নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful
আমার স্যার, অনেক অনেক বড় মানুষ, তাল গাছের মতোই তিনি বড়। না - না তাল গাছ ছাড়িয়ে তিনি আকাশ ছোঁয়েছেন, তিনি আকাশের মতোই বড় মানুষ। অনেক দূর দূরান্ত থেকে তাঁকে দেখা যায় - তিনি বড় মানুষতো তাই। আমাদের স্যার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বায়োলজি শিক্ষক। মহান বায়োলজি শিক্ষক। তিনি একজন বিজ্ঞানীও, মহান বিজ্ঞানী। যদিও এখন পর্যন্ত তিনি কোনো কিছুই আবিস্কার করতে পারেননি - তারপরও তিনি মহান বিজ্ঞানী। আমাদের দেশে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। সুযোগ থাকলে তিনি ধর্ম আবিস্কার করতেন। সমগ্র বিশ্বে ধর্ম নিয়ে আর কোনো সমস্যা থাকতো না। তিনি হতেন সেই ধর্মের অন্যতম ধর্ম প্রচারক, একজন মহামানব।
আমাদের যাতে বেশী বেশী পড়ালেখা না করতে হয়, এতো এতো কষ্ট না করতে হয় - আমাদের মহান স্যার ক্লাসে পরিক্ষার প্রশ্নপত্র অনুযায়ী সিলেবাস দিয়ে দেন। আর পরিক্ষার তিনদিন পূর্বে প্রশ্নপত্রের ফটোকপি। এ কারণে স্যারকে আমাদের ক্লাসে আর পড়াতে হয় না। ক্লাসের সময়ে তিনি আমাদের সাথে মজার মজার গল্প করেন “ন হন্যতে আর লা নুই বেঙ্গলীর” মতো অমর সাহিত্য নিয়ে গল্প করেন। তিনি ক্লাসে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করেন, কাফের মুশরিক নিয়ে আলোচনা করেন - কাফেরদের স্যার মনে প্রাণে ঘৃণা করেন। স্যারের কল্যানে আমরাও কাফেরদের ঘৃণা করতে শিখেছি। আগামী বই মেলাতে স্যার ধর্মীয় ইতিহাসের উপর বই প্রকাশ করবেন। স্যার নারী আন্দোলনের অগ্র পথিক, স্যার নারী নির্যাতন বন্ধে অনেক গবেষণা করছেন। বই মেলাতে এ বিষয়েও তিনি বই প্রকাশ করবেন।
স্যার আমাদের খুব ভালোবাসেন তো, তাই আমাদের নিয়ে খুব চিন্তা করেন। ইউনিভার্সিটির প্রথম দিনেই আমাদের মহান স্যার আমাদের বলেছেন - এই দেশে আমাদের কোনো ভবিষ্যত নেই! আর সেই চিন্তায় তিনি সব সময় চিন্তিত থাকেন। দিনে রাতে স্যারের কখনোই ঘুম হয় না - আহারে আহারে। এই যে আমাদের স্যার বিদেশে যাওয়ার এতো এতো সুযোগ থাকা সত্তেও দেশে পরে আছেন, মাত্র সামান্য বেতনে! - আমাদের চিন্তায়! - কারণ, আমরা যেনো প্রবাসে স্টুডেন্ট ভিসাতে চলে যেতে পারি। আমাদের প্রবাসে পাঠাতেই তিনি দেশে আছেন! তিনি আমাদের কতো কতো সাহায্যে করেন! - তা লিখে শেষ করা যাবে না! স্যারের খুব পরিচিত ও ঘনিষ্ট ৬ ছয়টি স্টুডেন্ট কন্সালটেন্সি ফার্ম আছে। স্যার আমাদের যে দেশে যেতে পরামর্শ দেন সে দেশে যেতে কন্সালটেন্সি ফার্মগুলো আমাদের ডকুমেন্টস নিয়ে কাজ করেন।
এই দেশে পড়ালেখা করে ছাত্রছাত্রীদের কোনো ভবিষ্যত নেই। স্যার আছেন বলেই ইউনিভার্সিটির ক্লাস শুরুর প্রথম সপ্তাহেই আমরা সকলে স্টুডেন্ট কন্সালটেন্সি ফার্মের সদস্য হয়েছি। প্রবাসে আমাদের নাম হবে দাম হবে, গুণ হবে, টাকা হবে, বেশী বেশী বেতনে চাকরি পাবো। ফালতু ধুলা বালু কাঁদার দেশে আর আসবো না। ঘৃণা ধরে গেছে এই দেশের প্রতি। এই দেশে মানুষ থাকে! - ওয়াক থু। আমরা চাঁদের দেশের নাগরিক হবো। চাঁদের দেশের পাসপোর্ট হাতে ঘুরে বেড়োবো। ভুলেও কোনোদিন কাউকে বলবো না আমাদের জন্মভূমির নাম! ভুলেও এই দেশের নামই আর স্মরণ করবো না। চাঁদের দেশে চুরি ডাকাতি খুন হত্যা ধর্ষণ বলতে কিছুই নেই। জাতপাত উঁচুনিচু ভেদাভেদ কিছুই নেই - সবাই সমান, সবাই। আমরা চাইলেই লর্ড পরিবারের সন্তানদের সাথে আত্মীয়তার! সম্পর্ক গড়তে পারবো। ঘুম থেকে উঠেই পিজ্জা খাবো, সকালে পিজ্জা, লাঞ্চে পিজ্জা, বিকালে পিজ্জা, ডিনারে পিজ্জা, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও পিজ্জা। মহান স্যার আছেন বলেই সব সম্ভব।
উপসংহারঃ আমাদের স্যার, আমাদের মহান স্যার আছেন বলেই জানতে পেরেছি এই দেশে ভবিষ্যত শূন্য, নিরাপত্তা নেই। চুরি ডাকাতি খুন ধর্ষণের দেশ আমাদের দেশ। তাই আমরা সবাই চাঁদের দেশে চলে যাবো - সেখানে চুরি ডাকাতি খুন হত্যা আত্মহত্যা ধর্ষণ কিছুই নেই। শুধু আনন্দ আর আনন্দ। পিজ্জা আনন্দ। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই পোস্টের সমস্তই কাল্পনিক। বাস্তবের সাথে এর কোন মিল নেই, কেউ যদি দূর দূরান্ত পর্যন্ত কোনো মিল খুঁজে পান তাহলে তা অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয় ঘটনা মাত্র।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ সামহোয়্যারইন ব্লগ। নির্বাচিত পোষ্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ছবিঃ মেক্সিকান পিজ্জা
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জ্বী, এমন স্যার ঘরে বাইরে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সবখানেই প্রয়োজন। তাহলে সবাই প্রবাসে চলে যেতে পারবেন। বাই দ্য ওয়ে পুরো পোস্ট পড়েছেন?
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইয়া য়া .. আল্লাহ ..।!
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ই য়া .. মাবুদ ..।!
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫১
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: স্যারের প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা রইলো। স্যারের হ্যারিকেনের আলোয় অন্ধকার দূরীভূত হোক। (ধূলো,কাঁদার দেশে আলো বলতে হ্যারিকেনই ভরসা।)
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
হারিকেন কুপির সাথে আমার জীবনের অনেক অনেক সুখ দুঃখের স্মৃতি। আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ ছিলো না, খুব সম্ভব ১৯৮১ - ১৯৮২তে আমরা আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ পাই। ছাত্রজীবন হারিকেন কুপিতেই অতিবাহিত হয়েছে।
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: স্যারের প্রতি শুভকামনা, হেদায়েতের দোয়া
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
স্যার একজন ভ্রাম্যমান ট্রাভেল এজেন্সি। দোয়ায় স্যারের কাজ হবার কথা না। কারণ, তিনি নিজেই দোয়া ও দাওয়াখানা।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
উপরের ৩টি মন্তব্যই সেইরাম! আমি আর কি বলবো ?
তবে তালগাছের মতোই লম্বা অনেক অনেক দুঃখ ও হতাশা নিয়ে লিখেছেন বোঝা যায়।
তালগাছ থেকে তাল মাথায় পড়লে যেমন মাথা ফাঁটে তেমনি আপনার বিদগ্ধ "স্যার" এর মতো স্যারদের শিক্ষার তাল মাথায় পড়ে আমাদেরও ফাঁটাফাটি অবস্থা। ইনটেন্সিভ কেয়ারে আছি এখন। শ্বাসটুকু ঝুলে আছে স্যারদের মর্জির উপরে। বাকী খোদা ভরসা.......
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আহমেদ জী এস ভাই,
সালাম নিবেন, আশা করি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আপনার জন্য সব সময় তাই দোয়া করি। পর সমাচার এই যে, আহমেদ জী এস ভাই, আমাদের দেশে শিক্ষকদের কোচিং ব্যবসার নামে যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে তার চেয়েও ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে - শিক্ষকরা এখন স্টুডেন্ট কন্সালটেন্সি ফার্মের ডান হাত বাম হাতে পরিণত হয়েছেন, আর তাতে করে এই দেশে ছাত্রছাত্রী এখন প্রবাসে যাচ্ছে বললে ভুল হবে, বলতে হবে ছাত্রছাত্রী মানব পাচার নামে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
দেশে শুধুমাত্র উপযুক্ত চাকরির ব্যবস্থা না থাকায় মানব পাচার হয়ে যাচ্ছে। আর এর সাথে জড়িত তথাকথিত শিক্ষিত কিছু শিক্ষকও আছেন।
শুভ কামনা জানবেন ভাই।
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৬
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: হ্যারিকেনের সাথে আমারো অনেক স্মৃতি আছে। হ্যারিকেনের কেরোসিনের ঘ্রানটা খুব ভালো লাগতো।যদিও আমার জন্মের আগে থেকেই আমার এলাকায় বিদ্যুৎ ছিলো,তবুও প্রায় ২০০৫-৬ সাল পর্যন্ত হ্যারিকেনই ছিলো একমাত্র ভরসা। কারণ লোডশেডিং ছিলো কিংবদন্তিতুল্য!!!
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বিচিত্র কারণে হারিকেনের কেরোসিন, পেট্রোল, ডিজেলের গন্ধ আমারও ভালো লাগে, তবে ডিজেল পোড়া ও পোড়া মবিলের গন্ধ আমার মাথা ব্যাথা করে। আপনি সঠিক, বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ইতিহাস ভয়াবহ। এমনও রেকর্ড আছে ২ দিন ৩ দিন পর বিদ্যুৎ এসেছে।
৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের জাতিটা শক্তভাবে কখনো দাঁড়াতে পারেনি; আমাদের মানুষেরা আসল জীবনের স্বাদটুকু পায় না; কারণ, জীবনকে অনুধাবন করার জন্য যেটুকু বেসিক শিক্ষার দরকার, সমাজ তার ব্যবস্হা করতে পারেনি; যারা নিজেরাই কুসংস্কার, ভুল ধারণা, অপধারণার মাঝে আছে, তারাই সমাজ ও জাতি গঠনের দায়িত্বে ছিলো ও আছে বেশীরভাগ সময়।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমার মাঝে মাঝেই মনে হয় এই দেশে আদু ভাইয়ের অভাব নেই। আর আদু ভাইদের ব্যবহার করছে তথাকথিত শিক্ষক, রাজনৈতিক পান্ডা। আপনি যাদের কাছে জানবেন শিখবেন তারা নিজেরাই মূর্খ ও অবিবেচক। দালাল শ্রেণীর লোক। আজীবন এরা দেশকে - দেশের মানুষকে সামান্য অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করেছে।
বাই দ্য ওয়ে - ভারতের দান/উপহার দেয়া টিকা খুব সম্ভব বাংলাদেশের জন্য নূহ নবীর নৌকার মতো অবস্থা হবে।
৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২৯
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি মাত্র একজন স্যার নিয়ে লিখেছেন কিন্তু আমি নিশ্চিত এইরকম স্যার গ্রাম বাংলা ঘরে ঘরে পাওয়া যাবে।
এরা গাছেরটা খায় কিন্তু তলেরটাও কুড়ায়। এইসব স্যারদের চরিত্র এর সাথে আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের সাথে অনেক মিল পাওয়া যায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এইসব স্যার দেখে খুব একটা অবাক হবার কোন কারণ নেই।
শুভ রাত্রী।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:২৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ডাক্তারগণ হয়েছেন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানীর সেলসম্যান আর শিক্ষকগণ হয়েছেন ট্রাভেল এজেন্সির সেলসম্যান। এটি আজব গজব বিষয় না? সবাই ফেসবুকে ব্লগে মহান বাণী দেন, কার্যত সবাই দেশ বিক্রি করে দিচ্ছেন পাঁচ - দশ টাকায়। বর্তমান ও আগামী প্রজন্ম নিয়ে এইদেশের অনেক সমস্যা যাবে। না, অবাক হবার মতো আর ব্যবস্থা নেই দেখে দেখে পুরাতন অথবা অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে।
শুভ সকাল।
৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: স্যারকে আমি চিনতে পেরেছি।
উনার বাড়ি রাজশাহী কিন্তু স্যার থাকেন ফরিদপুর। ছাত্রছাত্রীরা তাকে দারুন পছন্দ করেন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি সঠিক চিনতে পেরেছেন। আপনি মানুষ চিনতে চেষ্টা করেন অথবা মানুষের প্রতারণায় অনেক কষ্ট পেয়েছেন অথবা মানুষকে খুব কাছে থেকে দেখেছেন। এই ধরনের স্যার’রা ছাত্রছাত্রীদের খুব পছন্দের স্যার হয়ে থাকেন। বিশেষ করে ছাত্রীরা এই ধরনের মহান স্যার/চিন্তিত স্যার/আলাভুলা স্যার/রোমিও স্যার/মজনু স্যার/বিজ্ঞানী স্যারের নামে মরতে পারেন আবার বাঁচতেও পারেন। - কি বুঝলেন?
১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৫৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: পিজ্জার ছবির সাথে স্যাররে যে বর্ণনা দিলেন পোষ্টের সব কিছু কাল্পনিক আর কাকতালীয় মিলের কথা না লিখলে কি যে ভাবতাম বুঝতে পারছি না।
তবে চাঁদের দেশের ভিষা পাইলে আমার জন্য একটা রাইখেন
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
রোকসানা আপা,
করোনা আমাদের সমগ্র জীবনের রুটিন রিতিমতো এলোমেলো করে দিয়েছে। এলামেলো করে দিয়েছে আমাদের সহজ/কঠিন পথচলা। ব্লগে এখন লেখালেখি নিজের কাছেও খুব ক্লান্ত লাগে - এর কারণ ব্লগ নয়, কারণ দেশ ও সমগ্র বিশ্বের জীবনযাত্রা। লেখাটি খুব দুঃখকষ্ট থেকে লিখেছি। আপা যেখানে চিকিৎসক শিক্ষকের পেশার কাছে জাতি কৃতজ্ঞ হবেন সেখানে চিকিৎসক শিক্ষক ন্যুডলি জঘন্য দালালি ব্যবসা করে যাচ্ছেন। আমরা তাদের কাছে কি আশা করি - আর কি পাচ্ছি?
ভিসা - একটি মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে। এই বদলে দেওয়ার বিষয়টি উভয়ভাবেই হতে পারে নেগেটিভ ও পজেটিভ ওয়ে। আপনি প্রবাসে আছেন আপনি ভালো জানেন।
১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৪৪
ল বলেছেন: গুরুজী ,
যা বললেন !!!
এমন স্যার বাহবা পাওয়ার মতো বৈকী !!!!
আমি বলি —- লও ঠেলা !!!!’
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৪৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনাকে কি পরিমান মিস করেছি তা লিখতে হলে রিম রিম কাগজ শেষ করা যাবে। আপনাকে পাওয়া গেছে এতেই চিন্তামুক্ত। বাংলাদেশে এতো এতো ভিসার দালাল ভাবতেও অবাক লাগে গুরু! এই দেশে সবাই যদি ভিসার দালাল হয়ে যান ভাম্যমান ট্রাভেল এজেন্সি হয়ে যান তাহলে শিক্ষা ও চিকিৎসার যে হাল হয়েছে - তার জন্য দায়ী কে?
ভিসা - একটি মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে। এই বদলে দেওয়ার বিষয়টি উভয়ভাবেই হতে পারে নেগেটিভ ও পজেটিভ ওয়ে। আপনি প্রবাসে আছেন আপনি ভালো জানেন।
১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:০১
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এখন অধিকাংশ স্যাররাই মহামানব হয়ে গেছেন। কয়েকদিন পূর্বে এক মহাখ্যাত (বিখ্যাতেরও বাপ) স্যারকে দেখলাম টিভির বাক্সে তৈল, ঘি সহ যতরকম চর্বিদার উপকরণ আছে তাহা ব্যবহার করিয়া রাষ্ট্রযন্ত্রের জিকির করিতে করিতে মুখে ফেনা তুলিয়া ফেলিতেছেন। মহাখ্যাত, বিখ্যাত, অখ্যাত সব স্যাররাই এখন ইহকাল ও পরকালের ছোট্ট একটি শান্তির নীড়ের ব্যবস্থা করিয়া ফেলিতেছেন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমাদের দেশে কি মহামানব হবার বিশেষ কোনো যন্ত্র আছে - ধরুন গেন্ডারি চিপা মেসিনের মতো একদিকে সাধারণ মানুষ দিয়ে দিলাম আরেক দিকে অসাধারণ মানুষ/মহামানব হয়ে বেড়িয়ে এলো! এমন কিছু। এই দেশে রিতিমতো প্রতিযোগিতা করে মহামনবের আর্বিভাব হচ্ছে।
বিনা পূঁজিতে ব্যবসা কেউ বাংলাদেশের মানুষের কাছে আর কোলকাতার মানুষের কাছে শিখুক। আমার জীবনে এহেন ব্যবসায়ী আমি দেখিনি আর দেখবো বলে মনেও হয় না।
টিভি/পত্রিকায় রাজনৈতিক পান্ডাদের তৈল ঘি মর্দন দেখলে আফসোস লাগে - তার পরিবার পরিজন কি ভাবে ঝুলে আছে এই হারামখোরের সাথে? মানুষে অমানুষ আছে, পশুতেও কি অপশু আছে? আমার জানা নেই, আপনার জানা থাকলে জানাবেন প্লিজ।
১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:০৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এমন একটি বিষয় নিয়ে লিখলেন যা দেশে বিদেশে অনেকের আঁতে ঘা দিবে । বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থা নানা কঠিন রোগে আক্রান্ত। তার মধ্যে কোচিং-বাণিজ্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী। এ ব্যাধি এমনই ব্যাপকভাবে সমাজকে গ্রাস করেছে যে অনেকের আশঙ্কা, এ থেকে মুক্তি নেই আমাদের। একটি বড় অভিযোগ, শিক্ষকেরা ক্লাসে পড়ানোর চেয়ে বেশি আগ্রহী কোচিং-বাণিজ্যে। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, পাবলিক পরীক্ষা, সরকারি বা যেকোনো চাকরির জন্য পরীক্ষায় অংশ নিতে আমাদের সন্তানেরা এখন কোচিং করতে বাধ্য হয়? এ দেশে এখন বছরে হাজার কোটি টাকার কোচিংবাণিজ্য হয়।
ধরে নিচ্ছি , আমাদের শিক্ষকদের নৈতিক মান ক্রমেই নিম্নগামী, তাঁদের নিষ্ঠার অভাব রয়েছে। তাই তাঁরা ক্লাসে না পড়িয়ে কোচিং-বাণিজ্য করেন। হতে পারে, কিছু বিষয়ের ৬০ ভাগ শিক্ষকই কোচিং করান। কিন্তু এমন অনেক শিক্ষকও আছেন,যাঁরা আদৌ কোচিং করান না। তাঁদের সংখ্যা একবারেই নগণ্য নহে ? তাঁরা সত্যিই মহামানব , তাঁরা মানুষ গড়ার
সত্যিকার কারিগর,তাঁদের প্রতি রইল অপরিসিম শ্রদ্ধা । শুধু এ পোষ্টে বিবৃত মহামানবধারী শিক্ষকদেরকে মুল্যায়ন করা হবে
তেমনভাবেই যেমনটি আপনি করেছেন ।
অন্যদিকে অছে কনসালটেন্সি ফার্মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি । এসব চক্র পড়াশোনার জন্য বিদেশ পাঠানোর নামে প্রতারণা করে চলেছে বিবিধ প্রকারে । পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে বিভিন্ন ভিসা এজেন্সি ও কনসালটেন্সি ফার্মের নানানবিজ্ঞাপন। ‘সাত দিনে ভিসার গ্যারান্টি’, ‘আগে ভিসা পরে টাকা, ‘খণ্ডকালীন চাকরিরসুযোগ−এ ধরনের চমকপ্রদ অনেক কথা বিজ্ঞাপনে লেখা থাকলেও আদতে তা ফাঁকা বুলি।
প্রতিবছরই বাংলাদেশ থেকে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার আশায় পাড়ি জমালেও এর চেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী এভাবেই প্রতারিত হচ্ছে। কোনো কোনো ফার্ম ফাইল ওপেনিং কিংবা নাম নিবন্ধন ছাড়া বিস্তারিত কোনো তথ্যই দিতে চায় না, আবার কেউ কেউ অছাত্রদেরও বিদেশে ছাত্র ভিসায় পাঠানোর গ্যারান্টি দেয়। নেই সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা। বিদেশে শ্রমিক প্রেরণকারী রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হলেও স্টুডেন্ট কনসালটেন্সি ফার্মগুলোর নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই।সিটি করপোরেশন থেকে শুধু একটি ট্রেড লাইসেন্স হলেই চলে। ভুয়া অভিভাবক বানিয়ে‘স্পন্সর অর্থাৎ‘ব্যাংক সলভেন্সি সাপোর্ট দিচ্ছে অনেক কনসালটেন্সি ফার্ম।বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সাইপ্রাস,সুইডেন ও মালয়েশিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসার নিশ্চয়তা দিয়ে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে কিছু কনসালটেন্সি ফার্ম।
ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত শিক্ষা মেলায় চোখে পড়েছে কনসালটেন্সি ফার্মের লিফলেট ও বুকলেট। এগুলি স্টুডেন্ট ভিসার নামে মুলত আদম ব্যবসা ।
তুলনামূলক সহজ নিয়ম ও ভিসা প্রক্রিয়ায় জটিলতা নেই এমন সব দেশকেই ব্যবসার ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সি। কলেজ /ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ‘অফার লেটার’ পাঠালেই ভিসা জটিলতা থাকে না। আর এ সুযোগ নিচ্ছে বাংলাদেশি অসাধু এজেন্সিগুলো। বিভিন্ন ফির নামে আদায় করছে মোটা অংকের অর্থ ।ফাইল ওপেনিং, কাউন্সেলিং, অ্যাডমিশন সার্ভিস চার্জ, ভিসা প্রসেসিং, টিউশন ফি ট্রান্সফার, স্পন্সর সাপোর্ট, পার্টটাইম জব প্লেসমেন্ট এবং ফাউন্ডেশন কোর্সের নাম করে কনসালটেন্সি ফার্মগুলো হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
আজকের সহজ ইন্টার নেটের যুগে কনসালটেন্সি ফার্মের দ্বারস্থ না হয়েও শিক্ষার্থী নিজেই উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার ধাপগুলো সম্পন্ন করতে পারেন। যাহোক এত কষ্ট করে দেশের বাইরে গিয়ে সেখানে বিজ্ঞানী হয়ে গেলে দেশের কিছু বিষয়ের প্রতি কিছু পুড়ানীতো অনেকের থাকবেই । দেশে যন্ত্রনাদায়ক তেলেশমাতি কান্ড কারখানা না থাকলে এত সহজে অনেকেই বিদেশে গিয়ে বড় মাপের বিজ্ঞানীও হতে পারতেন না । বিদেশে একবার পাড়ী দিতে পারলে বড় মাপের বিজ্ঞানী
হতে ঠেকায় কে !! । কষ্টসাধ্য অর্জনের জন্য তাদেরকে প্রাপ্য সন্মানটুকুতো তাদেরকেতো দিতেই হবে।
তবে, একটি গুরুত্বপুর্ণ দিক হলো উচ্চশিক্ষার জন্য ছুটি নিয়ে বিদেশে গিয়ে আর দেশে ফিরে আসেন না অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। শিক্ষা ছুটি নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পড়তে যাওয়া নতুন কিছু নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে এজন্য একজন শিক্ষক সাত বছর পর্যন্ত ছুটি পান। যার পাঁচবছর পেয়ে থাকেন পূর্ণ বেতন সুবিধা, পরবর্তী এক বছর অর্ধেক বেতন। এছাড়া বিনা বেতনে কাটাতে পারেন আরও একবছর। এই সুযোগ নিয়ে অনেক শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটি নিয়ে উচ্চশিক্ষার নামে বছরের পর বছর বিদেশে থাকেন; আবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেতনভাতা সহ যাবতীয় সুযোগসুবিধাও নেন। এদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আর দেশমুখী হন না; বেতন ভাতার টাকাও ফেরৎ দেন না।দেশে আসলে বেতন ভাতার টাকা ফেরত দিতে হবে । তাই উনাদেরকেতো দেশে না ফেরার জন্য আত্ম রক্ষামুলক কিছু সংলাপ আওরাতেই হবে!! । একজন আওরাবে আর তার মত অন্যরা তাতে বাতাশ দিবেন তাতে আর আশ্চর্য হওয়ার কি আছে । তবে কথা হলো তারাতো দেশের উচ্চতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেশ উচ্চ বেতন ভাতাদি সুযোগ সুবিধা ও স্টেটাস নিয়ে তো ভালই ছিলেন । কিছু সংখ্যক শিক্ষক/বিজ্ঞানী আবার বিবিধ তেলেসমাতি প্রভাব খাটিয়ে ( যথা স্বজনপ্রিতি , সাদা নীল লাল ধরনের রাজনৈতিক দলীয় আনুকল্য/প্রভাব প্রভৃতি উপায়ে যোগ্যদেরকে পাশ কাটিয়ে বিদেশে পাড়ি জমান ) তাদের অনেকেই বিদেশে হোআইট কালার জব ম্যনেজ করতে পারেন না , তাদের অনেককেই বাধ্য হয়ে নিন্মমানের কাজ করতে হয় , এর ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে।তাদেরই কেও কেও দেশে না ফিরে যখন বলেন দেশে তাদের যোগ্য কাজের সুযোগ নেই , তাদের নিরাপত্তা নেই (অথচ দেশে তাদের মা বাবা ভাই বোন আত্মীয় স্বজন বেশ বহাল তবিয়তেই আছেন , সে সমস্ত বিজ্ঞানীরা মাঝে মধ্যে ঘটা করে দেশে এসে বেশ নিরাপদেই বেড়িয়ে যান) ।তাই কেও যখন বলেন দেশে তাদের যোগ্য কাজের সুযোগ নেই, নিরাপত্তা নেই, দেশে কর্মস্থলে অনেক লাঞ্ছনা গঞ্জনার শিকাড় হতে হয়েছিল তখন ঠোটের কোনে কিঞ্চিত হাসি ফুটানো ছাড়া আর কিইবা বলার থাকে। তখন মনে হয় দেশের বড় অপরাধ হলো তাদেরকে নীজ দেশে শিক্ষক/বিশেষজ্ঞ করে গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীকে মোটা অংকের অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়েছে। উপকারের ফলভোগ দেশকেতো কিছু ভোগ করতেই হবে।শান্তনা পুরস্কার হলো তাদের প্রেরিত কিছু রেমিটেন্স। কিন্তু এর পিছনে দেশের সাধারণ মানুষের কত পরিশ্রমের অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়েছে তা কি ভেবে দেখা হয় কভু ।
দেশের সিংহভাগ মানুষ কষ্টে শিষ্টে দেশে পরে থাকলেও তাঁরা কভু নীজ দেশের কোন নেতিবাচক দিক সে সমস্ত কতক দেশত্যাগীদের মত করে তুলে ধরেন না। তাঁরা হা হুতাশ করেন না দেশে যোগ্যের সন্মান নেই বলে । বরং সকলের সন্মান কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করে যান নিরলস ভাবে নিজেদের নিরাপত্তার কথা না ভেবেই।তাদের প্রতি রইল
অন্তরের অন্তস্থল হতে শ্রদ্ধা ও হৃদয় নিংরানো অর্ঘ্র ।
আরেকটি কথা, আজকের যুগে দিন মজুর/গৃহকর্মী হতে শুরু করে প্রায় সকলেই একটু চেষ্টা করলে দেশের বাইরে যেকোন উন্নত
দেশে যেতে পারেন বিবিধ প্রকারে । কারোটা হয় খুবই মস্রিন আর কারো বিদেশ গমন হয় এক সংগ্রামী প্রচেষ্টায় , সে কারণেই দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ এখন আছেন বিদেশে। দেশ ও বিদেশে অবস্থানকারী তাদের সকলেই দেশের জন্য রেখে যাচ্ছেন পরিশ্রমী অবদান ,সকলের প্রতি শ্রদ্ধা রইল সমানভাবে, শুধু সে সমস্ত মহামানবই বাদ যারা বিদেশে বসে দেশের ভাবমুর্তী
বিনষ্ট করেন বিবিধ প্রকারে ।
শেষ কথা হলো বিবিধ প্রকারের দেশের বিদ্যমান অনিয়ম আর দুর্নীতি বন্ধ হোক চিরতরে। দেশটি যেন সত্যিকারের সোনার বাংলায় পরিনত হয় এ ব্রত থাকুক আমাদের সকলের মনের মাঝারে ।
ভাল গুরুত্পুর্ণ একটি বিষয় নিয়ে অলোচনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
১৯৭১ সালে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নেয়া আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি ক্ষুধা, দারিদ্র্য আর দুর্যোগের সাথে সংগ্রাম করছে প্রতিনিয়ত, কিন্তু বর্তমানে যে ব্যাধিটি সংগ্রামের মাত্রা তীব্রতর করছে তা হল দুর্নীতি। দুর্নীতির মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা আজ ভুলুন্ঠিত হচ্ছে। পরপর তিনবার নির্লজ্জ জাতি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সর্বশেষ টিআই রিপোর্টে আমাদের অর্জন ত্রয়োদশ স্থান। বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বিশ্ব প্রেক্ষাপটে আমাদের অবস্থান বদলে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। খুব সহজেই অনুমেয়, কর্মের ফলস্বরূপ আমাদের এই কীর্তি অর্জন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য- একটি দেশের কাণ্ডারির ভূমিকায় এদেরকেই অবতীর্ণ হতে হয়। শুধু দরকার যোগ্য, সৎ, দেশপ্রেমিক দক্ষ নেতা- যে জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় (দক্ষ নেতৃত্ব) সকল কালিমা দূর করে দেশকে এনে দিবে থালা ভরা সম্মান। এছাড়াও আগামী প্রজন্মকে হতে হবে দক্ষ ও দেশপ্রেমিক। এক্ষেত্রে দরকার শুধু সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা।
একটি জাতির মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে শিক্ষার (সাক্ষরতা) হার উন্নত হতে হয় তা অনেক আগেই প্রমাণিত হয়েছে। এ প্রয়োজনীয়তা থেকে প্রত্যেকটি দেশ শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে এটিই স্বাভাবিক। আমাদের দেশেও এই ধারাটি প্রচলিত। ধারাটি প্রচলিত হলেও এর ফল কতটুকু তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ থাকলেও একেবারেই যে উন্নতি হচ্ছে না তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কতটুকু? দুর্নীতির মহোৎসব শিক্ষা খাতকে এমনভাবে আকড়ে ধরেছে যে দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত খাতগুলোর মধ্যে শিক্ষা খাতের অবস্থান বিগত বছরগুলোতে প্রথম হলেও বর্তমানে তৃতীয়।
অবকাঠামোগত উন্নয়ন শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন কমিটি-উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। উচ্চবিদ্যালয়সমূহে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী সংযোজিত হবে। নিম্ন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একীভূত করা হবে, তারপর ক্রমান্বয়ে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত চালু করা হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। এই যে পরিবর্তন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত এবং উচ্চবিদ্যালয়সমূহকে একাদশ-দ্বাদশ, তারপর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর কলেজগুলোতেও পরিবর্তন। প্রায় ৭০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৫ হাজার উচ্চমাধ্যমিক এবং দুই হাজার কলেজে ভৌত অবকাঠামোর পরিবর্তন ও উন্নয়ন নিঃসন্দেহে আমাদের দুর্বল অর্থনীতির জন্য সুকঠিন কাজ। এখানে সম্পদের যে অপচয় হবে, তাও ভেবে দেখার বিষয়। আমরা জানি যে কোনো উন্নয়ন বাজেটের সদ্ব্যবহার করাও সহজ নয়—সকল স্তরেই লাইন লস হবে। আমাদের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে স্থাপিত ভৌত অবকাঠামোর শতভাগ ব্যবহার আমাদের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া প্রাথমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে যে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, এতে নিঃসন্দেহে অনেক সমস্যারও সৃষ্টি হবে। যেমন উচ্চবিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষক ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণীতে পড়াতেন, তাঁদের কী হবে; কলেজে যাঁরা উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীতে শিক্ষকতা করতেন, তাঁদের কীভাবে ব্যবহার করা যাবে। ভৌত অবকাঠামো, গবেষণাগার, তার ব্যবহার কীভাবে নিশ্চিত হবে? এসব জটিলতার দিকে না গিয়ে বরং বিদ্যালয়সমূহে যেসব শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হচ্ছে, তা-ই রাখা হোক। বরং শিক্ষানীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ সমৃদ্ধি ঘটানো হোক গ্রন্থাগার কিংবা পরীক্ষাগারে, শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত উন্নয়নে, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে।
শিক্ষার যথাযথ পদ্ধতি ব্যবহার: ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রত্যয়কে মনে রেখে প্রতিটি পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সারা দেশের ছাত্রছাত্রীদের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা উচিত। পাঠ্যপুস্তকের মানে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে ভাবার কোনো কারণ নেই। ভালো ভালো পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নে আমাদের বিনিয়োগ ঘটানো অত্যন্ত জরুরি। এখনো সরকারি স্কুল-কলেজে পর্যাপ্তসংখ্যক যোগ্য শিক্ষকের অভাব রয়েছে। এরও অবসান চাই।
আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো শিক্ষায় বড় বিনিয়োগ ঘটাতে পারব না। আমাদের তরুণ ছেলেমেয়েদের অফুরন্ত প্রাণশক্তিকে শিক্ষা ও দক্ষতার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে উদ্বুদ্ধ করার জন্য শিক্ষার সকল পর্যায়ে অলিম্পিয়াডের মতো প্রতিযোগিতা চালু করা উচিত। যেকোনো বিষয়ে উৎকর্ষ অর্জনের জন্য প্রতিযোগিতার থেকে অধিক ব্যয়সাশ্রয়ী কোনো পদ্ধতি নেই। সুতরাং আমাদের তরুণদের প্রাণশক্তিকে ব্যবহারের জন্য, সুপ্তশক্তিকে জাগ্রত করতে জনপ্রিয় প্রতিযোগিতার আয়োজন ও তার বহুল প্রচারে সারা দেশের মানুষকে আগ্রহী করা উচিত।
মুখস্থনির্ভর পরীক্ষার ফলে আমাদের ছেলেমেয়েদের সৃজনশীলতা হ্রাস পাচ্ছে, এ কথাটি প্রায় সবাই বিশ্বাস করে। এ থেকে মুক্তি পেতে হলে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং তার মূল্যায়নকে খুব গুরুত্ব দিতে হবে। এর জন্য একটি স্থায়ী প্রতিষ্ঠান গড়া যেতে পারে, যা সারা বছর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মূল্যায়ন নিয়ে গবেষণা করবে। প্রতিবছরই ছাত্রদের সৃজনশীল প্রশ্ন ও সমস্যা দিয়ে তাদের সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উদ্বুদ্ধ করবে।
বিগত কয়েক বছর বোর্ড কর্তৃক এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার যে ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগের। ৭০-৮০ হাজার ছাত্র যদি পারফেক্ট জিপিএ নিয়ে পাস করে তার অর্থ হলো ৭০-৮০ হাজার ছাত্রের মধ্যে জ্ঞানের ব্যবধান বর্তমান মূল্যায়ন পদ্ধতি নির্ণয় করতে পারে না। ছাত্রদের প্রাণশক্তি অফুরন্ত আরও কঠিন সমস্যা দিয়ে তাদের চ্যালেঞ্জ করতে হবে। নিশ্চয়ই সেসব সমস্যাও তারা সমাধান করতে পারবে।
বোর্ডের পরীক্ষার পাশাপাশি নিয়মিতভাবে অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি অত্যন্ত জরুরি। ভারতে টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ এই দায়িত্ব পালন করছে। আমাদেরও অনুরূপ প্রতিষ্ঠান গড়া দরকার। কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা চলিত শিক্ষা পদ্ধতিতে গ্রামে ও শহরে বসবাসরত গরীব জনগোষ্ঠির ছেলে মেয়েরা স্কুলে আসতে চায় না , কারণ স্কুলে সনাতন পদ্ধতিতে সামান্য লেখাপড়া করে তারা পায় না কোন চাকুরী, পারেনা অন্য কোন উপার্জন কারী কাজ করতে। অযথা কয়েক বৎসর সময় তাদের কাছ থেকে চলে যায় তখন তারা নিজের জীবন নিয়ে নিজেরা বেসামাল হয়ে পড়ে। গরীব পিতা-মাতা তাদের ছেলে মেয়েদের নিয়ে অস্থির হয়ে যায়। স্কুল পর্যায়ে কারিগরি শিক্ষার প্রচলন হলে গরীব জনগোষ্ঠির ছেলে মেয়েরা স্বতস্ফূর্তভাবে স্কুলে আসবে পড়া লেখার পাশাপাশি কারিগরি কাজ শিখবে ও আত্মকর্মসংস্থানের দিকে নিজেকে নিয়োগ করবে। শিক্ষার ব্যাপকতার বিস্তারের ফলাফল হিসেবে নিম্মবিত্ত জনগোষ্ঠির মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা ও হ্রাস পাবে।
প্রচলিত শিক্ষায় পাস পাওয়াদেরকে অনেকে সংবর্ধনা দেয়, পুরস্কার দেয়া হয়। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কিন্তু যারা রেজাল্ট খারাপ করেছে বা পাশ করতে পারেনি সেই বৃহৎ অংশের মঙ্গলের জন্য কোনো উদ্যোগ নেই। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত, ঝরে পড়া বা অনগ্রসর বিপুল ছাত্রছাত্রী পরিবারের কাছে হয়ে পড়ে বোঝার মত। অবহেলিত এই বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী একসময় সমাজের অন্ধকার জগতের দিকে পা বাড়ায়। নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। সমাজের শান্তিশৃংখলার বিঘ্ন ঘটায়। অথচ এই ঝরে পড়া, পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের কোন বৃত্তিমূলক ট্রেনিং বা কারিগরি শিক্ষাথাকলে তারা নিজেদের পছন্দমত পেশা বেছে নিয়ে সুন্দর জীবন যাপন করতে পারতো।
বৃহৎ জনগোষ্ঠিকে দক্ষ জনগোষ্ঠি হিসেবে গড়ে তোলা: প্রথাগত শিক্ষা কেবল শিক্ষিত বেকারের সংখ্যাই বাড়াচ্ছে। যদি আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে আমার বিশ্বাস দেশে স্কুলগামী কোনো ছেলেমেয়েই বেকার থাকবে না। যারা ভালো রেজাল্ট করবে তাদের জন্য উচ্চ শিক্ষার পথ উম্মুক্ত কিন্তু যারা পিছিয়ে পড়ে বা পড়া লেখায় অনগ্রসর তাদেরকে কারিগরি বা বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনগোষ্ঠি হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। তাই আমাদের দেশের স্কুল/মাদ্রাসাগুলোতে প্রচলিত পাঠ্যসূচির পাশাপাশি ৭ম শ্রেনী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত বৃত্তিমূলক বিভিন্ন ট্রেড চালু করা আবশ্যক। আমাদের সমাজে যে ক্ষেত্রে দক্ষ জনগোষ্ঠি দরকার প্রচলিত শিক্ষা সেরকম দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে পারছে না। যার ফলে শিতি /অর্ধশিতি বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলছে। শিক্ষার উদ্দেশ্য মানুষকে বিকশিত করা, দক্ষ মানব সম্পদে রুপান্তরিত করা। কিন্তু প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা তা করতে অনেকাংশে অসফল। আমার বিশ্বাস ৭ম থেকে ১০ম শ্রেণীতে বৃত্তিমূলক ট্রেড,ও কারিগরি শিক্ষা চালু করলে এদেশে একজন ছেলে-মেয়েও বেকার থাকবেনা এবং স্কুলে যাওয়ার উপযুক্ত সকল ছেলে-মেয়ে স্বেচ্ছায় স্কুলে যাবে। এর জন্য বাড়তি কোনো খরচেরও প্রয়োজন হবে না। হেডমাস্টার, দায়িত্ববান শিক, শিক্ষানুরাগী, বিদ্যোৎসাহীদের সহযোগীতায় প্রতিটি মাধ্যমিক স্কুলে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা প্রচলন করা সম্ভব।৭ম থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত টেকনিক্যাল শিক্ষার ব্যবস্থা করা অধিক যুক্তিযুক্ত হবে।
*শিক্ষার অধিক বিস্তারের অবশ্যম্ভাবী ফলাফল হিসেবে জনসংখ্যা অত্যাধিক বৃদ্ধির হার ও কমানো সম্ভব।
* অশিক্ষিত লোককে সামান্য নগদ ঋণ বিতরণ না করে তাকে কারিগরি শিক্ষা প্রদান করলে সে নিজে নিজের কর্মসংস্থান করে নিতে পারবে।
* কারিগরি শিক্ষা স্কুল পর্যায়ে প্রদান করলে তারা সহজে যেমন বেকারত্বের হাত থেকে মুক্তি পাবে তেমনি দেশে বিপুল সংখ্যক বেকারের কর্মসংস্থান হবে।
* বিদেশে যাওয়ার সময় মধ্যসত্বভোগীদের হাতে পড়ে, অশিক্ষিত ও অদক্ষ লোক যেমন প্রতারিত হচ্ছে তেমনি বিদেশ থেকে সর্বস্ব হারিয়ে ফেরত আসছে। কারিগরী শিক্ষা তা রোধে অবদান রাখবে। যে ভাবে ইলেকট্রনিক পণ্য বাংলাদেশের সকল গ্রামে গঞ্জে ব্যবহার হচ্ছে, উক্ত পণ্যগুলি গ্রামে নষ্ট হলে মেরামতের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক কারিগর নেই। এ শিক্ষা প্রচলনের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়েও কর্মসংস্থান সম্ভব হবে। রোধ হবে শহর মুখী জনস্রোত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতির উর্ধ্বে রাখা রাজণীতি শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষার পরিবেশকে করেছে কুলশিত। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার ভিত্তিটি নড়বড়ে করে দেয়, শিক্ষাঙ্গনের রাজনীতি। কত মেধাবী প্রাণ ঝড়ে যায় অসময়ে আর রাজনীতির কালো থাবার কারণন। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ছাত্র শিক্ষক উভয়েই রাজনীতির পথে তাদের বিচরণ অভ্যাহত রাখছে। তাতে করে দেশের শিক্ষার মান, মর্যাদা, উন্নয়ন, পরিকল্পনা সব কিছুই হারিয়ে যায়। সরকার ইচ্ছা করলেই দেশের শিক্ষাঙ্গণ থেকে রাজনীতির ভয়াল বিচরণ বন্ধ করতে পারেন। তাতে শিক্ষার গুণগত মান পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো কিছুটা হলেও উন্নতি করা সম্ভব হবে।
ছাত্র রাজনীতি বন্ধ বা কন্ট্রোল: ছাত্র রাজনীতির পক্ষে যারা যুক্তি দেখাচ্ছেন, তারা আরো বলছেন - ছাত্র রাজনীতির কারনেই সম্ভব হয়েছিল ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীল নক্সা প্রতিরোধ করা। বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে সফলতা অর্জন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভ। ১৯৯১ সালে স্বৈরাচার সরকারের উৎখাত ঘটানো, ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবে ঐ দিনগুলোর ছাত্র রাজনীতি দলীয় রাজনীতির বিষাক্ত ছোয়ায় বিষাক্ত ছিলনা। ঐ দিনগুলোতে ছাত্র রাজনীতি ছিল জাতীয় ছাত্র রাজনীতি। যা ছিল ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে জাতীয় এবং জীবন মরনের সাথে সর্ম্পকিত। যা ছিল বিবেকের ধ্বংশনের প্রতিক্রিয়া বা প্রতিফলন। আর তাই বর্তমানের দলীয় ছাত্র রাজনীতির চেয়ে অতীতের জাতীয় ছাত্র রাজনীতির ভুমিকা ছিল খুবই জুড়ালো এবং সফলতার উজ্জ্বল্যে ভাস্বর ও চিরস্মরনীয়। বর্তমানে ছাত্র রাজনীতি মানেই হল দখল, টেন্ডার চিন্তাই, দলীয় সংঘাত, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি। কাজেই পবিত্র ছাত্র রাজনীতিকে দলীয় সংঘাতের বা ক্ষমতায় টিকে থাকার রাজনীতি দিয়ে আর কলংকিত করা যায় না।
কেউ কেউ আরো বলছেন, ছাত্রদের লেখা-পড়ার পাশাপশি রাজনীতিও তাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু আমরা বলব দলীয় রাজনীতির নামে বর্তমান ধারায় প্রচলিত ছাত্র রাজনীতি কখনও ছাত্রদের মৌলিক অধিকার হতে পারে না। ছাত্রদের মৌলিক অধিকার রাজনীতি। এ ক্ষেত্রে অর্থাৎ এই ছাত্ররাজনীতির ক্ষেত্র হতে পারে, যেমন- লেখা পড়ার সঙ্গে জড়তি সকল কিছু সুষ্ঠু ও সঠিক ভাবে ছাত্র ছাত্রীদরে প্রাপ্য নশ্চিতি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অগ্রণী ভুমিকা পালন করা। জাতীয় ইস্যুতে, যেমন - সবার জন্য খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের সমস্যা দূরীকরণে সরকারকে সহযোগীতা প্রদানের মাধ্যমে সকল নাগরিকের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করা। ছাত্র রাজনীতি হবে সুশৃংখল। যা হতে পারে তার লেখা পড়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা সমধানের অন্যতম হাতিয়ার। ছাত্র রাজনীতি হবে জাতীর ক্রান্তি লগ্নে এক অনন্য সত্ত্বা যার কোন বিকল্প নাই। অতীতে জাতীর ক্রান্তি লগ্নে ছাত্র রাজনীতি ছিল উল্লেখ যোগ্য ভাবে প্রশংসনীয়। ছাত্র রাজনীতির সেই ঐতিহ্যগত সুনাম ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ ফিরে পেতে দলীয় রাজনীতি নামের ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
বর্তমান প্রজন্মকে সুস্থ ও সুন্দর শিক্ষার পরিবেশ উপহার দিতে হলে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের কোন বিকল্প নাই।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্ব-মূল্যায়ন: সম্প্রতি দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর স্ব-মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সরকার। বাংলাদেশে এ ধরনের মূল্যায়ন নতুন হলেও বিশ্বব্যাপি বেশ পুরনো। এ নিয়ে যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পিটার রাড এবং ডেভোরা ডেভিস’ নামে দুই ভদ্রলোকের গবেষণা প্রকাশ হয় ২০০০ সালে। তারা মূল্যায়নের শুরু হিসেবে ১৯৯০ সালকে আবিষ্কার করেছেন। এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়ন। উন্নত বিশ্বে, বিশেষ করে ইংল্যান্ডে শিক্ষার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (local education authority) কর্তৃক এ মূল্যায়ন পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশে শিক্ষার এরকম স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নেই বলে কেন্দ্রীয়ভাবে এই মূল্যায়ন করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর-এর সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এসইএসডিপি) আওতায় ১৭ হাজার ৮৭৩টি বিদ্যালয়ের মধ্যে এ মূল্যায়ন হয়। ব্যানবেইজের সর্বশেষ ২০০৯-এর তথ্যানুসারে বাংলাদেশে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে মোট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৯ হাজার ৮৩। মূল্যায়ন বিষয়ে বিস্তর আলোচনার সুবিধার্থে মূল বিষয়গুলো জানা যাক। ‘১৪ শতাংশ বিদ্যালয়ের শিক্ষামান উন্নত’ শিরোনামে ১০ অক্টোবর পত্রিকাগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যা বলছে ‘পারফরম্যান্স বেজড ম্যানেজমেন্ট (পিবিএম)’ পদ্ধতিতে বিদ্যালয়গুলোর মান যাচাই এবং ক্রমোন্নতি পরিমাপের জন্য সাতটি সূচকের অধীনে মোট ৪৫টি উপ-সূচকের ভিত্তিতে এ মূল্যায়ন করা হয় । প্রাথমিকেও হতে হবে স্ব-মূল্যায়ন স্ব-মূল্যায়ন প্রাথমিক শিক্ষায়ও দরকার। প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে না হলেও এ শিক্ষার অবস্থা দেখার জন্য মূল্যায়ন আবশ্যক। বিশেষ করে কতটা শোচনীয় অবস্থা আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার তা স্ব-মূল্যায়ন ছাড়া পরিমাপ করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশে মোট প্রাথমিক বিদ্যালয় সংখ্যা ৮১ হাজার ৫০৮ টি (ব্যনবেইজ ২০০৯)। এর মধ্যে সরকারি ৩৭ হাজার ৬৭২টি। রাষ্ট্র যেহেতু প্রাথমিকের দায়িত্ব নিয়েছে, তা কতটা ঠিক মতো হচ্ছে তার জন্য গবেষণার, মূল্যায়নের আবশ্যকতা রয়েছে। আমাদের এরকম ভালো ভালো উদ্যোগ খুব কম নেয়া হচ্ছে তা নয়, কিন্তু সকল উদ্যোগই ভেস্তে যায় বা সফলতার মুখ দেখতে পারে না সরকারের গাফলতি, দুর্নীতি, অদক্ষতা ইত্যাদি নানা কারণে। যে অভিযোগটা এ মূল্যায়নকেও ছাড়েনি। ভবিষ্যতে মাধ্যমিকের মত প্রাথমিক স্তরেও স্বচ্ছভাবে এ মূল্যায়ন হবে, এ আশা সবাই করতেই পারে।
উৎপাদন ও কর্মমুখী কারিকুলামেই অগ্রগতি: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে সম্প্রতি। কৃতকার্য ছেলেমেয়েদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ_ প্রত্যাশিত বিষয় ও পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আশ্বাস দিয়েছেন, সারাদেশে কলেজগুলোর যে ধারণ ক্ষমতা আছে তাতে আসন সংকট হবে না; তবে ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা হবে। আমরাও ধরে নিচ্ছি, কৃতকার্য শিক্ষার্থীরা কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবে। তবে দেখা যাবে_ যে ডাক্তারি পড়তে চাইছে তাকে ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা যে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাইছে তাকে হয়তো পদার্থ বা রসায়ন বিজ্ঞানে ভর্তি হতে হবে। এমনকি ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছা আছে, এমন শিক্ষার্থীকে হয়তো ইতিহাস বা সাহিত্যে পড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নিজস্ব পছন্দ বা প্রত্যাশার মূল্য সামান্যই। এটি শিক্ষা ব্যবস্থার সংকট। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক অদ্ভুত নিয়ম চালু করেছে। সেটি হলো অনুষদ বা ফ্যাকাল্টিই নম্বর অনুসারে শিক্ষার্থীর জন্য বিষয় ঠিক করে দিচ্ছে। হয়তো একজন শিক্ষার্থী ইংরেজি সাহিত্যে পড়তে চাইল, কিন্তু বাস্তবে তাকে পালি কিংবা ইতিহাসে পড়তে হয়। নম্বরই এখানে মুখ্য। এই নম্বরের কারণে বিজ্ঞান ফ্যাকাল্টির কোনো ছাত্রকে কলা কিংবা সোশ্যাল সায়েন্সে আসতে হচ্ছে।
পরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা: বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার এই হকিকত জানেন না তাদের মনে হতে পারে, অধিক মাত্রায় পরিকল্পিত ব্যবস্থার কারণে এটি হচ্ছে। কিন্তু আসল সত্য হচ্ছে, এখানে শিক্ষার সঙ্গে কর্মযোগের বিষয়টি একেবারেই গৌণ। সাহিত্য বা বিজ্ঞানে ডিগ্রি নিয়ে ব্যাংকের হিসাবরক্ষক হতে হয়েছে, এমন উদাহরণ অনেক। অথচ এ কাজের জন্য প্রয়োজন ছিল হিসাববিজ্ঞানের ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা। একইভাবে নাট্যতত্ত্ব বা সঙ্গীতের ডিগ্রিধারীদের শিল্পকলা একাডেমী বা সংশ্লিষ্ট পেশায় চাকরি হচ্ছে না। পুরাতত্ত্ব বিভাগের ছাত্রদের পুরাতত্ত্ব অধিদফতর বা জাদুঘরগুলোতে চাকরি হচ্ছে না। কাউকে কাউকে এমবিবিএস পাস করে ম্যাজিস্ট্রেট হতে দেখেছি। মানুষের পেশা পরিবর্তনের অধিকার আছে। কিন্তু শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পেশায় কাজ করার মধ্য দিয়ে যে অধিকতর যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখা সম্ভব, অন্য বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের দিয়ে সে কাজ করানো দুরূহ। শিক্ষাঙ্গনের অভিজ্ঞতা অনুসারে পেশা চয়নের সুযোগ নেই। এ কারণে সর্বক্ষেত্রেই রয়েছে এক ধরনের হাতুড়েপনা। এ হাতুড়েপনায় আমাদের জাতীয় উন্নয়নের ধারা হচ্ছে বাধাগ্রস্ত, কর্মশক্তির হচ্ছে অপচয়।
মাদ্রাসা শিক্ষা প্রয়োজন আমূল পরিবর্তন: বাংলাদেশের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। নিজেদের রাষ্ট্র পরিচালনা, রাষ্ট্রের উন্নয়ন, জাতির কল্যাণ ও আত্ম নির্ভরশীলতা অর্জনের দায় দায়িত্ব নিজেদের উপর। নিজেদের জাতিকে উন্নত করে গড়ে তোলা এবং বিশ্বের দরবারে নিজেদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব নিজেদের। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। এখানকার শতকরা পঁচাশিভাব নাগরিক মুসলাম। এখানকার মানুষ অত্যন্ত ইসলাম প্রিয়, আল্লাহভক্ত ও ধর্মভীরু। অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ পিছে পড়ে আছে। জনসংখ্যার তুলনায় আমাদের সম্পদ কম। আমাদের জনশক্তিকে সম্পদে পরিণত করার মধ্যেই আমাদের কল্যাণ নিহিত রয়েছে। মুসলিম হিসেবে আমাদের আছে গৌরবান্বিত ইতিহাস। আছে মহান ঐতিহ্য। এক উন্নত অনুপম ইতিহাস ও সংস্কৃতির অধিকারী জাতি আমরা। আমাদের আছে একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আমাদের কাছে আছে আল্লাহ প্রদত্ত জীবন দর্শন ও জীবন বিধান। আমাদের জীবন দর্শন ও জীবন বিধান সম্পূর্ণ নির্ভুল। পৃথিবীর অন্য কোনো জাতির কাছে নির্ভুল জীবন বিধান নেই। সারা বিশ্বে আমাদের সোয়াশো কোটি মুসলমান ভাই আছে। তারা আমাদের অংশ। তারা আমাদের সাহায্যকারী ও সহযোগী। এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে আমাদের দেশে চালু করতে হবে নতুন এক শিক্ষা ব্যবস্থা। প্রণয়ন করতে হবে নতুন শিক্ষানীতি, নতুন কারিকুলাম, পাঠ্যসূচি, পাঠ্যতালিকা। এই শিক্ষা ব্যবস্থায় উপরোক্ত ভাবধারাগুলো গতিশীল থাকতে হবে নদীর স্রোতধারার মতো। এই নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা হবে এমন শিক্ষা ব্যবস্থা, যে শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের একটি আদর্শ ও সুসংহত জাতিতে পরিণত করবে। আমাদের জাতিকে প্রকৃত মুসলিম উম্মাহ হিসেবে গড়ে তুলবে। আমাদের জীবনকে সামগ্রিক উন্নতির শিখরে আরোহণ করাবে। স্বাধীন মর্যাদাবান জাতি হিসেবে টিকে থাকতে শিখাবে। আমাদেরকে পরকালের মুক্তির পথে পরিচালিত করবে। দক্ষতার সাথে দেশ ও জাতিকে পরিচালনার যোগ্যতা দান করবে। আসলে এ ধরনের আংশিক মেরামত, সংস্কার, সংশোধন ও সংযোজন দ্বারা ফল হবেনা। প্রয়োজন আমূল পরিবর্তনের।
প্রাইভেট টিউশনি বন্ধ করতে হবে: প্রাইভেট টিউশনি নিয়ে সাম্প্রতিককালে নানা মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত অভিভাবকদের এ উদ্বেগ বেশি। শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ার খরচ অনেক অভিভাবকই বহন করতে সক্ষম নন; কিন্তু কষ্ট করে অভিভাবকদের এ খরচটুকু জোগাড় করতে হচ্ছে। শিক্ষাবিদ ও শিক্ষার নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও এ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ার প্রবণতা যেভাবে বেড়েছে, তা অতীতে কখনও দেখা যায়নি। অপরদিকে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে যথাযথভাবে না পড়িয়ে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোয় আগ্রহী বলেও কথা উঠেছে। ফলে কিছুদিন আগে একবার শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানো বন্ধে আইন প্রণয়নের কথা শোনা গিয়েছিল। সম্প্রতি অবশ্য এ নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য শোনা যাচ্ছে না। তবে তা বন্ধ না করলে শিক্ষা ব্যবস্থার আরো চরম অবনতি হবে, যা দেশের ভবিশ্যৎ প্রজন্মের জন্য অমঙ্গলকর।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শিক্ষার মান উত্তরণ: শিক্ষা একটি জাতির উন্নতির সোপান। দু:খজনক হলেও সত্য যে আমাদের দেশের শিক্ষার সার্বিক মান এখনও আন্তর্জাতিকমানের নয় এবং দিন দিন এ ব্যবধান বেড়েই চলেছে। স্বাধীনতার পর থেকে সরকারগুলির শিক্ষা নিয়ে সু-নির্দিষ্ট কোন প্ল্যান না থাকা এবং সেই সাথে শিক্ষাঙ্গনগুলির বেশ কিছু মৌলিক সমস্যা সমাধানে উদাসীন থাকা এর একটি প্রধান কারন। এছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ না হওয়া এবং তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হিসাবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটও শিক্ষার কাংখিত মান অর্জনে ব্যর্থতার একটি বড় কারন। তবে আশংকার কথা হচ্ছে আমাদের শিক্ষা মানের ক্রমাবনতি ঘটছে। বাংলাদেশ জন্মের অনেক আগে থেকেই এদেশের মানুষ দেখেছে উচ্চশিক্ষার পীঠস্থান এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কিভাবে অনুপ্রেরণা দিয়ে জাগ্রত করেছে জাতিকে, শিক্ষার আলো দিয়ে কিভাবে সংহতি আর একাত্মতায় প্রতিবাদী করেছে শাসকদের অন্যায় আচরণ রুখতে। সেই সাথে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শিক্ষার মান, আলোচিত হয়েছে শিক্ষকমন্ডলীর গবেষণা নিষ্ঠা আর শিক্ষাদানে একাগ্রতা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অভিহিত হয়েছে নানা প্রশংসাসূচক অভিধায়। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি সেই স্বর্ণালী সময়ের কথাই আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়। এ সকল কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রতি এ দেশের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু যুক্তিসংগত কারণেই সাম্প্র্রতিক সময়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শিক্ষার মান প্রশ্নসূচক অভিধায় পর্যবসিত হচ্ছে বারবার। শিক্ষার মান প্রকৃতপক্ষে একটি আপেক্ষিক ধারণা। যে শিক্ষা মানুষকে আলোকিত করে মানবজাতি ও দেশের সার্বিক কল্যাণে, তার অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়, তাকে আমরা একটি ভালো মানের শিক্ষা বলতে পারি।
দেশে মুলত: দুই ধরনের বিশ্বিবদ্যালয় আছে- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বে-সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। অবিভক্ত বাংলার প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ১৮৫৭ সালে আত্মপ্রকাশ ঘটে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের। সময়ের পথ পরিক্রমায় ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৫৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের। স্বাধীনতা পূর্বকালীন এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাথে পরবর্তীকালে যুক্ত হয় আরো কিছু উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। আর ১৯৯২ সালে দেশে উন্মেষ ঘটে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের। সম্প্রতি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-রাজনীতি ও শিক্ষক-রাজনীতি সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা, সেশন-জট, ধর্মঘট, আন্দোলন, কাস, পরীক্ষা বর্জন, মারামারি, ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া প্রভৃতি ঘটনার কারণে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অভিভাবকদের কাছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। এ সকল অভিভাবকগণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকল্প হিসাবে বেছে নিচ্ছেন বে-সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। এর বাইরে সামগ্রিক মেধায় পিছিয়ে থাকা সমাজের উচু শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী যাদের অধিকাংশই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ণ হতে অক্ষম, তাদের জন্য উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নিয়ে এসেছে বে-সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম ছাড়া দেশের অধিকাংশ বে-সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কেই বিশ্ববিদ্যালয় কঠামোর ভিতর ফেলা যায় না। সার্টিফিকেট প্রদানকে ভিত্তি করে গড়ে ওঠা এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষামানও অধিকাংশ ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অপেক্ষা নিম্ন মানের।
আমি এখানে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মানের সাম্প্রতিক অবস্থা, মানের অবনতির কারন ও মানোন্নয়নে করণীয় সম্পর্কে বেশ কিছু পর্বে লেখার আশা করি। প্রথমেই জানিয়ে দেই এটি মুলত: একটি সেমিনার এ পঠিত মুল প্রবন্ধ যেখানে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নীতি নির্ধারকগন উপস্থিত ছিলেন। তারা শুনেছেন, বাহবা দিয়েছেন, অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু ওই পর্যন্তই। আমার জানামতে এখন পর্যন্ত কোন পরিবর্তন হয়নি। আসলে কোন পরিবর্তনের জন্য সমাজের সচেতনতা প্রয়োজন।
বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শিক্ষার মান কিছু সুনির্দিষ্ট সূচকের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয় এবং তার ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলির র্যাংকিংও করা হয়। দুঃখের বিষয় এই সূচকগুলির ভিত্তিতে করা বিশ্বের ৫০০ টি কিংবা এশিয়ার ১০০ টি বিশ্ববিদ্যালয় - এর মধ্যেও বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় এর নাম নেই।
এখন দেখে নেয়া যাক শিক্ষার মান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত মান পরিমাপের সেই সূচকগুলি কি কি -
- ভর্তি প্রক্রিয়া
- পাঠ্যক্রম ও বিষয়ের ব্যপ্তি
- ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত
- মেধা যাচাই প্রক্রিয়া
- গবেষণা
- গবেষণা প্রকাশনা ও এর মান
- পাশকৃত গ্র্যাজুয়েটদের গন্তব্য
- আন্তর্জাতিক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোলাবরেশন
শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতের মানোন্নয়ন: শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতের মানোন্নয়নে প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাই কারো কারো মতে, গবেষণা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোগত উন্নয়নে কম বরাদ্দ রাখায় বাজেটে নতুন কোন বৈচিত্র্য আসেনি। দিন বদলের অঙ্গীকার ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে তাদের কাছে জাতির প্রত্যাশা ছিল আরো বেশী। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হলে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ আরো বাড়ানো উচিত ছিল। বাজেটে শিক্ষার উন্নয়ন খাতে চেয়ে অনুন্নয়ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেশী। অধিকাংশ অর্থই ব্যয়িত হবে বেতন-ভাতা ও পেনশন প্রদানে। কিন্তু শিক্ষার মানোন্নয়নে গবেষণা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে কম বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ও পরিকল্পনায় পর্যায়ক্রমে স্নাতক পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করা এবং তথ্য ও প্রযুক্তি সেক্টর গুরুত্ব পেয়েছে।
শিক্ষার বানিজ্যিকীকরণ প্রবণতা বন্ধ করা একটি জাতিকে উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হলে শিক্ষা খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হয়। তা না হলে দেশের মেধাবী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে জাতীয় উন্নয়নে শরিক করা যাবে না। তাই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সরকারের প্রয়োজন ছিল শিক্ষা খাতে কমপক্ষে মোট জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ এবং জাতীয় আয়ের ৮ শতাংশ বরাদ্দ রাখার। দেশের সাধারণ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে ও জনশক্তিকে মানব সম্পদে রূপান্তরিত করতে শিক্ষার বানিজ্যিকীকরণ প্রবণতা বন্ধ করা এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা খাতে এ বরাদ্দ জরুরী।
***সম্পূর্ণ মন্তব্য বিসিএস ট্রেইনার সৈয়দ হাসান মাহবুবের লেখা হতে কপি করা হয়েছে। আপনার মন্তব্য উত্তরে আরও লেখা নিয়ে ফিরছি। ধন্যবাদ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বিবেক বাবু মারা গেছেন, সত্য বাবুর গায়ে জ্বর।
নীতি বাবু দেশ ছেড়েছেন, এইটাই আসল খবর।
আপনার মন্তব্য উত্তরে আরও লেখা নিয়ে ফিরছি। ধন্যবাদ।
১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:১০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মন্তব্য লেখার সময় অক্ষরের যে ফন্ট থাকে মন্তব্যটি লিখে সাবমিট করার পরে দেখা যায় ফন্ট বড় হয়ে গেছে ।
সেজন্য প্রকাশিত মন্তব্যের অনেক লাইন ভেঙ্গে যায় । সংশোধনের উপাই নাই বিধায় একটু কষ্ট করে পড়ে
নিলে ভাল হয় ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভাই সাহেব, আপনি কি ব্লগে বাংলা লেখার জন্য গুগল ক্রোম ব্যবহার করছেন? আপনি অপেরা বা মজিলা ফায়ারফক্স ব্যবহার করে দেখতে পারেন - আশা করছি সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:২৩
ল বলেছেন: ভাম্যমান ট্রাভেল এজেন্সি
এথন তো সবি ভাচুর্য়াল - অফিস , আদালত, ব্যবসা , বানিজ্য, দেহের লেনদেন , আরও কত !!!!!
কারো কাছে মহামারী আর কারো মহাখানী !
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আহারে অনলাইনের অত্যাচারে আমি ও আমরা জর্জরিত। তৈল পেঁয়াজ রসুন আদা পান সুপারি সাদা সব আমার কাছে সেলফোনে মেসেজ আসছে এমনকি ইমেইলও আসছে। অনলাইন মার্কেট মানুষকে লাভবান করবে নাকি ক্ষতি - তা এখন দেখার পালা।
করোনা প্রকোপে অনলাইন ব্যবসায় ১০০ মিটার স্প্রিন্টারের দৌড় প্রতিযোগিতা দিয়েছে।
আপনি কেমন আছেন?
১৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: এমন কোন স্যারের ছাত্র কখনো হতে হয়নি, এটা আমার সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য, তা কে জানে!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমাদের সময়ে স্টুডেন্ট কন্সালটেন্সি রোগের প্রসার এভাবে ছিলো না। এখন শিক্ষিত মানুষজন এই রোগে প্রভাবিত। চিকিৎসকগণ হয়েছেন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানীর বিক্রয়কর্মী। এই দেশে সবাই ডাক্তার সবাই ইঞ্জিনিয়ার সবাই ট্রাভেল এজেন্ট সবাই বিশেষজ্ঞ। এটাই সবচেয়ে বড় বিপদ। এক কাজে কেউ এক্সপার্ট নেই। সবাই মাল্টি এক্সপার্ট।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দিয়েছেন। উত্তর মাথার উপর দিয়ে, কানের পাশ দিয়ে গেছে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
যাক বাঁচা গেছে। আমি ভেবেছি আমার মন্তব্যে উত্তরে আপনি আবার কোনো কষ্ট পেয়েছেন কিনা। যাক আপনি কষ্ট পাননি এটিই বড় পাওয়া। এটিই স্বার্থকতা।
১৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রথমেই জনাব খায়রুল আহসানকে নিশ্চিত করতে চাই যে, তার দুর্ভাগ্য। এমন মহান স্যারদের সাক্ষাৎ না পেয়ে আমি নিজেও নিজের দুর্ভাগ্যের বিষয়ে নিশ্চিত। আহারে!
অনেক পর একদম নিচে এসে টের পেলাম পিজ্জার মাজেজা।
ঠাকুর সাবরে ধন্যবাদ কী মহান ব্যক্তিত্বের সাথে আমাদের পরিচিত করালেন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এই স্যারের সাথে দেখা না হওয়াটা আমি মনে করি পরম সৌভাগ্য। কারণ তার কথার জালে আটকা পরে যাবেন আর ছুটতে পারবেন না (হয়তোবা) তিনি আপনাকে চাঁদের দেশে পাঠিয়েই ক্ষান্ত হবেন। দুঃখজনক হলেও সত্য এখন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় মানব পাচারের এজেন্সিতে রূপান্তর হয়েছে।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৪
রক বেনন বলেছেন: ঠাকুর ভাই, স্যার নাকি ষাঁড়? টাইপো হলো না তো?
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
রক বেনন ভাই,
অনেক অনেক দিন পার আপনাকে পাওয়া গেছে। আপনি আছেন কেমন? না ইনি ষাঁড় না। ইনি সত্যিকার একজন স্যার। কারও কারও কাছে একজন মহান স্যার। এই স্যারদের কথা শুনে রিতিমতো হতবাক অথবা বাকহারা হতে হয়। তবে কথা হলো এই কানাকে কানা বলতে নেই লেংড়াকে লেংড়া বলতে নেই। তাতে করে সমস্যা বাড়ে।
শুভ কামনা জানবেন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
দ্য গুড দ্যা ব্যাড দ্যা আগলি মুভি খুব সম্ভব আমি ৫ - ৭ বার দেখেছি, তারপরও এই ছবি আমার কাছে নতুন চকচকে মনে হয়। লাস্ট ফায়ারিং সিন দেখার মতো।
২০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩২
রক বেনন বলেছেন: ধন্যবাদ ঠাকুর ভাই, আমি ভালই আছি, আপনি কেমন আছেন। আশা করি আপনি আর আপনার পরিবারের সবাই ই অনেক অনেক ভাল আছেন। আসলেই অনেক দিন পর সামুতে এলাম। সত্যি কথা বলতে আমার ব্রাউজারের কি এক সমস্যার কারনে ঢুকতে পারতাম না। এখন আশা করি নিয়মিত থাকব।
ঠাকুর ভাই, ইউ টিউবে একটা কবিতা দেখবেন আর শুনবেন যদি সম্ভব হয়, কবিতার নাম হলো 'বলতে নেই'। আসলেই কানা কে কানা আর খোঁড়া কে খোঁড়া বলতে নেই কিছু কিছু জায়গায়। সমস্যা বাড়ে।
ক্লিন্ট ইস্টউড এর কথা বলছেন। ভাইরে ভাই, এটা দেখেই আমি ওয়েস্টার্ন মুভির ফ্যান হয়ে গিয়েছিলাম। আর একটা সাজেস্ট করছি, ক্লিন্ট ইস্টউড এর gran torino মুভিটা পারলে দেখবেন। ওয়েস্টার্ন নয় কিন্তু একটা ক্লাস মুভি।
ভালো থাকবেন ঠাকুর ভাই। শুভ কামনা রইল অনেক অনেক।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
রক বেনন ভাই,
আমি বিশেষ করে আপনাকে ও আমার জানা কয়েকজন ব্লগারকে নিয়ে একটি পোস্ট দিবো। আপনি একজন এমন মানুষ এমন ব্লগার যিনি অন্য ব্লগারদের লিখতে আগ্রহী করেন ইংরেজীতে আমরা বলি ইন্সপায়ার করা। আমি নিজেও ব্লগে এই কাজটি করেছি প্রচুর।
ব্রাউজার অপেরা, মজিলা ফায়ারফক্স ব্যবহার করে দেখতে পারেন ঝামেলা কিছু কম হবার কথা। আমার গুগল ক্রোমে প্রচুর ঝামেলা করেছে কিছু দিন। শুধু নিউজ ফিড আর বিজ্ঞাপণের জ্বালায় আমার পিসি নতুন করে উইন্ডোজ লোড দিয়েছি।
ক্লিন্ট ইস্টউড এর সকল মুভি আমার দেখা। আমার খুবই পছন্দের নায়ক ক্লিন্ট ইস্টউড। ঘোস্ট রাইডার খুবই মজাদার ছবি। করোনার লক ডাউনে এতো এতো ছবি দেখেছি। সাইফ আলী খানের লাল কাপ্তান খুবই ভালো লেগেছে।
আমি ভালো আছি, আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
২১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: যাক বাঁচা গেছে। আমি ভেবেছি আমার মন্তব্যে উত্তরে আপনি আবার কোনো কষ্ট পেয়েছেন কিনা। যাক আপনি কষ্ট পাননি এটিই বড় পাওয়া। এটিই স্বার্থকতা।
দুঃখ কষ্ট পেতে পেতে বুক ঝাঝরা হয়ে গেছে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
দুঃখ কষ্ট পেতে পেতে বুক ঝাঝরা হয়ে গেছে। - দুঃখ কষ্ট কি আমি দিয়েছি?
আমার জানামতে ব্লগের কাউকে আমি কখনো দুঃখ কষ্ট দেইনি। তারপরও যদি মাইল মাইল দূর থেকে কেউ দুঃখ কষ্ট কুড়িয়ে আমার দোষ দেন, তাহলে আমার কি করার থাকতে পারে?
২২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আরে আরে করলেন টা কি? আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম প্রিয় ছাত্র জীবনের একটা পর্বে পৌঁছে স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেই পোস্ট দিয়েছেন। তবে নাইবা হোক কৃতজ্ঞতা লেখনী খুব উপভোগ্য হয়েছে।একই সঙ্গে বলার এমন স্যার দেশে যত বাড়বে জাতি তত অন্ধকারে ঢুকবে। রম্য করে ছুরি চালিয়ে দিলেন প্রিয় ঠাকুরমাহমুদ ভাই।
শুভেচ্ছা জানবেন।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
রম্য করে ছুরি চালিয়ে দিলেন প্রিয় ঠাকুরমাহমুদ ভাই। - প্রিয় পদাতিক চৌধুরি ভাই, বিচিত্র কারণে আমি আমার পূর্ব পুরুষ নিয়ে প্রচুর লেখাপড়া করেছি। আমার পূর্ব পুরুষ এক সময়ে বিরাট ঝামেলায় পরে তিন তিনটি বছর দিনরাত কামারের কাজ করেছেন। আপনি জানেন কামারের কাজে কি পরিমান কষ্ট। তবে আমার পূর্ব পুরুষে কেউ কসাই ছিলেন না, তাই আমি ছুরি চালানো শিখতে পারিনি, তবে হ্যা জীবনে পেশাগত কামারের কাজে যুক্ত না হয়েও রক্তে যেহেতু কামারের ডিএনএ আছে আমি নিজেকে কামার পরিচয় দিয়ে আনন্দ খুঁজে পাই। আমি বিশ্বাস করি কখনো প্রয়োজন হলে কামারের কাজ ভালোই পারবো। এবং আমি কামারের কাজ করেছিও। - আপনার মন্তব্যে মজার একটি বিষয় মনে পরেছে। আমি আশা করছি খুব দ্রুত লিখবো। সেটি আপনাকে মনে করেই লিখবো।
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
২৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২৭
কল্পদ্রুম বলেছেন: ১৩ নম্বর মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যে অনেক চিরায়ত সমস্যার কথা উঠেছে। চলমান সমস্যা নিয়ে লেখা রম্যও ভালো লেগেছে।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৩৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আসলে কমবেশী সমস্যার কথা আপনি আমি আমরা সবাই জানি। সমস্যা হচ্ছে, সমস্যার সমাধান আমরা কেউই করতে চাই না, কখনো আগ্রহও করিনা। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: স্যার সম্পর্কে কি লিখবো ভেবে পাচ্ছি না।কিন্তু স্যারের ছাত্র যে মানুষ হয়েছে সেটা বুঝতে পারছি।