![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৃজনশীল লেখালেখি, গবেষণা ও সম্পাদনা
তিন
শুক্রবার
১১ জুন ২০১০ খ্রি:
শেষ বিকেল
মোল্লা কুটির
পটুয়াখালি।
শুভ্র
আজ আমাদের অফিস নাই। সে তার বড় দুই কন্যাকে নিয়ে বেড়াতে গেছে। আমাকেও বারবার যাওয়ার বলছিলো। আমি বলেছি শরীর খারাপ। সে জন্য আর টানাটানি করেনি।...
বিষাদের ডাকঘর
মিথ্যের আসবাবগুলো কখনোই তোমার সাথে খেয়াপার হতে চায় নি। সময়ের দোলনায় দুলতেও তার কোনো আপত্তি ছিল না। তবুও সাদাকালো পর্দায় সাজিয়ে রেখেছিলে অদৃশ্য শীৎকার—আমি দেখেছি; কী দেখিনি সে প্রশ্ন...
মানুষ
কাউকে কখনো মানুষের মতো হাসতে দেখিনি। অথবা এমন কিছু দেখিনি যাকে মানুষ ভেবে নিজেকে মেপে দেখা যায়―কতোটুকু মানুষ হলাম!
আগামি স্বপ্নে একটা বিড়াল কিনবো;
হলুদ মেখে―নাম রাখবো মানুষ!
নিকটবর্তী কোন ডোবায়...
দুই.
শুক্রবার
০৯ এপ্রিল ২০১০ খ্রি.
রাত সোয়া দুইটা
ঝিলটুলি, ফরিদপুর।
সুবেহতারা
তোমার চিরকুটে লেখা ছিল রাতে চিঠি পড়তে হবে। তাও আবার রাত ১২টার পর! এই চিন্তা করে চিঠি পাওয়ার পাঁচ দিনেও চিঠিটা পড়তে পারছিলাম...
মুখোমুখি দাঁড়িয়েছো
টানটান দূরত্ব
যেন জেগে নেই আর কোন ইদ;
রমরমা কুহকে জেগেছে নদী
বিরাম চিহ্ন ও ঘাস পড়ছে ধান !
ফুসফুস জ্বলছে জ্বরে
খড়ের আলোয় নিভে যাচ্ছো তুমি—
আহা কি ভিতু দিন
পারপারহীন যমুনা-সোহাগ;
ভরপুর সাহসে বেঁধেছো জোয়ান
ছুটি...
এক
বৃহস্পতিবার
১১ মার্চ ২০১০
দুপুর দুইটা সাতত্রিশ
ক্লাব রোড
পটুয়াখালি।
হ্যালো শুভ্র...
শুনছো?
ক’দিন থেকে তোমার ফোন বন্ধ। ফেইসবুকেও পাচ্ছি না। ছ্যাঁকা খেয়ে চুপ করে আছো কিনা বুঝতে পারছি না। যতোদূর জানি—অনেক দিন থেকেই তোমার...
২০১৬ সালে ‘সহবাস’ লেখার সময় একটানা অনেক দিন সেলফোন বন্ধ রেখেছিলাম। দীর্ঘ সময় এফবিতেও ছিলাম না । লেখার খসড়া তৈরি হওয়ার পুরো সময়টা উপন্যাসের চরিত্রের মধ্যে ডুবে থাকতাম। তখন মিরপুর...
প্রকৃত সত্য হচ্ছে, বৃক্ষ শাদা হলে মানুষ তার যৌবন হারায়! ঘটে যাওয়া সব সত্যদের কান এই অকৃজ্ঞ প্রেমপত্রের যৌক্তিকতা খুঁজছিলো। কখনো শ্রাবণে, আবার কখনো হরিণীর লজ্জিত তিলে। প্রকাশ্য যে তিলটি...
হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে সম্ভবত ২০০১ সালের দিকে। আমার এক পড়ুয়া বন্ধুর টেবিলে। হুমায়ূন আহমেদের একটি ঢাউস সংকলনের মাধ্যমে। সেই ঢাউস সংকলনের নাম ছিলো ‘হুমায়ূন ৫০’। সম্ভবত হুমায়ূন...
তুমি যে পর্যন্ত এসেছো
অথবা আসোনি ভেবে পার করছো
গচ্ছিত বিকেল
ফুলে ভরা টব
জনৈক নিরাপদ!
সাধু হওয়ার ইচ্ছে ছিলো তোমার
বহুদিন অহংকার তাড়া করেছো খুব—
একলা হওয়ার গুন ছিলো যতদিন।
পুরানো বাক্সে তোমাকে খুঁজে পায়নি কেউ
যতো...
পরিকে আর পাওয়া যাচ্ছে না—
না স্বপ্নে—না চোখের আড়ালে
পরি আর কোথাও নেই
আমার অগ্রহায়ণ-পৌষে ছড়িয়ে যাচ্ছে কেউ
ঢেউ সমান শীতে চুপসে যাচ্ছি দ্রুত;
শিশিরের কারুকাজে মেখে যাচ্ছি নদী
সহজ-সরল আয়নায় ডুবে যাচ্ছি তাথই...
নিষিদ্ধ প্রবন্ধের ভাঁজে...
রাত পৌণে দুইটায় অন্তুর কাছে প্রথম ফোন এলো। চাচাতো ভাই রফিকের ফোন থেকে। অতো রাতে বের হয়ে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীতে পৌঁছার কোনো ব্যবস্থা নেই। সে জন্য তার কিছুই করার ছিলো...
‘সহবাস’ উপন্যাসটি লেখা হয়েছিলো ২০১৬ সালের শেষের দিকে। তারপর চলেছে অনেক যোগ-বিয়োগ পর্ব। এমনও হয়েছে যে একসাথে ৬/৭ হাজার শব্দ ফেলে দিয়েছি। আবার নতুন করে লিখেছি।
এই তিন-সাড়ে তিন বছরে দশ-এগারো...
আমার কোনো লেখা নিয়েই আমি অতোটা বিশ্বাসী হতে পারি না যে নিজের লেখার স্বপক্ষে তর্ক করতে পারি। বরং অনেক সময়ই নিজের লেখা নিয়ে নিজের কাছেই কুঁচকে থাকি। বারবার নিজেকেই শুনাতে...
একুশ শতকের এই সময়ে চিঠি ? না এই সময়ে কেউ চিঠি লিখে না! ব্যস্ত সময় মানুষকে নিজস্বতা থেকে ক্রমশই দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। নিজের সাথে নিজের সম্পর্কও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।...
©somewhere in net ltd.