নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful
ছবি: - পেঁয়াজ গাছ ও ফুল
ফুল ভালোবাসেন না এমন মানুষ সম্ভবত বিরল।
কোথাও পড়েছিলাম - যে ফুল ভালোবাসতে জানেনা সে মানুষ হত্যা করতে পারে। এই কথার সত্যতা কতোটুকু জানিনা কারণ খুনী হত্যাকারিদেরও ফুল পছন্দ করতে দেখেছি। তারা আর দশটা মানুষের মতোই দেখতে শুনতে সাধারণ মানুষ এবং যথারিতি ফুল পছন্দ করেন। যাইহোক ভিন্ন প্রসঙ্গে না গিয়ে মূল প্রসঙ্গে ফেরা যাক। দৈনন্দিন রান্নায় যে মসলাগুলো একদম না হলেই না তার মধ্য অন্যতম “পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, মরিচ, আদা, ধনিয়া ও জিরা। এই মসলাগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে দুঃখী মসলার নাম পেঁয়াজ। না, পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে চোখে জল আসার কারণে নয়, চোখে জল আসার মতো ঝাঁঝালো যে পেঁয়াজ নিকট দেশ ভারতে আছে তা বাংলাদেশ আমদানি করে না। তাছাড়া লাইবেরিয়া, ঘানা, মোজাম্বিক, কঙ্গো, সুদান সহ আফ্রিকান দেশগুলোতে যে ধরনের ঝাঁঝালো পেঁয়াজ আছে তা কাটার জন্য রিতিমতো ওয়েল্ডিংয়ের কালো চশমা পরতে হয়! বাংলাদেশে পেঁয়াজের দুঃখী মসলা হওয়ার অন্যতম কারণ - খাদ্য বিলাসিতা, অবমূল্যায়ন, অপচয় ও অবচয়!
গত বছর ২০১৯ বাংলাদেশে পেঁয়াজের মূল্য এতোটাই উর্দ্ধগামী ছিলো যে বড়জোড় আর একমাস এই উর্দ্ধগতি মূল্য ধরে রাখতে পারলে সম্ভবত বাংলাদেশ পেঁয়াজ ৫০০ টাকা/কিলোগ্রাম মূল্য ছোঁয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তো। যখন বাংলাদেশকে ভারত পেঁয়াজ দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে (বিনামূল্যে নয়, অবস্যই সিডি এলসি ও প্রিমিয়াম দরে) তখন নিরুপায় বাংলাদেশ প্রায় অন্ধ হয়ে বার্মা, মিশর, তুরস্ক সহ আরো নানান দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে থাকেন আর বাংলাদেশের শৌখিন গৃহিণীরা যথারিতি নিজ নিজ বাসাবাড়ি-ঘর পেঁয়াজ স্টোর করে করে পেঁয়াজের বাজার ঘাটতি অব্যহত রাখলেন। বাংলাদেশের পেঁয়াজ চাষীরা যখন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন তাদের আবাদি জমির পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি করে ভালো একটি মূল্য পাবেন - এবার বাড়ি ঘর মেরামত করবেন, হয়তো একটি গাভী কিনবেন! বাংলাদেশের চিরোদুঃখী চাষীদের পেঁয়াজ বাজারে যেতে না যেতেই কালবৈশাখী ঝড়ের মতো বন্ধু দেশ ভারত তাদের পেঁয়াজের বাজার বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত করে বাংলাদেশের পেঁয়াজ চাষীদের আবারও মেরুদন্ড ভেঙ্গে প্রমাণ করলেন ভারত আমাদের অতিব প্রিয় বন্ধু দেশ! বাংলার দুঃখী চাষীদের বুকের পাঁজর ভাঙ্গা কান্না দেখার না কখনো কেউ ছিলেন - আর না কখনো কেউ হবেন। এটিই বাংলার গত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাস।
বাংলাদেশের চিরোদুঃখী চাষী রোদ্রে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় মসলার চাষ করেন। আজ সেই সব মসলা গাছের পরিচিত ও অপরিচিত ফুলের সাথে কিছুটা পরিচিত হই। হয়তো এই মসলাগুলো সবার পরিচিত তবে মসলা গাছের ফুলগুলো সবার চেনা জানা নাও হতে পারে, আর তাই আজকের এই সামান্য চেষ্টা।
ছবি: - রসুন গাছ ও ফুল
রসুন একটি নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যতম মসলা, তবে রসুনের গুনাগুন লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। ভাত/রুটির সাথে এক কোয়া করে কাঁচা রসুন খেলে হৃদরোগ হবার সম্ভবনা ৩০% - ৫০% কমিয়ে দেবে মাত্র একটি করে রসুন কোয়া প্রতি বেলা!
ছবি: - হলুদ গাছ ও ফুল (হলুদ - মসলা, ঔষধ, গায়ে মাখার হাজার বছরের পুরোনো প্রসাধনী)
এক গ্লাস গরম দুধ/পানির সাথে এক চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা প্রতিদিন সকালে খাওয়াতে যেমন তেমন আর্থাইটিস রোগী হাড় ব্যথা থেকে উপশম পাবেন।
ছবি: - মরিচ গাছ ও ফুল
আমাদের দেশে এক সময়ে - মাত্র ত্রিশ বছর আগেও ভয়ঙ্কর ঝাল মরিচ ছিলো, যেমন ঝাল তেমন রঙ! এখন সেইসব ঝাল মরিচ কোথায় হারিয়ে গেছে তা কেউ জানেন না। আমার ব্যক্তিগত ধারনা মরিচের ঝাল এখন মানুষের মুখে চলে গেছে! মানুষের মুখের কথা এখন এতোই ঝাল হয়েছে যে গ্যালন গ্যালন মধু পান করালেও তাদের মুখের কথার ঝাল আর কমবে না।
ছবি: - আদা গাছ ও ফুল (দেশী)
বানিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে মাটির রকম ভেদে আমি যতোটুকু জানি দু রকমের আদা চাষ হয়। ১। দেশী আদা ২। পাহাড়ি আদা। দেশী আদা আমাদের দেশে নানান জেলাতে স্বল্প পরিসরে চাষ হয়ে থাকে। বাজারে - কম ঝাঁঝ, রসালো, ভারী ও হালকা খয়েরি রঙের আদাগুলোকে আমরা দেশী আদা বলে চিনি ও জানি।
ছবি: - আদা গাছ ও ফুল (পাহাড়ি)
পাহাড়ি আদা অধিক ঝাঁঝালো, ওজনে হালকা চিকন ও গাঢ় খয়েরি রঙের হয়ে থাকে। পাহাড়ি আদা বাংলাদেশে একমাত্র পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে চাষ হয়ে থাকে। যদিও ময়মনসিংহ ও সিলেটে পাহাড় ও টিলা আছে কিন্তু বিচিত্র মাটির কারণে পাহাড়ি আদা একমাত্র পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলেই চাষযোগ্য।
ছবি: - ধনিয়া গাছ ও ফুল
ধনিয়া একটি মসলা তবে নিত্য প্রয়োজনীয় মসলাতে আমার জানামতে বেশ কিছু মসলা শুধু যে রান্নায় ব্যবাহর করি তা নয়, সেই মসলা গাছের পাতাও আমাদের মসলা ও সালাদের অন্যতম একটি। তার মধ্য প্রধান - ধনিয়া পাতা, পেঁয়াজ পাতা সহ মাংসের তরকারির অতুলনীয় স্বাদ ও সুঘ্রাণের জন্য ব্যবহার হয় আদা গাছের পাতা ও হলুদ গাছের পাতা।
ছবি: - জিরা গাছ ও ফুল
আবারও মাটির প্রসঙ্গ। বাংলাদেশে জিরা খুবই কম চাষ হয়, যা চাষ হয় তা দেশের সিমান্ত এলাকার দোঁ-আশ মাটিতে কিছু কিছু চাষ করার উদ্যেগ দেখা গেছে। মাংসের তরকারিতে জিরার প্রয়োজন খুব কমই, তবে জিরা ছাড়া মাংসের তরকারি রান্না করাও এক অসম্ভব বিষয়। তাই বলা যায়, জিরা একটি অতি জরুরী মসলা।
উপসংহার: - নিত্য প্রয়োজনীয় মসলা যে পরিমান বাংলাদেশে আবাদ হয় তাতে দেশের জনগণের রান্নায় এক বছর নিঃসন্দেহে চলার কথা। তারপরও মসলা আমদানি করতে হয় যার অন্যতম কারণ অতি বিলাসিতা ও অপচয়। আর মসলার সিজনে বিদেশ থেকে মসলা আমদানিতে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হোন বাংলাদেশের দুঃখি চাষী - যাদের ভাষা বোঝার মতো ভাষাজ্ঞান আজও বাংলার মাটিতে কারো হয়নি - হবেও না। - আফসোস।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: - সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ। নির্বাচিত পোষ্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।।
ছবি: গুগল সার্চ ইঞ্জিন।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:০২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ইসিয়াক ভাই কেমন আছেন? রমজান মোবারক।
২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:০৬
ইসিয়াক বলেছেন: আমি ইনশাআল্লাহ ভালো আছি প্রিয় মাহমুদ ভাই,
আমি কেমন আছেন?
রমজান মোবারক।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ইসিয়াক ভাই, আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমার ধারনা এবারের রমজানে বাংলাদেশের জনগণ স্বরণকালের ইতিহাসের সচেতন ও মিতব্যয়ী হয়েছেন। এ ধরনের মিতব্যয়ী হতে পারলে বাংলাদেশে খাদ্যাভাব থাকবে না।
শুভ কামনা রইলো।
৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১৯
ইসিয়াক বলেছেন: আপনার কথা অনেকাংশে ঠিক আসলে বাস্তব বড় নির্মম আর বাস্তবতা থেকেই মানুষ শেখে। করোনা ভাইরাস আমাদের অনেক কিছু শেখাচ্ছে। মানুষ আরো মানবিক হোক সেটাই কাম্য।
শুভকামনা।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ইসিয়াক ভাই,
আসলেই বাস্তব খুবই নির্মম হয়। ক্ষেত্র বিশেষে, করোনা ভাইরাসের দোষের চেয়ে গুণের পরিমান বেশী মনে হচ্ছে! হু এর সংবাদ অনুসারে বাংলাদেশের জন্য মে মাস ভালো যাবার কথা নয়। সাবধানে থাকুন। শুভ কামনা রইলো।
৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২০
রাজীব নুর বলেছেন: সমস্ত ফল গাছেই ফুল হয়। ফুল থেকেই ফল হয়। এট আমি আগে জানতাম না।
পোষ্ট টি ভালো লাগলো।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সকল ফল গাছে ফুল হয় কথা সত্য। এমনও ফল গাছও আছে ফল গাছের ফুল দেখলে আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয় একি? এও ফুল, এতো সুন্দর ফুল হয়!
৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
বাহ বেশ ভালো পোস্ট। ধন্যবাদ প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাইকে। পেঁয়াজের ফুল ও কাঁচা মরিচ এপারে আমরা বলি কাঁচা লঙ্কা আর ধনিয়া ফুলের সঙ্গে পরিচয় থাকলেও বাকিগুলো একেবারে অপরিচিত। সুন্দর পরিচয় পর্বের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে দ্বিতীয় লাইক।
রমজানের শুভেচ্ছা প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাইকে।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
পদাতিক চৌধুরি ভাই,
১৯৭১ এর পর আমার স্কুল জীবনে স্কুল থেকে টিফিন সরবরাহ করতো সরকারি ভাবে সরকারি খরচে। তখন বাড়ি থেকে কাঁচা লঙ্কা/কাঁচা মরিচ কাগজে ভাজ করে স্কুলে নিয়ে যেতাম গণ খিচুড়ি/কাঙ্গালীভোজ খাওয়ার জন্য। লাইক ও সুন্দর মন্তব্যর জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাকেও রমজান মাসের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩০
সুপারডুপার বলেছেন:
মাহমুদ ভাই ,
মসলা গাছের ফুলগুলো যে এতো সুন্দর আপনার পোস্টের ছবি গুলো না দেখলে ভুলতেই বসেছিলাম। আপনি কিভাবে ছবি আপলোড করলেন / কত সাইজের ছবি আপলোড করলেন যে ছবি গুলো এতো বড় আকারে দেখাচ্ছিল? ছবিগুলো বড় হওয়াতে আরো বেশি সুন্দর দেখাচ্ছিল। আজবতো এখন আবার ছবিগুলো ছোট হয়ে গেল! ফুলগুলো সুন্দর হলেও মশলা মনে হয় বেশ ঝাঁঝালো। তাই ফুল দেখিয়েও আপনিও বেশ কিছু ঝাঁঝালো সত্য কথায় বললেন।
বাংলাদেশের দুঃখি চাষীরা ক্রমাগত বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হন কারণ কিছু মানুষ দেশকে স্বনির্ভরশীলের চেয়ে পরনির্ভরশীল বা তির্যক ভাবে বললে অন্য দেশের স্লেভ বানাতে সবসময় তৎপর রয়েছে। এই ঘৃণিত রাজাকার ও মীরজাফরদের কৌশলী চক্র মূলৎপাটনই সমস্যার সমাধান আনতে পারে।
হোম অফিসের দিন কালে আপনার এই ব্যাতিক্রম ধর্মী পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভকামনা।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সুপারডুপার ভাই,
আমার পোস্ট দেয়া ও সার্বিক পরিশ্রম স্বার্থক। প্রথমে ছবির সাইজ ১০০০ পিএক্স X ১০০০ পিএক্স করে পোস্ট দিয়ে পরে কারেকশান করে ৭৫০ পিএক্স X ১০০০ পিএক্স সাইজে ছবি পোস্ট দিয়েছি। ছবি এডিট করার সফটওয়্যার এডবি ফটোশপ।
কৃষির সাথে যারা দুর দুর পর্যন্ত জড়িয়ে আছেন তারা জানেন এদেশে চাষ ও চাষীকে কিভাবে মারা হচ্ছে। পেঁয়াজের বাজার যেভোবে নিয়ন্ত্রণ হয়েছে তাকে নিয়ন্ত্রণ না বলে বলতে হবে বাংলাদেশের কৃষকদের দিনের আলোতে রিতিমতো হত্যা করা হয়েছে।
আমার লেখা আপনাকে আনন্দ দিয়েছে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে? আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪
ইসিয়াক বলেছেন: প্রিয় মাহমুদ ভাই,
আসল কথাই তো লিখতেই ভুলে গেছি, রসুন আদা হলুদ ও জিরা ফুল আমি এই প্রথম দেখলাম। আর মসলা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে
আরো ভালো লাগলো। আমার মনেহয় আমাদের দেশে এই সমস্ত মসলাগুলো আরো বেশি চাষ করা উচিত যাতে আমদানি না করতে হয়।
শুভকামনা।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ইসিয়াক ভাই,
মসলা, সবজি, ফুল ও ফল সম্পর্কে আমার জানা তথ্য অনুযায়ী আরো লিখবো। মসলা সহ সকল প্রকার চাষে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ! এই ক্ষতি বুঝে উঠার পরপর আবারও ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়। আমি পারিবারিকভাবে কৃষিকাজে জড়িত। ভারতে জিরা’র চাষ হয়, আমি বিস্বাস করি আপনি জিরা ক্ষেত সামনা সামনি দেখতে পেলে জিরা চাষী হবার বাসনা পোষন করবেন মনে প্রাণে।
মাংসের তরকারিতে আদা গাছের পাতা, হলুদ গাছের পাতা দিয়ে রান্না করলে যে স্বাদ হয় তা বলা বাহুল্য তাছাড়া তরকারির যে সুঘ্রাণ তৈরি হয় তাতে করে আসে পাশের বাসাবাড়িতে রিতিমতো ব্রেকিং নিউজ হয়!
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।
৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সোজা প্রিয়তে নিলাম। জিরা ফুল সবচেয়ে দারুণ।
শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
কাছাকাছি দেশ ভারত, পাকিস্তান, ইরান সহ ইন্দোনেসিয়া সহ ব্রুনাই বানিজ্যিকভাবে জিরা চাষ হয়। জিরা চাষে আবাদি জমিতে যখন ফুল আসে তা দেখার মতো দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য। আশাকরি আপনি আপনার পছন্দের ফুল একদিন সামনা সামনি দেখতে পারবেন। পোস্টে লাইক ও প্রিয়তে নেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার সার্বিক পরিশ্রম সার্থক। আবারও ধন্যবাদ।
৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। অনেক ফুল প্রথম দেখলাম।+
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমার আজকের লেখা সার্থক। পোস্ট ভালো লেগেছে জেনে আমিও আনন্দিত। কবিতার জাদুকর আপনি ভালো থাকুন।
১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগার প্রান্ত আপনার ফুলের ছবিগুলোকে প্রিয়তে রেখেছে, ফুল থেকে ফল হলে, প্রিয়তে গিয়ে ফল সংগ্রহ করবেন।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আবাদি জমিতে জিরা পেঁকে আসার পর যে সুঘ্রাণ ছড়ায় তখন মনে হয় জিরা ক্ষেতের পাশে ঝুপড়ি ঘর করে বাকী জীবন থেকে যেতে পারলে ভালো হতো। ব্লগার প্রান্ত জিরা ফুল পছন্দ করেছেন আশাকরি কোনোদিন সামনা সামনি ও দেখতে পারবেন। শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন।
১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫২
ঢাবিয়ান বলেছেন: মরিচ ও পেয়াজ ফুল ছাড়া আর কোণোতাই আগে দেখি নাই। দারুন সব ছবি। পাহাড়ি আদা ও জিড়া ফুল দেখে ইচ্ছে করছে এখনই টবে এনে লাগাই।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
পাহাড়ি আদা টবে রোপন করতে পারবেন। ঢাকা সহ বিভাগিয় শহরের কৃষি অধিদপ্তরের নার্সারিতে আদা গাছের চারা আছে। টব সহ দাম পরবে ১০০ টাকা। আর জিরা শীতের দেশের ফসল। কাছাকাছি দেশ ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ইন্দোনেসিয়া সহ ব্রুনাই বানিজ্যিকভাবে জিরা চাষ হয়।
জিরা পেঁকে আসার সময়ে আকাশে বাতাসে যে সুঘ্রাণ ছড়ায় তা ভাষায় বলে লিখে বোঝানো সম্ভব না। জিরা ফুল আসলেই দৃষ্টিনন্দন এক সুন্দর ফুল।
১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬
সোনালি কাবিন বলেছেন: দারুণ পোস্ট।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।
১৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সোহানী বলেছেন: ও মাই গড!! এতো সুন্দর ফুল মসলার!!!
পেয়াজ, মরিচ আর ধনিয়া গাছের ফুল দেখেছি বাকিগুলো দেখিনি। তবে আদা ফুল মনে হয় সবচেয়ে সুন্দর, মসলার রাণী.....। এতো চমৎকার ফুলের সাথে পরিচয় করানোর জন্য ধন্যবাদ ঠাকুর ভাই।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সোহানী আপা,
আদা ফুল আসলেই দেখতে সুন্দর। আদা গাছের কাঁচা পাতা ও হলুদ গাছের পাতাও এক ধরনের মসলা। মাংসের তরকারিতে স্বাদ ও সুঘ্রাণের জন্য আদা গাছের পাতা ব্যবহার হয়ে থাকে। তাছাড়া ধনিয়া ও জিরা পেঁকে আসার সময় আকাশে বাতাসে যে ধরনের ঘ্রাণ ছড়ায় তা বলে বোঝানো সম্বব না। বিশেষ করে জিরা!
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আহ্। অসাধারণ একটি পোস্ট।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ধন্যবাদ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ভাই। শুভ কামনা রইলো। সাবধান থাকুন - নিরাপদ থাকুন।
১৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
খুব সুন্দর বিষয় নিয়ে লেখা।
প্রিয়তে নয়, কপি-পেস্ট করে নিজের ডেক্সটপের ফোল্ডারে রেখেছি।
কিন্তু লবঙ্গ কই ? দিলুম ---
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমার বড় ভাই চলে এসেছেন!
আহমেদ জী এস ভাই, গরম মসলা আমি সিরিয়াল করে রেখেছি আগামী পোস্টে গরম মসলা নিয়ে লিখা দিবো। গাছের যে প্রাণ আছে তা আমরা আবিস্কার করি ১৯৭৪ সনে! (মহা আশ্চর্যজনক) লবঙ্গ গাছ আমাদের গ্রামের বাড়িতে ছিলো, চোরের হাত লেগে গাছ মরে যাওয়াতে আমাদের বিশেষ আবিস্কার! গরম মসলা সহ কামরাঙা (নাগা) মরিচ সহ লেবু গাছও খুব সেনসেটিভ গাছ চোরের হাত লেগেছে তো গাছ শেষ - এর ব্যাখা কি জানা্ নেই। আমি আগামী পোস্টে বিস্তারিত লিখবো।
লবঙ্গ সহ লবঙ্গ গাছের পাতা, গাছের ছালেও আছে মজাদার সুঘ্রাণ।
১৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মাহমুদ ভাই কেমন কাটছে দিন। আপনার ফুলের ছবি ভালো লাগলো।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আগামী কাল শুক্রবার! আসলে এখন প্রতিদিনই শুক্রবার। ধন্যবাদ, শুভ কামনা রইলো নেওয়াজ আলী ভাই।
১৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৯
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: হলুদ আর মরিচ ছাড়া সবগুলো ফুল এই প্রথম দেখলাম। পেঁয়াজ, রসুনের গাছ দেখেছি কিন্তু কখনো ফুল দেখিনি। আদা ও হলুদের পাতা মাংস রান্নায় ব্যবহার করা যায় কখনো শুনিনি !! ব্যতিক্রমী পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বোন শুভ্রনীল শুভ্রা, মসলা যে শুধু রান্নার উপাদান তা নয়, মসলা ঔষধি গুনাগুনে ভরপুর। তাছাড়া মসলা সুগন্ধিও। মাংসের তরকারিতে আদা গাছের পাতা, হলুদ গাছের পাতা দিয়ে রান্না করলে যে স্বাদ হয় তা বলা বাহুল্য তাছাড়া তরকারির যে সুঘ্রাণ তৈরি হয় তাতে করে আসে পাশের বাসাবাড়িতে রিতিমতো ব্রেকিং নিউজ হয়! সম্ভব হলে পরিক্ষা করে দেখতে পারেন।
১৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫১
ওমেরা বলেছেন: আমার মরিচ গাছ আছে তাই মরিচ ফুলটাই চিনি। অন্য গুলো চিনি তবে আমাদের এখানে পথে প্রান্তরে এরকম ফুল আমি দেখেছি এখন আমাদের বসন্তকাল পথে প্রান্তরে নানা রং বেরংগের ফুল দেখা যাবে। এই ফুলগুলো চিনে রাখলাম এবার আমি ভালো করে খেয়াল করব কি কি মসল্লা ফ্রীতে পেতে পারি ।
ধন্যবাদ।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমার আজকের পোস্ট বানিজ্যিকভাবে কারো উপকার হবে আর সে আমার বোন ওমেরা। ভাবতেই ভালো লাগছে। আপনি ফ্রিতে মসলার আলাদিনের চেরাগ খোঁজে পাবেন সেই প্রত্যাশা করছি। শুভ কামনা রইলো। সুন্দর মন্তব্য ও লাইকের জন্য ধন্যবাদ।
১৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার সব ছবি! মুগ্ধ হলাম দেখে। পেঁয়াজ, মরিচ আর আদার ফুল আগে দেখেছি, বাকি গুলো দেখিনি। চোখে সর্ষে ফুল দেখার ভয়ে কি সর্ষে ফুলকে বাদ দিলেন?
০১ লা মে, ২০২০ রাত ১২:১৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
করুণাধারা আপা, অনেক অনেক ধন্যবাদ। সরিষার তেল যে রান্নার আয়োজনে একটি তেল তা শুধু নয়, সরিষার তেল রান্নার আয়োজনে মসলাও বটে। সরিষা ফুল সিরিয়ালে আছে গরম মসলা পোস্টের পর তেলের পোস্টে সরিষা সূর্যমুখী পোস্ট দিবো। আজকের পোস্ট শুধুমাত্র প্রাথমিক ও সাধারণ রান্নার মসলা।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ আপা, শুভ কামনা রইলো।
২০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চমৎকার বর্ণনায় মসলার সাথে পরিচিত হলাম।
এত দিন শুধু খেতাম আজ তাদের জন্ম ইতিহাস
জেনে ভালো লাগেলো।
চমৎকার বর্ণনায় মসলার সাথে পরিচিত হলাম।
এত দিন শুধু খেতাম আজ তাদের জন্ম ইতিহাস
জেনে ভালো লাগেলো।
তেজপাতাঃ এটিও একটি মসলার গাছ
তেজপাতা সাধারণত মাঝারি আকারের সুগন্ধিযুক্ত গাছ। এর ইংরেজি নাম
Bay leaf/Indian Cinnamon. ˆeÁvwbK bvg Cinnamomum tamala.
পাতার আকার ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি। লম্বা ও সুক্ষ্মলোমযুক্ত তিন শিরাবিশিষ্ট। ডালের
দুদিকে একের পর এক পাতা হয়। পাতার রঙ প্রথম অবস্থায় কালচে দেখালেও
ধীরে ধীরে সবুজ হয়ে ওঠে এবং শুকালে খয়েরি রঙ ধারণ করে।
বাংলাদেশে উৎপাদিত তেজপাতার বেশিরভাগই মশলা হিসেবে
ব্যবহার করা হয়। মশলার ব্যবহার ছাড়াও বারুদ তৈরি,
বাকল থেকে সাবান ও তেল হয়।
০১ লা মে, ২০২০ রাত ১২:১৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই,
তেজপাতা গরম মসলা হিসেবে বিবেচিত হয়। আমি আগামী পোস্টে তেজপাতা নিয়ে লিখবো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০০
অনল চৌধুরী বলেছেন: অনেকদিন পর লেখার জন্য ধন্যবাদ ঠাকুর মাহমুদ ভাই।
তবে দেশে করোেনার মধ্যে পঙ্গপাল এসে গেছে।
খাদ্যসংকট থেকে বাচার জন্য দ্রুত ফলনশীল ফসল চাষ করতে হবে।
০১ লা মে, ২০২০ রাত ১২:৩০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
অনল চৌধুরী ভাই, করোনাভাইরাস আক্রমণে আমরা খুব অল্প সময় পেয়েছি ভাবনার জন্য, আর এই অল্প সময়ে ইতিমধ্য জমিতে চাষ করা ফসল বাদে নতুন করে ফসল চাষাবাদ করা সম্ভব হয়নি, তাই দ্রুত পদক্ষেপে দ্রুত ফলনশীল সবজি রোপন করেছি তা নিয়ে অবস্যই বিস্তারিত লিখবো। তাছাড়া আবাদি/অনাবদি জমিতে চাষ করার জন্য কর্মী ব্যবস্থপণা করা আছে করোনা সংক্রান্ত সমস্যা দুর হলেই তারা কাজে ঝাপিয়ে পরবেন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: সুরভি বাসায় বেশ কিছু গাছ লাগিয়েছে।
দেখলাম পেয়ারা গাছে আগে ফুল হলো, ওই ফুল থেকেই পেয়ারা। এমন কি করলা গাছেরও এ্কই কাহিনি।
০১ লা মে, ২০২০ রাত ১২:৩৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
রাজীব নুর ভাই,
প্রায় প্রতিটি গাছেই ফুল ফোটে, যদিও আদা, হলুদ - গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ আর পেঁয়াজ, রসুন কন্দ জাতীয় উদ্ভিদ। এগুলো ফুল দিয়ে ফল হয় না। গাছের শিকড়ে এই গাছের ফল। এই গাছগুলো ফুল দিয়ে গাছের পরিপক্কতা বোঝায়।
২৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫২
নীল আকাশ বলেছেন: অসাধারণ লেখা। সোজা প্রিয়তে।
এইখানকার কয়েকটা গাছ এবার বাসার টবে লাগিয়েছি। বড় হচ্ছে আস্তে আস্তে।
ছবিগুলি খুব সুন্দর হয়েছে।
০১ লা মে, ২০২০ রাত ১২:৫১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই, নিজের রোপন করা যে কোনো গাছের ফসল খেতে অসাধারণ হয়। আর বাসায় টবে প্রয়োজনীয় গাছ রোপন করাটাই সবচেয়ে আনন্দের। পোস্টে লাইক সহ প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে ভালো লেগেছে। আমার পোস্ট ও সার্বিক পরিশ্রম সার্থক। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।
২৪| ০১ লা মে, ২০২০ সকাল ৯:৩২
জাফরুল মবীন বলেছেন: আপনি শুধু ঠান্ডা মসলার ছবি দিলেন? গরম মসলার জিনিস আরও সুন্দর!আপনার ব্লগবাড়িতে প্রথম আসলাম তাই আপনার জন্য পোস্তদানার ফুল নিয়ে এলাম-
০১ লা মে, ২০২০ সকাল ১০:২২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জাফরুল মবীন ভাই, আমার পোস্ট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। প্রথমে আমি শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় সাধারণ মসলা নিয়ে পোস্ট দিয়েছি, সিরিয়াল করে রেখেছি আগামীতে গরম মসলা নিয়ে পোস্ট দিবো, আপনাদের আগ্রহের জন্য খুব দ্রুত পোস্ট দিতে হবে এখন ভাবছি।
পোস্তদানার ফুলের ছবি খুবই সুন্দর ও আকর্ষনীয়। আপনার জানা আছে কিনা জানিনা, একটি তথ্য দিচ্ছি আপনাকে পোস্তদানা মানুষের হার্ট ও ব্রেইনের জন্য এতোই উপকারী যে রিম রিম কাগজ শেষ করা যাবে শুধু পোস্তদানার উপকারিতা লিখে। এছাড়া অত্যন্ত মূল্যবান মসলা পোস্তদানা।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, শুভ কামনা রইলো।
২৫| ০১ লা মে, ২০২০ সকাল ৯:৫৪
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: মসলার ফুল এতো সুন্দর হয় জানা ছিল না | অসাধারণ পোস্টটির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
এলাচি ফুলের ছবি :
০১ লা মে, ২০২০ সকাল ১০:২৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ ভাই,
আপনি কোথায়? অনেকদিন কোনো খোঁজ খবর পাইনা। কেমন আছেন আপনি? মসলা গাছ আসলেই খুব শৌখিন বিষয় আর মসলা চাষীকে স্বপ্ন দেখাতে সাহায্যে করে - যে স্বপ্ন মানুষেকে বড় করে। আগামী পোস্ট গরম মসলা নিয়ে হবে সেখানে আপনার আমার প্রিয় এলাচি নিয়ে অবস্যই লেখো হবে। গরম মসলা এলাচি বিনা অন্ধ।
আপনার কি মনে আছে হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত নাটক “অয়োময়” এ এলাচি নাম কার ছিলো? আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো।
২৬| ০১ লা মে, ২০২০ সকাল ১০:৪০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আদা ও জিরা গাছের ফুল দেখিনি। দেখলাম। ধন্যবাদ। +++
০১ লা মে, ২০২০ সকাল ১০:৪৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মোঃ মাইদুল সরকার ভাই, আমাদের দেশে আমার জানামতে এই দুটি আদা বানিজ্যিকভাবে চাষ হয়। আদা বাংলাদেশে আমদানি নির্ভর পণ্য। জাপান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেসিয়া ব্রুনাই এক ধরনের সোনালী রঙের ছোট ছোট আদা দেখেছি অন্যান্য সাধারণ আদার চেয়ে বেশী দাম আর ঝাঁঝ এতো যে নাক কান গরম হয়ে যাবার মতো অবস্থা। স্থানীয় আদিবাসী ও মফস্বলের পরিবার মাংস রান্নায় মরিচ ছাড়া শুধু আদা দিয়ে ঝাল তৈরি করে। - সে স্বাদ ভুলার নয়।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো।
২৭| ০১ লা মে, ২০২০ সকাল ১০:৫৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এদেশে চাষীদের কথা কেউ মনে হয় কোনদিন ভাবেনি।আবার মুখে বলে কৃষকবান্ধব সরকার।
করনার কালে চাষীদের নিয়ে সরকার একটু ভাবলেও দেশের আর সব মানুষ চাষীদের নিয়ে বরাবরই নিরব।
দেশ যদি দূর্ভিক্ষে পড়ে সেদিনও মনে হয় চাষীদের কথা কেউ মনে করবে না।কারন তারাতো চাষী।
০১ লা মে, ২০২০ সকাল ১১:০৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মোস্তফা সোহেল ভাই, মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকারে অন্যতম ও ১ নম্বরে খাদ্যের অবস্থান, আর খাদ্য উৎপাদনে যারা রোদ বৃষ্টি ঝড় তুফান, হাড় ভাঙ্গা শীতের ভোরে মাঠে কাজ করেন যথায়থভাবে তাদের অবমূল্যায়ন না হলে কি আর দেশ পরনির্ভরশীল করা সম্ভব? চাষীদের কথা মনে রাখা যাবে না, চাষীদের বন্ধুপ্রতিম পরিবেশ কখনো করা যাবে না। এটি রাষ্ট্রীয় অলিখিত - - -
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো।
২৮| ০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৬
মেহবুবা বলেছেন: বেশ গুছিয়ে দিলেন মশলাদার ফুলের ছবি।
হলুদ ফুলের ছবি কি ঠিক আছে ? শঠি ফুলের মত লাগছে ।
@রাজীব নুর , ডুমুর একটা ফল সেটা যজ্ঞ ডুমুর হোক বা মিশরীয় ডুমুর (ত্বীন) যার কোন ফুল হয় না।
@আহমেদ জি এস কে লবঙ্গ, জাফরুল মবীন কে পোস্ত (পপি) এবং স্বামী বিশুদ্ধানন্দকে এলাচ ফুলের জন্য ধন্যবাদ ।
০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৫:০০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনার জন্য ক্লোজ আপ একটি হলুদ ফুলের ছবি।
আপনার মন্তব্য সত্য। ডুমুরের ফুল বলে অস্থিত্বহীন ফুলের কথা সাহিত্যে আছে। যতোটুকু মনে পরে আমার পোস্টে গত সাত বছরে এটিই আপনার প্রথম মন্তব্য - স্বাগতম। আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে আপনি ফুল সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা রাখেন। সুন্দর মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইলো।
২৯| ০২ রা মে, ২০২০ সকাল ১১:৩২
অন্তরন্তর বলেছেন: ঠাকুর ভাই আসলেই আমি এইসব ফুলের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। কতদিন আগে দেখেছি এবং তা মন থেকে হারিয়ে গেছে। অনেক ধন্যবাদ আবার সেইদিনে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার জন্য। প্রকৃতির ছুটি কেমন কাটছে? ভাল থাকুন সর্বদা।
০২ রা মে, ২০২০ রাত ১১:৫১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
অন্তরন্তর ভাই, জীবন এমন এক গতির নাম যে কিনা সময়ের মতো দুর্বার গতির অতীতকেও ভুলিয়ে দেয় আর ফুল সে তো সামান্য বিষয় মাত্র। আমরা কম্পিউটার সেলফোন রিবুট দেই, আমার কাছে মনে হচ্ছে সম্ভবত প্রকৃতি পৃথিবীকে রিবুট দিতে চাচ্ছে - এখন আমরা মানুষ সেই রিবুটকে মেনে নিলে আগামীতে আমাদের জীবন সুন্দর থেকে সুন্দরতম হবার কথা।
বাংলাদেশের সাগর হতে ডলফিন নামের সুন্দর এক মাছ রিতিমতো পালিয়ে বেঁচেছে! এখন শান্ত পরিবেশে তাদের আবার বঙ্গোপসাগরে দেখা যাচ্ছে। এবার পহেলা বৈশাখের নামে শুধুমাত্র বাংলাদেশে মাত্র একদিনে ৫,০০০ টন ইলিশ খাওয়া বন্ধ হয়েছে। ইলিশ মাছের বদদোয়া থেকে বাংলাদেশ এবার রেহায় পেয়েছে। কোরবানীর ঈদে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কোরবানী দেয়া থেকে বাংলাদেশ ছুটি নিক, অবসর নিক - এই কামনা করছি।
অবসরে যাবার আগে যে জীবনে এভাবে ছুটি পাবো তা কখনো ভাবিনি - আল্লাহর কাছে শুকুর গুজার করি। আপনার জন্যও দোয়া করছি ভাই ভালো থাকুন।
৩০| ০২ রা মে, ২০২০ রাত ৯:২৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই সব ফুল ই দেখেছি আমি !!
আমার ব্যালকনি তে জিরা আর ধনিয়া ফুল ছিল একসময়।
চমৎকার পোষ্ট !
০৩ রা মে, ২০২০ রাত ১২:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মনিরা সুলতানা আপা, গাছ সবার হাতে হয় না। আপনার হাতে গাছ হয়েছে - আপনি নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান মানুষ। আগামীতে গরম মসলা নিয়ে পোস্ট দিবো। আশা করি যথারিতি পাশে থাকেবন। নিরাপদ থাকুন। শুভ কামনা রইলো।
৩১| ০২ রা মে, ২০২০ রাত ৯:৩৮
মিরোরডডল বলেছেন: বাহ কি সুন্দর !
পেঁয়াজ আর মরিচ ছাড়া আর একটাও আগে দেখিনি ।
থ্যাংকস পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য ।
রসুন, হলুদ, আদা, জিরা এতো সুন্দর ফুলগুলো ।
বাই দা ওয়ে, ভয় লেখার পর একটা ফান স্টোরি লেখার কথা ছিল ।
ওটা কিন্তু হয়নি এখনও । মনে করিয়ে দিলাম ।
০৩ রা মে, ২০২০ রাত ১২:১৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বোন মিরোরডডল (কাঁচের পুতুল) আমার মনে আছে - আমি লেখছি সেই পোস্ট, অবস্যই সেটি আগামীতে পোস্ট হবে। সুন্দর মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সমস্যা হচ্ছে আমার পোস্টে লাইক কোথায়? আপনার কাছে লেখা ভালো লাগলে তো পোস্টে লাইক দেয়ার কথা। -যাইহোক, মজা করেছি। লাইক লাগবে না। আমার লেখা আপনাদের সবার কাছে ভালো লেগেছে এটিই বড় পাওয়া। শুভ কামনা রইলো।
৩২| ০৩ রা মে, ২০২০ রাত ১২:৩৯
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ ভাই, "আমি বন্দি কারাগারে ......." .
এলাচি চরিত্রে বিপাশা হায়াৎ অভিনয় করেছিলেন কি ? নাকি সারা জাকের ?
০৩ রা মে, ২০২০ রাত ১২:৫৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এলাচি সারা জাকের। বিপাশার নাম ছিলো লবঙ্গ।
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ ভাই আমিও বন্দি কারাগারে। আপনি ভালো কথা মনে করেছেন নিরাপদ সড়ক চাই, নায়ক ও কিশোগঞ্জের ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ের কথা মনে করিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৩৩| ০৩ রা মে, ২০২০ রাত ১:০৭
নীল আকাশ বলেছেন: এত সুন্দর একটা পোস্ট সম্ভবত সামুতেই সম্ভব। সবাই মিলে অসাধারণ একটা পোস্ট বানিয়েছেন। যারা পোস্টের সাথে আরও ছবি এবং লেখা যুক্ত করেছেন তাদের সবাইকে আমার পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা। এই ধরণের পোস্ট লেখা হয় দেখেই বার বার সামুতে ফিরে আসি।
গত একবছরের মধ্যে অন্যতম সেরা পোস্ট এটা।
বড় ভাই'কে অভিনন্দন জানাতে আবার ফিরে এসেছি।
শুভ রাত্রী।
০৩ রা মে, ২০২০ রাত ১:২৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
নীল আকাশ ভাইকে আমার প্রিয় একটি মিউজিক ভিডিও উপহার। শিল্পী লিও রজে কে সামনা সামনি দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এই লোকের মিউজিক দেখে মনে হয় সে সম্ভবত এই পৃথিবীর মানুষ না।
নীল আকাশ ভাই করোনা আক্রমণে সমগ্র বিশ্ববাসীকে সাবধান করেছেন প্রকৃতি, সাবধান করেছেন সৃষ্টিকর্তা - আমরা সাবধান হলে নতুন পৃথিবী দেখতে পাবো আগামীতে। ভালো থাকুন, শুভ রাত্রি।
৩৪| ১৮ ই মে, ২০২০ রাত ৩:৪৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বিজ্ঞ ব্লগার কেমন আছেন?
১৮ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:০৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
কবিতার জাদুকর সেলিম আনোয়ার ভাই, আমি ভালো আছি। আশা করি আপনিও ভালো আছেন। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আমাদের জেনারেশনে অনেক কিছু দেখেছি এখন পৃথিবী শেষ হবে এটিও দেখতে হবে।
দেখতে দেখতে পৃথিবী কেমন হয়ে গেলো - আর কি আগের মতো হবে? জানি না, কেউ জানেন না। ভালো থাকুন, শুভ কামনা রইলো।
৩৫| ২৩ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পরিচিত মশলা গাছের সুন্দর সুন্দর ছবি সব মুল্যবান বিবরণী সমৃদ্ধ পোষ্ট , প্রিয়তে গেল ।
আমিও একটি যুক্ত করে গেলাম ,সেটা আআমাদের সকলের অতি পরিচিত গুলমরিচ ।
খাবারের স্বাদ বাড়াতে গোল মরিচের তুলনা নেই। অমলেট, পাস্তা, সবজি ,সুপ, নুডল প্রভৃতি খাবারের সঙ্গে গোল মরিচের ব্যবহার জনপ্রিয়। স্বাদ ছাড়াও এর রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। গোল মরিচ গাছের আদি উৎস দক্ষিণ ভারত। পৃথিবীর উষ্ণ ও নিরক্ষীয় এলাকায় এটির চাষ হয়ে থাকে। গোল মরিচ ফলটি গোলাকার, ৫ মিলিমিটার ব্যাসের, এবং পাকা অবস্থায় গাঢ় লাল বর্ণের হয়ে থাকে। এর মধ্যে ১টি মাত্র বিচি থাকে। আমি পেষ্টা করেছিলাম আআমাদের দেশের বাগিতে গুল মরিচের গাছ জন্মানোর জন্য ,কিন্তু একটি পর্যায়ে এসে গজানো চাড়াগুলি মরে যায় আজ্ঞাত কারণে ।
অসুস্থতাহেতু ব্লগে বিচরন করতে পরিনি বলে অনেকের মুল্যবান লেখাগুণলি পাঠ করতে পারিনি ।
আমার সর্বশেষ পোষ্টে করা আপনার একটি মন্তব্যের উপর আমার প্রতিউত্তরের প্রতি আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
অগ্রীম ঈদ শুভেচ্ছা রইল
২৩ শে মে, ২০২০ রাত ৯:০৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ডঃ এম এ আলী ভাই,
আপনার জন্য আমি সব সময় দোয়া করি, ভাই আপনি ভালো থাকুন সুস্থ্ থাকুন। জীবন চলার পথ কখনো মসৃন হয় না। ১৯৭১ এ যারা যুদ্ধ করেছেন কারো বাঁচার আশা ছিলো না, বেঁচে গেছেন সাহসীকতায় আর গুরুজনদের দোয়ায়। আজো আপনাকে বলছি সাহস রাখুন। আমার বেহেস্তবাসী দাদীজান একটি কথা বলতেন “পুরুষ বাঁচে রাগে আর নারী বাঁচে লাজে” অর্থাৎ পুরুষ মানুষ ততোদিন বাঁচবেন যতোদিন রাগ আছে আর নারী ততোদিন বাঁচবেন যতোদিন লাজ আছে। ভাই সাহস রাখুন রাগ রাখুন আর আমরা সবাই আছি দুর দুরান্ত থেকেও আপনার পাশে থেকে দোয়া করছি। ডঃ এম এ আলী ভাই, আপনাকে আবারো অনুরোধ - একদম দুশ্চিন্তা করবেন না। মজাদার/ হাসির/ এ্যাকশন মুভি দেখুন। করোনা সংক্রান্ত সকল প্রকার নিউজ আর্টিকেল পড়া থেকে বিরত থাকুন।
আপনার জন্য রইলো “গরম পানি - লেবু - পুদিনা পাতা” ঈদ মোবারক। নিয়মিত ঔষধ সেবন করুন। ডাক্তার যেভাবে প্রেসক্রাইব করেছেন সেভাবে চলুন। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন ভাই। - ফি আমানিল্লাহ।
৩৬| ২৩ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৫৫
জুন বলেছেন: অনেক বছর আগে ব্লগার মেঘদূতের একটি পোস্টে মন্তব্যের ঘরে লিখেছিলাম, "এই দুনিয়ায় যত ফুল আছে তার প্রতিটিই রং আর নকশায় অনিন্দ্য সুন্দর। মালির হাতের সযত্ন চর্চিত বাগানের ফুল ছাড়াও যে কোন জংলী ফুলের কথাই ধরুন দেখে কখনো মনে হয়েছে কি ইশ এই ফুলটা কি বিশ্রী দেখতে "!
মশল্লার ফুলগুলোও তেমনি অসাধারণ ঠাকুর মাহমুদ।
+
২৩ শে মে, ২০২০ রাত ১০:২৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
৬০ - ৭০ দশকের কথা শীতের সিজনে আমরা সকলে গ্রামের বাড়ি চলে যেতাম, ভোর সকালে যখন জমি দেখতে যেতাম মনে হতো প্রতিটি জমি আর ফসল আমার কাছে জানতে চায় আমার কুশলাদি। স্মৃতি আনন্দ যেমন দেয় তেমন কষ্টও। মনে হয় এই তো সেদিনের কথা।
সরিষা অতি উন্নত ধরনের তেল এবং একটি আদর্শ মসলাও। সরিষার তেলে যেকোনো মাছের স্বাদ ঘ্রাণ অনেক বেড়ে যায় পাওয়া যায় খাবারের পরিপূর্ণ তৃ্প্তি। প্রতিটি ফুল সৃষ্টির এক অনন্য অসামান্য রুপ। আমার জীবনে এমন কোনো ফুল দেখিনি যা দেখে মনে হয়েছে ফুলটি সুন্দর না। প্রতিটি ফুল সুন্দর - খুবই সুন্দর। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। নিরাপদ থাকুন।
৩৭| ২৪ শে মে, ২০২০ রাত ৯:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: পরিচিত সব মসলা গাছের অপরিচিত সব ফুল - অতি চমকার একটি পোস্ট। এসব ফুলের কয়েকটির সাথে আগে থেকেই পরিচিত ছিলাম, কয়েকটির সাথে নতুন করে পরিচিত হ'লাম। আদা ও জিরা ফুল সত্যিই খুব সুন্দর। এসব ফুলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। অন্যান্য ব্লগারগণ তাদের মন্তব্যে আরো কয়েকটি ফুলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, তার জন্য তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাল থাকুন সপরিবারে। পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা---
২৭ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৪৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
খায়রুল আহসান ভাই,
ঈদ মোবারক ভাই। আশা করি সপরিাবরে ভালো আছেন, ভাই আমরাও ভালো আছি। খাইরুল আহসান ভাই, ফসলি জমির এক এক সময়ে এক এক রূপ হয়। ফসলে যখন ফুল আসে তা সত্যি দেখার মতো এক দৃশ্য! আর যখন ফসল পেঁকে আসে তা কতোটা মনোমুগ্ধকর যা গল্প করে শেষ করার মতো নয়। জিরা পেঁকে আসার সময় আকাশে বাতাসে যে ঘ্রাণ ছড়ায় তাতে মনে হয় জিরা খেতের পাশে বাড়ি করে থেকে যেতে পারলে মন্দ হতো না।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকুন নিরাপদ থাকুন।
৩৮| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:১৩
মিরোরডডল বলেছেন: বোন মিরোরডডল (কাঁচের পুতুল) আমার মনে আছে - আমি লেখছি সেই পোস্ট, অবস্যই সেটি আগামীতে পোস্ট হবে ।
কথা দিয়ে কথা না রাখলে তাঁদেরকে যেন কি বলে !
২৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৫৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছেন মে মাসে আমার লেখা কোনো পোস্ট নেই। আমি কিছুটা ব্যস্ত আছি গ্রামের বাড়ির ফসলি জমি নিয়ে। লকডাউনে ফসলি জমি ও পতিত জমিতে ফসল চাষ করে নিজে ও নিজের লোকজনকে কাজে লাগাতে চেষ্টা করছি। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন যা - তা হচ্ছে মানুষের মৌলিক অধিকারের তালিকায় ১ নম্বর: - খাদ্য। খাদ্য উৎপাদনে যদি কিছুটা সহযোগিতা করতে পারি নিজের কাছে ভালো লাগবে। আমি এ ব্যাপারে বিস্তারিত লিখবো তাছাড়া আপনাকে কথা দেওয়া পোস্টও। প্লিজ মন খারাপ করবেন না। আপনার পোস্ট দ্রুত পেয়ে যাবেন আশা করছি।
মন্তব্য ও মনে রাখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৩৯| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ৯:০১
মিরোরডডল বলেছেন: খুব ভালো একটা কাজ করছেন । জেনে খুশী হলাম ।
এসময় এর চাইতে প্রায়োরিটি আর কি হতে পারে !
ভালো থাকবেন ।
৪০| ৩০ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৪৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেকদিন আপনাকে দেখি না তাই খুঁজতে এসে পেলাম মশলা ফুলের ছবি। দারুণ পোষ্ট ।
যদিও অনেক আগের লেখা আমি কেন যে দেখিনি। অবশ্য আমিও ব্যাস্ত আছি ফুল ফোটানোর জন্য।
শীতকালে টবের গাছে মরিচ আর আলু ফুল ফুটেছে এবার।
সব গুলো ফুল দেখেছি নিজে গাছ লাগানোর পর। শুধু আদা ছাড়া। এবার আশা করি আদা আর রশুন হবে।
আমাদের দেশের বাড়িতে এলাচ গাছ ছিল দারুণ সুন্দর ফুল আর সুগন্ধ।।
ভালো থাকুক আপনার মশলা গাছ। ভালো থাকুন আপনিও।
০১ লা জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
রোকসানা লেইস আপা,
আপনি আমাকে খোঁজ করেছেন আমি বোন আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। বোনরে আমি কিছুটা ব্যস্ত আছি গ্রামের বাড়িতে ফসলি ও পতিত জমিতে চাষের ব্যবস্থা করেছি - নিজ এলাকায় প্রায় ৬০% ভিন্ন এলাকায় ৩০% কাজ হয়েছে বাকি কাজ চলছে। এই পৃথিবীতে মানুষের যা সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন তা হচ্ছে খাদ্য। মানুষের মৌলিক অধিকারের ১ নম্বর চাহিদা। আমি বিস্তারিত লিখবো এ বিষয়ে। দোয়া করি বোন আপনি ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
৪১| ০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৯
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পাহাড়ি আদার গাছ বা ফুল কোনোটাই আগে দেখা হয় নি। নতুন কিছু দেখলাম।
চমৎকার পোস্ট।
০৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
প্রোফেসর শঙ্কু ভাই, সত্যজিৎ রায়ের প্রোফেসর শঙ্কু আমার খুবই প্রিয় সিরিজ। আশাকরি আপনারও প্রিয় বলে ব্লগে আপনার আইডির নাম “প্রোফেসর শঙ্কু” আদা নিয়ে মজাদার একটি তথ্য দিচ্ছি - আদা গাছ হচ্ছে সেই গাছ যার শিকড় “আদা” হতে পুরো গাছ পাতা ফুল সব প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান ও ঔষধী।
ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো।
৪২| ০৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৮
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: হলুদ ফুল টা কি সত্যি হলুদ ফুল নাকি সমজাতীয় অন্য কোন কন্দের ফুল!! - (সাদা মনের মানুষ -ব্লগার) এর ছবিতে অন্য নাম দেখেছিলাম।
০৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বাঙলা নাম: শটি/ বন-হলদি/ জঙ্গলি-হলদি
বৈজ্ঞানিক নাম: Curcuma aromatica Salisb.
ইংরেজি নাম: Amomum zedoaria, Wild turmeric, Aromatic turmeric
সংস্কৃত নাম: গন্ধমূল (Gandhmul), শটি (Shati),
অরণ্যহলদিকন্দ (Aranyahaldikanda),
বনহরিদ্রা (Vanaharidra),
কস্তূরী-হরিদ্রা (Kasthuri-haridra)
পরিবার: Zingiberaceae
সমনাম:
Curcuma wenyujin Y.H.Chen & C.Ling
Curcuma zedoaria Roxb. [Illegitimate]
শঠিগাছ দেখতে দেশী আদা ও হলুদ গাছের মতো। যারা চেনেন তারা বিষয়টি সহজে ধরতে পারেন তাছাড়া পাতা ছিড়ে ঘ্রাণ নিলেও ধরা যায়। আদা গাছের পাতায় আদার ঘ্রাণ, হলুদ গাছের পাতায় হলুদের ঘ্রাণ আর শঠি গাছের পাতায় যে ঘ্রাণ তা আদা ও হলুদের সাথে কখনো মিলে না।
শঠি গাছের ফুল আর হলুদ গাছের ফুল দেখতে প্রায় এক রকম। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৪৩| ০৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৬
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: শঠীগাছ- বা বন আদা গাছ/ শঠীগাছ- বা বন আদা গাছ/
০৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
শটি/শঠি (Curcuma zedoaria) দেখতে হলুদ গাছের মতোই। স্থানীয় অন্যান্য নামের মধ্যে শঠি, সুগন্ধমূলা, সুভদ্রা, সৌম্যা, পলাশিকা ইত্যাদি অন্যতম। বর্ষজীবী গুল্ম বীরুৎ শ্রেণির গাছ। সাধারণত এক মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। বসন্ত-গ্রীষ্ফ্মে ভাওয়াল, মধুপুর জঙ্গল ও বরেন্দ্র অঞ্চলে শটির সুদর্শন পুষ্পদণ্ড চোখে পড়ে। লালচে-বেগুনি রঙের ব্রাক্টের ভেতর হলুদ রঙের ছোট ছোট ফুল থাকে। গাছের গোড়ার কন্দ বা গেড় কর্পূরগন্ধি, মাটির নিচে সমান্তরালভাবে আদা বা হলুদের মতো ছড়ানো স্বভাব। এতে আছে সিনিওল সেসকুইটারপিন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪০
ইসিয়াক বলেছেন: পোষ্টে ভালো লাগা।
শুভকামনা জানবেন প্রিয় মাহমুদ ভাই।