নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful
হাজী আব্দুর রহিম সাহেব নিতান্ত ভালো মানুষ, বয়স আনুমানিক ষাট। ঢাকা - সিলেট হাইওয়েতে তার একটি মটর কার ওয়াশিং গ্যারেজ আছে। মটর সাইকেল, কার, মাইক্রো, পিকআপ, সিএনজি সাবান পানি দিয়ে ধোয়া থেকে শুরু করে ইঞ্জিন অয়েল, টায়ার সহ গ্যারেজের আনুসঙ্গিক কাজ কারবার করেন। গ্যারেজে হাজী সাহেব সহ মোট ছয়জন প্রচন্ড পরিশ্রমের সাথে ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করেন। গ্যারেজের সকল কর্মীকে তিনি নিজের পরিবারের সদস্য মনে করেন তাতে করে বলা যায় হাজী সাহেবের পরিবার বেশ বড় পরিবার।
হাজী সাহেব খুব চেষ্টা তদবির করছেন কোনো একটি ইঞ্জিন অয়েলের ডিলারশিপ নিতে তাতে করে ব্যবসা প্রসার হবে - সবাই হয়তো স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারবেন। একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে বেশ ভালো সম্পর্কও আছে। লক ডাউন শেষ হবার সাথে সাথে তিনি ঢাকা ছুটেছেন পকেটে মাত্র ৬০০ টাকা ক্যাশ, এটিএম কার্ড আর ব্যাংকের চেক বই সহ মান্ধাতা আমলের একটি স্যামসাং সেলফোন।
একই রঙ একই ডিজাইনের টি শার্ট পরা চারজন ছেলেমেয়ের একটি হাসি খুশি দল হাজী সাহেবকে পেয়ে ফ্রি মাস্ক উপহার দিলেন - তারা কোনো একটি এনজিওর হয়ে কাজ করছেন। হাতে ব্যাগ ভর্তি মাস্ক। হাজী সাহেব পুরাতন মাস্ক খুলে হাসি মুখে সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে নতুন মাস্ক পরেই অজ্ঞান হয়ে পরে গেলেন। দলটি হাজী সাহেবকে নিয়ে একটি গাড়িতে তুলে পকেট হাতড়ে! যা পেলেন তাতে হয়তো হতাশ হয়েছেন। অজ্ঞান অসহায় হাজী সাহেবকে ফেলে চলে গেলেন ৩০০ ফিট সড়কের খালের পাশে। তখন বেলা আনুমানিক সকাল ১০:৩০ - ১১:০০।
সড়কের পাশ হতে তাকে তোলার বা দেখার কেউ রইলো না। বিকালে পূর্বাচলে বেড়াতে যাওয়া একদল তাকে উদ্ধার করেন এবং নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাজী সাহেবের বয়স ও শারীরিক অবস্থা এই দখল সইবার মতো ছিলো না, তার মাত্র একবার জ্ঞান ফেরে, অশ্রুসজল চোখে তিনি ব্যাকুল হয়ে তার সন্তানদের খোঁজ করেন। এবং হাসপাতালে নিজের অবস্থার বর্ণনা কর্তব্যরত নার্সদের বলে যেতে পেরেছেন মাত্র।
আত্মকথা: আমাদের দেশে কেয়ামত শুরু হয়ে গেলেও সেই সময়ে একদল লোক থাকবেন যারা লুটপাট চুরি ডাকাতি ছিনতাই সহ নানান অপরাধমূলক কাজে লেগে যাবেন - এই সুযোগ কোনোভাবেই হাত ছাড়া করবেন না। তাই দেশের প্রতিটি নাগরিক নিজ দায়িত্বে সাবধান থাকতে হবে। এছাড়া আর কিছু করার আছে বলে আমার ব্যক্তিগতভাবে জানা নেই।
ছবি: গুগল সার্চ ইঞ্জিন
কৃতজ্ঞতা স্বীকর: সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
উপায় নেই। আমাদের নিজেদের নিজেদের সাবধান থাকতে হবে। আমাদের দেশের সময়! - সব সময় এমনই ছিলো।
২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
এই প্রশাসনের অধীনে অবস্হা এর থেকে ভালোর দিকে যাবে না। শেখ হাসিনা মানুষের জীবন নিয়ে ভাবছেন বলে মনে হয় না।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমরা নিজেরাও কখনো ভালো মানুষ ছিলাম না, ভালো মানুষ হবার কোনো সম্ভবনাও নেই। ১৭ কোটি মানুষের পিঠে ১৭ কোটি বন্দুকবাজ বন্দুক তাক করে থাকলেও এই জনগণ শুধরাবার না।
৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইদানিং ঢাকায় এই বিষয়টা দেখা দিয়েছে।সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।লিখে খুব ভাল করেছেন।অনেকেই উপকৃত হবে।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
নিজ দায়িত্বে নিজ নিজ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আমাাদের দেশের মানুষের চেয়ে আফ্রিকার মানুষ শতগুণ ভালো মানুষ।
৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৯
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: কারাদন্ড আজ অর্থদন্ডে পরিনত হয়েছে। প্রশাসন আর অসাধুরা মিলে গড়ে তুলছে অসংখ্য গ্যাঙ্গ। অন্যায় কারী দের পতন অতি দ্রুত কামনা করছি।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি ভালো একটি শব্দ মনে করে দিলেন - দেশে গ্যাং তৈরি হয়েছে প্রচুর। এরা সম্মিলিতভাবে নানান অপরাধমূলক কাজ করেই যাচ্ছে - করেই যাচ্ছে।
৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: তাই দেশের প্রতিটি নাগরিক নিজ দায়িত্বে সাবধান থাকতে হবে। এছাড়া আর কিছু করার আছে বলে আমার ব্যক্তিগতভাবে জানা নেই।
জ্বী, আপনার মতো আর কারোও জানা নেই।
আমাদের দেশে কেয়ামত শুরু হয়ে গেলেও সেই সময়ে একদল লোক থাকবেন যারা লুটপাট চুরি ডাকাতি ছিনতাই সহ নানান অপরাধমূলক কাজে লেগে যাবেন - এই সুযোগ মিস করবেন না।
আমরা বেশীর ভাগ লোকই ভালো শুধু গুটি কয় লোক খারাপ।
এই বলে আমাদের সান্তনা দেয়া হয়। আসলে ঐ গুটিকয় লোক আমাদের সবাইকে ঠকাচ্ছে সেটা বলবেনা।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আসলে ঐ গুটিকয় লোক আমাদের সবাইকে ঠকাচ্ছে সেটা বলবেনা। - এটি কে বলবে? কোথাও কেউ নেই। আমার খুবই প্রিয় একটি কথা “কে শোনে কার কথা ধুলায় অন্ধকার” আমাদের সমাজে, দেশে এই অবস্থা বিরাজ করতে থাকবে - করতেই থাকবে।
৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: শুধু নিজে সাবধান থাকলে হবে না। আশে পাশের সবাইকে নিয়ে সাবধান থাকতে হবে। সবাইকে নিয়েই তো ভালো থাকা দরকার।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সবাইকে নিয়ে ভাবনার কারণেই এই পোস্ট। নয়তো কষ্ট করে কি আর এই ঘটনা লিখি বলেন? লেখালেখি কষ্টের কাজ। আপনি কেমন আছেন?
৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৪
রামিসা রোজা বলেছেন:
সুযোগসন্ধানীরা কতোভাবেই না মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে।
এই করোনাকালেও এরা থেমে নেই ।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমাদের দেশে ক্রাইম যেকোনো সময় যেকোনো অভিনব পদ্ধতিতে শুরু হতে পারে। সাধারণ জনগণের উচিত হবে অপরিচিত কারও কাছ থেকে একটি সুতাও গ্রহণ না করা।
৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সবাইকে নিয়ে ভাবনার কারণেই এই পোস্ট। নয়তো কষ্ট করে কি আর এই ঘটনা লিখি বলেন? লেখালেখি কষ্টের কাজ। আপনি কেমন আছেন?
রাস্তা ঘাটে অনেককেই দেখি মাস্ক নেই। কেউ কেউ মাস্ক থুতনিতে রেখে দেয়। কেউ রেখে দেয় পকেটে- তাদের সবাইকে আমার চাবুক দিয়ে মারতে ইচ্ছা করে।
সত্যিকার অর্থে আমি ভালো নেই।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমাদের একমাত্র অস্ত্র হচ্ছে সচেতন থাকা, এই সচেতনতা যদি পরিহার করি তাহলে এবার শীতে বাংলাদেশে কেয়ামত হয়েও যেতে পারে - বলা যায় না (আল্লাহ সবাইকে ক্ষমা করুন)।
পিটিয়ে মানুষ করার পদ্ধতি মাদ্রাসাতে আছে। এটি কতোটুকু কার্যকর আশা করি সবাই জানেন। ভালো থাকার সংজ্ঞা কি এটি বুঝতে পারলে ভালো থাকা মোটামোটি সহজ, খুব একটি কঠিন কাজ না। আপনার মন্তব্যটিতে পাঁচটি লাইক দেয়ার ব্যবস্থা থাকলে দিয়ে দিতাম কারণ আপনি আজ বড় মন্তব্য করেছেন। - গুড জব।
৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: দেশ এখন অনেক কিছুর মহাসড়কে আছে । সাথে সাথে ডিজিটাল আইন আছে । তাই চুপ থাকা ভালো
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মহাসড়ক থেকে একদিন হয়তো রেল পথে যাবে রেলপথ থেকে আকাশ পথে! চুপ থেকে যদি নিরাপদ থাকা যায় তাহলে অবস্যই চুপ থাকাই মঙ্গল।
১০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৮
সোহানী বলেছেন: ও মাই গড! এ কি অবস্থা। ছিনতাই এভাবে? অন্যায় এর সীমা ছাড়িয়ে গেছি আমরা। কতটা নিচে নেমে গেছি। খুব খারাপ লাগছে এসব দেখে শুনে।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমরা সম্ভবত নতুন কোনো পৃথিবীতে - নতুন কোনো ডাইমেনশনে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। যেখানে স্বার্থ আর চূড়ান্ত ভয়াবহ অপরাধ ছাড়া আর কিছুই থাকবে না।
১১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪২
বিজন রয় বলেছেন: দুঃখজনক।
এদেশে সবকিছু সম্ভব।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জালিম এবং জুলুম দুটোই বেড়ে মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছু করার নেই - উপায়ও নেই।
১২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৩
বিজন রয় বলেছেন: উপায় আছে।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি জানি, উপায় আছে। অপেক্ষা করছি। বাদ বাকি ঈশ্বর দেখবেন।
১৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০১
বিজন রয় বলেছেন: অপেক্ষা কোন সমাধান আনবে না। যারা অপেক্ষা করে তাদের দিয়ে কোন পরিবর্তন সম্ভব না। তারা শুধু ফল ভোগ করে।
তাই অপেক্ষা না করে কাজে লেগে পড়ুন।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
কাজ করে যাচ্ছি। মানুষ বোঝ জ্ঞান হবার পর থেকে কাজ করেন, আমি আমার বয়স ৬ - ৭ থেকে কাজ করছি। আজও কাজ করেই যাচ্ছি। ফসলের জমির এমন কোনো কাজ নেই যা আমি আমার জীবনে করিনি। এবার আমাদের জমিতে ফসল বেশ ভালো হয়েছে। দেশের দুঃসময়ে এতোটুকু যে করতে পেরেছি তা অনেক অনেক।
১৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০২
বিজন রয় বলেছেন: আপনার দেখাদেখি অনেকেই হয়তো কাজে নেমে পড়বে।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
কথা সত্যি। - আমার দেখাদেখি অনেকেই কাজ করছেন। এটির প্রয়োজন ছিলো। আপনি জানেন কিনা জানিনা, বাংলাদেশে একমাত্র জেলা কক্সবাজার যেখানে কাঁচাবাজারে ফুলকপি, বাধাকপি, লাউ ওজন দরে বিক্রি হয়। আমাদের সবজি কক্সবাজারের কাঁচাবাজারে আছে।
১৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১১
বিজন রয় বলেছেন: এবার আমাদের জমিতে ফসল বেশ ভালো হয়েছে।
সেই জমিতে আমাকে একটু নেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়?
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
অবস্যই আসবেন। আপনি যদি ঢাকাবাসী হয়ে থাকেন - আমার ধারণা। আপনার কাছাকাছি আমাদের ফসলের জমি আছে। আপনাকে বেশী দুর পাড়ি দিতে হবে না। আপনাকে দাওয়াত।
১৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি যদি বড় মন্তব্য পছন্দ করেন, তাহলে আমি বড় মন্তব্য করতে রাজী আছি।
কিন্তু তার জন্য আপনাকে রোজ কমপক্ষে একটা পোষ্ট দিতে হবে।
আসলে বড় মন্তব্য করা কোনো ঘটনা না। মনে মনে ভাবি হয়তো আমার মন্তব্য আপনার পছন্দ হবে না। তাই দুই এক কথায় কাজ সারি। অনেকে আমার মন্তব্য পছন্দ করে না। এমন কি তারা আমার মন্তব্যের উত্তর পর্যন্ত দেয় না। আমি রাগ করি না। আমার অভ্যাস হয়ে গেছে।
আজ অবশ্য আমার মন ভীষন রকমের খারাপ। সকালে আব্বা মারা গেছে। দুনিয়ায়তে আমার আব্বা ছাড়া আর কেউ নেই। মানে বিপদের সময় মাথায় হাত রাখার মতো শুধু আব্বা ছিলেন। ভয়াবহ কষ্ট হচ্ছে আমার। অথচ আমি কাউকে কিচ্ছু বুঝতে দিচ্ছি না। খুব স্বাভাবিক আছি।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
প্রিয় রাজীব নুর ভাই,
আপনি হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন ব্লগে সবাইকে আমি ভাই বলি কি বয়সে বড় আর কি বয়সে ছোট। আপনার লেখা আমার খুবই পছন্দ। তাছাড়া আপনি যেমন পোস্টে সকলের মন্তব্যগুলো বারবার পড়ে যান আমিও কিন্তু অন্যান্য সকলের মন্তব্য পড়ি। এছাড়া আপনি লক্ষ্য করে থাকবেন আমি পোস্ট দিয়ে কারও মন্তব্য উত্তরের জন্য ঝুলিয়ে রাখি না। ঠিক তেমনই আমার কর্ম জীবনে আমার টেবিলে কারও ফাইল ঝুলে থাকে নি। এমন কখনো হয়েছে আপনি মন্তব্য করেছেন আর আমার থেকে উত্তর পাননি?
প্রতিদিন পোস্ট করা আমার পক্ষে রিতিমতো অসম্ভব বিষয়। এক লেখার জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই। দুই বেলা বেলা বয়স হয়ে গেছে, ব্লগার চাঁদগাজী সাহেবের মতো আমারও চশমা পরতে হয়।
আপনার আব্বার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
১৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লাইক বাটন আর প্রিয় বাটন চাপ দিয়ে মন্তব্যের ঘরে নামার সময় হঠাত করে
নেট চলে যায় । সাময়িক বিতি দিয়ে মিনিটখানেক পরেই অবশ্য নেট চলে
আসে ।
যাহোক, দুর্দান্ত হয়েছে পোষ্ট, হাজী সাহেবের সাথে ঘটে যাওয়া কাহিনী খুবই মর্মান্তিক ।
আশা করি পোষ্টটি যারা পাঠ করবেন তারা ও এর ম্যসেজ যাদের কাছে পৌঁছানো হবে
তারা সকলেই সচেতন হবেন । কিন্তু ১৮ কোটি মানুষের দেশে এই সচেতনতার সংখ্যা
কতই বা হবে । দেশের সিংহভাগ আমজনতা অসচেতনই থেকে যাবেন ।
তাই মনে হয় দায়িত্বে নিয়োজিত মাত্র হাতে গনা গুটিগুয়েক সমাজের উচ্চ শিক্ষিত
মানুষদেরকে সচেতন করতে পারলে কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে ।
উল্লেখ্য অনেক ঘটনা, দুর্ঘটনা , অনিয়ম, অনাচার নিরবেই সংঘঠিত হয় ও থেকে যায় লোকচক্ষুর অন্তরালে ।
তার পরেও কিছু না কিছু অনিয়ম ধরা পরেই যায় । অনেক সময় কতেক অঘটন পটিয়সি ধরা পরলেও
বেশীর ভাগই নিরাপদে সটকে পড়তে সক্ষম হয় , তাদেরকে ধর পাকর করা যায়না । দুষ গিয়ে বর্তায়
দেশের আইন শৃংখলা রক্ষাকারী পুলিশের ঘাড়ে । কিন্তু যে পন্থায় যে ভাবে অঘনটি ঘটানো হয় তা যেন
না ঘটতে পারে সে জন্য দেশের অনেকগুলি সরকারী সংস্থা দায় দায়িত্ব পালন করে ।
বিষয়টি একটি উদাহরণ দিয়ে বললে মনে হয় বুঝতে সুবিধা হবে ।
ঘটনার স্থানটি দেশের বাইরের একটি শহড়ের কথা । সময়কাল বছর দশেক আগের।
একদিন দেখি রাস্তার পাশে একটি শপিং সেন্টারে দাড়িয়ে একটি ছেলে হাতে একটি বাকেট নিয়ে কোন এক
নামকরা চ্যারিটি অর্গানাইজেশনের জন্য স্ট্রিট ফান্ড রেইজিং করছে । কিছুক্ষনের মধ্যেই সাদাপোশাকধারী একজন ব্যক্তি এসে তার কাছে জানতে চাইল রাস্তায় দাড়িয়ে ফান্ড রেইজিং এর জন্য স্থানীয় প্রশাসন তথা সিটি কাউন্সিলের অনুমোদন আছে কিনা ।
অল্প সময়ের মধ্যেই দেখা গেল সে এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশের পেট্রল কার এসে ছেলেটিকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে গেল ,
তার মানে তার কাজটি ছিল অননুমোদিত ।
উল্লেখ সে দেশে রাস্তায় দাড়িয়ে ফান্ড রেইজিং করতে হলে আগেভাগেই সে এলাকার সিটি কাউন্সিল হতে চ্যারিটি অর্গানাজেশন তথা এনজিও এর পক্ষ থেকে অনুমোদন নিতে হয় । আনুমোদনের জন্য দরখাস্ত করার সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে যে বা যারা যারা ভলানটিয়ার হিসাবে ফান্ড রেইজিং করবে তাদের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিভেশন রিপোর্ট এর নাম্বার ও তথ্য সংপুক্ত করে দিতে হয় । এর পরে সিটি কাউন্সিল হতে তাদের নামে বিভিন্ন ধরনের বিধি নিষেধ পালন সাপেক্ষে কোন এলাকায় কখন ফান্ড রেইজিং কিংবা জনসেবা মুলক কাজ করতে পারবে তা জানিয়ে অনুমোদন পত্র জারী করা হয় । ফান্ড রেইজিং/জনসেবা করার সময় তাকে/তাদেরকে সেই অনুমোদন পত্র সাথে রাখতে হয় । কতৃপক্ষের নজরে থাকে কোন চ্যরিটি আর্গানাইজেশন কোন জায়গায় কখন কি কাজ করবে । বিষটি সে এলাকায় কর্তব্যরত কাউন্সিলের নিজস্ব তদারকী টিম সহ সংস্লিষ্ট আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়ে দেয়া হয় । চ্যারিটি /এনজিউর লোকজন রাস্তায় নেমে ফান্ড রেইজিং/সেবাকাজ ( যথা বিনামুল্যে মাস্ক বিতরন ) করার জন্য মাঠে নামার সাথে সাথেই তদারককারী টিমের সদস্য/পেট্রল পুলিশ হাজির হয়ে আনুমোদন পত্র দেখতে চায় । অনুমোদন পত্রের রেফারেন্স নাম্বার ধরে সাথে থাকা স্মার্ট ফোন/স্কেনিং মেশিনে স্কেন করলে আদায় কারীদের নাম দাম ছবিসহ অনুমোদন স্ট্যাটাস উঠে আসে । সবকিছু ঠিক থাকলে কোন অসুবিধা নেই , কিন্তু অনুমোদন না থাকলে সরাসরি শ্রীঘরে । কোন মাফ নেই । এখানে দায় দায়িত্বটা মাত্র গুটি কয়েক লোকের হাতে ।
তাই দায় দায়িত্ব নিরোপনকারী ব্যক্তিরা যাতে তাদের দায় দায়ত্ব সঠিকভাব পালন করে সে বিষয়ে সমাজের সকলকে সচেতন থাকতে হবে ।তবে ঢালাওভাবে কেও সচেতনতা প্রকাশ করতে পারেন না, তাদেরকে সচেতন হতে হবে সরকারের দায়ী কিছু লোকের দায় দায়িত্ব বা ভুমিকা সঠিকভাবে পালনের জন্য বাধ্য করতে । আর এই বাধ্য করার জন্য প্রয়োজন দায় দায়িত্ব পালনকারীদের জন্য কঠোর বিধি বিধান প্রনয়ন ও দায়ী কর্মকরতাদের আচরণ ও শৃংখলা বিধিতে তা সংযোজন ও বাস্তবায়ন।
এর জন্য খুব বেশী কিছু করতে হবেনা । ছোট একটি কাজ/বিধান থাকলেই যথেষ্ট হতে পারে ।
তাহলো কোন জায়গায়/ কোন বিষয়ে আনিয়ম ধরা পড়লে দেখা যায় সে বিষয়ে গুড়াতেই দায়দায়িত্ব পালনকারি ব্যক্তি বা সংস্থা তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করেনি । সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এমন ঘটনা ঘটতে পারতনা । তাই এর দায় উর্ধতন
কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তা এড়াতে পারেন না । তাই সচেতনতার দাবীটি এমন হতে পারে :
১) কোন অনিয়ম /অঘটন ধরা পরলে দায়ি উচ্চপদের ব্যক্তি/কর্মকর্তা( পুলিশ বিভাগ সহ অন্য সকল সংস্থার কর্মকর্ত সহ ) তার দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাকে কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য নীজ নীজ বিভাগীয় প্রশিক্ষন কেন্দ্রে বাধ্যতামুলক ভাবে তাদের কর্ম দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষনে পাঠিয়ে দেয়া । তাঁর স্থানে যোগ্য বিবেচিত কোন দক্ষ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া । খুবই ছোট উদ্যোগ কিন্তু ভাল ফল দিবে বলে মনে করি । দায়িত্বপালনকারী অন্যরা সচেতন হয়ে যাবেন অ
২) উপরের ১ নং সুপারিশে বলা বিধানটি সরকার সঠিকভাবে পালন করছে কিনা তা দেখার জন্য দেশের আমজনতাকে সচেতন থাকতে হবে । বিধানটি সঠিকভাবে পালন করা না হলে এর জন্য সম্ভাব্য সকল নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সোচ্চার হতে
হবে ।
জনগুরুত্বপুর্ণ পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা রইল
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বাংলাদেশেও ফান্ড রাইজিং এর জন্য শক্ত আইন আছে। সমস্যা হচ্ছে এই দেশে দীর্ঘদিন ধরে সড়ক ও পরিবহনে ওয়াজ, মাদ্রাসা, মসজিদ ও চিকিৎসা ব্যয়ে চাঁদা আদায় হচ্ছে - যার সুরাহা করা কঠিন এখানে সরাসরি রাজনৈতিক শক্তি/স্থানীয় পেশী শক্তি/পরিবহন হকার/চাঁদা আদায়কারী গ্রুপের শক্তি ব্যবহার হয়ে থাকে।
তাছাড়া আছে যত্রতত্র বিনামূল্যে নানাবিধ দ্রব্য বিতরণের এজেন্ডা। ঢাকা সহ সমগ্র দেশে এক রঙা এক ডিজাইনের টি শার্ট পরিহিত ছেলেমেয়েদের কার্যক্রম দেখা যায় - যা কিনা সুশিক্ষা ও সচেতনতার অভাবে কেউ প্রশ্নও করেন না - কে/ কেনো/ কি কারণে এই কার্যক্রম? এছাড়া আছে সমসাময়িক নানাবিধ ভয় - এই দেশে একদল টিনএজ ছাত্র ছাত্রী বা ২০ - ২৪ বছরের ছেলে মেয়ে সড়কে ও পরিবহনে যে ধরনের সমস্যা তৈরি করে বিশেষ করে হুমকি/ধমক/মারপিট তাতে করে তাদের কেউ প্রশ্ন করতে সাহস করেন না। এতে করে দেশে অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে যা বলা যায় লাগামহীন।
এছাড়া আছে ভ্রাম্যমান হকারদের খাদ্যদ্রব্য বিক্রি - অনেক হকার আছেন যারা খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করতে সামান্য স্যাম্পল খাইয়ে থাকেন যাত্রীদের, যাত্রীরা নির্ধিদায় সেই স্যাম্পল বিনামূল্যে পেয়ে খায়েও থাকেন। ইদানিং শুরু হয়েছে মাস্ক সমস্যা যার জন্য আইন-শৃঙ্খলা-রক্ষাকারী-বাহিনী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
সবচেয়ে বড় সমস্যা আরেকটি আছে - যেখানে সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা-রক্ষাকারী-বাহিনী কাজ করবেন সেখানে এই দেশের মানুষ রাজনৈতিকভাবে বা স্থানীয়ভাবে ভলান্টিয়ারের কাজ করছেন যা কিনা সরাসরি আইন বহির্ভূত। আইনের কাজ যখন সাধারণ মানুষ হাতে নিয়ে নেবে তার ফল কখনো ভালো হবে না - হতে পারেও না। এতে করে বিশৃঙ্খল হচ্ছে আইন ও প্রশাসন এবং আইনের জবাবদিহীতা লোপ পাচ্ছে। আপনি জানেন বর্তমানে বাংলাদেশে “ মব সাইকোলজি, মব জাস্টিস” হচ্ছে - যার অন্যতম কারণ “পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আদালত মানুষের বিবেক” - এই ধরণের চিন্তা - যা মানুষকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা করা কমিয়ে দিতে বাধ্য করছে। মানুষের বিবেক পৃথিবীর সবচাইতে বড় আদালত হতে পারে না। বিবেকের সাথে অবস্যই বিচার থাকতে হবে বিচার করার জ্ঞান থাকতে হবে, থাকতে হবে শিক্ষা, ক্ষমতা ও ক্ষমতা বন্টন।
'অজ্ঞান পার্টি এবং মলম পার্টির সদস্যদের হাত থেকে বাঁচতে মানুষকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে। মানুষের সচেতনার বিকল্প নেই। অন্যের দেওয়া যেকোনো খাবার খাওয়া যাবে না এমন কি একটি সুতাও গ্রহণ করা যাবেনা। অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারানোর খবর। কখনো প্রাণ চলে যাওয়ার খবরও পাওয়া যায়। এই চক্রের সদস্যরা সবসময় টার্গেট নিয়ে থাকে।বিশেষ করে ঈদ বা এমন বড় উৎসবের সময় এরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। এদের প্রধান টার্গেট থাকে সাধারণ যাত্রীরা। বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহনে এ চক্রের সদস্যরা ছদ্মবেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। টার্গেট করা লোকের সঙ্গে সখ্য তৈরি করে তোলে। পরে সুযোগ বুঝে খাবারের সঙ্গে নেশা জাতীয় ট্যাবলেট মিশিয়ে দেয় এই চক্রের সদস্যরা, ফ্রি মাস্ক বিতরণ, রুমাল পদ্ধতি সহ মধু, ঘি, হালুয়া খাইয়ে এক পর্যায়ে যাত্রীদের অজ্ঞান করে মালামাল লুটে নেয়। তাই এদের হাত থেকে বাঁচতে সচেতনতার বিকল্প নেই। আসুন জেনে নেয়া যাক অজ্ঞান পার্টির খপ্পর থেকে নিজেকে রক্ষার বাংলাদেশ পুলিশের দেয়া বিশেষ কিছু পরামর্শ।
১. ভ্রমন পথে অযাচিতভাবে অপরিচিত কেউ অহেতুক ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করলে তাকে পাত্তা দিবেন না।
২. কারো হাতে ফ্রি মাস্ক নেয়া থেকে বিরত থাকুন ও রুমাল দেখলে সতর্ক থাকুন কারণ মাস্কে ও রুমালের মধ্যে ক্লোরোফর্ম মিশিয়ে আপনার নাকের কাছে ধরলেই আপনি অজ্ঞান হয়ে যাবেন।
৩. আজকাল ডাবের ভেতরে সিরিঞ্জের মাধ্যমে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে থাকতে পারে। তাই কখন কোথা হতে তৃষ্ণা মিটাচ্ছেন সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
৪. ফুটপাতে বা রাস্তার মোড়ে টং দোকান থেকে খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।
৫. ফেরিওয়ালা বা ভ্রাম্যমাণ কারো কাছ থেকে আচার, আমড়া, শসা, পেয়ারা প্রভৃতি খাবেন না।
৬. বাসে, ট্রেনে ভ্রমণের সময় লজেন্স বা চকলেট, মধু, ঘি, আইসক্রিম ইত্যাদি জাতীয় কোন খাবার গ্রহণ করবেন না।
৭. সিএনজিতে চলার সময় যাত্রীরা ড্রাইভারের কাছ থেকে এবং ড্রাইভাররা যাত্রীদের কাছ থেকে কোন খাবার গ্রহণ করবেন না।
৮. ভ্রমনের সময় নির্জন পথ পরিহার করে সর্বদা গাড়ি চলাচল করে এবং লোক সমাগম থাকে এমন রাস্তা বেছে নিন।
৯. ভ্রমনের সময় চেষ্টা করবেন পরিচিত কাউকে সাথে নিতে।
আপনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে পোস্টটিকে সমৃদ্ধ করেছেন, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।
১৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দায়িত্বপালনকারী অন্যরা সচেতন হয়ে যাবেন অ
উপরের মন্তব্যের ঘরে এই আসমাপ্ত বাক্যটি হবে=
দায়িত্বপালনকারী অন্যরা সচেতন হয়ে যাবেন এই ভেবে যে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করলে উর্ধতন কর্মকর্তা হলেও
বৃদ্ধ বয়সে তাদের নীজেদের বিভাগীয় প্রশিক্ষন কেন্দ্রে গিয়ে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বাধ্যতামুলকভাবে ফাউন্ডেশন ট্রেনিং নিতে হবে ।
উল্লেখ্য সাভার পিএটিসির ( লোক প্রশাসন প্রশিক্ষন কেন্দ্র ) বাউন্ডারির ভিতরে প্রায় ৪ কিলোমিটার পরিধীর একটি দৌড়ানোর লে্ইন রয়েসে । ফাউন্ডেশন ট্রেনিং পিরিয়ডে প্রশিক্ষনার্থীকে সেই লেনে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক চক্কর দৌড় লাগানোর ব্যবস্থা আছে, আর রাজশাহীর পুলিশ প্রশিক্ষন কেন্দ্রে প্রশিক্ষনার্থীদের ফাউন্ডেশন ট্রেনিং ্বএর বিধানতো আপনার বিলক্ষন জানা , সিনিয়রদের পিলা চমকে যাবে এই প্রশিক্ষন গ্রহনের নাম শুনলে !!! ) প্রায়শই দেখা যআয় দায়িত্বপালনে ব্যর্থতার জন্য সাময়িক বরখাস্ত বা বদলী কোন কাজে আসেনা । তবে কোন মতেই তাদের জন্য বৈদেশিক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা যাবেনা । এতে করে তাদের আরো পোয়াবারো হয়ে যাবে ।
তবে সঠিকভাবে যারা নিষ্ঠার সহিত তাঁদের উপর আর্পিত দায় দায়িত্ব পালন করবেন তাদের জন্য যথাযথ পুরস্কারের বিধান রাখা যেতে পারে । সাধারণ আমজনতাও সচেতন থাকবেন যেন দায়িত্বপালনকারীগন ;তাঁদের নিষ্ঠাপুর্ণ সৎকর্মের জন্য যথাযথভাবে পুরস্কৃত হন ।
সমাজ হতে যাবতীয় অনাচার, দুরাচার দুর হোক , মানুষের জীবন হোক দুর্ভাবনাহীন , মসৃন ও নিরাপদ এই কামনাই করি ।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
অযোগ্যতার জন্য / অযোগ্য লোককে বৈদেশিক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে তাকে আস্কারা ও প্রণোদনা প্রদান করা। সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশে যোগ্যতার মাপকাঠি সব সময় বিবেচিত হয়েছে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, তৎপরতা, হস্তক্ষেপকে। আরেকটি সমস্যা না বললেই নয় বাংলাদেশে বিসিএস কর্মকর্তাদের জনগণের চাকর আর সাসংসদদের জনগণের নেতায় রূপান্তরে নেতারা চাকরদের কাজের অন্তরায় হয়ে আছেন গত পঞ্চাশ বছর ধরে।
বাংলাদেশে সর্বত্র রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে অদক্ষ লোকদের নিয়োগ ও পদোন্নতি হয়ে গেছে। অদক্ষ লোকদের প্রশিক্ষণে উন্নত হবে না, তাদের একমাত্র পথ গোল্ডেন হ্যান্ডশেক।
সমাজ হতে যাবতীয় অনাচার, দুরাচার দুর হোক, মানুষের জীবন হোক দুর্ভাবনাহীন, মসৃন ও নিরাপদ এই কামনাই করি। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
১৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:১১
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এই চরম অধঃপতিত জাতিকে মানুষ বানানোর জন্য যে নেতৃত্ব দরকার তা বর্তমানে বাংলাদেশে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত এবং আগামী এক শতকেও এই জাতি পাবে বলে মনে হয় না।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
কোনো প্রকার রেভ্যুলেশন না ঘটলে আপনার কথা হবে “কসাই কাট সিনা কাট কথা”! - এবং এখানে কোনো ভুল নেই। তবে সাদ্দাম গাদ্দাফী’র কথা মনে হলে ভাবতে হয় সময় অনেক কিছু করতে পারে, সময়ে যে কোনো কিছু হতে পারে।
২০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী ভয়ংকর ব্যাপার !
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এই ধরনের ভয়ঙ্কর ব্যাপার দীর্ঘদিন যাবত ঘটছে বাংলাদেশে আমরা সাধারণ মানুষ ভুলে যাই অথবা তেমন বড় কিছু মনে করি না। অথচ প্রতিদিন হরদম অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য বাড়ছে। সবচেয়ে ভালো সমাধান আমাদের সাবধান হতে হবে, সচেতন হতে হবে প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে।
২১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭
অধীতি বলেছেন: আমি যদি একটি চাকরি পাই পরিবার থেকে তখন আপন কাউকে ব্যবস্থা করে দেবার তাগিদ দিবে তখন যোগ্য কাওকে নিয়োগ পাইয়ে দিলে মা-বাবা ভাই-বোন সবার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হবার আশংকা।এই সমস্যা আমাদের জাতিগত সমস্যায় রূপান্তর হয়েছে।এখন তা একদিনে সমাধান সম্ভব নয়।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
স্বার্থহীন মানুষ আমি এখনো পর্যন্ত দেখিনি। তবে হ্যা এমন অনেক মানুষ দেখেছি যারা নিজেকে নিস্বার্থ এবং অন্য ব্যক্তিকে স্বার্থপর বলে। স্বার্থ কথাটা ভেঙে বললে হবে স্ব+অর্থ। মানে নিজের কথা ভাবা। কেউ এমন আছেন যে নিজের জন্য ভাবেনা?
অনেক নামি দামি ব্যক্তি থাকেন যারা অনেক অর্থ সম্পত্তি দান করেন, তাতে তাদের অনেক নাম হয়, তিনি নিজের নামের জন্য করেন এটাও স্বার্থ। অনেক শুধু নিজের পরিবারের জন্য করে এটিও স্বার্থ।
যে আমি, আমার আপনজনের জন্য করছি। - এমন কোনো সাধারণ ব্যক্তি আছে যে নিজের ও নিজের পরিবারের কথা ভাবে না, সমাজের সার্বিক উন্নয়ন এর কথা ভেবে এবং প্রত্যেক ব্যক্তিকে সমান চোখে কজন দেখে। অনেকে আছে যারা আপন পরিবারের জন্য করে, কিন্তু দেখা যায় হয়তো তারা অন্য ব্যক্তির ক্ষতি করতে পিছপা হয়না, পরিবারের সুখের জন্য।
শুধু একটি কথা বলবো যে ব্যক্তি আপন পর সকলকে সমান চোখে দেখে, সম বিচার করে, মাতা পিতা যেমন আপন সন্তানকে ভালোবাসে সেই রকম ভালোবাসাকে নিস্বার্থ ভালোবাসা বলে।
২২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: জনসচেতনতামূলক এ পোস্ট লিখে সবাইকে সতর্ক করে দেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
এ ধরণের অপরাধ আমাদের জাতীয় চরিত্রের একটি সূচক। দিন দিন শুধু নৈতিক অধঃপতন হয়েই যাচ্ছে। দারিদ্রই কি এর কারণ? নিশ্চয়ই নয়, কারণ দারিদ্র্যের তো অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে কয়েক দশক আগের তুলনায়। এ নৈতিক স্খলনের কারণ অনুসন্ধান করে এর প্রতিকার করতে হবে।
বিজ্ঞ ব্লগার ডঃ এম এ আলী এর দুটো মন্তব্যই ভাল লেগেছে। তার সুপারিশগুলো বাস্তবে পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এ ধরণের অপরাধ আমাদের জাতীয় চরিত্রের একটি সূচক। দিন দিন শুধু নৈতিক অধঃপতন হয়েই যাচ্ছে। দারিদ্রই কি এর কারণ? নিশ্চয়ই নয়, কারণ দারিদ্র্যের তো অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে কয়েক দশক আগের তুলনায়। এ নৈতিক স্খলনের কারণ অনুসন্ধান করে এর প্রতিকার করতে হবে।
- লোভ একটি নৈতিক ত্রুটি। লোভ-লালসা মানুষের অধঃপতনের মূল কারণ। লোভ-লালসা হলো অর্থসম্পদ, প্রাচুর্য বা ক্ষমতার প্রতি এক ধরনের দুর্বিনীত ক্ষুধা বা আকর্ষণ যা মানুষকে আত্মতৃপ্তি থেকে বঞ্চিত করে। লোভী মানুষ সারাজীবনের জন্য সন্তুষ্টি থেকে বঞ্চিত থাকে। আমাদের দেশে মানুষের মাঝে লোভ লালসার জন্ম নিয়েছে ভয়ঙ্করভাবে। আর এই কারণেই বেড়ে গেছে অপরাধ ও অপরাধপ্রবণতা। সামাজিক দায়বদ্ধতা এখানে শূন্য।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য রেখেছেন।
২৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪
ঢুকিচেপা বলেছেন: লেখাটা আগেই পড়েছিলাম এবং পড়ার পরে একটা ভিডিওতে দেখলাম এ ধরণের বিষয়। এই শ্রেণীর মানুষ ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। নিজেদের সতর্কতার পাশাপাশি প্রশাসনের পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
প্রশাসন পদক্ষেপ নিচ্ছে, সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য লেখালেখি হচ্ছে তাছাড়া এই ধরনের সন্দেহজনক লোকজনকে জিগ্যাসাবাদ সহ আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। সবচেয়ে জরুরী আমাদের সচেতন হতে হবে, হতে হবে সাবধান - কারণ এই লোকগুলো অন্য কোনো দেশের নাগরিক না। এরা আমাদের দেশের নাগরিক তাই তাদের চিনতে পারা জানতে পারা কখনো সহজ কাজ না। - যে কোনো যারবাহন সহ সড়ক রেল ও নৌ পথে আমাদের সাবধানতা অবলম্বনের কেনো বিকল্প নেই।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সহ শুভ কামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৭
শাহ আজিজ বলেছেন: মানসিক নিচুতায় আচ্ছন্ন আমরা ।