নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রামের বাড়ি (ছবি ব্লগ)

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৭



আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে
বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।
পার হয়ে যায় গরু, পার হয় গাড়ি,
দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।

চিক্ চিক্ করে বালি, কোথা নাই কাদা,
একধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা।
কিচিমিচি করে সেথা শালিকের ঝাঁক,
রাতে ওঠে থেকে থেকে শেয়ালের হাঁক।

আমাদের ছোট নদী
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ ছিলোনা, খুব সম্ভব ১৯৮১তে আমাদের গ্রামে ও বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পাই। কিন্তু বিদ্যুৎ বিহীন বাড়িতে থাকতে কখনো কোনো অসুবিধা হয়নি। আজও গ্রামে এমনকি ঢাকা শহরের বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ চলে গেলে আমার কখনো অসুবিধা হয় না। আমি সাধারণত তিন থেকে চার সপ্তাহ পরপর বাড়িতে যাই একবার। আমার কাছে মনে হয় বাড়িতে আমি যতোটুকু সময় ঘুমোতে পারি ঢাকাতে সেভাবে ঘুম হয় না। বাড়িতে এক ধরনের আলস্য কাজ করে - এতে করে হয়তো ঘুম ভালো হয়। দীর্ঘ ঘুমের পর জেগে উঠে লম্বা শ্বাস নিয়ে মনে হয় গ্রামের বাতাস এখনও কতোটা নির্মল আর আরামদায়ক। ভোরে ঘুম ভাঙ্গে চাপ কল চাপার শব্দে আর হাঁস মুরগি পাখির ডাকে।

আশ্চর্য হয়ে একটি বিষয় আমি সব সময় লক্ষ্য করি একই চালের ভাত গ্রামে এক ধরনের স্বাদ আর ঢাকাতে আরেক ধরনের - এটি চুলার কারণেও হতে পারে। চাপ কলের পানির স্বাদ একমাত্র চাপকল থেকে তুলে খাওয়াতেই পাওয়া যায়। এছাড়া ঢাকায় ডাবের পানি আর গ্রামের বাড়ির ডাবের পানি যে কতো পার্থক্য তা বলা বাহুল্য। এ বছর করোনা প্রকোপের কারণে দীর্ঘদিন বাড়িতে যেতে পারিনি - প্রবল মনোকষ্ট নিয়ে ঢাকাতে অপেক্ষা করেছি। বাড়ির কাছাকাছি গেলেই মনে এক ধরনের শান্তি কাজ করে, এই শান্তির আবেশ নিয়ে আবার ঢাকা ফিরে আসি। আমার কাছে প্রায়ই মনে হয় গ্রাম গ্রামের বাড়ি আমাকে ডাকছে, - আমি বাড়িতে না যাওয়া পর্যন্ত মনে এক ধরনের অস্থিরতা কাজ করে। বাড়িতে যাওয়ার পর মনে হয় বাড়ির গাছগুলোও আমাকে দেখে জানতে চায় আমি কেমন আছি?


বাড়ির পুরোনো মাটির চুলা। এই চুলার রান্না যে কোনো ফাইভ স্টার হোটেলের রান্নার চাইতে কোনো অংশে কম নয় বরং আরও ভালো বলা চলে। আমাদের গ্রামে এখনও গ্যাস নেই, মাটির চুলাতে রান্না হয়, এছাড়া কেউ কেউ এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করেন।































আত্মকথা: - পাখির যেমন নিজ নিজ নীড়ে ফেরার তাড়া থাকে ঠিক তেমনই মানুষেরও নিজ নিজ বাড়ি ফেরার তাড়া থাকে, আর এই কারণেই হয়তো ঈদ সহ নানান সরকারি বন্ধে আমরা দেখতে পাই বাস ট্রেনে উপচে পরা ভিড় করে মানুষ নিজ নিজ আপন নীড়ে ফিরছেন - নিজ নিজ গ্রামের বাড়ি ফিরছেন। বৃষ্টি পছন্দ করেন না বাংলাদেশে এমন মানুষ পাওয়া বিরল, কিন্তু বাড়ির বাইরে কখনো যদি বৃষ্টিতে আটকা পরেছি সব সময় একই চিন্তা মাথায় কাজ করেছে কখন বাড়ি ফিরবো, বৃষ্টির সৌন্দর্য তখন গায়েও লাগেনি।

গ্রাম নিয়ে আরও লিখবো আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি। সামহোয়্যারইন ব্লগের সকলকে অগ্রিম ২০২১ নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।


কৃতজ্ঞতা স্বীকার:
সামহোয়্যারইন ব্লগ। নির্বাচিত পোষ্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

বিশেষ ধন্যবাদ: (যাদের ব্লগিং দেখে ছবি ব্লগ করার আগ্রহ পেয়েছি)
ছবির যাদুকর ব্লগার কাজী ফাতেমা ছবি
ব্লগার মরুভূমির জলদস্যু

ছবি: স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৭




মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: চমৎকার ছবি ব্লগিং। :)

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এখন থেকে মাঝে মাঝে ছবি ব্লগ পোস্ট দিবো। শুভ কামনা রইলো।

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর ছবি ব্লগ। সঙ্গে লেখাগুলো বাড়তি পাওনা। ভালো অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। চমৎকার আপনার গ্রামটি।

ভালো থাকুন সবসময়

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




গ্রামের বাড়ির প্রতি আমার প্রবল ভালোবাসা আছে, জীবনের নানান ঘটনাবহুল সময় পাড়ি দিয়েছি গ্রামে। সময়ে সময়ে সেসব লিখবো আশা করি পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ ও নববর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো ভাই।

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৭

শাহ আজিজ বলেছেন: গনগনে মাটির চুলা ভাল লাগলো ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




এই চুলায় রান্না করা ভাতের চেয়ে মজাদার ভাত আমি আমার জীবনে কোথাও খাইনি। আপনার কবিতা ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ ও নববর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো ভাই।

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ ছবি।

মাটির চুলার রান্নার স্বাদের সাথে গ্যাসের চুলার রান্নার স্বাদ তুলনা করা যাবে না। আমার স্ত্রী মাটির চুলায় রান্না করার জন্য গ্রাম থেকে একটা পোর্টেবল মাটির চুলা নিয়ে এসেছে। কিন্তু সমস্যা হলো, এটায় লাকড়ি দিয়া রাঁধতে হয়, শহরের বাসায় যা যোগাড় করা সম্ভব না।

যাদের বৃষ্টি ভালো লাগে না, সেই বিরল মানুষদের মধ্যে আমিও একজন। জীবনে বৃষ্টিতে ভিজে ক্ষেত-খামারে এত কাজ করতে হয়েছে যে, বৃষ্টির ফলে জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল, হাত-পায়ে কাদায় ঘা হয়ে যেত। জানালায় বসে বাইরে বৃষ্টি দেখার বিলাসিতা করা গ্রামীণ মানুষের পক্ষে তেমন সম্ভব হয় না।

তবে, রাতের বেলা বৃষ্টি হলে টিনের চালে যে মূর্ছনা সৃষ্টি হয়, সেটা খুব উপভোগ করতাম, এবং ঘুমটাও হতো দারুণ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



অসাধারণ ছবি হলে পোস্টে লাইক আশা করতে পারি নাকি বলেন? এই লাইকের বিনিময়ে ২০৩০ সনে সামহোয়্যারইন ব্লগ ব্লগারদের টাকা দিবেন!

পোর্টেবল মাটির চুলা আমার কাছেও আছে। ছাদে মাঝে মাঝে এটা সেটা রান্না করি। আমাদের এলাকাতে রান্না করার মতো কাঠ পাওয়া যায়। আরেকটি বিষয় গ্যাসের চুলাতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে মাটির চুলাতে রান্না করা কষ্টকর কারণ, সরাসরি আগুন ও ধোঁয়া।

আমি নিজেও ক্ষেত খামারে প্রচুর কাজ করেছি এখনও করছি। গ্রামের জীবন যাপনে জানালয় বসে বৃষ্টিবিলাস করা আসলেই সবাই পারেন না সবার হয়ও না। বৃষ্টিতে কাঁদামটি এক করা কাজে কষ্ট বেড়ে যায়। আর ধান শুকাতে গিয়ে কতো যে বৃষ্টির চাপে পরে ধান নিয়ে দৌড়াতে হয় তা শহেরর মানুষ কখনো জানবেন না, বুঝবেনও না। চালের দাম বেশী এটা নিয়ে অনেকের আক্ষেপ আছে কিন্তু কৃষক কি পান আর চালের দাম ১০০ টাকা/কিলো হওয়া উচিত আমি মনে করি।

বৃষ্টির রাতে ভালো ঘুম হয়। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো।

৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৭

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: আমরা এখনো মাটির চুলায় রান্না করে খাই।

আপনার ছবি ব্লগিং অসাধারণ হয়েছে, ছবিগুলো চমৎকার সাথে আপনার গ্রামও।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



একটি কথা মনে রাখবেন মাটির চুলাতে রান্না করে খেতে ভাগ্য লাগে, আপনারা ভাগ্যবান মানুষ। ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এখন থেকে মাঝে মাঝে ছবি ব্লগ পোস্ট করবো, আশা করি আপনাকে পাশে পাবো। শুভ কামনা ও নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা নিবেন।

৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৭

ঢুকিচেপা বলেছেন: বহুদিন পর কবিতাটা নতুন করে পাঠ করলাম।

“ ভোরে ঘুম ভাঙ্গে চাপ কল চাপার শব্দে আর হাঁস মুরগি পাখির ডাকে।”
চমৎকার একটা লাইন। একটা সময়ের কথা বলে, একটা পরিবেশের কথা বলে, একটা সুন্দর অনুভূতির কথা বলে।

ছবিগুলো দারুণ হয়েছে এবং ছবি বড় করে পোস্ট করার প্রক্রিয়ায় উত্তির্ণ হয়েছেন।

বৃষ্টি একটা সময় খুব ভালো লাগতো, এখন অতটা চাই না তবে একটু হলে ঠিক আছে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




গ্রামের বাড়ির হাড়ি পাতিলগুলো হয়তো কয়লার কালিতে কালো হয়ে থাকে কিন্তু এই পাতিলের সাথে মিশে আছে অনেক অনেক মায়া মমতা আর ভালোবাসা। আর এই কারণে হয়তো এই পাতিলে রান্না করা খাবার হয় অমৃতসম।

বৃষ্টি নিয়ে মজার মজার কিছু লেখা আপনাদের উপহার দিবো আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। শুভ কামনা সহ নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা নিবেন।



৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি সুযোগ পেলেই গ্রামে যাই। গ্রামের বাড়ির বিভিন্ন গাছপালার সাথে একটা অদ্ভুত আলাপ হয় মনে হয়।
আমার কেন যেন মনে হয়, গ্রামের মানুষরা অনেক বেশি সুখি।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




যতো বাড়ির কাছাকাছি যাই ততোই মনে হয় এই সড়কের ধারের গাছগুলো আমার আপন কেউ, আর বাড়ির গাছগুলো হচ্ছে পরম আত্মীয় তাদের সাথে মনে মনে কথা হয়। সত্যি সত্যি গাছেদের যে প্রাণ আছে তা গ্রামে গেলেই অনুভব হয়। শহরের গাছগুলো হাজার অত্যাচালে অনেকটা নিশ্প্রাণ হয়ে গেছে।

শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষদের চাওয়া কম আর এই কম চাওয়াতেই তারা সুখি। আসলে চাওয়া বেড়ে গেলে সুখ পালিয়ে যায় দরজা জানালা দিয়ে তখন শুরু হয় চাওয়া আর পাওয়ার হিসাব।

৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সুন্দর !

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপা আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা সহ নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা নিবেন।



৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনি এখন কি কি চাষ করছেন?

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




এখন জমিতে গম, সরিষা, আলু, টমেটো, মরিচ আছে। শিম লাউ শেষ। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা সহ নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা নিবেন।

১০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া। সুন্দর উপহার পেয়ে দারুন খুশ
এমন আরও ছবি ব্লগ চাই

ভালো থাকুন ভাইয়া

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



বোন, এখন থেকে মাঝে মাঝে ছবি ব্লগ পোস্ট পাবেন। আপনাকে বিশষেভাবে ধন্যবাদ। শুভ কামনা সহ নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা নিবেন।


১১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: গ্যাস সাপ্লাই হবার আগে প্রতি বাসায় কাঠ দিয়েই রান্না হত,তাতে করে বাসার যে অবস্থা হতো তা ভাষায় বর্ননা করার মতো না।কোন মহিলাই চাইবে না সেই দিন আবার ফিরে আসুক।তাতে করে রান্নার স্বাদ যতই ভাল হউক।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



গ্যাসে একবার অভ্যস্ত হয়ে উঠলে আর কয়লার চুলাতে ফিরে যাবার মতো কষ্ট কেউ করবেন না। বাসা বাড়িতে (বিল্ডিং বাড়িতে) কয়লার চুলাতে রান্না করতে গেলে বাড়ি কালো হয়ে যাবে, তবে গ্রামের বাড়ির চুলা থাকে খোলা স্থানে শুধু মাথার উপর টিনের/ছনের/বাঁশের চালা।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা সহ নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা নিবেন।


১২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৪

জগতারন বলেছেন: বাল্য কালে বেড়ে উঠা আমিও গ্রামের ছেলে আজ ৪০ বছর যাবৎ প্রবাসী। গ্রামের সেই মধুময় স্মৃতি!
তা এখনও আমাকে তন্ময় করে টানে।

কিছুক্ষণ আগে 'ছাই সাহেব যে মন্তব্য করেছেন:
যাদের বৃষ্টি ভালো লাগে না, সেই বিরল মানুষদের মধ্যে আমিও একজন। জীবনে বৃষ্টিতে ভিজে ক্ষেত-খামারে এত কাজ করতে হয়েছে যে, বৃষ্টির ফলে জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল, হাত-পায়ে কাদায় ঘা হয়ে যেত। জানালায় বসে বাইরে বৃষ্টি দেখার বিলাসিতা করা গ্রামীণ মানুষের পক্ষে তেমন সম্ভব হয় না
তা আমিও অভিজ্ঞতাভিত্তিক প্রত্যক্ষীকৃত।
কিন্তু বসন্ত কাল আসার সময়ে গ্রামের পুকুর পাড়ে আম গাছের নীচে, নদীর কুলে আউলা-ঝাউলা যে বাতাস বহে, গাছের ছায়ায়, নদীর পাড়ে বসে কচি কাচা আম কেটে সরিষার তেল ও কাচা মরিচ দিয়ে কলা পাতায় মাখিয়ে বন্ধুদের নিয়ে একসাথে খাওয়ার যে সুখ তা এ জীবনে আর আসবে না।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




কচি কাঁচা আমের ভর্তা সহ কাঁচা তেতুলের ভর্তা হচ্ছে অমৃত। আপনি কচি কাঁঠালের (কাঁঠালের মুজি) ভর্তা খেয়েছেন অবস্যই। আর এখন হচ্ছে বড়ই আর জলপাই এর মৌসুম।

“যায় দিন ভালা যায় আসে দিন বুড়া” - অর্থাৎ চলে যাওয়া দিন ভালো গেছে আসছে দিন খারাপ। এখন আগেকার সময় আর নেই তাই সেই সময়গুলো হয়ে আছে শুধুই স্মৃতি। আপনি যেই সরিষার তৈলের কথা বলছেন সেই সরিষার তৈল এখন নেই একমাত্র পাওয়া সম্ভব যদি নিজে ভাঙ্গা যায়।

সময় কতো দ্রুত চলে যায়, অথচ মনে হয় এই সেদিনের কথা মাত্র। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা সহ নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা।

১৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর ছবি।
প্রতিটা ছবি সুন্দর।
খুব শ্রীঘই আপনার গ্রামে যাবো।

আচ্ছা, মাটির চুলার রান্না নাকি খেতে খুব মজা? কথাটা কি সত্য?

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমার দেখা বাংলাদেশের সকল গ্রাম প্রায় একই রকম। জমি ফসল, কাচা রাস্তা, ডোবা পুকুর দীঘি জলা। মাটির চুলার রান্না মজা। তবে মাটির চুলাতে রান্না করা কঠিন ও কষ্টদায়ক। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা সহ নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা।

১৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আসলে গ্রামের এই পরিবেশ প্রাণের মায়ায় ভরপুর ।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




যাদের জন্ম ও একটি বয়স পার করেছেন গ্রামে তাদের মন সব সময় গ্রামের জন্য কাঁদে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা সহ নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা।

১৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৪৮

সোহানী বলেছেন: কিছু না, ওই মাটির চুলায় খেজুড়ের গুড়ের পায়েস খেতে চাই।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



অবশ্যই খাবেন। আগামীবার দেশে আসুন খেজুরের গুড়ের ফিরনি, জর্দা খাবেন। আপনাকে বোন বিশেষভাবে দাওয়াত দেওয়া হলো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা সহ নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা।



১৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৫১

ইসিয়াক বলেছেন: পরে মন্তব্য করবো।এখনো ঘোরের মধ্যে আছি। মহান আল্লাহ এক মারাত্মক বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি এখন কেমন আছেন? যখনই সময় ও সুযোগ পাবেন জানিয়ে চিন্তামুক্ত করবেন প্লিজ। ফি আমানিল্লাহ।


১৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১৭

অধীতি বলেছেন: আত্মকথা বেশি ভাল লেগেছে। গ্রাম সুন্দর। আগে মানুষ অসুস্থ হলে নিরাময়ের জন্য হাওয়া বদল করতে প্রকৃতির নিঝুমে যেত। গ্রাম প্রকৃতির একটি মমতা।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আত্মকথা ভালো লেগেছে জেনে আমিও আনন্দিত। গ্রামে যারা জীবনের বড় একটি সময় পার করেছেন গ্রামের প্রতি তাদের মায়া থাকবে অনন্তকাল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা সহ নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা।

১৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫২

ইসিয়াক বলেছেন: আপনার জন্যও নববর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো প্রিয় মাহমুদ ভাই।

পোস্টে ভালো লাগা। আপনার গ্রামটা খুব সুন্দর।
মটির চুলার রান্না খেতে সুস্বাদু হয়।

দোয়া রইলো।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ইসিয়াক ভাই, সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশ আমার কাছে সবচেয়ে ভালো দেশ, সবচেয়ে প্রিয় দেশ, সবচেয়ে শান্তির দেশ আর সেই দেশে আমার সবচেয়ে ভালো লাগে আমার নিজের গ্রাম। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা সহ নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা।

১৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১১

রামিসা রোজা বলেছেন:

সুন্দর ও সাবলীল মাটিমাখা লেখা পড়ে এখনই গ্রামে ছুটে
যেতে ইচ্ছে করছে । কিছুদিন আগে ঘুরে এসেছি, খুবই
ভালো লেগেছিল । ধন্যবাদ আপনাকে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



গ্রামে গেলে গ্রামের বাজারগুলোতে যাবেন “সকালের বাজারে” বাজার করতে হবে না - বাজার দেখতেও ভালো লাগে। গ্রামের মিষ্টির দোকানগুলোর মিষ্টি হয়তো শহরের মতো দামি মিষ্টি না, হয়তো ভালো ব্রান্ডেড মিষ্টি না কিন্তু খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা সহ নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা।


২০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: মাটির চুলায় মোটা ভাত খেয়ে খেয়ে অভ্যস্থ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমি জীবনের বড় একটি অংশ মোটা চালের ভাত খেয়েছি, এখন যে ভাত খাই তাও যে চিকন চাল তা কিন্তু নয়, এই চালের নাম “বোরো - পশুসাইল”। আপনাকে অনেক দিন পর ব্লগে পেলাম তারেক ফাহিম ভাই আপনি কেমন আছেন? আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা সহ নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা।

২১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আশ্চর্য হয়ে একটি বিষয় আমি সব সময় লক্ষ্য করি একই চালের ভাত গ্রামে এক ধরনের স্বাদ আর ঢাকাতে আরেক ধরনে

গ্রামের প্রায় সকল রান্নাই সুস্বাদু লাগে। হয়তো একটানা মাস খানেক থাকলে এই স্বাদের অনুভূতী ভোতা হয়ে যাবে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




স্বাদ ভোতা হবে কিনা সঠিক আমার জানা নেই, তবে গ্রামে এক নাগারে থাকার পর হয়তো গ্রামের প্রতি যে এক ধরনের অনুভূতি কাজ করে তা হয়তো নাও থাকতে পারে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা সহ নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা।

২২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি ব্লগ নিয়মিত দিবেন।
ভালো লাগে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



অবশ্যই দিবো, আপনি পছন্দ করেছেন ছবি ব্লগ সহ লেখালেখিও নিয়মিত পাবেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা সহ নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা।

২৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৬

ওমেরা বলেছেন: সবুজ আর সবুজ নয়ন জুড়ানো ছবিগুলো খুব ভালো লাগলো । ছোট বেলায় একবার আম্মুর সাথে কোন গ্রামে বেড়াতে গিয়ে ঐ রকম চুলো দেখেছিলাম । অনেক বছর পর সেই চুলো দেখেও খুব ভালো লাগলো।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



এই চুলোগুলোতে রান্না করা বেশ ঝামেলার তবে একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে ভালোই লাগে যদিও এই্ চুলোতে রান্নার জন্য মাটিতে বসে রান্না করতে হয়। তবে এই চুলোর আরেকটি বৈশিষ্ট আছে এই চুলো হচ্ছে গ্রামবাংলার মানুষের জন জীবনের সাক্ষী।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা সহ নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা।

২৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

জুন বলেছেন: ছবিগুলো অসাধারন মায়া মাখানো । যদিও অনেক যায়গায় সেই আগের গ্রাম নেই তারপর ও কিছু কিছু আছে ঠাকুর মাহমুদ ।
আমরা একবার এমনি ঘুরতে মানিকগঞ্জের বালিরটেক গিয়েছিলাম । যাবার পথে নীচের ছবিটির এই দৃশ্যটি অনেক ভালোলেগেছিল। +


৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বোন, ব্লগে পোস্ট দেওয়া ছবিগুলো অল্প কিছুদিন আগের। আপনি সঠিক, গ্রামগুলো ঠিক আগের মতো নেই, বাড়ি বাড়ি দোকান পাঠ সহ রিক্সা অটো সিএনজি মুদির দোকান, মাইক মসজিদ মাদ্রাসা কিন্ডার গার্টেন মোড়ে মোড়ে ছোট বাজার সব মিলে পরিবেশ বিপর্যয় যাকে বলে ঠিক তেমনই।

আমাদের বাড়ি গ্রামের একপ্রান্তে তাই বাড়ির পাশেই জমি পুকুর ডোবা জলা সব। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা।

২৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সুন্দর।

আপনার গ্রামের বাড়িটি কোন জেলায়। বিস্তারিত জানতে পারলে ভালো লাগবে।

পোস্টে গোল্ডেন এ+

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমাদের গ্রামের বাড়ি বিখ্যাত মারপিটের দেশ, মিষ্টির দেশ, নদীর দেশ, মহান হিন্দু রাজার দেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া। আমাদের গ্রামকে আমি আমার নিজের জীবনের মতোই ভালোবাসি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা।


২৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৩

মিরোরডডল বলেছেন:



ঠামার সো ফার যত পোষ্ট পড়েছি, এটা আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে ।
বেশ সুন্দর গ্রামটা, কি সুন্দর বিশাল আকাশ আর সবুজের সমারোহ । গ্রাম আমারও খুব প্রিয় । গ্রামের মানুষের সরলতা, গ্রামীণ জীবন আমাকে আকর্ষণ করে । হয়তো থাকা হয়না সেভাবে কিন্তু সুযোগ পেলেই বেড়াতে যাই ।

ব্রাম্মনবাড়িয়া শহরটা আগের মতো নেই, অনেক ক্রাউডেড ।
কিন্তু আশেপাশের গ্রামগুলো এখনও সুন্দর ।


০১ লা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




জেলা শহরে আমাদের ছোট বাড়ি আছে, কিন্তু গ্রামের বাড়ি জেলা শহর থেকে বেশ দুরে এবং এখনও প্রায় অন্ধগ্রাম বলা চলে। তাছাড়া আমাদের বাড়ি গ্রামের এক কোনে হওয়ার কারণে বাড়ির পরেই পুকুর জলা ডোবা জমিজমা। গ্রামে প্রায়ই বিদ্যুৎ থাকে না। আগে বাঁশের সাকো ছিলো এখন কালভার্ট ব্রিজ হয়েছে কাচা রাস্তা থেকে পাকা ও হাফ পাকা রাস্তা হয়েছে এইতো।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা।

২৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০১

করুণাধারা বলেছেন: ব্লগকে এখন মনে হয় রণক্ষেত্র, আসলে অস্থির লাগে। এই সময় আপনার এই পোস্টের ছবিগুলো চোখের শান্তি, মনের শান্তি। খুব ভালো লাগলো। মনে পড়লো, বহুদিন মাটির চুলার রান্না খাইনি।

অন্যরকম পোস্ট... খুব ভালো লাগলো।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




প্রিয় করুণাধারা আপা,
আপনাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা। মাটির চুলার সবচেয়ে মজাদার বিষয় হচ্ছে চুলার পাশেই বসে খেতে পারা। আটার/চালের গুড়ির রুটি গনগনে আগুনের চুলা থেক নামবে আর সেই গরম গরম রুটি খেজুরের গুড় দিয়ে আর লাউয়ের নিরামিষ দিয়ে খেতে হবে।

শুভ কামনা রইলো বোন।



২৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫

বলেছেন: Happy new year Dear Dada

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনি আমাকে কিছুটা হলেও জানেন। আমি আপনাকে নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত। আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে কোথাও কোনো সমস্যা হয়েছে। আপনি আছেন কেমন?


২৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৩৭

বলেছেন: ভাল দা দা


একটু বিজি জীবন চলছে ।

অনেক অনেক শুভ কামনা ও দোয়া রইলো
আর

দোয়া করবেন ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমি যা বুঝার বুঝেছি। ল ভাইকে আমার সালাম পৌছে দেবেন। যদি কোনোদিন করোনা প্রকোপ শেষ হয়, ল ভাইকে বলবেন দেশে আমার সাথে যোগাযোগ করে দেখা করতে। শুভ কামনা রইলো।

৩০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫১

অন্তরন্তর বলেছেন: অনেক দিন পর ব্লগে লগইন করলাম। ঠাকুর ভাই এছবিগুলো আর আমার অতি পরিচিত নয় তবে জীবনের একটা সময় অনেক অনেক কাছের ছিল, সেই গন্ধটা চোখ বুজে একটু নিতে চেষ্টা করলাম এবং আশ্চর্য্যের বিষয় কিছুটা হলেও গন্ধটা পেলাম। আপনাদের বাড়ির যদি পূর্বদিকের ছবিগুলো হয় তবে সোজা ক্ষেতের আইল ধরে হাটতে থাকুন আর পেয়ে যাবেন আপনার গ্রামটা, মনে হয় আধা ঘণ্টা বা একটু বেশি সময় লাগবে। আপনি আমাকে সেইদিন গুলোতে নিয়ে গেলেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আর একটা কথা এবার গ্রামে জার কেমন পড়ছে?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমাদের এলাকায় সচরাচর জার বেশী পরে। এবারও তার কমতি নেই। জারের রাতে বাড়ির বাইরে বের হলেই সেন্ডেল দেড় কিলো করে তিন কিলো ওজন হয় - কুয়াশা ভেজা ঘাস আর কুয়াশা ভেজা মাটিতে। কানটুপি আর মাফলারের প্রচলন বেড়েছে। আর বাড়িতে আমার জাম্পার আছে। জাম্পার গায়ে দিয়ে জবুথবু হয়ে বসে খেজুরের গুড়ের চা হচ্ছে আমাদের পুরোনো দিনের স্মৃতি।

গ্রামের ঘ্রাণ হচ্ছে পাটের সিজনে। ভেজা পাটের ঘ্রাণ হচ্ছে গ্রামের অন্যতম ও একমাত্র পরিচয়। আপনি সঠিক মোটামোটি ৩০ মিনিট পায়ে হাটা রাস্তা। তিতাসে এখন আর আগেকার মতো মাছ নেই। তিতাসের কালো বোয়াল মাছের একটা নাম ছিলো। এখন চাষের বোয়াল ছাড়া নদির বোয়াল পাওয়া দুস্কর ব্যাপার বলা চলে।

সামনে নির্বাচন, মেম্বার চেয়ারম্যান নির্বাচন - এখন থেকেই প্রচারণা শুরু হয়েছে। বাজারে চা’য়ের দোকান পানের দোকানে, মিষ্টির দোকানে রাত ৯:০০ - ১০:০০ পর্যন্ত ভিড় লেগে থাকে নির্বাচনের খরচাপাতিও শুরু হয়ে গেছে।

ভাই আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।

৩১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৩

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: বিদ্যুত এবং গ্যাস ছাড়া গ্রামগুলোই ভালো ছিলো (আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ আছে)। তখন মানুষের মাঝে পরস্পর সৌহার্দ্যও ছিলো। বিদ্যুতের ছোবলে মানুষের মাঝের প্রেমের মাঝে ফাটল ধরিয়ে দিলো। আর গ্যাসের পর তাকে আরো উত্তাপ দিয়ে দিলো যেনো। আগের সেই মানবিক উষ্ণতা আর খুঁজে পাওয়া যায় না।

বাংলাদেশের সব গ্রামই আমার কাছে একই রকম মনে হয়। কোন পার্থক্য করা যায় না। আপনার ছবিগুলো দেখে মনে হলো, এ যেন আমার গ্রামের এলাকার ছবি। আমার গ্রামের আকাশ, আমার গ্রামের বিল, আমার গ্রামের নদী ইত্যাদি ছবিগুলোই আপনার মোবাইলের চোখে ফুটে উঠেছে। শুভ কামনা প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




কবীর হুমায়ূন ভাই,
আমার আম্মা চাচী ফুফু তাদের ভালো একটা সময় চলে যেতো রান্নার পাশে বসে গল্প করে করে। তাদের জীবনে যে পরিমান স্নেহ মায়া মমতা ও ভালোবাসা ছিলো এখন তা নেই কারণ পাশাপাশি মহিলারা কাজে বসেন না। এখন মহিলারা পাশাপাশি বসেন অকাজে।

বিদ্যুৎ গ্যাস হয়তো আমাদের সময় সাশ্রয় করেছে কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আমাদের সকল প্রকার নির্মল সুখ ও আনন্দ। আপনি সঠিক বলেছেন বাংলাদেশের গ্রামগুলো প্রায় সব এক ও অভিন্ন। আমি প্রতিমাসে ১/২ বার বাড়িতে আসা যাওয়া করি। বাড়িতে ভালো লাগে। জীবনের শান্তি খোঁজে পাই আর শেষ ঠিকানাতো বাড়িতেই হবে।

আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ আমার গ্রাম আপনার গ্রাম আসলে একই গ্রাম। আমার কাছে সমগ্র বাংলাদেশ একটি গ্রাম। সমগ্র বাংলাদেশ আমার বাড়ি।

শুভ কামনা রইলো কবীর হুমায়ূন ভাই।

৩২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,





নষ্টালজিক লেখা।
" তুমি যাবে ভাই, যাবে মোর সাথে
আমাদের ছোট গাঁয়....."

আপনি যেন এমন করেই ডাক দিয়ে স্মৃতি কাতর করে গেলেন।

চমৎকার সব ছবি নিয়ে এক গাঁয়ের ছেলের ছবি ব্লগ। এর তুলনা নেই। এখন যেন চীৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে -
দাও ফিরে সে অরণ্য...

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আহমেদ জী এস ভাই,
আমার সালাম নিবেন। আশা করি আপনি ভালো আছেন। আপনার জন্য সব সময় দোয়া করি আপনি ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। পরম করুণাময় আল্লাহপাক যেনো আপনাকে চিরোকাল শান্তির শীতল ছায়ায় রাখেন। ভাই, আমার জীবন চলার পথ কখনো সমান্তরাল ছিলো না, এই বন্ধুর পথ চলে চলে এখন এতোটাই অভ্যস্ত হয়েছি - এখন যেমন তেমন বন্ধুর পথও আমার কাছে সমান্তরাল মনে হয়। আপনি দেশের বাইরে আছেন আমি জানি, আমরা সবাই যোদ্ধা আর যোদ্ধা তার জীবনে লড়ে যাবেন অন্তকাল। - এটিই আপনার আমার জীবন। আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা আর দোয়া রইলো ভাই।


আহমেদ জী এস ভাই, আমি গ্রামের সন্তান। আমাদের সময়ে গরুর দুধে যে সর হতো এখন গরুর দুধে সে সর হয় না, সেই স্বাদও নেই। আপনার কি মনে আছে দুধ গরম করার পর দুধে তৈল ভেসে উঠতো! দুধ কলা দিয়ে ভাত খেতাম সেই দুধও নেই, কলাও নেই আর সেই চালের ভাতও নেই। কেমিক্যাল নির্ভর হয়ে হয়ে আমরা সব ধ্বংস করে দিয়েছি। আপনার আমার পক্ষে সেসব আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। শুধু স্মৃতি মনে করতে পারি - এটুকুই প্রাপ্তি।

আপনার মতো আমারও চীৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে অরণ্য তুমি কোথায়? - অরণ্য, আমি তোমায় ভালোবাসি।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.