নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খোলা জানালা

২৫ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২



গানের কথার মতো করে যখনই “আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুব তারা” তখনই আমি দিশেহারা প্রশ্নোত্তর না দিয়ে সরাসরি উত্তর দিয়েছি আমার জীবন “কাজের বিনিময়ে খাদ্য” ধর্মে জীবন, কর্মই ধর্ম। বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলার একটি জেলাতে অখ্যাত ছোট একটি বরফ কল, এখানে কাজের জন্য ভাতের জন্য আমাকে আসতে হয়। কর্মজীবনের একটি বড় অংশ এই অঞ্চলে পাড়ি দিয়েছি। খুব সম্ভব মানুষ গাছের মতো এক স্থানে বেশী দিন থাকলে শিকড় মেলে দেয়। আমার শিকড়ও এখানে রয়ে গেছে আর তাই হয়তো মনের টানে, মাটির টানে এই লোনা পানির টানে বারংবার এখানে আসতে হয়। যে কাজে এসেছিলাম মোটামোটি দেড়দিনে কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। দুপুরে কাঁচা আমের টক ডাল দিয়ে ভাত খেয়েছি। বাংলাদেশী মানুষের কাছে ভাতের মতো এতো মজাদার খাদ্য খুব সম্ভব পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। ভাতের বিকল্প ভাতই হতে পারে, ভাতের বিকল্প হিসেবে আমার কাছে অন্য কিছু নেই।

ক্লান্ত দুপুর, গা জ্বালা করা ভ্যাপসা গরম, বৃষ্টি হবার কোনো সম্ভবনা দেখছিনা। বরফকল ঘরের দোতলায় সামান্য থাকার ব্যবস্থা আছে, আমি শুয়ে খোলা জানালা দিয়ে আকাশ দেখছি, একটি গান খুব মনে পড়ছে গানটি আমার একজন মমতাময়ী প্রিয় বোনের গাওয়া গান। তিনি বাংলা চলচিত্রের চিরো তরুণ চিরো সবুজ নায়ক জাফর ইকবালের বড় বোন শাহনাজ রহমতুল্লাহ আপা। আরেকটি তথ্য না দিয়ে পারছি না তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমানের ধর্মবোন ছিলেন। শাহনাজ রহমতুল্লাহ আপা ১৯৭১ এর যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তান আটকা পড়ে খুবই মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। দেশ স্বাধীনের সাথে সাথে অনেক কষ্টে নিজ দেশে নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন। - যুদ্ধের গল্প আজ থাক, অন্য কোনো একদিন করবো। যেতে যেতে আমার প্রিয় বোন শাহনাজ রহমতুল্লাহ আপার খোলা জানালা গানটি উল্লেখ করছি। এই গানটির সাথে আমার জীবনের অনেক অনেক স্মৃতি জমা।



খোলা জানালায় চেয়ে দেখি তুমি আসছো
জানাতে সুপ্রভাত মন বাতায়নে।।
মনের আঙ্গিনা ঝরা ফুলে সাজানো
শুধু তাই মালা গাথিতে মন চায়।

লাগে দোল বনানী কৃষ্ণচূড়া।।
তোমার ছবিটি মনে মনে একে যাই
মনে হয় এ জীবন মধুময়।
মনে মোর থাকে না হারিয়ে যাই।।













আত্মকথা: বেশ কয়েকদিন ঢাকার বাইরে ছিলাম। বৃষ্টি হবে হবে করেও কেনো জানি বৃষ্টি হচ্ছিলো না। গতকাল সন্ধ্যায় আমরা তখন ঢাকা অভিমুখে কুমিল্লা হাইওয়েতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টিতে আশা করছি তাপদাহ কমে জনজীবনে শান্তি বিরাজ হবে। আম কাঁঠাল গাছগুলো আমার নিজ হাতে লাগানো। আমার খুবই প্রিয় গাছ সহ ফলের ছবি দিয়ে আজকের মতো সকলের কাছে দোয়া চেয়ে বিদায় নিচ্ছি।





মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


সুন্দর পোস্ট।
পোস্টে গোল্ডেন এ প্লাস।

২৫ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু পোস্টে এখনও প্লাস পাইনি।

২| ২৫ শে মে, ২০২১ রাত ৮:০৯

কামাল১৮ বলেছেন: সাধারন পোষ্ট কিন্তু অসাধারন প্রকাশ।আম ডাল,টক আম হলে সোনায় সোহাগা।বায়োমাস খাবার জন্য আম কেটে শুটকি করে রাখতো,এখন করে কিনা জানি না।

২৫ শে মে, ২০২১ রাত ৮:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




গ্রাম এলাকায় কাঁচা আম ফালি ফালি করে কেটে হলুদ লবন মেখে রোদে আম শুকিয়ে কাঁচের বয়ামে অনেকে সংগ্রহ করেন। আমাদের এলাকায় একে আমসি বলে। ছোট মাছ দিয়ে আমসি’র ঝোল রান্না খেতে অসাধারন স্বাদ। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২৫ শে মে, ২০২১ রাত ৮:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ফাগুন মাসে আম গাছে পানি দেয়ার দরকার ছিলো, আম তেমন ধরেনি।

২৬ শে মে, ২০২১ রাত ১:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



পানি নিয়মিত দেওয়া হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে - লবনাক্ত বাতাস, লবনাক্ত পানি। অধিকাংশ চাপকলের পানি খাওয়া যায় না। তাছাড়া এবার যে সময়ে বৃষ্টি হওয়ার ছিলো বৃষ্টি হয়নি। অতিরিক্ত রৌদ্রে ও তাপে আমের মুকুল পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।

৪| ২৫ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৩৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ফলের ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে।

২৫ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ফলের ছবিগুলোর রেজুলেশন আরও কম করে দেওয়া উচিত ছিলো মনে হচ্ছে। ব্লগ পেজ পিসিতে লোড হতে সময় নিচ্ছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৫| ২৫ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পোস্টের শিরোনাম দেখেই মনে পড়ছিল মেলোডিয়াস সেই কণ্ঠের গান - খোলা জানালায় চেয়ে দেখি তুমি আসছো। পোস্ট পড়তে যেয়ে মনে হলো, না, এ বোধ হয় কাবিখা প্রকল্পের আদলে আপনার উদ্ভাবিত কোনো প্রকল্পের বর্ণনা দিতে যাচ্ছেন। ভালো লাগছিল পড়তে। আপনার সাথে সাথে আমিও ঘুরছিলাম উপকূলীয় জায়গাটাতে। ভাত খেতে খেতে মনে হচ্ছিল, ডাল ভাত, সাথে উস্তা ভাজি, তার সাথে একটা ডিম ভাজি হলে এর চাইতে মজাদার খাবার আমার জন্য দ্বিতীয়টি আর নেই। চালকুমড়া দিয়ে ডালের তরকারি কি কখনো খেয়েছেন, বিশেষ করে বাসি তরকারি। এটা খেতে খেতে আমার পেট ফেটে যাবে, কিন্তু খাওয়া থামবে না :) কিন্তু আফসোস, মেডিসিন ইনডিউসড ডায়াবেটিসের জন্য বেশি ভাত খাওয়া সম্ভব হয় না।

বান্ধবীকে এইমাত্র আপনার সেই প্রশ্নটা জিজ্ঞাসা করলাম, পুঁইশাক দিয়ে কখনো মাংস রান্না করেছে কিনা। না, হয় নি। তবে, তার কাছে এখনই আর্জি পেশ করেছি একদিন রান্না করে খাওয়ানোর জন্য।

কিছু আনইউজুয়াল খাবার খেয়ে থাকি আমি। আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন। ভাতের সাথে, বিশেষ করে মাংস ভাতের সাথে আমি প্রায়ই মুড়ি মাখিয়ে খাই। দারুণ লাগে। করলা/উস্তা ভাজি দিয়ে একদিন পান্তা খেয়ে দেখবেন। একদিন সকালে বাসি ভাতের সাথে বাসি চালকুমড়া দিয়ে রান্না করা ডালের তরকারি খেয়ে দেখবেন।

ইলিশের কানশা/মাথা দিয়ে কচুর ভাজি খুব ভালো লাগে। কলার থোড়, কলার ভাড়ালিও দারুণ।

শাহনাজ রহমতুল্লাহ'র কথা এর আগেও আপনি বলেছেন, আমার গানের পোস্টে। ভালো শিল্পীরা হারিয়ে যাচ্ছেন, তাদের যোগ্য প্রতিস্থাপন তৈরি হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না। রুনা লায়লা, শাহনাজ রহমতুল্লাহ, সাবিনা ইয়াসমিন, ফেরদৌসী রহমান- এরা চলে গেলে এদের মতো আর কাউকে কি পাব? উদীয়মান কারো মধ্যে এমন সম্ভাবনা দেখি না আমি। জানি না, অন্যদের কী মতামত এ ব্যাপারে।

শাহনাজ রহমতুল্লাহ'র এমন কোনো গান আমি দেখি না, যেটা শ্রোতাপ্রিয় হয় নি, বা নিম্ন মানের। তিনি গানের মধ্যে অনাগত কাল অব্দি বেঁচে থাকবেন।

একটা গান দিয়ে গেলাম - আবার কখন কবে দেখা হবে বলো


২৫ শে মে, ২০২১ রাত ৯:১৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




করলা/উস্তা ভাজি আমার প্রিয়। এছাড়া বাসি তরকারির মধ্য আছে ডাল, শিম, চালকুমড়া, লাউয়ের তরকারি আমার খুবই প্রিয়। আমি প্রায়ই পান্তা ভাত খাই, এছাড়া দই চিড়া মুড়ি। আমি মাংস খেতে পারিনা। কারণ আমার প্রেসার হাই। জেনেটিক ও চাকরি জীবনের জন্য এই সমস্যাটি প্রকট হয়েছে।

কচুশাক, কলার মোচা ভাজি, কাঁচ কলার তরকারি, কাঁচ কলার ভর্তা, বাড়তি তৈল বা তৈল ভাজা আমি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি এক যুগের উপর কিন্তু কুমড়া ফুলের বড়া ভাজা খেতে খুবই ভালোবাসি।

শাহনাজ রহমতুল্লাহ তাঁর জীবনে যে সকল গান করেছেন এগুলো বাংলাদেশের জনগণের ও বাংলাদেশ সরকারের অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। তাঁর দেশাত্ববোধক গানগুলো শুনলে আপনি বলে দিতে পারবেন তিনি দেশকে কতোটা ভালোবাসতেন।

আমার প্রিয় একটি গান। একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়ে



আপনার উল্লেখ করা প্রতিটি খাবার আমার অনেক অনেক প্রিয়। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২৫ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৩৪

ডার্ক ম্যান বলেছেন: মানুষের মনটা যদি খোলা জানালার মতো হত তাহলে জীবনটা কতই না সুন্দর হত।
কেমন আছেন আপনি।

২৫ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন। মানুষের মন খোলা জানালার মতো হলে পৃথিবী ভয়ংকর বিপদজনক হতো অথবা পৃথিবী খুবই সুন্দর হয়ে যেতো।

৭| ২৫ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
প্রচুর পরিমাণে গাছ না লাগালে বাংলাদেশের খবর আছে।
প্রতি বছর কমপক্ষে ২০ কোটি গাছ লাগানো দরকার।
সেই সাথে পরিচর্যা ও করা দরকার।
ঢাকা শহরে কয়টি গাছ আছে?

২৫ শে মে, ২০২১ রাত ১০:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




এপার্টমেন্ট ফ্লাট বস্তি গাড়ি অটো সিএনজি ট্রেন কন্সট্রাকশন ছোট বড় মাঝারি ইন্ডাস্ট্রি গার্মেন্টস রিসাইকেল কারখানার কারণে এখন দিন দিন ঢাকা তন্দুরী চুলায় রূপান্তর হচ্ছে। আমি একা গাছ লাগানোর কাজ করছি বোঝজ্ঞান হওয়ার পর থেকেই। একা সচেতন হয়ে তো লাভ হচ্ছে না। সকলকে সচেতন হতে হবে।

মালয়েশিয়া যেভাবে পাহাড় কেটে কন্ডোমিনিয়াম করছে মালয়েশিয়ারও খবর আছে। তবে এখনও মালয়েশিয়া যে পরিমাণ গাছ আছে তার ১০ভাগ বাংলাদেশে আছে কিনা সন্দেহ।

৮| ২৬ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব আজ আমি আম নিয়ে পোষ্ট দিতে চেয়েছিলাম।
আমার ছাদে আম গাছ আছে। বেশ আম ধরেছে। আমি ছবি তুলে রেখেছি। কি মনে করে আজ পোষ্ট দেই নি। তবে দিব।

গততকাল ঢাকায় বেশ ভালো বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু গরম কমে নি।

২৬ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আম নিয়ে সুন্দর মজাদার পোস্ট দিন। গতকাল বৃষ্টির সময় আমি ঢাকা অভিমুখে কুমিল্লা হাইওয়েতে ছিলাম। আশা করছি আরোও বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি প্রয়োজন। নয়তো গরম কমবে না।

৯| ২৬ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:০৩

নীল আকাশ বলেছেন: খুব মনোযোগ দিয়ে লেখাটা পড়লাম। আপ০নার মতো আমারও একই অবস্থা। ভাত কাপড়ের জন্য দেশের এক প্রান্ত দেশের বাড়ি হওয়া সত্ত্বেও আজ আমি দেশের সূদূর আরেক প্রান্তে পরে আছি। একেই বলে জীবিকার টান।

সম্ভবত আপনি দক্ষিনাঞ্চলের দিকে গিয়েছেন। প্রতিটা ছবি খুব সুন্দর উঠেছে। ক্যামেরার রেজুলুশন খুব ভালো। স্পষ্ট ছবি সব কয়টা।

শাহনাজ রহমাতুল্লাহ এর লেভেল আর কোণদিন দেশে কোন নারী কন্ঠশিল্পী আসবে না। এর বৈচিত্রময় গলার কারুকাজ আর কারো গলায় দেখা যায় না। তার প্রায় সব গানই অসাধারণ। এর মধ্য একটা গান আমার সবচেয়ে প্রিয়। "প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ"। দেশের জাতীয় সংগিতের জন্য এরচেয়ে ভালো আর কোন গান হতে পারে না। লিরিক্স এবং কম্পোজিশন মাস্টার ক্লাস।
প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ
গানের অরিজিনাল কিছু তথ্য নিয়ে দিয়ে গেলামঃ
রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ ...
শিল্পীঃ শাহনাজ রহমতউল্লাহ ।
সুরকারঃ আলাউদ্দিন আলী।
গীতিকারঃ মনিরুজ্জামান মনির ।
** গানটি প্রচারিত হয় ১৯৭৭/৭৮ সনে।
বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় দেশাত্মবোধক গান এটি। বাংলাদেশ টেলিভিশনে নওয়াজিশ আলী খান প্রযোজিত ‘বর্ণালী’ অনুষ্ঠানের জন্য ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি দেশাত্মবোধক গান লিখেন বিশিষ্ট গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির এবং যার সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন আলাউদ্দিন আলী। শিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহ’র কণ্ঠে বিটিভিতে গানটি প্রচারিত হওয়ার সাথে সাথেই তুমুল জনপ্রিয় হয় ।
আগামী পাচ হাজার বছরেও এইরকম একটা গান আর তৈরী হবে না।

২৬ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




শাহনাজ রহমতুল্লাহ তাঁর জীবনে যে সকল গান করেছেন এগুলো বাংলাদেশের জনগণের ও বাংলাদেশ সরকারের অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। তাঁর দেশাত্ববোধক গানগুলো শুনলে আপনি বলে দিতে পারবেন তিনি দেশকে কতোটা ভালোবাসতেন।

উইকিপিডিয়া তথ্য: শাহনাজ রহমতুল্লাহ (জন্ম: শাহনাজ বেগম, ২ জানুয়ারি ১৯৫২ - ২৩ মার্চ ২০১৯) ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী সংগীত শিল্পী। তিনি দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার উল্লেখযোগ্য গানসমূহের মধ্যে রয়েছে এক নদী রক্ত পেরিয়ে, একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়ে, একতারা তুই দেশের কথা বলরে‌ এবার বল্, প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, আমায় যদি প্রশ্ন করে, যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়। প্রথমোক্ত তিনটি গান বিবিসির একটি জরিপে সর্বকালের সেরা বিশটি বাংলা গানের তালিকায় স্থান পায়। ১৯৯২ সালে তিনি একুশে পদক এবং ১৯৯০ সালে ছুটির ফাঁদে চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

আগামী পাচ হাজার বছরেও এইরকম একটা গান আর তৈরী হবে না। - এটি চিরন্তন সত্য কথা। তিনি যা গান করেছেন সবগুলো ইউনিক। এর বিকল্প বা কাছাকাছি গান সত্যি সত্যি আর হবে না সম্ভবও না।

জীবনের প্রয়োজনে আত্মীয় পরিজন থেকে দূর দূরান্তে থেকে অত্যন্ত সম্মানের সাথে বাংলার একপ্রান্ত থেকে বাংলার আরেক প্রান্তে নিজ দেশের জন্য কাজ করছেন এটি গর্বের বিষয়। এটি আনন্দের বিষয়।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১০| ২৬ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:৩৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ভালো আছি । আপনার সাবেক কর্মস্থলে মাঝে মধ্যে ঢু মারতে ইচ্ছে করে কিন্তু সাহসের অভাবে পারি না

২৬ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




চট্টগ্রাম এমন একটি স্থান যেখানে কিছুদিন থাকলে চট্টগ্রামের জন্য মায়া পড়ে যায়। নিজ জেলার পর বাংলাদেশে আমার প্রিয় জেলা চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম।

১১| ২৬ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:৩৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ভালো আছি । আপনার সাবেক কর্মস্থলে মাঝে মধ্যে ঢু মারতে ইচ্ছে করে কিন্তু সাহসের অভাবে পারি না

২৬ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



বাটালি হিল, পতেঙ্গা আর আগের মতো নেই তারপরও ভালো লাগে, আমার স্মৃতি বিজরিত ভূমি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১২| ২৬ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: নিজের হাতে লাগানো গাছের ফল, এর তৃপ্তিই আলাদা।
আমি তোমন ভাবে গাছ লাগাতে পারি নি।

২৬ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নিয়ে একটি পোস্ট দিবো সেই পোস্টে আপনার সহযোগিতা চাইবো, আশা করি পাশে থাকবেন। আমাদের দেশে প্রচুর গাছ লাগানো প্রয়োজন। এই তথ্যটি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল কলেজ, গ্রামে গ্রামে বাড়ি ঘরে পৌছাতে হবে। এবারের তাপদাহ অগ্রিম বলে দিচ্ছে সামনে আমাদের জন্য মহা বিপদ অপেক্ষা করছে।

১৩| ২৬ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অবশ্যই।
প্রকৃতি তার শেষ সীমা পর্যন্ত সহ্য করে। তারপরে সে অত্যাচারিদের মুছে দিতে তার সব অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে।

২৬ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




দেশে গত দুইযুগ ধরে যেভাবে গাছ কাটা হয়েছে এটি রিতিমতো ক্রাইম। আইনের হাতেই যখন হাতকড়া তখন আর কিছুই করার থাকে না। আমরা সাধারণ মানুষ আমাদের চিন্তা ভাবনাও সাধারণ। আমাদের প্রচুর পরিমাণ গাছ লাগাতে হবে। আমি বিস্তারিত লিখো পোস্ট দিচ্ছি।

আমি আপনার পোস্টে আসছি এক মিনিট।



১৪| ২৬ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,





শিরোনাম আর শুরুটা দেখে ভেবেছিলুম জীবনের শেকড় মেলে দিয়ে কিছু অদেখা জানালা খুলে দেবেন!
কিন্তু দেখি, তা খোলা জানালা থেকে আসা গানের সুর আর আম-কাঠালের মৌ মৌ গন্ধে ভরা।

অতৃপ্তি রয়ে গেলো, জানালা দিয়ে মাটির সোঁদা গন্ধ আর লোনা হাওয়ার দেখা মিলতে মিলতেও মেলেনি বলে।

২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১২:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আহমেদ জী এস ভাই, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আসলেই লেখাটি অসম্পূর্ণ। কথা দিচ্ছি আগামীতে সম্পূর্ণ লেখা প্রকাশিত হবে, আর যদি কখনো অসম্পূর্ণ লেখা প্রকাশিত হয় তাহলে ধরে নিবেন এটিই লেখার পরিচয় ছিলো।

আপনাকে ভাই আমি সত্যি সত্যি লোনা পানির শহর ঘুরিয়ে আনবো। সাগরের শো শো শব্দের মাদকতা থেকে আপনাকে আমি দূরে রাখবো না। কথা দিলাম।

১৫| ২৭ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: গাছ লাগানো খুবই ভাল একটি অভ্যাস, বিশেষ করে ফলের গাছ। গাছের ছায়াতলে পথচারী মানুষ ও পশুপাখী শরীর জুড়ায়, গাছের ফল খেয়ে ক্ষুন্নিবৃত্তি করে এবং গাছ প্রকৃতিতে অক্সিজেন সরবরাহ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। এমন একটি ভাল কাজ করে আপনি এমনিতেই অনেক সওয়াবের কাজ করেছেন।

খোলা জানালা দিয়ে দেখা ফলবতী গাছের ছবি দেখে আমাদেরও দু'চোখ জুড়িয়ে গেল। শাহনাজ বেগমের গানটিও হয়তো এ পোস্টের কারণেই আবার নতুন করে ভাল লাগলো। ওনার কন্ঠকে রুনা ও সাবিনাও সমীহ করেন বলে শুনেছি।

পোস্টে চতুর্থ ভাল লাগা রেখে গেলাম। + +



২৭ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নিয়ে আমি ছোটখাট একটি গল্প ও প্রবন্ধ লেখার চেষ্টা করছি। আশা করছি আপনাকে পাশে পাবো। এবারের তাপদাহ আমাদের আগাম বলে দিয়েছে ভবিষ্যতে আরোও খারাপ সময় আসছে, তাই আমাদের অবশ্যই সাবধান হতে হবে। আমাদের লেখার কারণে যদি দেশের পরিবেশের সমাজের সামান্য থেকে সামান্যতম উপকারও হয় তাতেও মনে করবো আমরা সার্থক।

শাহনাজ রহমতুল্লাহ সত্যি সত্যি শ্রদ্ধাভাজন একজন মানুষ, ১৯৭১ ও শাহনাজ রহমতুল্লাহ নিয়ে আমি একটি লেখা আগামীতে লিখবো ইনশাল্লাহ।

আপনার অত্যন্ত সুন্দর মন্তব্য ও লেখায় ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা নেবেন। ধন্যবাদ।

১৬| ৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: থোকা থোকা আম দারুণ লোভনীয় ।

সুন্দর।+

০৩ রা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



কাঁচা আম দিয়ে ছোট মাছের ঝোল তরকারি, ডাল, আমার খুবই প্রিয়।

১৭| ০৩ রা জুন, ২০২১ ভোর ৬:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



জীবন জিবীকার কথা , গানের কথা , খাবার কথা ,
টক ডালের কথা, ফলের কথা সুন্দর সুন্দর ছবি
সমেত উঠে এসেছে লেখাটিতে ।
জীবন ঘনিষ্ট লেখা বরাবরই আমার কাছে খুবই
ভাল লাগে ।
দেশের একজন বরেন্য সংগীত শিল্পির গানের কলি
সাথে তাঁর গুনপনা সম্পর্কে কথামালা পোষ্টে ও পাঠক মন্তব্য
ঘরেও উঠে এসেছে , যা লেখাটিকে আরো উচ্চ মার্গে
নিয়ে গেছে । বরেন্য এই সংগীত শিল্লির প্রতি রইল
শ্রদ্ধাঞ্জলী । তাঁর মত আরো সংগীত প্রতিভা জন্ম
নিক বাংলার ঘরে ঘরে এ কামনাই রইল ।

শুভেচ্ছা রইল

০৩ রা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভাই সাহেব, আজ দূপুরে অফিসে লাঞ্চ করেছি কচুর মুখি কাঁচা আমের টক ঝোল আর সাদা ভাত। বিশ্বে খাবারের কষ্ট যারা করেন তাঁদের নিয়ে ভাবছিলাম হয়তো দ্রুত এ বিষয়ে পোস্ট দিবো।

শিল্পী হতে হলে খুব সম্ভব ঈশ্বরের বর পেতে হয়। শাহনাজ রহমতুল্লাহ ঈশ্বরের বরপ্রাপ্ত শিল্পী ছিলেন। আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

১৮| ১৪ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:১৬

মোগল সম্রাট বলেছেন: ”যে ভাবেই বাঁচি বেঁচে তো আছি, জীবন আর মরনের মাঝামঝি” শাহানাজ রহমাতুল্লার দারুন একটা গান। এক সময় ক্যাসেট প্লেয়ার খুব শুনতাম। আপনার পোষ্ট পড়ে উনার সেই গানটা আবার মনে পড়লো।

১৭ ই জুন, ২০২১ সকাল ১০:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



মোগল সম্রাট ভাই, আপনি মন্তব্য করে জানান দিয়েছেন আপনি ভালো আছেন, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি আমার একজন প্রিয় মানুষ। আর আমি আমার প্রিয় মানুষদের মনে রাখি সব সময়। আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো। ভাই সামান্য ব্যস্ততার কারণে আপনার মন্তব্য উত্তর দিতে বেশ দেড়ি হয়েছে বিধায় আমি আন্তরিক দুঃখিত।

১৯| ১৬ ই জুন, ২০২১ সকাল ৭:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

খোলা জানালা দিয়ে আর কোন কিছু কি দেখতে পাচ্ছেন ?

শুভেচ্ছা রইল

১৭ ই জুন, ২০২১ সকাল ১০:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভাই সাহেব, খোলা জানালা দিয়ে ছোট বেলায় মেঘ গুনার কাজ করেছি। আপনার প্রতিও শুভেচ্ছা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.