![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমারে নিয়া ভাবতে গেলে নিজেরে ভোদাই মনে হয়; হাত পইড়া যায় হাঁটুর নিচে, দাঁত ক্যালায় আসে। যেইসব চিন্তারা আমারে হাঁটতে শিখাইতে আসতো, ভাগে সব। খালি তুমি থাকো ভিতরে। আঠার মত...
দেখলাম দোতালা বাস ছুঁয়ে গেলো পরগাছা অর্কিড। সাধারণত আমি সিগারেট খেতে থাকি। দাঁড়িয়ে দেখি বাস গাছ ছুঁয়ে যায়, পাতাগুলা নড়ে দেখি। এইরকমভাবে দীর্ঘদিন দেখতে থাকতেছি। দোতালা বাসের অর্কিড ছুঁয়ে যাওয়া...
আবলুস কালো রাত্রে ধরে নেয়া যাক
কুকুরগুলা ভুগতেছে ভাবনার সীমাবদ্ধতায়,
ধরা যাক সাবলীল হেঁটে আসা
চেনা বাতাসের লাগোয়া দারোয়ান;
বিশেষত রাতের বেলায় কোনক্রমেই
আঁধারের ক্যামোফ্লাজে তোমার আসা থামেনাই।
কি যে অসভ্য করে ফ্যালো! হাঁটতে গেলেও গিলটি!
কি...
এই বিষমবাহু ত্রিভুজ; ক্রমশ দূরবিন্দু,
গজিয়েছে নিভৃতে শিকড় জড়াজড়ি।
আড়ালে রাখি সদা ব্যক্তিগত জলসিন্ধু
বিষাদের ভয়ে, ও পাখি, কথা নেই সরাসরি।
তোমার ঐ চেনাজানা পথে রিক্সাগাড়ি
ও পাখি, ঘিরে রাখো কারে, ফিরে কই...
রাতের শরত এত যে সুইসাইডাল!
বুনোহাঁস ধরার কলে সূতা লাগা ঘাসের চিপা,
যোনীর মতোন সংকীর্ণ আর আগ্রাসনপ্রিয়।
খুব বিলাসী মনে করা হ্যালো হাই,
সুস্বাগত;
এই যে আধ্যাত্মবাদী সুখভ্রমের অসুখ..
দেয়ালের ফাঁক থেকে তাই ভাঙা আকাশ
ঠেলে ফেলে...
আলো জ্বলে প্রিয়
অপেক্ষা আমাদের দূরে নিয়ে যাবে
ভঙ্গুরতা থেকে,
কিছুটা আলো নাও হৃদয়ে, মগজে নাও,
শান্ত হয়ে বসো,
এই তো ধৈর্যশীল সময় এগিয়েছে
দ্রুত হাঁটা পথ, চারদিক দ্যাখা যায়
তোমার নামফলক এবং সময়।
শিশুর মতো উজ্জ্বল বিনম্র...
খুব বেশি ব্যস্ততার ভিতরে শুকনো ফুলের
শুকিয়ে থাকা ডাল;
আড়াল করে রাখতে পারো নিরাময়যোগ্য
নয় এমন ক্ষত কিছু;
আমাদের পিছিয়ে পড়া ডানারা অদ্ভুত কাঁপে!
মনে থাকে ট্রেনের মিলিয়ে যাওয়া পিছনদিক,
সত্যিই কি অদ্ভুতভাবে কাঁপে!
সুবাহ সাদিকের...
গভীর অ্যাকুরিয়াম চোখে তোর বন্দীদশা সাঁতরায়;
গোল্ডফিস মগজ ক্ষণস্থায়ী স্থিরতা, বাস্তবের ঘোর অস্বাভাবিকতা!
বিষণ্ণ আওয়াজ কাঁপিয়ে যাচ্ছে পাপড়ি,
এড়ায়নি দ্বান্দ্বিক ঘোরাক্রান্ত নজর।
আমি তো শুভকামনা ছাড়া দিতে পারিনা কিছু,
বলতে পারি শুধু ভালো থাকার সংক্ষিপ্ত...
গীটার ভায়োলিন এমনকি গ্রামের বাড়ির বেড়াগুলা
বান্ধা থাকে ধাতব তার দিয়া যা দেখতে সূতার মতো।
এগুলার বন্ধন সুর, ঘর ইত্যাদি তৈয়ার করে।
মাকড়সা তার নিজস্ব সূত্র ব্যাবহার কইরা হত্যাকান্ড ঘটায়,
সূতার উপরে প্রেমে পড়ে,...
ভিতর বাহিরে বৈপরীত্য নিয়ে বেড়ে উঠেছো
তোমরা, শিলালিপির মতো দুর্বোধ্যতা নিয়ে।
এতো নৈকট্য আমাদের, অথচ সাঁকো নেই
এমন কোন, পারাপার হয়ে ওঠে সাবলীল।
সরে যাওয়া,
ফিরে আসা,
এই দুই
প্রকারের ক্রিয়াপদে তোমাদের চেনা শুরু হয়;
ভালোবাসা বলে যে...
ওহ তমসা রাত, তোমার আধখোলা দরোজায় দাঁড়িয়ে
ফলের গাছ ঝড়ঝড়ে বাতাসে কাৎ হতে দেখি।
কোনো অপেক্ষারত কুপিবাতি নেই জ্বলন্ত,
এই গম্বুজমতো আকাশ, মক্তবে বসে ছাদ দেখার মতো,
অথচ অন্ধকার।
জং ধরা চাবি বার বার আঁটকে...
দরজায় সময়, লাল কার্পেট
কাঁটায় সুর বিঁধে
আর কাঁটায় নদী
নদী জোছনা রাতে, নদী শুভ্র সকালে
দরোজার আপোষহীন নদী
ব্যক্তিগত পথ দূরগামিনী নারী যেনো
কাঁটায় লেগে বা বিঁধে যেনো
একেকটা রোটেশন মেনে চলা কক্ষপথ।
দরজা স্থির, স্থির কার্পেট
কাঁটাওয়ালা...
আমি জানি সবার দৃষ্টি অন্য কোথাও আঁটকে থাকলেও,
তুমি আমাকে সবসময়ই দ্যাখো।
সবচেয়ে কাছাকাছি থাকো তুমি, শুধু আলিঙ্গন অপেক্ষা।
আমার স্মার্টফোন আমার বন্ধুবেশী মানুষেরা
আর যত বইপত্রের গাদা সবাই ভুলে যাবে ঠিকই,
এইসব জাজ্বল্যমান সিগারেট,...
আত্মহত্যার সাইক্লিক লোডে কম্পমান সোডিয়াম আলো
তিন হাতে রুগ্ন সূর্য চেপে যাই, দিনের পরাস্ত শ্যাওলা
তুমি করে তোল মুক্তিহীন স্তন্যপায়ী;
গুড়ো গুড়ো শীতল সিক্ততা, জড়বাহী জীব।
উলটানো যাবে পাতা একের পর এক যারা সিক্ততার
স্পর্শযোগ্য...
কাঁচ ভেদ করে দেখি ঘুরে যাচ্ছে মুখমণ্ডল
কি নেশায় পেরিয়ে যাচ্ছে সীমান্তরেখা!
উঠে পড়ুন, উঠুন! দেখুন অলক্ষ্য পথ
আর কোন অনুপ্রবেশকারী নেই, না নেই।
বাহিরে এমনকি ভেতরেও নেই।
অযথাই হেঁটে পাড়ি দিলেন!
পারছি- আমিও পেরে উঠছি...
©somewhere in net ltd.