: ছবিতে ছবিময় তোমার ভ্রমন কাহিনী । ভাল লাগলো শায়মা ।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:১০
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া!
১৩| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
মিরোরডডল বলেছেন:
লাস্ট ইয়ারে তুমি যখন প্রথম আসলে, জানতে চেয়েছিলাম কেমন লাগলো।
তুমি বলেছিলে আকাশটা নীল, এছাড়া আর কিছু ভালো লাগেনি তোমার।
শুনে হতাশ হয়েছিলাম!
বাংলাদেশ যেমন আমার হোম কান্ট্রি, অস্ট্রেলিয়া আমার সেকেন্ড হোম।
I love this country a lot. I’m really glad to see you started loving too.
এবারে তুমি রিয়েলি এঞ্জয় করেছো। তোমার এখন ভালো লাগছে।
আই’ম হ্যাপি ফর ইউ। আমিতো চাই তুমি পার্মানেন্টলি চলে আসো।
তারপর স্ট্যানওয়েল টপসের চূড়ায়
কোন এক কৃষ্ণপক্ষের রাতে অথবা পূর্ণিমাতে
দেখা হবে তোমাতে আমাতে
সাথে থাকবে নক্ষত্রের মেলা
অথবা জোৎস্নার ভেলা
সেইখানে হবে দেখা
তোমার সঙ্গে একা
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:১৩
শায়মা বলেছেন: লাস্ট ইয়ারে আমার ভ্রমনের সাথে অনেক বড় ঝামেলা জড়িয়ে ছিলো। কোথাও কিছুই করার সময় পাইনি এবং সেটা সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছিলো। অপ্রত্যাশিত সেই আকস্মিক ঝামেলায় আমি বিমর্ষ ছিলাম।
এবারেও সেখানে গিয়ে জেনেছিলাম এক পরমাত্মীয়ের মৃত্যু সংবাদ। তবুও এইবার ঘটনাবহুল ভ্রমন ছিলো।
তুমি কি এখানে জব করতে এসেছিলে নাকি পড়ালেখা? তারপর থেকে গেলে???
হ্যাঁ দেখা হলে তুমি চিনে নিও.....
আমি তো চিনবো না...... চিনলেও বলবো চিনি নি তো!!!!!!
কে তুমি আয়নাপুতুল!!!!!!!!
তবে তুমি কেমন দেখতে আমি মনে মনে ছবি এঁকে রেখেছি।
তেমনই হবে নিশ্চয়ই।
১৪| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাতত ছবিগুলোই দেখেছি। বেশিরভাগই অস্পষ্ট হয়ে গেছে।যিনি ছবি তুলেছেন ওনার হাত ভালো না। আরেকটি কথা আপু আমি আপনাকে সাহসী জানলেও বন্ধুবৎসল বলে মনে করি।। কিন্তু এখানে আপনার কোনো বন্ধু নেই কেন জনতা জবাব চায়
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:১৪
শায়মা বলেছেন: কে বলেছে বন্ধু নেই? আসলে আমি নিজেই বন্ধু থেকে দূরে থাকি কখনও সখনও....
আর ছবি সব ঝকঝকে তকতকে কিন্তু সামুতে এইভাবে আপলোড হয়।
১৫| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:১৯
মিরোরডডল বলেছেন:
আজকাল কি বেশি বিজি হয়ে পড়েছো মিররমনি!!!
আমিতো একমাস বাংলাদেশে ছিলাম আপু। এইতো ফিরলাম।
তাই ঢাকায় থাকা অবস্থায় সামুতে নিয়মিত আসতে পারিনি, কারণ প্রতিদিন অনেক কমিটমেন্ট ছিলো।
ওখানে গেলে এতো ব্যস্ত থাকি যে স্পেয়ার টাইম থাকে না।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২২
শায়মা বলেছেন: ওহ তাই বলো। আমি ভেবেছিলাম তুমি বুঝি জানুয়ারীতে ঢাকা ছিলে।
মাত্র এক মাস অনেক কম সময়। আসলে কোথাও গেলে ৩ মাস থাকা উচিৎ।
১৬| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী লংকা কাণ্ড ই না বাঁধিয়ে এসেছ!!
দারুণ সব ছবি আর গল্প।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২৭
শায়মা বলেছেন: হা হা হ্যাঁ লঙ্কা কান্ডই তবে এরপর বাংলাদেশে ফিরে এই কদিন আগেই ছিলো হসপিটালে লঙ্কাডঙ্কা কান্ড!!
১৭| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৪৩
মিরোরডডল বলেছেন:
তুমি কি এখানে জব করতে এসেছিলে নাকি পড়ালেখা? তারপর থেকে গেলে???
আমিও ঠিক এভাবেই একা একা এই ভিনদেশে পাড়ি দিয়েছিলাম স্টাডি করতে।
প্রথম দেখাতেই অস্ট্রেলিয়ার প্রতি ভালোবাসা। তুমি জানো আমি নেচার লাভার।
This is the perfect place for me.
তারপর স্টাডি শেষ করে প্রফেশনাল জব শুরু করলাম।
পাশাপাশি প্রথমে রেসিডেন্সি নিয়ে, পরবর্তীতে সিটিজেন হয়ে অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট নিয়ে থেকে গেলাম।
I'm blessed, life is a heaven here.
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২৯
শায়মা বলেছেন: বাহ ভেরী গুড!
আসলেও বাস করার জন্য অস্ট্রেলিয়া সেরা.....
পথ ঘাট মানুষ জন সবই অনেক অনেক ভালো।
১৮| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৪৮
দারাশিকো বলেছেন: বাহ! ফেসবুকে তারেক অণু একটু পর পর অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের ছবি আর আপডেট দিচ্ছে। সামুতে এসে দেখি আপনার পোস্ট। সব্বাই কি অস্ট্রেলিয়া চলে যাচ্ছে নাকি!
পড়ে কিন্তু অনেক মজা পেয়েছি। থেংকু!
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০৮
শায়মা বলেছেন: হা হা অস্ট্রেলিয়ার জীবন এক্সপেনসিভ কিন্তু যারা ওখানে জব করে তাদের জন্য কিছুই না আর সবচেয়ে বড় কথা নিশ্চিৎ আর নিরাপদ!
আমি অবশ্য বেড়াতে গিয়েছিলাম। একা একা যাত্রায় অনেক বিড়ম্বনা ছিলো তাই অনেক হাসির কান্ড ঘটিয়েছি।
১৯| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০৮
করুণাধারা বলেছেন: আমার অবশ্য ছবিগুলো ঝকঝকে মনে হচ্ছে; চমৎকার সব ছবি! প্রথম ছবিটা কিসের বুঝতে পারিনি। তাছাড়া লাল নীল ইউনিভার্সিটি ছবিটা দুবার এসেছে।
ট্রেনের মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত মা বাবার ছবিটা মজাদার। একেবারে সময়মতো ক্লিক করেছ! খেয়াল করে দেখলাম, যেসব ছবিতে তুমি আছো, সেসব ছবিই কিছুটা ঝাপসা। নিজে চেক করে দেখো। সম্ভবত যাকে দিয়ে তুলেছ, সে ভালো তোলেনি। বাকি ছবিগুলো নিশ্চয়ই তোমার তোলা, পারফেক্ট!
তুমি কি শেষ পর্যন্ত মাইকেলের বাসাতেই ছিলে নাকি অন্য বাসায় চলে গিয়েছিলে? খুব ত্যাদোড় লোক মনে হচ্ছে... তোমাকে ফার্নিশড বাসা ফ্রি দেয়নি, প্রতিটি জিনিসের ভাড়া হিসাব করে নিয়েছে। তুমি কিনা বলছো ফ্রি ফার্নিশড বাসা!
অস্ট্রেলিয়ার গল্প জমে উঠেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:১৫
শায়মা বলেছেন: বাপরে! তুমি দেখি দারুন চোখের মানুষ!!!!!!!!!!! এক্কেবারেই খুঁটিয়ে দেখেছো। আমি নিজেও খেয়াল করিনি লাল নিল ইউনিভার্সিটি দুবার এসেছে।
একদম তাই আমার ভালো ছবি তুলতে নেক্সট টাইম আমি ফটোগ্রাফার নিয়ে যাবো।
একটাও সামুতেই আসে না। এমনিতে কিন্তু ঝকঝকে।
হ্যাঁ মাইকেলের বাসা তো কনট্যাক্ট করে ফেলেছিলাম। কই যাবো আবার তবে সে পরে ঠিক করে দিয়েছে ভুই পেয়েছিলো মনে হয়।
ফ্রি ফার্নিশড বাসায় সব কিছুই ছিলো কিন্তু যে ছিরি ছ্যা ছ্যা! বেটাকে আমার বাসার ছবি মেইল করবো ভাবছি! বিছানার তলার চৌকিটা অবশ্য দেখাবো না...... হা হা হা হা
আপুনি আমার কিচেনের গল্পও আনবো খুব শিঘ্রী আর কলাবাগান ভাইয়াকে উৎসর্গ করবো! আমার কিচেন মনমরা ডাল আর আজেবাজে বলেছিলো ভাইয়া! তার শোধ নিয়েছি আমি কিচেনকে মেক আপ করিয়ে!
২০| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৪০
একলব্য২১ বলেছেন: মিরোরমনির মত আমিও সোফায় বেশ আরাম করে অর্ধ শোয়া অবস্থায় টিভিতে খেলা দেখছিলাম। আর যথারীতি মোবাইল নিয়ে খোঁচাখুঁচি। দেখি সামুতে তোমার লেখা। ভাবলাম পরে আরামসে পড়বো। কিন্তু নিজেকে আটকে রাখতে পারলাম না। মোবাইলেই তোমার লেখা কমেন্ট সব পড়ে ফেললাম। কেন পড়লাম চোখের বারোটা বাজিয়ে। তোমার লেখায় কি জাদু আছে না সম্মোহনী শক্তি।
এবারে পর্ব গত বারের থেকে ভাল হয়েছে, এই কথাটা আরও একজন পাঠক আগেই বলে ফেলেছেন। আমি পুনরুক্তি করলাম।
খালি কিনাকটা আর খানাপিনার গল্প। হা হা হা...... তুমি কি shopaholic নাকি!
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:০৫
শায়মা বলেছেন: আমি যে কিপাহোলিক আমি তো নিজেই জানিনা। যাই হোক এত কিছু করলাম শধু শপিংই দেখলে!!!!!!!
হা হা পোস্ট পড়লে না কমেন্টস পড়লে??? তুমি কি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে আমার সব কমেন্টও পড়ো নাকি!!!!!!!
এমন ফ্যান কোথায় পাবো!!!!!!!!!
গতবারে তো শুধুই প্রাম্ভিকা ছিলো। এই পর্ব ছিলো ঘটনাবহুল!
এরপরে তো শেষের গান.....
২১| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:২৭
ডার্ক ম্যান বলেছেন: সময় পেলে আপনার মেইল চেক করবেন
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৩০
শায়মা বলেছেন: আচ্ছা করবো!
এখুনি করছি।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৩১
শায়মা বলেছেন: মেইল চেক করলাম। কোনো মেইল নেই তো ভাইয়ু!
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৩৪
শায়মা বলেছেন: স্পাম মেইলও চেক করেছি। কিত্তু পাইনি। এখন ঘুমায় গেলাম।
২২| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৩৫
একলব্য২১ বলেছেন: যাই হোক এত কিছু করলাম শধু শপিংই দেখলে!!!!!!!
আরে না। তোমার সাথে একটু ঠাট্টা করলাম। ফাজলামিও বুঝ না নিরুপমা।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫০
শায়মা বলেছেন: হা হা পিচ্চু!!!
নিরুপমা না!!!!!!!!!
২৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:৩৮
বিষন্ন পথিক বলেছেন: "I'm blessed, life is a heaven here"
প্রত্যেকের জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন
অনেক কিছু জানলাম আপনার লেখা পড়ে, পরের বার আসলে দেখা হবে.
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫২
শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে ভাইয়ু!!
পরের বার আসলেই তোমাকে জানাবো ভাইয়া।
২৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসটা চমৎকার। মেক্সিকান খাবার জাপানিজ বাম্বু কারি খাবরের মেন্যু শুধু বাড়ছে। সিঙ্গাপুরে গিয়ে তবু আদার শরবত খেয়েছিলাম। ছবিগুলো গলাকাটা না হওয়াতে ভালো লাগছে।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৩
শায়মা বলেছেন: আমি আর গলা কাটি না। জীবনে অনেক গলা কেটেছি।
২৫| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৮
শায়মা বলেছেন: কোন মন্তব্য ভালো লাগলো?
২৬| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুন্দর ছবির মত সাজানো গোছানো দেশ। বাংলাদেশের সাথে তুলনা করার কোন উপায় নাই।
ছবিগুলি সুন্দর হয়েছে। চাইনিজ বাড়িওয়ালা মনে হয় ভারতীয় এবং বাংলাদেশীদের পছন্দ করে না।
পোস্ট পড়েছি কিন্তু বলার মত আর কিছু পাচ্ছি না।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০০
শায়মা বলেছেন: তোমার বয়স বেড়ে যাচ্ছে ভাইয়া।
গুরু গম্ভীর হয়ে যাচ্ছো।
সাডেন চেঞ্জ ফর সঙ্গদোষ!
২৭| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: পড়েছি মন্তব্য সংক্ষেপে করছি ; চমৎকার লেগেছে বা লাগছে।
পরের পর্বগুলো লিখে ফেলুন ঝটপট
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০৪
শায়মা বলেছেন: আচ্ছা লিখবো। তবে ঝটপট লেখা হবে না ভাইয়া। ঝামেলায় আছি।
২৮| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:১১
একলব্য২১ বলেছেন: গুরু গম্ভীর হয়ে যাচ্ছো।
কেমন জানি সব কিছু গুরুগম্ভীর ভাব। তোমার পোস্ট মানে হাসি ঠাট্টা রং তামাশা ক্যাচাল ভ্যাজাল কাউ কাউ হাউ হাউ লুরু গরুর আর্বিভাব। আমরা চামে গ্যালারিতে বসে মজা নিতাম। পলিও কেমন জানি চুপচাপ হয়ে গেছে। Itna sannata kyun hai bhai।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:১৯
শায়মা বলেছেন: কারণ তুমি বিজি হয়ে গেছো। সবাই বিজি আর চুয়াত্তরভাইয়া বুড়া হয়ে গেছে...... তার হাসাহাসি করা বারণ!
কারণ আছে কারণ......
আমার যে কি অবস্থা কি আর বলবো !!!!!!!!
তবে সারপ্রাইজ আছে হি হি ......
সারপ্রাইজটা কোথায় দেবো ভাবছি। মেইলে নাকি ব্লগে???
২৯| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:২২
একলব্য২১ বলেছেন: সারপ্রাইজটা কোথায় দেবো ভাবছি। মেইলে নাকি ব্লগে???
যেখানে তোমার ইচ্ছা।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:২৮
শায়মা বলেছেন: এত বড় সারপ্রাইজ তথা আমি আবার লুইজ্জাবতী লতা এত সহজে প্রকাশিত হইতে লুইজ্জা পাই তো!!!!!!!!
ওকে মেইলেই দেবো ।
ওয়েটাও ......
তো তুমি নিজে আজকাল কোথায় থাকো শুনি?
৩০| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৫১
একলব্য২১ বলেছেন: তো তুমি নিজে আজকাল কোথায় থাকো শুনি?
কোথায় আবার থাকবো এই মর্ত্যে।
শায়মা আপু, আমি মনে হয় সারপ্রাইজটা অনুমান করতে পারছি। আর আমার অনুমানটা যদি সত্য হয় .....
এই আমার দোস্ত আসছে তার সাথে আমার জরুরি কাজ আছে। আপাতত বাই। খুব ভাল থাকো।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩৯
শায়মা বলেছেন: মর্ত্যে থাকো বটে তবে কোনদিকে তাকিয়ে থাকো পুচ্চু!
ব্লগের দিকে তো নজরই নেই।
বুঝেছি এইবার খুকিআপার গল্প লিখতে হবে।
রাত দুপুরে দোস্ত কি জরুরী কাজে আসলো!
৩১| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,
শেষ পর্যন্ত এই শ্যামল ছায়ার দেশটি ছেড়ে চিড়িয়া উড়াল দেবেই ? তারই যোগার যন্ত্রে আহ্লাদী শরীর নিয়ে এতো দৌঁড়াদৌড়ি ?
যাক, আপনার উচ্চশিক্ষার মনোবাসনা পূর্ণ হোক, ব্লগে একজন "ডক্টরেট" ব্লগার বাড়ুক।
কিন্তু এই বুড়াকালে আহ্লাদী শরীরের মেয়েটির বিদেশে নিবাস সইবে তো ? দেশে তো সুফিয়া না কি সব নামের মেয়েটেয়ে ছিলো, ঈদ পার্বনের খানাপিনা বানানোর জন্যে। ব্লগে আমরা তাই খানাপিনা আর সাজুগুজুর পোস্ট দেখতে পেতুম। এখন অতোদূরে কোনও সুফিয়াদের পাবেন না। সব নিজ হাতে করতে হবে। মাজা ভেঙে যাবে তিনদিনেই।
বাই দ্য ওয়ে----- তো এই সময় অল্পদিনের জন্যে যখন অস্ট্রেলিয়া থাকতে হলো তখন "airbnb"তে থাকাই মনে হয় ভালো ছিলো, অহেতুক বদমাইশ বোঁচা নাকের লোকটার খপ্পরে পড়তে হোতনা।
বাইরের পৃথিবীকে নিজের দেশের সাথে মেলালে সত্যিকার ভাবেই বুক ফেঁটে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৪৬
শায়মা বলেছেন: হা হা না ভাইয়ু!!! ডক্টরেট ব্লগার হবো!!!!!!!
গাছে কাঁঠাল গোফে তেল.... উহু মাথায় তেল.....খাঁটি সরিষার তেল.....
সুফিয়াকেও নিয়ে যাবো নাহয়। আহলাদী বলিয়া কথা!!! আর সেখানে ঈদ পার্বণ কেনো সেখানে হবে থার্টি ফার্স্ট, ক্রিসমাস ইভ। সুফিয়া কি সেসব নান্না বান্না পাব্বে!!
সে দেশে তো সব কাঁচা কাঁচা খায় নইলে মেশিন আছে।
এয়ারবিএনবি ছাড়াও আরও কিছু ব্যপার আছে ভাইয়া। আমি কি আর সব বলি!!! তাই তুমি একটু দ্বন্দে পড়েছো।
ভাইয়া পৃথিবীর যেখানে যত সুন্দর কিছু থাকুক......
আমার দেশের মাটির গন্ধে ভরে থাকে সারা মন......
শ্যামল কোমল পরশ ছাড়া যে নেই কিছু প্রয়োজন.....
৩২| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগের বাইরে গুরুগম্ভীর হইনি। ব্লগে গুরুগম্ভীর হওয়ার কারণ বয়স না। কারণ হোল ব্লগের প্রতি আকর্ষণ কমে যাওয়া। ব্লগ ছেড়ে দেয়ার আগে মনে হয় অনেকেরই এরকম হয়। তারপরও গত ২/৩ মাসে কয়েকটা হাল্কা এবং হাসিখুশি পোস্ট করেছি। ব্লগের অবস্থা আমার কাছে কাঁচাবাজার বা শহরের লোকাল বাসের মত মনে হচ্ছে।
বয়সের সাথে কারও গুরুগম্ভীর হওয়া নির্ভর করে না। এই ব্লগেই আমার চেয়েও অনেক বয়সে বড় মানুষ হাসি তামাশা করে থাকে প্রতিদিন। গুরুগম্ভীর মানুষ সব সময়ই গুরুগম্ভীর থাকে আর হাসিখুশি মানুষ সব সময়ই হাসিখুশি থাকে। বয়সের কারণে এটার পরিবর্তন হয় না। তবে আকস্মিক বিপদ আপদ, উৎকণ্ঠা আসলে মানুষের আচরণে পরিবর্তন আসতে পারে।
আর আমি ব্লগের বাইরেও জীবনে কখনও সঙ্গদোষের শিকার হয়নি। কারণ সবাই সঙ্গদোষ দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
আপনি অকারণেই আমাকে সন্দেহ করছেন। একটা ভুল ধারণা মাথায় নিয়ে বসে আছেন। ব্লগে কারও সঙ্গদোষে প্রভাবিত হয়নি। আমি ব্লগের কোন সিন্ডিকেটের সদস্যও না। সব সময় নিরপেক্ষতার সাথে মনের ভাব প্রকাশ করে থাকি। আপনার পোস্ট আবার পড়লাম কিন্তু বলার মত কিছু পাচ্ছি না। আপনি কি খেয়েছেন কোথায় হেঁটেছেন এগুলি আছে। একজনের সাথে ঝগড়া করেছেন। ওখানকার যানবাহন নিয়ে কথা বলেছেন মানুষ জন দেখেছেন। ছবি তুলেছেন প্রচুর। কিছু দর্শনীয় স্থানে গিয়েছেন। লিফটে আপনার ভয় আছে। আমার এক দাদার লিফট ফোবিয়া ছিল। ৮০ বছর বয়সে তাই সে ১২ তলায় হেটে উঠেছিলেন।
আপনাকে খুশি করার মত আর কিছু লিখতে পারলাম না বলে দুঃখিত। তোষামোদী করে লিখতে পারি না আসলে। মাঝে মাঝে নিরস মন্তব্য পোস্টে আসতেই পারে। এই কারণে বিচলিত হওয়া যাবে না। অস্ট্রেলিয়ার লিফটে আপনার ছবি দিলাম। মেক আপের কারণে অবশ্য আপনাকে চিনতে একটু কষ্ট হবে সবার।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০৪
শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই কাঁচা বাজার বা লোকাল বাসের দশাই হয়ত আজ ব্লগ। ব্লগের প্রতি আকর্ষণ কমে গেলে এমনই হয়। ঠিকই বলেছো ভাইয়া। তবে কিছু পাঢ় ব্লগপ্রেমী আমরা পড়ে থাকি দিনের পর দিন। হাল্কা হাসিখুশি পোস্ট করেছো বটে কিন্তু কোথায় যেন সুতো ছিড়ে গেছে তাইনা?
(বয়সের সাথে কারও গুরুগম্ভীর হওয়া নির্ভর করে না। এই ব্লগেই আমার চেয়েও অনেক বয়সে বড় মানুষ হাসি তামাশা করে থাকে প্রতিদিন। গুরুগম্ভীর মানুষ সব সময়ই গুরুগম্ভীর থাকে আর হাসিখুশি মানুষ সব সময়ই হাসিখুশি থাকে। বয়সের কারণে এটার পরিবর্তন হয় না। তবে আকস্মিক বিপদ আপদ, উৎকণ্ঠা আসলে মানুষের আচরণে পরিবর্তন আসতে পারে।)
কি যে বলো বয়স বাড়লে মানুষ নাকি খিটখিটে আর বদমেজাজী হয় এমনই শুনেছি এবং দেখেছিও । এই জন্য শ্বাশুড়িরা সব জি সিরিয়াল হয়ে যায়। কিছু কিছু শ্বশুরও অবশ্য একই জিনিস হয়। তবে শ্বাশুড়িদের তুলনায় কম।
(আপনি অকারণেই আমাকে সন্দেহ করছেন। একটা ভুল ধারণা মাথায় নিয়ে বসে আছেন। ব্লগে কারও সঙ্গদোষে প্রভাবিত হয়নি। আমি ব্লগের কোন সিন্ডিকেটের সদস্যও না। সব সময় নিরপেক্ষতার সাথে মনের ভাব প্রকাশ করে থাকি। )
অকারনে করবো কেনো!! হা হা জানোনা আমি ঝানু ঝুনঝুনা হয়ে গেছি ব্লগে। ব্লগে সিন্ডিকেটের কেউ কি সদস্য? কেহই নহে। তবে ইহা একখানি অলিখিত সদস্যনামা। আমরা আসলে সবাই নিরপেক্ষই। তবুও ঐ যে অলিখিত সদস্যনামা। কিছুটা ব্রেইল পদ্ধতির মত হরফে লেখা থাকে। হা হা রাগে তোমার চেহারা কেমন হচ্ছে ভাবছি।
(আপনার পোস্ট আবার পড়লাম কিন্তু বলার মত কিছু পাচ্ছি না। আপনি কি খেয়েছেন কোথায় হেঁটেছেন এগুলি আছে। একজনের সাথে ঝগড়া করেছেন। ওখানকার যানবাহন নিয়ে কথা বলেছেন মানুষ জন দেখেছেন। ছবি তুলেছেন প্রচুর। কিছু দর্শনীয় স্থানে গিয়েছেন। লিফটে আপনার ভয় আছে। আমার এক দাদার লিফট ফোবিয়া ছিল। ৮০ বছর বয়সে তাই সে ১২ তলায় হেটে উঠেছিলেন।)
হ্যাঁ কোথাও গেলে আমরা তো এসবই করি। হাঁটি চলি খাই ঘুরি শপিং করি দর্শনীয় স্থানেই যাই। এতে তেমন বলার কিছু নেই। কিন্তু তোমাকে যেমন দেখেছি অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখে ফেলো সেই অন্তর্দৃষ্টিতে কিসের যেন ছায়া। যাইহোক ভাইয়ু লিফটোফোবিয়া আমার আছে বটে তবে সেই সিডনী টাওয়ারের বুড়া ধুড়া লিফটে উঠলে লিফটোফোবিয়ার দাদা হয়ে যাবে সবারই মনে হয়।
(আপনাকে খুশি করার মত আর কিছু লিখতে পারলাম না বলে দুঃখিত। তোষামোদী করে লিখতে পারি না আসলে। মাঝে মাঝে নিরস মন্তব্য পোস্টে আসতেই পারে। এই কারণে বিচলিত হওয়া যাবে না। অস্ট্রেলিয়ার লিফটে আপনার ছবি দিলাম। মেক আপের কারণে অবশ্য আপনাকে চিনতে একটু কষ্ট হবে সবার। )
না নিরস মন্তব্য আসা যাবে না। আসলে বিচলিত হবোই। সঙ্গদোষ নিয়ে আর কি।
তবে আমারও ভুল হতে পারে এটা সঙ্গদোষ নহে। এটা মনে হয় সঙ্গ ভয়।
৩৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পোশাক এবং ছবি খুব সুন্দর হয়েছে। আগের পোস্টেও।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০৫
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া এইবার কি তোষামোদী করে লিখলে অনেক কষ্ট করে????
৩৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তোষামোদ করি নাই। সত্যিই সুন্দর ছিল। আমি তোষামোদ কম করি।
আমার সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা নিয়ে বসে আছেন। নিজেকে ঝানু মনে করেন এই ব্যাপারে। কিছু করার নাই। আপনার ধারণা নিয়ে আপনি থাকুন। আপনি এই ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু লেখেন না কিন্তু খোঁচা দেন। খুব খারাপ অভ্যাস এটা। মানুষ সম্পর্কে মনগড়া ধারণা রাখা ঠিক না। ভার্চুয়াল জগতে মানুষকে ৫০% এর বেশী চেনা যায় না।
কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে হলে প্রমাণ সহ উপস্থাপন করতে হয়। তা না হলে সেটা অপপ্রচার হয়ে যায়। আপনার কথা অনেকেই বিশ্বাস করবে কারণ আপনি একজন পুরানো এবং ঝানু ব্লগার। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে এগুলি বলে আমার ইমেজ নষ্ট করছেন। কথা বললে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কথা না বললে মনের মধ্যে আরও বেশী ভুল ধারণার জন্ম হয়।
তারপরও আপনার প্রতি সব সময়ের জন্য শুভ কামনা এবং শুভ ধারণা।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫৩
শায়মা বলেছেন: হা হা কাকে বলেছি ভাইয়ু???
তোমাকে ছাড়া কাউকেই বলিনি তো!!!!!!!!
না না ইমেজ নষ্ট হয়নি।
৩৫| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৪৯
মিরোরডডল বলেছেন:
আমার দেশের মাটির গন্ধে ভরে থাকে সারা মন......
শ্যামল কোমল পরশ ছাড়া যে নেই কিছু প্রয়োজন.....
গানটা শুন্দর তবে
প্রথম লাইন ঠিক আছে আপু কিন্তু সেকেন্ড লাইন ঠিক নেই।
অনেক কিছুর প্রয়োজন আছে, বেসিক কিছু চাহিদা থাকবেই।
সোনার পালঙ্কে শুয়ে কেউ যদি এভাবে ভাবে বা বলে প্রয়োজন নেই, তখন ওটা হিপোক্রেসি।
আর যার সত্যিকারের অভাব তার কাছে মাটির গন্ধ বা কোমল পরশ মূল্যহীন।
তার চিন্তা থাকবে দিনশেষে কি আদৌ কিছু জুটবে নাকি না খেয়ে ঘুমাবে।
দরিদ্র মানুষের কাছে নিজবাস পরবাস বলে কিছু নেই। হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত গ্রাম থেকে শহরে আসছে ভাগ্য পরিবর্তন করতে। প্রয়োজন মেটাতে।
শ্যামল কোমল পরশ মানুষের ক্ষুধা নিবারন করেনা, বেসিক চাহিদা পুরন করেনা।
তাই নেই কিছু প্রয়োজন কথাটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
ঘুম আসছে না আপু
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫৫
শায়মা বলেছেন: গানের লাইন প্রথমটাও ঠিক নেই আপুনি!!!!!!!!!
গানটা হবে
আমার দেশের মাটির গন্ধে ভরে আছে সারা মন ( ভরে থাকে না)
আর শ্যামল কোমল পরশ নিয়ে থাকে আবেগী কবিরা।
এটা বড়লোক কবিদের গান....... যাদের খানা পিনার চিন্তা নেই
৩৬| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫১
মিরোরডডল বলেছেন:
টাইপো ছিলো, **সুন্দর** হবে।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫৬
শায়মা বলেছেন: বুঝেছি বুঝেছি
৩৭| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫৬
মিরোরডডল বলেছেন:
সাচু এবং আপু, কি হয়েছে?
Are you okay?
কি সুইট একটা বন্ধুত্ব, এর মাঝে আবার কি হলো
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:০৬
শায়মা বলেছেন: হা হা কিছু হয়নি।
ভাইয়া কয়দিন পর পর রাগী বুড়া হয়ে যায়।
৩৮| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:০৪
একলব্য২১ বলেছেন: তবে কোনদিকে তাকিয়ে থাকো পুচ্চু!
পূর্বের দিকে। কারণ আমি পশ্চিমে থাকি।
রাত দুপুরে দোস্ত কি জরুরী কাজে আসলো!
দোস্ত আসে পড়াশুনার কাজে আর তার সাথে থাকে কিছু খানাপিনা আর আড্ডা।
চুয়াত্তর ভাইয়ের মন্তব্যটা আমার কাছে যথার্থ আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন বলে মনে হয়। তবে চুয়াত্তর ভাই ব্লগ ছাড়লে আমার খুব খারাপ লাগবে।
আমার কাছে গাজীসাব এর কমেন্ট খুব ইন্টারটেইনিং লাগে।
ইয়ে ডলকে অনলাইনে দেখে খুব আনন্দ লাগলো। কেমন কাটলো তার দেশের সফর। কেমন মজা করলো জানতে ইচ্ছা করে।
এবার ঈদের ছুটিতে ক্ষুদে মা আমার কাছে আসতে পারে। ওদের নিয়ে আনন্দ করবো এই প্রতীক্ষায় আছি।
এই আমি যাই একটু বাদেই আমার দোস্ত আসবে বলে ম্যাসেজ করলো।
আপনার পোশাক এবং ছবি খুব সুন্দর হয়েছে। আগের পোস্টেও।
সাচু ভাইয়ের সাথে সম্পূর্ণরূপে একমত। আমি একবার বলতেও চেয়েছিলাম। তারপর কেন জানি বলতে পারলাম না।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:১৩
শায়মা বলেছেন: গুড গুড খানাপিনার মাঝে খানা ভালো তবে পিনা ভালো না..... নো পিনা ......
চুয়াত্তরভাইয়ার কাছে ব্লগ ইন্টারেস্টিং লাগছে না আর তার উপর আবার ভাইয়া আমার কথায় খিটখিটে রাগ দেখাচ্ছে।
নাহ ভাইয়া ব্লগ ছাড়বে কেনো? ব্লগ ছাড়া এত সহজ না। এডিকশন কমে যায় কিন্তু ছাড়া যায় না। ভাইয়াকে হাসাতে আরও সিরিজ লিখতে হবে।
আমার কাছে গাজীসাব এর কমেন্ট খুব ইন্টারটেইনিং লাগে না ..... একদমই লাগে না...... বিরক্ত লাগে....... কারণ আমি তার উপর বিরক্ত......
মিররমনি নিশ্চয় লিখবে কি করলো সে দেশে এসে.....
গুড গুড ঈদের ছুটি আনন্দে কাটুক।
আবার দোস্ত কেনো মাঝ রাতে!!!!!!!!!!নো পিনা মনে রেখো.....
সাচুভাইয়ুর পরে বলবে তাই বলতে পাললে না!!!!!!!!!
৩৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:২৩
মিরোরডডল বলেছেন:
ইয়ে ডলকে অনলাইনে দেখে খুব আনন্দ লাগলো। কেমন কাটলো তার দেশের সফর। কেমন মজা করলো জানতে ইচ্ছা করে।
মিররমনি নিশ্চয় লিখবে কি করলো সে দেশে এসে.....
নিশ্চয়ই শেয়ার করবো।
এখন যাই, আইসক্রিম খাবো।
গুড নাইট আপু।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:২৪
শায়মা বলেছেন: গুডনাইট মিররমনি!!!
যাও আইক্কিম খাও.....
আর তাড়াতাড়ি লেখো কি করলে বাংলাদেশে এসে.....
৪০| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৩৮
একলব্য২১ বলেছেন: আবার দোস্ত কেনো মাঝ রাতে!!!!!!!!!!নো পিনা মনে রেখো.....
আমি আর আমার দোস্ত সাত্ত্বিক মানুষ।
উপরের থেকে নিচের দিকে ৭ নম্বর ছবিতে কেডস এর উপর পায়ে এটা কি পড়েছ। এটা তো নূপুর বা পায়েল না। এক ধরনের ব্যান্ড মনে হচ্ছে। কিন্তু দেখতে দারুণ।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৪৭
শায়মা বলেছেন: বাপরে!!!!!!!!!!!!!
তোমার চক্ষুর প্রশংসা করতে হয় রে বাবা!!!!!!!!
সত্যি আমি অবাকিত!!!!!!!!!!
সত্যিই এটা নুপুর বা পায়েল না তবে ব্যান্ডও না
ইহা একটা অতি সৌন্দর্য্য শর্ট সকস বা মোজা....... যার মাথায় ওমন কালো ব্যান্ডের উপরে মুক্তা বসানো!!!!!!!
৪১| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৫৫
একলব্য২১ বলেছেন: দোস্ত চলে এসছে। খোদা হাফেজ মোহতরমা (lady)।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:০৬
শায়মা বলেছেন: খুব আনন্দে আছো না???
এত আনন্দের কারণ কি খুঁজতে হবে......
৪২| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:১২
একলব্য২১ বলেছেন: ব্যান্ডের উপরে মুক্তা বসানো!!!!!!!
অ্যাঁ!!!
হীরে লাগানো জুতো কেহ কেহ পড়ে শুনেছি। মাগার মুক্তা লাগানো মোজা পড়ে এই প্রথম শুনলাম। হা হা। মোজার রং আর পায়ের রং এর সাথে মিশে একাকার হয়ে গেছে। তাই মোজার উপর শুধু কালো ব্যান্ডটা হাইলাইটেড। বড়ই সৌন্দর্য।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২৭
শায়মা বলেছেন: হা হা মুসা বিন শমসের জুতার উপর হীরা পরলে আমরা কেনো মোার উপর নকলী মুক্তা পরবো না বলো!!!!!!!
এই দেখো এই গুলা......
যাও গার্ল ফ্রেন্ডের জন্য কিনে ফেলো।
৪৩| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কথামালা ও ছবি সবই সুন্দর হয়েছে ।
সহজেই বাসা পেয়েছ , সেটাই কি কম নয়
ভাল বাসা মিলানো বেশ জক্কি ও ব্যয়সাধ্য।
অম্ট্রেলিয়া মিশন বিশেষ করে
ইউনিভার্সিটি মিশনের কাহিনী
শুনার জন্য পরের পর্বের
আশায় খাকলাম ।
এ কামনাই রইল ।
২৬ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:০৫
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।
শরীর ভালো আছে তো?
সহজে পেয়েছি তা নয়। যাকে বলে আদা জল খেয়ে লাগা। আর আদা জল খেয়ে লাগলে তো তাড়াতাড়ি পাবোই আর সেটাই সহজ মনে হয়েছে ভাইয়া। হা হা
তবে বাসাটা পুরোনো কিন্তু খুবই স্যুইটেবল লোকেশনে।
হা হা ইউনিভার্সিটি মিশনের খবর ডিটেইলস পোস্টে দেওয়া হবে না ভাইয়া।
জানোই আমি লজ্জাবতী লতা।
অনেক ভালোবাসা ভাইয়ামনি!
৪৪| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৬:৫৩
চাঙ্কু বলেছেন: তুমি দেখি সিরিয়াসলি Permanent Head Damage (PhD) করার প্ল্যান করতেছ!! এই PhD এর ভূত তাইলে তোমারেও ধরলো? আফসুস
শর্ট টার্ম রেন্টালের জন্য ঢাকা থেকে এয়ারবিএনবি ট্রাই করো নাই?
২৬ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:০৯
শায়মা বলেছেন: এই ভূত অনেক আগে থেকেই ঘাড়ে ছিলো। হঠাৎ জেকে বসেছে।
এয়ারবিএনবি এর কথা আর বলো না।
আমার এক বোন ক্যানসাসে পি এইচ ডি শেষ করে ওকলাহামাতে এক এয়ারবিএনবিতে উঠলো জবের কারণে। সেই বাসায় সব ভালো শুধু বুড়িটার সাথে আছে দুইটা বিশাল কুকুর। সেই বোনের আবার কুকুরে বিশাল ভয়। সে বাথরুম গেলেও বুড়িকে ফোন দেয় কুকুর সামলাও, কিচেনে গেলেও। আর তাকে দেখলেই আদর পেতে কই থেকে যেন দুই বিশাল কুকুর ছুটে আসে সকল বাঁধা ভেঙ্গে।
আর আমার বোন নাকি টেবিলের চারধারে দৌড়ায় আবার সোফার উপরে উঠে চিল্লায়।
এখন সে বাসা বদলের চিন্তায় আছে।
৪৫| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:১৬
সোহানী বলেছেন: সব দেশের এজেন্ট বা দালাল একই রকম। কাজের আগে সালাম কাজ ফুরোলে নো পাত্তা।
২য় পর্বও ভালো লাগলো।
২৭ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯
শায়মা বলেছেন: তারমানে আমাদের দেশের সাথে তুলনা করেই আমাকে আগে থেকেই খড়গহস্ত হতে হত!!!
৪৬| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:২৯
একলব্য২১ বলেছেন: কি কর শায়মা আপু। লেখালেখি করছো। পরের পর্ব এরই মধ্যে আসবে কি। আর তোমার মন এখন কেমন আছে।
গন্তব্য সুন্দরবন: আধেক ভ্রমণ, আধেক ভোজন পড়ছিলাম। উনার লেখার ধরনটা আমার কাছে ভালোই লাগে। জাদিদ ভাইও ধীর লয়ে একটা ভ্রমণ কাহিনী লিখছেন সেটাও পড়তেও ভাল লেগেছিল।
২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৫৩
শায়মা বলেছেন: আমি একখানা কঠিন কাজ করি। তিন দিন ধরেই করছি!
পরের পর্ব তাড়াতাড়ি লিখে ঝামেলা শেষ করবো ভাবছি। কিন্তু কঠিন কাজটা শেষ না করা পর্যন্ত শান্তি নেই আমার। কোনো কিছু শুরু করলে সেটা শেষ না হলে আরেকটা করি না।
আমার মন অল্প ভালো মানে নিজের কাছে ছোট হয়ে যাই এমন কাজ আমি কখনও করি না। কিন্তু ভাগ্যচক্রে সেটাই হয়েছে। তাই নিজেকে কেমনে ক্ষমা করবো খুঁজে পাচ্ছি না।
হ্যাঁ ভ্রমনকাহিনী মজার হয়। আমিও সুন্দরবন বান্দরবান সবখানেই গেছি। লেখা হয়নি তখন।
৪৭| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:১৮
একলব্য২১ বলেছেন: পরের পর্ব দেরীতে আসলেও মহাভারত অশুদ্ধ হবে না। অনুতপ্ত হচ্ছো কষ্ট পাচ্ছো। অনেক motivational speakerরা প্রায়শই বলে নিজেকে ক্ষমা করে দাও। গতস্য শোচনা নাস্তি। সময় time is the best healer.
আমিও সুন্দরবন গিয়েছি। হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে জঙ্গলের অনেক ভীতরে চলে গেয়েছিলাম। বান্দরবন যাইনি তবে বান্দরবনের মেজভাই দার্জিলিং আর বড়ভাই নেপালের ম্যাছাপুছা অন্নপূর্ণা রেঞ্জে গিয়েছিলাম।
২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:২৭
শায়মা বলেছেন: না না তাড়াতাড়ি শেষ করে আবার নতুন কাজে হাত দিতে হবে না???
নিজেকে ক্ষমা না করলে আমার কর্মস্পৃহা কমে যাবে আমি জানি..... তাই ক্ষমা করতেই হবে...... কিন্তু!!!
যাইহোক বান্দরবানের নামটা বান্দর মার্কা হলে কি হবে তিনি বড়ই সৌন্দর্য্য!!!
৪৮| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৩৭
একলব্য২১ বলেছেন: কিন্তু!!
কোন কিন্তু টিন্তু নাই। man is mortal. মোহতরমা (woman) is mortal. মানুষ মাত্রই ভুল করে। চট জলদি আগে শায়মা আপুকে দেখতে চাই। খিদে পেয়েছে। যাই একটু নুডুলস বানাই।
২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৪২
শায়মা বলেছেন: যাও যাও নুডুলস খাও। আমিও ঘুমে পড়ে যাচ্ছি।
কালকের মধ্যে ইনশাল্লাহ আমার এই কাজ শেষ হবে।
তারপরই লিখবো!
৪৯| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৩৯
একলব্য২১ বলেছেন: * আগের
২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৪৩
শায়মা বলেছেন: বুঝেছি বুঝেছি!!!!!!!!!
৫০| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:০৬
রানার ব্লগ বলেছেন: নতুন দেশ দেখতে হাটার বিকল্প নাই। ছবি গুলাই দেখলাম।
২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৩১
শায়মা বলেছেন: না হেঁটে উপায় কি সেখানে তো গাড়ি নেই।
ছবিগুলাই দেখলে কেনো??
লেখাগুলাও পড়ো এত আলসামী কিসের???
৫১| ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৩৬
একলব্য২১ বলেছেন: মোহতরমা,
মনের কি অবস্থা।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:২৬
শায়মা বলেছেন: মনের অবস্থা ভালা।
মানে ভুলে গেছি প্রায় ৯৮%
এই সব নিয়ে বসে থাকলে চলবে আমার?
আজ শপিং এ ছিলাম সারাদিন আসমা সুফিয়া, টুপিয়া ঝুপিয়া সবার জন্য জামা শাড়ি দুল মালা চুড়ি জুতা এসব কিনে কিনে মন ভালো হয়ে গেছে।
৫২| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬
মিরোরডডল বলেছেন:
শায়মাপু শুভ,
আমি কি অনেক কিছু মিস করে গেছি?
আপুর মনের অবস্থার আবার কি হয়েছে?
সাচু সমস্যার সমাধান হয়নি? এখনও ভুল বোঝাবুঝি?
সারপ্রাইজ কি নিয়ে, সেটা ইমেইল কেনো, এখানে হবে, আমরাও জানতে চাই।
পরের পর্ব কবে আসবে আপু?
০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:২৯
শায়মা বলেছেন: করেছো করেছো অনেককককককককককককক কিছু মিস করেছো। লগ না করলেই মিস করে মানুষ
মনের অবস্থা খালাপ তিলো।
সাচু ভাইয়ুর জন্য না! সাচুভাইয়ু যত্ত লাগ কলুক তার লাগ ভাঙ্গানো বেশি কঠিন কাজ নহে।
ইহা প্রমানিত সত্য। কাজেই সাচুভাইয়া যত রাগ করুক। নো চিন্তা!
সারপ্রাইজ ইমেইলে হবে!!!!!!! এই খানে বলা যাইবেক লাই। আমি লজ্জাবতী লতা!
পরের পর্ব কালকে লিখবো ভাবছি। ছুটি পেয়েছি কালকে!!!!!!
আজকেও পেয়েছিলাম শপিং এ ছিলাম!
৫৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ মিরোরডডল - আমার সাথে শায়মা আপুর কোন ঝগড়া হয়নি। সব ঠিক আছে। ওনার পরের পোস্টে ওনার মন জয় করা কি মন্তব্য করবো তার আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছি। বয়সের কারণে রস কষ কমে যাচ্ছে তাই কি মন্তব্য করবো বুঝে উঠতে পাড়ছি না। শায়মা আপুকে কিন্তু এগুলি বলার দরকার নাই।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩১
শায়মা বলেছেন: ঠিক ঠিক
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ মিরোরডডল - আমার সাথে শায়মা আপুর কোন ঝগড়া হয়নি।
একদম ঠিক ........
চুয়াত্তর ভাইয়া নিজেই নিজের সাথে ঝগড়া করে। ভাবীর সাথে ঝগড়া করতে গেলেও হেরে যায় তাই আবার নিজেই নিজের সাথে ঝগড়া করে।
৫৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৪০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: যথারীতি অনবদ্য হয়েছে, মজার মজার খাবার দাবার আর মজার ঘোরাঘুরি বেশ মজা করেই লিখেছেন। +++
০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৫৬
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া।
কাল পরশু লাস্ট পর্ব লিখে ফেলবো।
৫৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: সিডনীতে নববর্ষ উদযাপনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দূর দূরান্ত প্রান্ত থেকে মানুষ সিডনীতে আসে। এর অনেক কারণ আছে, তার মধ্যে ঐ সময়ে বিরাজমান চমৎকার আবহাওয়া একটি। এ ছাড়াও, বিশ্বগোলকের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত হওয়ায় সিডনীবাসীরা পৃথিবীর অনেকের আগে (তবে জাপানের পরে) নিউ ইয়ার উদযাপন করে থাকে। ২০২০ শুরু হবার শুভক্ষণে আমি সপরিবারে (আংশিক) মেলবোর্নে উপস্থিত থেকে ওদের ফায়ারওয়ার্ক্স দেখেছিলাম। আমাদের চেয়ে ওদেরটা তেমন আহামরি কিছু মনে হয়নি, তবে যেটা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম সেটা হচ্ছে ওদের নাগরিকদের সুশৃঙ্খল আচরণ, সবার আইন মেনে চলা, নাগরিকদের সুবিধার্থে প্রশাসন কর্তৃক সুশৃঙ্খল গণপরিবহনের ব্যবস্থা করা এবং এ লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবকদের হাসিমুখে নাগরিকদের যে কোন প্রয়োজনে সাড়া দেওয়া।
পোস্টে প্লাস। পরে আবার আসবো।
০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৩৫
শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই অতো রাতেও তারা ছিলো সুশৃঙ্খল ও আনন্দিত।
এত নিরাপত্তা এত সৌজন্যতা.......
এক সুন্দর মেমোরী হয়ে থাকবে আজীবন।
৫৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: "সবার কাছেই সম্মানিত তারা" - তাদের এই সম্মানবোধ হৃদয়ে অনুভব এবং প্রকাশ্যে প্রদর্শন করা দেখে আমিও প্রথম প্রথম খুবই অভিভূত হতাম। পরে বুঝলাম, এটাই তাদের "ওয়ে অভ লাইফ"। বয়স্করা, শিশুরা আর অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা সর্বত্র অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। একবার আমাকে বাসে উঠতে দেখে আমার চেয়েও বয়স্কা এক মহিলা আমার জন্য আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন। আমি তো সেটা দেখে থ' বনে গিয়েছিলাম এবং তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে যখন তাকে বলেছিলাম, "আমার দাঁড়াতে কোন অসুবিধে নেই, বরং আপনিই বসুন"। উনি দৃঢ়্ভাবে জবাব দিয়েছিলেন, "নো ওয়ে, ইউ আর এ ভিজিটর"।
'চাইনীজ বুড়া মাইকেল' এর কথা শুনে আমার কেন যেন মনে হচ্ছে সে আদতে হংকং এর মূল নিবাসী, যদিও ওরাও এখন চাইনীজ, সেটা বলতে ওদের ভালো লাগুক বা না লাগুক। পরেরবার গেলে খোঁজ নিয়ে দেখবেন, আমি যা বলেছি তা ঠিক কিনা।
মেলবোর্নেও একটা কুইন ভিক্টোরিয়া মার্কেট আছে, এবং সেটাও আপনার বর্ণনার সাথে মিলে গেছে। আর মেলবোর্নের পাবলিক লাইব্রেরীতে গিয়ে আমিও একেবারে 'লস্ট' হয়ে গিয়েছিলাম।
'সিডনী টাওয়ার' এ আমিও উঠেছিলাম আজ থেকে বহু বছর আগে....
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:০৪
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমার সিডনী সফরের সব গল্পই তো তাহলে তুমি চোখের সামনেই দেখতে পেলে?
যাইহোক মাইকেল বুড়া হংকং নাকি জানিনা তবে সে বলেছিলো সে নাকি চাইনিজ।
ভাইয়া সিডনী টাওয়ারের লিফ্টটা কেমন ছিলো। ওমন চাপা চাপা লিফট আমি বাবার জনমেও দেখিনি।
৫৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৫৮
একলব্য২১ বলেছেন: কিতা খবর। স্কুলের ছুটি তো শুরু হয়ে গেছে। এই বন্ধে সামুর পাঠকরা কি কি লেখা পেতে পারে শায়মা হকের কাছ থেকে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:০৩
শায়মা বলেছেন: অস্ট্রেলিয়ার গল্প ৩ লিখছিলাম। কিন্তু আধা লিখেই এই ছুটির আগেই রমজানের এক মহা মহা মজাদার প্রিয় কান্ড নিয়ে লিখতে ইচ্ছে হলো। সেটাই লিখছি ভাইয়ু।
৫৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:০৬
একলব্য২১ বলেছেন: ভেরী গুড। পড়ার জন্য মুখিয়ে থাকবো।
তুমি তো সামুর স্বর্ণ যুগ থেকে এখন পর্যন্ত এক যুগেরও বেশী সময় ধরে সামুতে লেখালেখি করছো। সব থেকে কে তোমার লেখার ফ্যান ছিল বা আছে। যদি হারিয়ে গিয়ে থাকে তাকে মিস করো না। নাকি সময়ের সাথে সাথে আবেগও ফিকে হয়ে যায়।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:১৮
শায়মা বলেছেন: কালকেই ইনশাল্লাহ সেই মহা মহা প্রিয় যে কাজে মেতে আছি তাই নিয়ে পোস্ট দেবো।
আমার লেখার ফ্যান! নাকি আমার ফ্যান মানে পাগলামীর.... হাসাহাসি ভালোবাসাবাসির ফ্যান???
যাইহোক সময়ের সাথে অনেককিছু ফিকে হয় বটে। তবে আবেগ যেই সময়টাতে আটকে থাকে সেই সময়টা অক্ষয় চির অমলিন!
যাইহোক সবচেয়ে বড় কে ছোট কে বলতে পারবো না। তবে একজন ফ্যানের কথা বলি সেটা শার্দূল....... সে লেখার ফ্যান না আমার ফ্যান তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন আছে।
আর বসন্তদিন, দ্বিতীয় জীবন, আর কঙ্কাবতীর কথা লেখার সময় অনেকগুলো পাগলা ফ্যান ছিলো।
যেমন একজন ভূয়ামফিজ ভাইয়া আর ভাবী। তারা কঙ্কাবতীর কথা পড়তো আর ভাবতো এই মেয়ে কে রে?? হা হা হা ভাইয়া আমার এই লেখাটার জন্য আমাকে পুরষ্কৃত করেছিলো। Click This Link
চিলেকোঠার প্রেম লেখার সময় আমার সর্বশেষ দুই পাগলা ফ্যান পেয়েছি। তুমি আর মিররমনি।
৫৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৩২
একলব্য২১ বলেছেন: আমার লেখার ফ্যান! নাকি আমার ফ্যান মানে পাগলামীর.... হাসাহাসি ভালোবাসাবাসির ফ্যান?
হুম। সব মিলিয়ে তোমার ফ্যান।
তোমার লেখা পড়ার সময়টা অনেক আনন্দে কাটে আমাদের। যুগ যুগ জীও শায়মা আপু আর আমাদের নির্মল আনন্দ দিও।
শুভ রাত্রি।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৪৬
শায়মা বলেছেন: হা হা আমারও আনন্দে কাটে।
লিখতে গেলে কত কিছু মনে পড়ে।
৬০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
মিরোরডডল বলেছেন:
অস্ট্রেলিয়ার গল্প এখনও শেষ হয়নি।
আবারও আসবো অস্ট্রেলিয়ার বাকী গল্প নিয়ে..... খুব শিঘ্রীই.....
১০ মাস হয়ে গেলো, এর মাঝে আরেকবার ট্রিপ হয়ে গেলো কিন্তু তৃতীয় পর্ব আর আসেনি।
শুভর কমেন্টগুলো দেখছিলাম, কোথায় হারিয়ে গেলো ছেলেটা!!!!
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩
শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই এখন সেই পর্বের ৩ নং না দিয়ে আমি কেমনে এই পর্বের ১ নং লিখি!!!!!!!!!!!
বলে দাও আমাকে!!!!!!!!!!!!
তার মাঝে আবার ফাগুন এসে গেলো.....
শুভভাইয়ু মনে হয় আর কোনদিনও আসবে না.......
যদি কখনও মিরাকলী ফিরে আসে তখন আমরা কি থাকবো???
জানিনা জানিনা কিছুই জানিনা ......
৬১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০
করুণাধারা বলেছেন: যাক বাবা, ঘরে ফিরেছ!! সাম্প্রতিক মন্তব্যের ঘরে তোমার নাম দেখে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম!!!
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১২
শায়মা বলেছেন: হা হা কেনো আপুনি!!!!!!!!!!!
মহিলা মেম্বার কমে যাচ্ছিলো ভেবেছিলে নাকি!!!!!!!!
অনেক অনেক অনেক ঝামেলায় আছি আপুনি!!!!!!!!!!!!!
যাইহোক আজ সেই দুপুর থেকে একখানা ফাগুন পোস্ট দেবো ভাবছিলাম দুপুরের উদাসী হাওয়ায় ভেসে ভেসে।
সেই দুপুর থেকে সন্ধ্যে হলো ফোন গেস্ট চোদ্দ গুষ্ঠির ঝামেলা পোহাতে....
৬২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬
জুন বলেছেন: আসলে তাহলে যাক বাপু। আমিতো ভাবলাম সেখানেই সেটেল করলে। লেখা আর ছবি অনেক ভালো লাগলো।
সামনের মাসে আমার গ্রীন কার্ড নিয়ে আমেরিকা যাওয়ার কথা। টিকেট বুকিং পর্যন্ত দেয়া। কিন্ত আমার যেতে মন চায় না। ওই যে আমারও দেশেরও মাটির গন্ধে --
পাখিটার নাম কুকাবুড়া তবে এটা বাচ্চা।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪
শায়মা বলেছেন: হা হা এটা আগের বছরের অস্ট্রেলিয়া ভ্রমন পোস্ট আপুনি!!!!!!!!!!!!!!!!!! হা হা হা এবারের তো লিখিইনি!!!!!!!!!!!
হ্যাঁ কুকাবুড়া এক্কেরেই বুড়াদাদুর মত গম্ভীর!!!!!!
আজই পারলে একখানা ফাগুন পোস্ট আনিবোক!!!!!!
৬৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১
বাউন্ডেলে বলেছেন: অনেক পুরোনো পোষ্ট। তবে সব সময় পাঠ্যযোগ্য। লেখার সব পর্ব শেষ করে , ছাপানোর প্রস্তুতি নেন । কাহিনীর শেষ পৃষ্ঠাগুলোতে কমন্টেগুলো দিলে খুবই আকর্ষনীয় এবং জনবান্ধব হবে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯
শায়মা বলেছেন: হা হা বাউন্ডেলে ভাইয়াজান। থ্যাংক ইউ সো মাচ ফর দ্যা এডভাইস.....
কমেন্টগুলো দিলে তো নতুন রকমের বই এর সূচনা হবে। যাইহোক সবগুলো পর্ব লেখহা হয়নি তার আগেই আবার অস্ট্রেলিয়া চলে গেছিলাম। এখন আবার নতুন নতুন পর্ব লিখতে হবে!
৬৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৮
মিরোরডডল বলেছেন:
বলে দাও আমাকে!!!!!!!!!!!!
একবার শুরু করলেই একটার পর একটা লেখা হয়ে যাবে।
৩ পর্ব দিয়ে ওই ট্রিপ ক্লোজ করে দাও।
তারপর নতুনটা শুরু করো।
Good to see you back.
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৬
শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে তাই হবে।
তবে তার আগে একটা ফাগুনের সাজুগুজু পোস্ট দেবো না??
৬৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৫
মিরোরডডল বলেছেন:
হুম, অবশ্যই দিবে।
প্রাণহীন ব্লগে প্রাণ চাই।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২১
শায়মা বলেছেন: এখনই আনছি ৫ মিনিটস ওয়েট করো!!!!!!!!!
আমি তো প্রানের জ্বালায় প্রানের চাপে চাপাচাপিতে আছি!!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপাতত ছবি গুলো দেখলাম।পরে সময় করে লেখা পড়ব।