নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি বাংলাদেশ বলছি

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৬



প্রিয় দেশবাসী,
কিছুদিন যাবত অত্যন্ত বেদনা নিয়ে লক্ষ্য করছি ভাস্কর্য বনাম মূর্তি নিয়ে সবাই আলোচনা করছেন সমালোচনা করছেন। কেউ ধর্মের পক্ষ নিচ্ছেন, কেউ আধুনিকাতার পক্ষ নিচ্ছেন, কেউ হয়তো শিল্পমনার পরিচয় দিয়ে শিল্পের পক্ষ নিচ্ছেন। তবে পক্ষ নিচ্ছেন এ কথা সত্যি এখানে কোনো দ্বিমত নেই। কেউ কি দয়াকরে আমার পক্ষ নিয়েছেন? জ্বী আমি বলছি - আমি বাংলাদেশ

কেউ কি রাষ্ট্রপক্ষ নিয়েছেন? কেনো রাষ্ট্রপক্ষ নিতে পারেন নি? রাষ্ট্রপক্ষ নেওয়া কি বড় ধরনের অপরাধ! রাষ্ট্রপক্ষ নিতে হলে কি আপনাদের শিল্প শিক্ষা জ্ঞান ধুয়ে মুছে চলে যাবে? আপনারা কথায় কথায় শিল্পের অহংকার করেন, শিক্ষার অহংকার করেন, জ্ঞানের অহংকার করেন। রাষ্ট্র নিয়ে অহংকার করার মতো কোনো কাজ কি আপনাদের জ্ঞান শিক্ষা শিল্পে নেই!

আমি ভাস্কর্য মূর্তির বিরোধিতায় নেই। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমার বুকে সবার স্থান হয়েছে। আপনারা কিছুদিন পরপর কেনো ভাগাভাগি করে দাঙ্গা হাঙ্গামা তৈরি করে রক্তপাত করেন - আর কতো কাল! আর কতো কাল এমন হবে? নাকি চলতে থাকবে অনাদি অনন্তকাল! আপনাদের আলোচনা সমালোচনায় কেনো মূর্তি প্রসঙ্গ আসবে? - একটি ধর্মের অত্যন্ত সম্মানিত দেব দেবীর কল্পিত অবয়বে তৈরি হয়ে থাকে মূর্তি। ভাস্কর্যের সাথে মূর্তি প্রসঙ্গ কেনো আসবে। মানুষ ভক্তি ভরে মূর্তি পূজা প্রার্থনা করেন, মূর্তির কাছে মানুষ নিজেদের দুঃখ দুর্দশা কষ্টের কথা বলেন - তাতে করে মনে তৃপ্তি খুঁজে পান। মূর্তি হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ বছরের পুরোনো বিষয় যা অত্যন্ত সম্মানিত দেব দেবীর আদলে তৈরি আর ভাস্কর্য যে কোনো ব্যক্তির আদলে হতে পারে। মূর্তি প্রসঙ্গ এখানেই সমাপ্ত।

ব্লগ ফেসবুক টু্ইটার সয়লাব হয়ে গেছে আপনাদের ভাস্কর্য সমালোচনায়! নানা দেশের বিশ্ব বিখ্যাত ভাস্কর্য উদাহরণ দিয়েছেন! আপনার নিজ দেশে বিশ্ব বিখ্যাত এমন ভাস্কর্য কয়টি আছে? আপনার দেশে এখন পর্যন্ত ভাস্কর্য নামে যা হয়েছে এগুলো ভাস্কর্য! যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে আপনারা যেমন মিশর তুরস্ক সৌদি আরবের ভাস্কর্য উদাহরণ টেনে এনেছেন, মিশর সৌদি আরবের নাগরিক আপনার দেশের ভাস্কর্যের উদাহরণ দেওয়া তো দুরের কথা - তারা আপনাদের ভাস্কর্য না চিনে, না জানে, না দেখেছে, না কখনো দেখার সম্ভবনা আছে! কারণ কি? কারণ আপনারা ভাস্কর্য নামে যা তৈরি করেছেন তা না হয়েছে শিল্প না হয়েছে ভাস্কর্য! এগুলো নিছক নির্মান বলা হলেও আমি রাষ্ট্রের ভুল বিনিয়োগ। জ্বী আমিই রাষ্ট্র! আমিই বাংলাদেশ।

আমি হতদরিদ্র দুঃখী একটি দেশ। সমগ্র বিশ্বে আমার নামের পাশে হতদরিদ্র একটি চিত্র আঁকা হয়। আপনাদের যেমন লাভ লোকসান আছে আমারও লাভ লোকসান আছে। প্রিয় দেশবাসী আপনাদের দেশে প্রবাসের কয়জন নাগরিক ভাস্কর্য দেখতে আসেন! সেই ভাস্কর্যের ছবি তুলে কতোজন ফেসবুক টুইটার ইন্সটাগ্রাম পিন্টারেস্টে শেয়ার করেন? প্রবাসিরা কয়জন আপনার দেশের নাম ও দেশের ভাস্কর্যের ছবি প্রচার করেন? কিন্তু আপনারা গত কয়েকদিনে ভাস্কর্যের নামে নানা দেশের - নানা দেশের ভাস্কর্যের সুনাম ও প্রচার করেছেন? এই প্রচারে টাকা কি আপনাদের সৌদি আরব, মিশর, তুরস্ক দিয়েছেন - নাকি টাকা আপনার হতদরিদ্র এই দেশটির?

আপনারা কি এমন ভাস্কর্য তৈরি করতে পারেন যা দেখতে ভিনদেশীরা ছুটে আসবেন ছবি তুলে নিয়ে যাবেন, নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আগে ভাস্কর্য প্রাঙ্গণ হতে ছোট একটি ভাস্কর্যের সুভেনিয়র কিনে নিয়ে যাবেন! আপনাদের এই হতদরিদ্র দেশটি এই ভাস্কর্য বিনিয়োগে আয় করতে পারবেন, সম্ভব কি?


ইতি

আপনাদের হতদরিদ্র জনম দুঃখী দেশ
বাংলাদেশ


========================================================================
উপসংহার: ভাস্কর্য হতে হবে দেশের গৌরব, দেশের ইতিহাস, দেশের সৌন্দর্য, দেশের পর্যটন, সর্বোপরি দেশের ভালোবাসা। ভাস্কর্য যদি দেশের ভুল বিনিয়োগ হয় তাহলে এই ক্ষতি দেশের সমগ্র দেশবাসীর।
========================================================================

উৎসর্গ: আমার অত্যন্ত পছন্দের একজন ব্লগার। প্রিয় ব্লগার - বিদ্রোহী ভৃগু ভাই।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ।







মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাই,

অত্যন্ত যুক্তিনিষ্ঠ বক্তব্যে ভালোলাগা। উপসংহারটি যথার্থই হয়েছে।++
উৎসর্গে শ্রদ্ধা। পোস্টে প্রথম লাইক। ‌
আপনাদের দুজনকে অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভাস্কর্যের সাথে মূর্তি প্রসঙ্গ আনাটাই অন্যায় ও ভুল। পদাতিক চৌধুরি ভাই প্রথম মন্তব্য ও প্রথম লাইকে আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৩

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাস্কর্যের যা মান আর কম্পোজিশন ভ্যালু তাতে হতদরিদ্র ভাব ফুটে উঠে । ভাল ভাস্কর্য গড়তে হলে ভাল উপদেষ্টা চাই যারা দৃষ্টি নন্দন ভাস্কর্য গড়েছেন বিভিন্ন দেশে । আমাদের কিছু জঞ্জাল আছে যা ঠিকেদারদের রাজনৈতিক প্রভাবে তৈরি তা ভেঙ্গে নতুন করে করতে হবে । তাহলেই সুভেন্যির নিয়ে যাবে । অ ভাস্কর ঠিকেদার হটাতে হবে কারন এরা হেফাজতের থেকেও নিকৃষ্ট ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




হেফাজত শুধু ভাস্কর্যের পেছনে লাগেনি তারা মূর্তি নিয়েও কথা বলছে। হেফজতের ইতিহাস কয়দিনের আর মূর্তির ইতিহাস কতো সহস্র বছরের? হেফাজত দান খয়রাত লিল্লা ছদাকাহ খেয়ে খেয়ে জ্ঞান বিসর্জন দিয়েছে।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দেশ জুড়ে বিতর্ক। এটা আসলে অনভিপ্রেত।


আবেগের সাথে আছি, প্রিয় বাংলাদেশ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বাংলাদেশে বেকার সমস্যা বেড়েছে, বেড়েছে হেফাজতের দৌরাত্মা। দেশের কিসে ভালো হতে পারে তা নিয়ে কারো চিন্তা নেই। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আজ শাহবাগে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ ফজলুল হক এবং মামুনুল হককে গ্রেফতার করার জন্য ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। মনে হয় একটা বিশৃঙ্খলা হবে দেশে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




দেশের মানুষ ফরমালিন খেয়ে খেয়ে মাথা পুরোপুরি গেছে। ভাস্কর্য হোক তবে একদম সেই রকম ভাবেই হোক, যাতে দেশের সুনাম হয়, গর্ব হয়।

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাষ্ট্র বাংলাদেশ, ঠিক সুশৃংখল একটি রাষ্ট্র নয়।

রাষ্ট্র হলো একটি রাজনৈতিক সত্তা, যা আসলে একটি ভুখন্ড, যেখানে একটি জনসংখ্যা একটি সরকার নিয়ে, একটি সামাজিক ব্যবস্হার মাঝে বাস করেন। রাষ্ট্রের স্বাস্হ্য হলো, নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান। আমাদের রাষ্ট্রে সমস্যাপুর্ণ নাগরিকের সংখ্যা বেশী হওয়ায়, রাষ্ট্রের স্বাস্হ্য ভালো নয়।

মোল্লারা শেখ হাসিনাকে বাজিয়ে দেখছে; তারা বরাবরের মতো বাঘের লেজ দিয়ে কান চুলকাচ্ছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




এই দেশের মানুষ আর যাই ভাবুক রাষ্ট্র নিয়ে ভাবেন না। ধর্ম রাজনীতি পেটনীতি গুন্ডানীতি সবই আছে, রাষ্ট্রের ভালো মন্দ নিয়ে কেউ ভাবেন না। যদি ভাবতেন তাহলে আজ রাষ্ট্রের এই দুর্দশা হয় না।

তথাকথিত মোল্লারা মেমোরি লস রোগে ভুগছেন। মোল্লাদের টেকনিক্যাল শিক্ষা দিয়ে কাজে কর্মে লাগানো জরুরী ছিলো, তাদের পেশা ওয়াজ আর তাবিজ হতে পারে না। এটি গত পঞ্চাশ বছরের সর্বকালের সরকারে ভুল ও ব্যর্থতা।

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



মুল্যববান কথা সম্বলিত
পোষ্টটি সরাসরি প্রিয়তে ।
প্রচন্ড দাত ব্যথা নিয়ে পোষ্টটি পাঠ করছি
এখন বেশী কথা লিখতে পারছিনা ।
পরে এক সময় আসার চেষ্টা করব।

শুভেচ্ছা রইল

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ডঃ এম এ আলী ভাই,
বাসায় যদি আম গাছ থেকে থাকে গাছের পাতার রস / আম গাছের ডাল এর কষ ব্যথাযুক্ত দাঁতের মূলে দিতে পারেন আপনি আরাম পাবেন ইনশাল্লাহ। লবন গরম পানি কুলকুচিতে মোটামোটি আরাম পাবেন তবে আম পাতা বা আম গাছের ডালের কষ বাসায় উপযুক্ত ঔষধ। যথাসম্ভব তারাতারি দাঁতের ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হোন।

দোয়া রইলো।


৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
উৎসর্গ যতার্থ হয়েছে ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনি প্লিজ আপনার দাঁত ব্যথার উপশমের ব্যবস্থা নিন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা জানবেন।

৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন মুগ্ধতায় পাঠ করতে করতে রাষ্ট্র হিসেবে নিজের শুন্যতা গুলো অনুভব করলাম
জাতিগত দিকনির্দেশনা এবং রাষ্ট্র হিসেবে ব্রান্ডিং শুন্যতায় শত যোজন পিছিয়ে স্ব-দেশ
বৃহত্তর চিন্তায় ক্ষুদ্রস্বার্থ ত্যাগের চেতনা বিলুপ্ত প্রায়!
সাথে সাথে স্বপ্নের বীজও খুঁজে পেলাম- সেইরকম উপস্থাপনায়, বিদেশীরা আসছে- সুভ্যেনির কিনে নিয়ে যাচ্ছে
সোশাল সাইটে আইফেল টাওয়ারের মতো ব্রান্ডিংয়ে বাংলাদেশের ইন্ডিপেন্সে টাওয়ার.. আহা যে ঘোরের মাঝে ডুবে যাচ্ছি!

তারচে বেশি ঘোরে ফেলে দিলেন উপসংহারে
অন্তহীন কৃতজ্ঞতা, প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল সম্মানীত করায়।

বাংলাদেশের কথা শুনুক বাংলাদেশ
রেঙে উঠুক সেই স্বপ্নের রঙেে
আত্মমর্যাদা, স্বোভিমান আর জাতিগত ঔজ্জ্বল্যে উজ্জ্বল হয়ে উঠুক লাল সবুজের পতাকা।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বিদ্রোহী ভৃগু ভাই,
আপনি এ বিষয়ে পোস্ট না দিলে আমার এ লেখা পোস্ট দেয়া হয় না। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। বিদ্রোহী ভৃগু ভাই আমাদের দেশ অবস্যই সুন্দর একটি দেশ হবে, হয়তো সেদিন আমরা দেখে যেতে পারবো না। তবে সুন্দর দেশ হবে সেই স্বপ্ন দেখি।

আপনাকে আবারও ধন্যবাদ ও শুভ কামনা জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি ভালো থাকুন।

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৮

শাহ আজিজ বলেছেন: হেফাজত শুধু ভাস্কর্যের পেছনে লাগেনি তারা মূর্তি নিয়েও কথা বলছে

তাহলে হেফাজত চাইছে হিন্দু , বৌদ্ধ , খ্রিস্টান এদেশ ত্যাগ করুক কারন এরা সবাই মূর্তি পুজা করে ।

ভয়ঙ্কর উদ্দেশ্য নিয়ে এগুচ্ছে ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




এরা চুরান্তভাবে ধর্মবিদ্বেষ ছড়াতে চাচ্ছে। তারা চাচ্ছে বাংলাদেশে ভিন্নধর্মী মতালম্বিদের সাধে দ্বন্দ্ব হোক।

১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২০

রাজীব নুর বলেছেন: হেফাজতের এত সাহস হলো কি করে?? আমি সেই কথাই ভাবছি। শেখ হাসিনা এসব সহ্য করছে কি করে? আমি হলে তো এদের পিটিয়ে চামড়া তুলে ফেলতাম।

মানুষ না খেয়ে থাকলে হেফাজত কি তাদের ঘরে খাবার দিয়ে আসে?
বেকারদের কি হেফাজত চাকরি দেয়?
তাহলে ভাস্কর্য নিয়ে তাদের এত কথা কিসের?

আমার টাকা থাকলে বাংলাদেশের প্রতিটা স্কুল কলেজে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য দিয়ে ভরে ফেলতাম।

পোষ্টে সবার মন্তব্য পড়েছি। ভালো লেগেছে। দাঁত ব্যথা কমার নতুন কৌশল শিখলাম। আমার কিছু দিন পর পরই দাঁত ব্যথা শুরু হয়।

পোষ্টে আবার আসবো। আমাকে আসতে হবে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




এটি দাঁত ব্যথার সাধারণ ঘরে তৈরি ঔষধ। দাঁতের রুট নষ্ট হয়ে থাকলে এই ঔষধে সাময়িক কাজ হবে তবে উপযুক্ত হবে রুট ক্যানেল করে ফিলিং অথবা ক্যাপ করা।

হেফাজত পাগল হয়ে গেছে এখন তাদের ১৪টি ইঞ্জেকশন দেওয়া উচিত।

১১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাস্কর্য এত সহজ না,
ভাস্কর্য একজন ভাস্করের কবিতা .. অনেক অনেক সাধনা শিক্ষা দক্ষতা শিল্পি মন অনেক কিছু দরকার।
একটি ভাস্কর্য সম্পন্ন করতে একজন ভাস্করের বছরের পরিশ্রম মেধা।


ইসলামে তো অনেক কিছুই নিষেধ। কে মানে?
ইসলামে সুদ নিষেধ, ঘুষ নিষেধ, মিথ্যা বলা নিষেধ, সুদভিত্তিক প্রচলিত অর্থনীতি-ব্যাবসা নিষেধ।
নারী শিক্ষা নিষেধ, নারী চাকুরি করা নিষেধ।
আপাদমস্তক কালো বস্তা বন্ধি হলেও হবে না, নারী একা বের হওয়াই নিষেধ।
গান বাজনা সিনেমা কবিতা সব নিষেধ, ছবি আঁকা ছবি তোলা নিষেধ
ফুটবল ক্রিকেট সব খেলাধুলা নিষেধ এমনকি একক খেলা ঘুড়ী উড়ানো পর্যন্ত নিষেধ।
নারী রাজনীতি, নারী নেতৃত্ব নিষেধ।
এত কিছু নিষেধ। কিন্তু পৃথিবীর কোন মুসলিম বা মুসলিম দেশ এসব মানে না, কখনো মানে নি, ভবিষ্যতেও মানবে না।

কারন টা কোরান হাদিসে গান বাজনা নারী শিক্ষা ভাস্কর্য/মূর্তির পক্ষে শত শত উদাহরন আছে। বিপক্ষেও অনেক হাদিস আছে।
এই কারনে পৃথিবীর প্রতিটি মুসলিম দেশে ভাস্কর্য/মূর্তি আছে। গান বাজনা নারী শিক্ষাও আছে।
এদেশে ভাস্কর্য থাকবে এবং মুর্তি ভিত্তিক ধর্মের জন্য মূর্তিও থাকবে। দুটোই থাকবে দেশে। আগে যেভাবে ছিল। সারা পৃথিবীতে ভাস্কর্য আছে মূর্তিও আছে, সৌদি তুর্ক ইরান সহ প্রতিটি মুসলিম দেশে আছে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সেটাই। আমি বুঝতে পারছি না, দেশে হেফাজতে পাকিস্তান কেনো মূর্তির সমালোচনা করছে। হেফাজতের লোকজন কি মিষ্টি মন্ডা খায় - তাহলে নির্ঘাত তারা ধর্মচ্যুত হয়েছেন। কারণ মিষ্টি হিন্দুলোকের হাতে তৈরি। বাংলাদেশে এখনো মিষ্টি তৈরিতে ৭০% - ৯০% হিন্দু কারিগর।




১২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: শিল্প সাহিত্যের যতগুলো শাখা প্রশাখা আছে কেউ একা একা এগিয়ে যেতে পারে না।এগুলোর মূল চালিকা শক্তি হলে অর্থনীতি এবং রাজনীতি।সবগুলো যখন হাত ধরাধরি করে এগোতে থাকবে তখন বিশ্ব মানের সাহিত্য হবে সংগীত ,ভাস্কর্য সব হবে মান সম্মত তার আগে না।

এক অস্থির সময় পার করছে বাংলাদেশ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনার কথায় দ্বিমত করার কোনো ব্যবস্থা নেই। শতভাগ সঠিক কথা বলেছেন।
বাংলাদেশে রাজনীতি ব্যববহার করা হয়েছে শুধুমাত্র ক্ষমতা কুক্ষিগত করার কাজে আর অর্থনীতি সেই ক্ষমতার খরচ ও ব্যয়ভার বহনে - এ ব্যবস্থা থেকে বাংলাদেশের মুক্তি নেই। অসম্ভব।

১৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ভাস্কর্য বা মূর্তি আমাদের কোনো ক্ষতি করে না।
ক্ষতি করে ইয়াবা। হুজুরদের উচিত নেশা দ্রব্য নিয়ে চিৎকার চেচামেচি করা। বেকারত্ব নিয়ে চেচামেচি করা, দারিদ্রতা নিয়ে চেচামেচি করা।

এদের কবে জ্ঞান বুদ্ধি হবে? এরা আসলে জাতির শত্রু।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




হুজুররা আমাদের বেহেস্তে নিয়ে যাবার কথা, তারা দুনিয়া নিয়ে লেগে গেছেন। একজন আরেক জনের গীবত করেন, মাইকে করে গীবত করেন, ইন্টারনেটে গীবত করেন ইউটিউবে ভিডিও করে গীবত করেন। গীবত করে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার মতো মজা পান।

১৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

নীল আকাশ বলেছেন: যত ইচ্ছে ভাস্কর্য বানান। তবে সেই বানানোর সমর্থনে দয়া করে ধর্মীয় সার্পোট খুঁজার চেষ্টা করবেন না।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




রাষ্ট্রের টাকা - এই টাকা বিনিয়োগ করে খরচ করে জানাতে হবে মুনাফা হবে নাকি লোকসান। প্রবাসীরা দেখতে হুমড়ি খেয়ে পরবেন নাকি আমরাই শুধু চেঁচামেচি করবো।

আমার সহজ কথা টাকা ইনভেস্ট করবো আমাকে প্রফিট দিতে হবে। দেশ তো লিল্লা ছদাকায় চলে না, ঋণ এনে এনে ভরপুর এখন এই ঋণের টাকা বিনিয়োগে লাভ থাকতে হবে। আমি ধর্মীয় বিষয় আনিনি শুধু উল্লেখ করেছি সনাতন ধর্মকে টেনে আনা কখনো উচিত হবে না। ইসলাম ধর্মে কি বলেছে না বলেছে - আমার জানা নেই, আমি পাঁচ কলেমা জানি এর বেশী জানার প্রয়োজন আছে বলে প্রয়োজন মনে করি না।

আবারও বলছি টাকা ইনভেষ্ট করে প্রফিট দিতে হবে। এটা ভাস্কর্য হোক আর পদ্মা ব্রিজ সমস্যা নেই।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, অন্তত কিছুতো বলে গেলেন। পোস্টের ছবিটি এডিট করতেও কষ্ট হয়েছে আর লেখা তো অনেক দুরের চিন্তা। আমরা সবাই ব্লগে লেখালেখি করি ব্লগারদের চিন্তা ভাবনা জানার জন্য। নিজেদের চিন্তা ভাবনা শেয়ার করার জন্য।

আপনার প্রতি রইলো শুভ কামনা।

১৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

মেহবুবা বলেছেন: দেশকে নিয়ে এ জাতিকে নিয়ে সত্যি ভালবেসে ভাভতে পারে এমন মানুষ কমে যাচ্ছে !
সে সবের সময় কোথায়?

২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনি শতভাগ সঠিক। স্বার্থ মানুষকে এতোটঅন্ধ করেছে দেশকে নিয়ে ভাবার সত্যি সত্যি এখন মানুষ নেই। যে যায় লঙ্কায় সেই রাবন বনে যান। যদিও আমি মনে করি রাবনেরও নীতি ছিলো। আমাদের তাও নেই। আপনাকে বোন অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।

১৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬

মেহবুবা বলেছেন: দেশকে নিয়ে এ জাতিকে নিয়ে সত্যি ভালবেসে ভাবতে পারে এমন মানুষ কমে যাচ্ছে !
সে সবের সময় কোথায়?
(আগের মন্তব্য এ বানান ভুল আছে)।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমরা ভয়াবহ লোভে আছি, অমুক এই করেছে আমাকেও করতে হবে, লোভে স্বার্থে অন্ধ হয়ে দেশের ক্ষতি করছি তো করছি, খাদ্যদ্রব্যে ভেঁজাল, কথায় ভেঁজাল, লুটপাট, সর্বোপরি অন্যায়কে সরকারিভাবে প্রণোদনা।

রাষ্ট্র টাকা ইনভেস্ট করবে তাতে প্রফিট থাকতে হবে। একটি রাষ্ট্র কখনো চ্যারিটি হতে পারে না।

বোন বানান কিছু ভুল হতেই পারে ততোটুকুন আমাদের বুঝে নিতে হবে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




আপনার মতো আমারও জিজ্ঞাসা, দেশের ভাস্কর্য্গুলো কি আসলেই ভাস্কর্য নাকি ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের হাতে বানানো মাটির
এবড়ো থেবড়ো পুতুলের বড় ভার্সন ? একটা ভাস্কর্যের মধ্যেও আপনি নূন্যতম শৈল্পিক ছোঁয়া পাবেন না। কিম্ভুত-কিমাকার, জবর জং সব জঞ্জাল। আমাদের ভাস্করদের চেয়ে প্রতিমা গড়ার কারিগরেরাও ভালো কাজ দেখায়।
বাইরের বিশ্বের ভাস্কর্যগুলোর দিকে তাকালে হা হয়ে থাকতে হয়। অবাক লাগে এতো নিঁখুত করে [ মানব শরীরের প্রতিটি মাংসপেশী কিম্বা পরিধেয় বস্ত্রের ভাজ, অভিব্যক্তি সবটাই একেবারে বিমূর্ত, যেমনটা হওয়া উচিৎ তেমনটাই যেন! ] কি ভাবে এমন ভাস্কর্য নির্মান সম্ভব!

গরীব দেশের ভাস্কর্যগুলোও তাই গরীবি হালতের। দেশের যেখানেই ভাস্কর্য দেখেছি সেদিকে একবারের বেশী তাকাইনি। কষ্ট লেগেছে শিল্পীর শিল্পবোধের অভাব আর টাকার শ্রাদ্ধ দেখে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আহমেদ জী এস ভাই,
প্যান প্যাসিফিক সোনারগাাঁও হোটেলে মোড় পশ্চিম পার্শে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের (হয়তোবা) একটি ভাস্কর্য ছিলো (আমি জানি না এখনও আছে কিনা, সেন্ট্রাল ঢাকার দিকে অনেক দিন হলো যাই না) বাঘ দেখে বোঝার উপায় নেই এটি বাঘ নাকি অন্য কিছু। কারণ - বিড়ালও বলতে পারছি না। বাঘটি প্রতিবন্ধি কোনো বাঘের ভাস্কর্য হতে পারে। শরীরের তুলনায় মাথা অত্যন্ত ছোট! যিনি এই ভাস্কর্য করেছেন তিনি টেলিভিশনেও কখনো বাঘ দেখেন নি - আমি নিশ্চিত।

রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ কেনো এতো অবহেলিত ও নিম্নমানের হবে এ নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন করেন নি। অযথা ধর্ম নিয়ে মূর্তি নিয়ে কলহ করছেন। আপনি আমার লেখা পোস্টের যে মূল্যায়ন করেছেন আমি সত্যি সত্যি কৃতজ্ঞ ও সম্মানিত বোধ করছি। রাষ্ট্র যে ইনভেস্ট করবে তাতে প্রফিট নিয়ে আসতে হবে। রাষ্ট্র কোনো চ্যারিটি তো নয়।

শুভ কামনা রইলো।

১৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০২

ঢাবিয়ান বলেছেন: রাস্টের খুব ভাল করেই জানার কথা ভাস্কর্য ও মুর্তির ব্যবধান । সভ্য , উন্নত রাস্ট্রে কখনই এই জাতীয় ইস্যূ তৈরী হয় না। হেফাজত নামের কোন মৌ্লবাদীর শক্তির উত্থানও হয় না। আমাদের সমস্যা গোড়ায়।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




রাষ্ট্র হচ্ছে মা। মায়ের সাথে আক্রোশ রাজনীতি জঙ্গিবাদ মৌলবাদ ধর্ম করা যাবে না। রাষ্ট্রের সাথে জড়িত স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসা। দেখতে হবে কে রাষ্ট্রকে কি দিচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় টাকা ইনভেস্ট করবেন রাষ্ট্রকে মুনাফা বুঝিয়ে দিতে হবে এটি আমার সহজ শর্ত। আমি ধর্মকর্ম মৌলবাদ কৌলবাদ বুঝিনা। জঙ্গি মৌলবাদ হেফাজত এগুলো বুঝার জন্য দেশে আইন আছে প্রশাসন আছে সরকার আছে।

১৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: এই সব হেফাজতের হুজুরেরা খুব ভয়ঙ্কর।
সরকারকে সাহসীকতার সাথে এদের প্রতিহত করতে হবে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সরকার সবই বুঝে - বুঝে শোনেই সকল কাজ করে।

২০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৯

সাবিনা বলেছেন: ঠিক! অনন্তকালই মনে হয় চলবে বিভক্তি বিভাজনের খেলা! X(

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সত্যি বলেছেন। এ খেলা চলতেই থাকবে। অনাদি অনন্তকাল। মানুষ রাজনীতির কাছে কতোটা অসহায় তা যদি “মানুষ” ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারতো।

শুভ সকাল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা জানবেন।

২১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
আমি আপনার পোস্ট বিস্তারিত আলোচনা করি। কিন্তু ভৃগু ভাইয়ের একটা পোস্ট নিয়ে এখন অনেক কিছু লিখতে হচ্ছে। তাই শুধু পোস্ট দেখে গেছি। সময় হাতে পেলে আবার এখানে ফিরে আসার ইচ্ছে আছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: @ঠাকুরমাহমুদ,রাষ্ট্র কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয় যে,লাভের জন্য ইনভেস্ট করবে।রাষ্ট্র সকল কাজ করবে জনকল্যানে।জনগনের টাকায় জনকল্যানমূলক কাজ করবে।

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: রাষ্ট্র সকল কাজ করবে জনকল্যানে।জনগনের টাকায় জনকল্যানমূলক কাজ করবে। রাষ্ট্র তো সেটাই করে যাচ্ছে। জনগণের টাকায় পাপিয়া, সম্রাট, হানিফ, দরবেশ বাবা ও ওসি প্রদীপের মতো লাখো লাখো সাচ্চা লোকের জন্য কল্যানমুলক কাজই করে যাচ্ছে গোটা রাষ্ট্রযন্ত্র।


ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: নুরুলইসলা০৬০৪ আপনি ঠিক বলেছেন। আপনি ১০০ভাগ সঠিক আর এই কারণেই রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানা যতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো সব স্ক্র্যাপে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্র ঋণ করে লিল্লা ছদাকায় দান ক্ষয়রাতে আর চুরি চামারি করে চলবে, রাষ্ট্রের নিজস্ব কোনো আয় ও ফান্ড থাকবে না। - সাবাস।

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আমি হিব্রু ভাষায় লেখালেখি করি, যারা আমার লেখা বুঝতে পারেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ থাকবে সব সময়।

ভাই নীল আকাশ: - রাষ্ট্রের টাকা নিয়ে ধর্ম কেওয়াজ লেগে গেছে, টাকা ধর্ম আয় করে দেয়? এই টাকা ধর্ম বর্ণ নির্বি শেষে সকল মানুষের রক্ত ঘাম মিশ্রিত টাকা। এই টাকা ব্যয় করতে হলে এর কারণ লাভ লোকসান দেখাতে হবে।

২২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: ধর্ম কর্ম তর্ক বিতর্ক সব বাদ দিলামঃ
যমুনা টিভির অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান 360 ডিগ্রী। লুটপাটের সব যায়গা শেষ করে এখন শুরু করেছে ভাস্কর্য নির্মাণের নামে লুটপাট। চট্টগ্রামের এক ভাস্কর্য নিয়ে যমুনা টিভির 360 ডিগ্রী অনুষ্ঠানে সুন্দর লুটপাটের প্রতিবেদন দেখানো হল। ভাস্কর্য শিল্পীর সাথে চুক্তি করেছে ১৮ লাখ টাকায় আর হিসাবে দেখিয়েছে ৮৬ লাখ টাকা! প্রকল্পে মোট খরচ যেখানে হয়েছে দুই কোটি টাকার মত সেখানে ৫ কোটি খরচ দেখিয়ে এখনো কাজ শেষ হয়নি। আবার নতুন বরাদ্দ চেয়েছে কাজ শেষ করতে!
দেশব্যাপী ভাস্কর্য নির্মান করছে স্থানীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারকে তেলে ভাসিয়ে নিজেদের লুটপাটের জায়গাটা নির্বিঘ্ন করতে চায়। স্থানীয় সরকার ভালোবাসার যায়গা থেকে ভাস্কর্য নির্মান করছে বিষয়টি এমন না। তারা নিজেদের লুটপাট ঠিকঠাক রাখতে নাম ব্যবহার করছে মাত্র। এই লুটপাটের সাথে জড়িত আছে মেয়র থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার। এরা অন্যের আবেগকে কাজে লাগিয়ে ভাস্কর্যকে লুটপাটের মেশিন হিসাবে ব্যবহার করছে। অনুষ্ঠানে দেখবেন এক পর্যায় সাংবাদিককে ঘুষ দিতে যায় সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার। এসব লুটপাটের ভাস্কর্য নির্মান বন্ধ করা অতীব জরুরী।

দেশের মানুষ আসল কাজ বাদ দিয়ে অন্য সব কিছু ব্যস্ত থাকে। দেশে এই মহা দূর্নীতি আগে বন্ধ করতে হবে।
ধন্যবাদ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




নীল আকাশ ভাই,
দেশের জন্য দেশের মঙ্গলের জন্য কেউ কাজ করেন না। সবাই নিজ নিজ স্বার্থে অন্ধ বধির হয়ে আছেন। মাঝে থেকে ভুক্তভোগী আমরা সাধারণ জনগণ। এই টাকা দিয়ে দেশের অবহেলিত নিপিড়িত শিশু শ্রমিক - কিশোর শ্রমিকদের জীবন বদলে দেয়া সম্ভব।

আপনাকেও ধন্যবাদ।


২৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: মন্তব্য লেখা আমার নয়। ব্লগার ফয়জুল মহী আমার গ্রুপে একটা পোস্টে সূত্র সহ এই ভয়ংকর তথ্য দিয়ে লিখেছিল।
এরপরও ভাস্কর্য বানাতে চান?

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমি ভগবান শিবের মূর্তি বানাবো এতে আমার প্রফিট আছে সম্মান আছে তবে ভাস্কর্য বানাবো না - লস প্রজেক্টে আমি টাকা দিতে রাজি নই।

২৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৯

ফটিকলাল বলেছেন: এরকম লুটপাট তো পদ্মা সেতু নির্মানে হচ্ছে, হাসপাতাল সহ অহরহ কাজে হচ্ছে, তাহলে সেগুলো নির্মান বাদ দেয়া হোক। রাস্তা ব্রীজ এমনকি সরকারী অর্থে কোরান শরীফ হাদিসের অর্থ অনুবাদ এমনকি মসজিদ মাদ্রাসা নির্মান হচ্ছে সবই বাদ দেয়া হোক।

কি বলেন @নীল আকাশ?

২৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১২

ফটিকলাল বলেছেন: বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মসজিদ সরকারী জায়গা দখল করে অথচ সেগুলো নিয়ে মৌলবাদীরা চুপ। যত সমস্যা ভাস্কর্যে। যত জ্ঞান, বিনিয়োগ, বিদেশী আকর্ষন সব ভাস্কর্যের ওপর।

মৌলবাদীদের সাথে যোগ দিয়েছে ছুপা শয়তান গুলো। অসহ্য লাগে এসব দেখতে।

২৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: @ ব্লগার ফটিকলাল, আমি কি বলেছি ভালো করে পড়ূন আগে? আমি ২২ নাম্বার মন্তব্যে কাজের মাঝে দূর্নীতির ফিরিস্তি দিয়েছি। তারপর বলেছি দেশে এই মহা দূর্নীতি আগে বন্ধ করতে হবে।
আমি কি কোথাও বলেছি কাজ বন্ধ করতে হবে? অর্ধেক লেখা পড়ে কাউকে কিছু বলবেন না।
দূর্নীতি বন্ধ করতে বললে আপনার অসুবিধা কোথায়? নাকি দেশে এইসব দূর্নীতিকে আপনি সমর্থন করেন?
স্পষ্ট করে বলুন?
২ দিন ২ ঘন্টা ব্লগীং করে কে কি রকম এত তাড়াতাড়ি চিনে ফেলেছেন? এত অভিজ্ঞতা? মাল্টি নিক নাকি?
মাল্টি নিকের নোংরামী ব্লগে বন্ধ হয়েছে অনেক আগে। দয়া করে এইব নোংরামী আবার ব্লগে শুরু করবেন না।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




নীল আকাশ ভাই,
ফটিকলাল নামক আইডি থেকে ব্যক্তি আক্রমণের কারণে আমার পেজ হতে তাকে ব্যান করেছি। মাত্র ২৪ ঘন্টা সময়ে আইডি খুলে কেউ ব্যক্তি আক্রমণে লিপ্ত হবে - এটি হতে পারে না। আমরা সহস্র শ্রম ঘন্টা ব্লগে ব্যয় করেছি। মাত্র ২৪ ঘন্টা সময়ে আইডি খুলে ব্যক্তি আক্রমণ করার মতো সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না।

আপনাকে ধন্যবাদ।

২৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

ফটিকলাল বলেছেন: বাহ, এডহোমিনেম ফ্যালাসী। এটাই স্বাভাবিক। তারপরও সেটাকে ইগনোর করলাম।

দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে তাহলে আমার প্রশ্ন এখানেই নতুন নতুন মসজিদে যেসব দুর্নীতি হচ্ছে এবং নতুন জায়গা দখল করে কিছুদিন আগে ফরিদপুর রংপুর পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গার পাড়ে নতুন মসজিদ তৈরী হলো সেগুলো নিয়ে তখন আপনার এবং আপনাদের বক্তব্য কি ছিলো সেটা একটু জানান!

যদি আমরা প্রোডাক্টিভিটির কথাই ধরি ভাস্কর্যের চাইতেও মসজিদ মাদ্রাসার প্রোডাক্টিভিটি ইহজাগতিক তেমন দেখা যায় না। এছাড়া ফরিদপুর, ফুরফুরা চরমোনাই বা পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গার তীরে যেসব বড় মসজিদ লাগাইয়া মাদ্রাসা এমনকি কল্যাণপুরে প্রথমে মসজিদ এবং পরে সেটা থেকে মাদানী মার্কেট সেসব ব্যাপারে আপনাদের কোনো উচ্চবাচ্য থাকে না অথচ এগুলো একটা ফৌজদারী অপরাধ।
আপনাদের সে বিষয়ে বক্তব্য আগে কখনো দেখিনি? কেন ঠিক ভাস্কর্যের সময়েই আপনারা সরকারী গোষ্ঠির দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হলেন? সিলেক্টিভ প্রতিবাদের ব্যাপারে আপনার ব্যাক্তিআক্রমন বিবর্জিত বক্তব্য আশা করছি

২৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৪০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ ভাই,

ভাস্কর্য নিয়ে যা হচ্ছে তা দুই পক্ষের হালুয়া রুটির জন্য "সারভাইভাল অফ দা ফিটেস্ট"।

ধর্মকে বিভিন্ন সময়ে কাস্টমাইজ করা হয়েছে একশ্রেণীর ধর্ম ব্যবসায়ী ও সমাজপতিদের সুবিধার জন্য এবং এখনো তা করা হচ্ছে। সুতরাং এখন ভাস্কর্যের জন্য যাদের ঈমানী জোশ দেখা যাচ্ছে, মহানবী ( সা: ) এর অনুসরণীয় অন্যান্য গুণাবলী (সততা, আমানত রক্ষাকারীতা, সত্যবাদিতা, ক্ষমাশীলতা) রক্ষার জন্য এদের মধ্যে সেই জোশ সর্বদাই অনুপস্থিত।

অন্য দিকে আরেকপক্ষ বর্তমানে লুটপাটের ভাগবাটোয়ারার জন্য যতরকম তৈলমর্দনকারী পন্থা আছে তা প্রদর্শনে মরিয়া হয়ে গেছে। দেশপ্রেম ও জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের নামে এই সকল তস্কর শ্রেণী এখন লুটপাটের নানান পন্থা উদ্ভাবনে ব্যস্ত। ব্লগার নীলাকাশের এই মন্তব্যের সাথে আমি সহমত যে "লুটপাটের ভাস্কর্য নির্মান বন্ধ করা অতীব জরুরী"।

ধর্মের প্রতি ও দেশের প্রতি ভালোবাসা কারো বাপদাদার একক সম্পত্তি নয়। আমাদের মধ্যেও এই দুটির কোনোটিরও বিন্দুমাত্র কমতি নেই উপরের দুই পক্ষের থেকে। দেশ ও ধর্মকে কন্ট্রোল করার মনোপলি কোনো লুটেরা, তস্কর ও সন্ত্রাসীদের দেয়া যায় না - কোনোভাবেই

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




স্বামী বিশুদ্ধানন্দ ভাই,
আসলেই ভাস্কর্য নিয়ে দুই পক্ষের হালু রুটির কামড়া কামড়ি চলছে। মাঝে কিছু অনাথ মাদ্রাসার ছেলেপুলে হতাহত হলে মজাই মজা। ভাই এই দেশে ধর্ম আর রাজনীতি হচ্ছে মূদ্রার এপিঠ উপিঠ।

জাতির জন্য ভাস্কর্য নামে ভাগাড় তৈরি হচ্ছে আর কিছুই না। দেশে করোনা প্রকোপ দিন দিন বেড়ে চলছে সেসব নিয়ে চিন্তা নেই ইট পাথরের ব্যবসার নামে চলছে চুরি ডাকাতি লুট। আস্ত ব্যাংক লুট হয়ে গেছে তখন দেশের মানুষ কোথায় ছিলো - কোথায় ছিলো ধর্মকর্ম কোথায় ছিলো সচেতনতা? আমি বুঝতে পারছি না মূর্তি মূর্তি করে সনাতন ধর্মকে কেনো টেনে আনছে গাধার দল। দেশে তো হিন্দু মুসলিম রায়ট লাগিয়ে দিবে।

এবার পেঁয়াজ ব্যবসার নামে ডাকাতি করতে পারেনি তাই মাথার চান্দি হট হয়ে আছে দালাল গংদের। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন।


২৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৭

ডাব্বা বলেছেন: ভাস্কর্যকে মূর্তি থেকে আলাদা না করতে পারলে এই সংঘাত চলতেই থাকবে। এটা কোন ফিলোসফিক আলোচনার বিযয় হতে পারে না।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




চলুক সংঘাত। একটি না একটি কিছুতো চলতে হবে। রাজনীতি হচ্ছে দেশে কিছু না কিছু চালিয়ে খাওয়া। চলুক সংঘাত। মরুক পঙ্গপাল। যারা মরবে এরা মানুষ না এরা পঙ্গপাল। আর যারা মারবে এরাও মানুষ না এরা কিলার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.