নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful
ষাটের দশকে ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে ক্লান্ত দুপুরে প্রচারিত দুঃখে ভরা দুঃখের একটি গান প্রায়ই শুনতে পেতাম “পদ্মার ঢেউ রে” কার লিখা গান, কে গেয়েছেন এইসব মনে রাখার মতো বয়স তখন ছিলো না, তবে স্কুল ফিরে এই গান শুনে শুনে ক্লান্ত দুপুরে ঘুমিয়েছি এটি মনে আছে। সত্তরের দশকে এক সময় জানতে পারি এই গানটি যিনি লিখেছেন তিনি আসলেই অত্যন্ত দুঃখী একজন মানুষ - আমাদের দুখু মিয়া, আমাদের কবি - কাজী নজরুল ইসলাম।
যখন বাংলার সড়ক মহাসড়কে গর্জনধ্বনি দেখেছি “তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা” - তখনো পদ্মা আমার কাছে একটি স্বপ্ন! আমাদের বাড়ি মেঘনা ও তিতাস নদীর মাঝামাঝি এলাকায়। মেঘনা ও তিতাসের সাথে আমার সম্পর্ক যুগ যুগান্তরের - অনন্ত অনন্তকালের। ছাত্রজীবনে পদ্মা নদী দেখার সুযোগ আমার হয়নি। আমাদের সময় বেড়াতে যাওয়া খুব ব্যয়বহুল বিষয় ছিলো আর সেই আমলের মা বাবাও আমাদের একা বেড়াতে যেতে দিতেন না, বা ছাত্র ছাত্রী গ্রুপ করে বেড়াতে যাবে এমনও ছিলো না। সময় পেরিয়ে গিয়েছে সময়ের স্রোতে। জীবনে যখন প্রথম পদ্মা দেখার সুযোগ পাই ততোদিনে কর্মজীবন শুরু হয়েছে। এটি কাকতালীয় বিষয় কিনা জানিনা সেদিনও ক্লান্ত দুপুর ছিলো আমি নিজেও ছিলাম বেশ ক্লান্ত। পদ্মার তীরে যখন এসে পৌছেছি আমি হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছি একি! এ যে সাগর মহা সাগরের মতো অবস্থা! এতো বড় নদী হয়! এই আমাদের পদ্মা! হাটি হাটি পা পা করে কখন যে নদীর পানির কাছে এসে পৌছেছি তা হয়তো নিজেরও মনে ছিলো না। দুইহাত ভরে পানি হাতে নিয়েছি, পানি টিউবওয়েলের পানির মতো স্বচ্ছ ঝকঝকে পরিস্কার মিষ্টি।
পদ্মার বুকে ফেরিতে যখন পাড়ি দিচ্ছি বারবার একটি কথাই মনে হয়েছে - তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা! ঠিক তখনই কাকতালীয় আরেকটি বিষয় ঘটে! আমার জীবনে আমি দেখেছি কাকতালীয় বিষয়গুলো কখনো একা একা চলে না, এদের ভাইবোন থাকে - এরা ভাইবোন নিয়ে একসাথে চলাফেরা করে। ফেরিতে আমার পাশেই সেই সময়ের একটি আধুনিক সেডান টয়োটা স্টারলেটের স্টিরিও থেকে কিন্নর কন্ঠে একটি গান বেজে চলছে। গানটি আমার অতি পরিচিত আমার শৈশবের স্মৃতি আমার স্বপ্নে দেখা - না দেখা পদ্মা নিয়ে গান “পদ্মার ঢেউ রে” আমি পদ্মার বুকে ফেরিতে দাড়িয়ে আছি - সামনে উথাল পাথাল পদ্মার ঢেউ আর ফেরদৌসি রহমানের গলায় “পদ্মার ঢেউ রে - মোর শূণ্য হৃদয়–পদ্ম নিয়ে যা, যা রে” - কখন যে চোখের কোনে জল জমে উঠেছে আমি নিজেও জানিনা।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
পদ্মার ঢেউ রে
গীতিকারঃ কাজী নজরুল ইসলাম
সুরকারঃ কাজী নজরুল ইসলাম
শিল্পীঃ ফিরোজা বেগম
শিল্পীঃ ফেরদৌসি রহমান
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
পদ্মার ঢেউ রে —
মোর শূণ্য হৃদয়–পদ্ম নিয়ে যা, যা রে।
এই পদ্মে ছিল রে যার রাঙ্গা পা
আমি হারায়েছি তারে।।
মোর পরান–বঁধু নাই, পদ্মে তাই মধু নাই (নাই রে)
বাতাস কাঁদে বাইরে, সে সুগন্ধ নাই রে
মোর রূপের সরসীতে আনন্দ–মৌমাছি নাহি ঝঙ্কারে রে।।
ও পদ্মারে —
ঢেউয়ে তোর ঢেউ ওঠায় যেমন চাঁদের আলো
মোর বঁধুয়ার রূপ তেমনি ঝিল্মিল করে কৃষ্ণ–কালো।
সে প্রেমের ঘাটে ঘাটে বাঁশি বাজায়
যদি দেখিস্ তারে, দিস্ এই পদ্ম তার পায়
বলিস্, কেন বুকে আশার দেয়ালি জ্বালিয়ে
ফেলে গেল চির–অন্ধকারে।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------
পদ্মার ঢেউ রে গানটি যথাক্রমে বেশ কয়েকজন শিল্পী গেয়েছেন তাঁদের মধ্য অন্যতম শচীন দেববর্মণ, ফিরোজা বেগম ও ফেরদৌসি রহমান। এই তিনজনই আমার অত্যন্ত প্রিয় শিল্পী। ফিরোজা বেগম নজরুল গীতির অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন শিল্পী তিনি সরাসরি কবি কাজী নজরুল ইসলামের ছাত্রী ছিলেন। ফিরোজা বেগম কোনো অনুষ্ঠানে একটির বেশী গান করেছেন বলে আমার জানা নেই। তাঁর আরেকটি পরিচয় আছে তিনি আমাদের দেশের খুবই জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলসের শিল্পী শাফিন ভাই ও হামিন ভাইয়ের আম্মা।
২৮ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:৩০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ব্লগে ছবি বড় আকারে পোস্ট করা আমি আপনার কাছে শিখেছি। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
২| ২৮ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:০৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুন্দর গান। পল্লীগীতি আমার প্রিয়।
যখন দেশে ছিলাম তখন ওয়েস্টার্ন গান বেশি শুনতাম।
এখন সবচেয়ে বেশি সোনা হয় বাংলা গান দেশের গান।
অনেক ধন্যবাদ গুরু।
২৮ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৪৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
পল্লিগীতি, লালনগীতি, ভাওয়াইয়া, জারি গান এমনকি আমাদের দেশের আদিবাসীদের গানও খুবই মনকাড়া। আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ।
৩| ২৮ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:২৬
শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদেরও এই গান নিয়ে স্মৃতি আছে । ভাল পোস্ট ।
২৮ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৩১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমরা প্রায় সমসাময়িক, তাই আমাদের সেই সময়ের স্মৃতিগুলো আছে। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
৪| ২৮ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৩৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আমদের সংস্কৃতি ধারণ করা গানগুলো ধীরে ধীরে হাারিয়ে যেতে বসেছে।
২৮ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৪৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সংস্কৃতির গানগুলো এখন ডিজে আরজে করে বিশ্রি অবস্থা করেছে। লালনগীতি ব্যান্ডদল গাইছে, দেশাত্ববোধক গানও লম্ফঝম্ফ করে গাইছে - এভাবে গানের অপমান করাটা এখন এই দেশে মনে হয় নতুন কোনো এক সংস্কৃতি হচ্ছে। বলার কেউ নেই, বললেও শুনবে বলে মনে হয় না। এই দেশে বাকস্বাধীনতা ভয়াবহ পর্যায়ে আছে।
৫| ২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:১৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আমাদের বাড়ি তো পদ্মার পাড়েই।
এই গানটা রেডিওতে খুব শুনতাম। ছোট ছিলাম তারপরেও অনুভূতি ছিল।
ফেরদৌসী রহমান নামের এক মানবীকে প্রকৃতি আমাদের উপহার দিয়েছিল। ঠিক তেমনি পদ্মা , পদ্মার ঠেউ কিংবা বালুচরে কাশফুলের বন।
এইসব গান গুলো এখনকার শিল্পীরা আধুনিক করার চেষ্টা করছে।
আমি বুঝি না, ফোক কোনদিন আধুনিক হয়?
আধুনিক হলে গ্রাম কি আর গ্রাম থাকে?
চমৎকার আপনার পোস্টটা। কয়েক লাইনের মন্তব্য না করে পারলাম না। ভালো থাকবেন।
২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৪৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আসলে আমাদের দেশে শিল্পীদের গান পেটেন্ট করে রাখার পরও চুরি হয়, মিক্স হয়, ডিজে আরজে হয়, ব্যান্ড হয়! কেনো করে - সামান্য টাকার লোভে। দেশের ভালো ভালো গান এরা নষ্ট করে দেয়। আপনার হয়তো মনে আছে দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের একটি জোয়ার চলে এসেছিলো - বাকস্বাধীনতার এতো অপব্যবহার হয়েছে এই ফেসবুক সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা দেশে ভালো কিছু দিতে পারেনি।
স্বাধীনতার অর্থ কি যা ইচ্ছে তা? তাহলে আগামী ভবিষ্যতে এই দেশে অনেক অনেক দুঃখ আছে।
আপনার মন্তব্যটি পেয়ে খুব ভালো লেগেছে। আসলে লেখালেখি করার জন্য উৎসাহ থাকতে হয়। ভালো মন্তব্যগুলো উৎসাহ যোগায়। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
৬| ২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:১৪
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: মা শা আল্লাহ। পদ্মা সেতু আসলেই সুন্দর!
২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৪৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
পদ্মা সেতু আসলেই দেখার মতো হয়েছে। তবে নদীর উন্নয়নের জন্য নিয়মিত ড্রেজিং ও পরিষ্কার পানির জন্য নিয়ম নীতি তৈরি করে জনগণকে সচেতন করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৭| ২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: ছবি এবং লেখা সুন্দর হয়েছে।
গানটা আমার খুব পছন্দের।
২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৫০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ছবি ও লেখা ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৮| ২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৩৩
কামাল৮০ বলেছেন: আমার ছোট বেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে পদ্মার সাথে।আবার এই পদ্মাই এলাকা ছাড়া করেছে আমাদের।পদ্মার থেকে দেড়শ মাইল দুরে চলে গেছি,আবের পদ্মার টানে যৌবনের অনেকগুলো বছর কাটিয়েছি পদ্মার কাছাকাছি।
২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৫৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ও নদী রে
একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে
এ কূল ভেঙে ও কূল তুমি গড়ো
যার একূল-ওকূল দু'কূল গেল তার লাগি কি করো?
গানের পাখি হেমন্ত কুমার মুখোপাধ্যায়
চলচ্চিত্র: নীল আকাশের নীচে
আমার মনে হয় হেমন্ত বাবুর এই গানটি আপনার জন্য। নদীর কাছে থাকা এক ধরনের নেশা। নেশা হয়ে যায় নদীর পাড়ে থাকা। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৯| ২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১:০১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সুন্দর গান
সুন্দর ছবি
সুন্দর লেখা
দারুণ পোস্ট।
২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১:০৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি চাঁটগায়ে প্রচুর মেজবানীতে দাওয়াত পেয়েছি এখনও পাই। মেজবানী নিয়ে আমি একটি পোস্ট দিবো খুব শিঘ্রই। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১০| ২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১:০৬
কামাল৮০ বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে মনে হলো আপনি সৌভাগ্যবান।পদ্মার বুকে শুনলেন পদ্মার গান।আমি ছোট বেলায় গানটি শুনেছি শচীন্ দেব বর্মনের কন্ঠে।আমাদের বাড়ী হতে ঢাকা থেকে কলকাতা কাছে।ষাটের দশকের গোড়ার দিকে ঢাকা বেতার শুনা যেতো না তাই আমরা আকাশবাণী শুনতাম।আমাদের স্কুল জীবন কেটেছে ভারতের গান শুনে শুনে।
২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১:১৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমাদের গ্রামেও আমার দাদাজান আগরতলা থেকে প্রচারিত আকাশবাণী শুনতেন। ততকালীন DACCA থেকে প্রচারিত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি এতোটা শক্তিশালী ছিলো না। আমাদের সময় বাড়িতে রেডিও থাকা বিশেষ একটি ব্যাপার স্যাপার ছিলো।
আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষ ভাগ্যবান। সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্য কিসে ভালো হয় এটি বুঝতে পারেন না। শচীন দেব বর্মন গানের যাদুকর ছিলেন।
২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১:২৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
কিছু গানই আছে আমাদের মন ভালো করে দেয়। এই গানগুলোকে ভালোলাগার প্রিয় গান বলা যেতে পারে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১১| ২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১:১১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আরেকবার চট্টগ্রাম আসলে আমাকে জানাবেন। চট্টগ্রামের মেজবানী সত্যি অসাধারণ। আপনার পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১:২৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি ব্যক্তিগতভাবে চাঁটগায়ের কাছে ঋণী। বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকা আমার প্রিয় তার মধ্য অন্যতম কিছু এলাকা হচ্ছে চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
১২| ২৯ শে জুন, ২০২২ সকাল ৭:৪৫
সোনাগাজী বলেছেন:
সেতুর উপর দিয়ে গেছেন?
২৯ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সেতুর উপর দিয়ে।
১৩| ২৯ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা। ছবিগুলোও চমৎকার। আমি হাই রেজ্যুলেশনের পদ্মা সেতুর ছবি খুঁজছি আমার ভিডিও মেকিঙের জন্য। কোথাও তেমন ভালো ছবি পাচ্ছি না। আপনার গুলো খুব ঝকঝকে।
পদ্মা নদী প্রথম যেদিন দেখি, সেদিন আমার বিস্ময়ের অন্ত ছিল না। পদ্মা নিয়ে লেখালেখিও আছে। একটা কবিতার গোড়াপত্তন-এ পদ্মা নিয়ে আমার ভালো কিছু স্মৃতিচারণ আছে।
পদ্মার ঢেউরে - ফেরদৌসী রহমানের কণ্ঠে আমার কাছে সেরা মনে হয়েছে। বাংলা ও উর্দু (নাকি হিন্দি, ভাষা বুঝি না) ভার্সনে আছে।
ফেরদৌসী রহমানের কণ্ঠে
ফেরদৌসী রহমানের কণ্ঠে - আমীর সওদাগর ও ভালুইয়া সুন্দরী ছায়াছবিতে
ফিরোজা বেগমের কণ্ঠে
২৯ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:০৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বেশী দুরে নয়, একদিন সময় করে পদ্মা বেড়াতে যান আশা করি বেশ ভালো লাগবে। আর ছবিও কিছু তুলে নিয়ে আসতে পারবেন। পদ্মা মেঘনা যমুনা নিয়ে আমার অনেক অনেক স্মৃতি আছে। আসলে আমরা বাংলাদেশী নদীর দেশের মানুষ, আমাদের জন্ম জন্মান্তের সম্পর্ক খাল বিল হাওড় নদীর সাথে। যেইদিন নদী মারা যাবে মনে করতে হবে সেইদিন এই দেশের প্রতিটি মানুষের মৃত্যু হবে।
আপনার দেয়া গান উপহারের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ গ্রহন করুন। ফিরোজা বেগমের গলায় যাদু ছিলো, আর ফেরদৌসী রহমানও আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন শিল্পী।
আপনার মন্তব্যটি আমার এই পোস্ট লিখা স্বার্থক করেছে। আপনাকে আবারও অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
১৪| ২৯ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: পদ্মার ঢেউ রে এই বিখ্যাত গানের সংগে ছবিগুলি মিলেগেছে। দারুণ
ব্লগার সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই একেবারে গানই দিয়ে দিলেন।
২৯ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি গান “পদ্মার ঢেউ রে” পোস্টের মন্তব্যগুলো পোস্টের প্রাণ। আপনাদের মন্তব্য পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
১৫| ২৯ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৫২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: যখন দুটি ভিন্ন জেনারেশনের অনুভূতি কোন এক জায়গায় এসে আটকে যায় তখন সত্যি অবাক লাগে।
এই ব্লগে মানুষে মানুষে মেলবন্ধন সম্পূর্ণ অনুভূতিতে। অদ্ভুত না ?
২৯ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আসলেই অদ্ভুৎ! তবে ক্ষেত্র বিশেষে দুঃখজনক ও লজ্জাজনকও। হুমায়ূন আহমেদ নিয়ে অনেকেই নানান কথা বলেন, ভাব নিবেন এমন যেনো তিনি হুমায়ূন আহমেদের চাইতেও ভালো লিখেন! শুধু দয়া করে বই প্রকাশ করছেন না! বই প্রকাশ করলে হয়তো বাংলাদেশের মানুষ বইয়ের পাতা শুদ্ধ কাঁচা খেয়ে ফেলতে পারেন (তাদের লেখায় মনে হয়)
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৬| ২৯ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার প্রিয় গান।
২৯ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি গান “পদ্মার ঢেউ রে” পোস্টের মন্তব্যগুলো পোস্টের প্রাণ। আপনাদের মন্তব্য পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
১৭| ২৯ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:১০
জুন বলেছেন: আমার আম্মার দেশ ছিল বর্তমানে যেটা মাওয়া ঘাট। কত শতবার যে আম্মার মুখে প্রমত্তা পদ্মার গল্প শুনেছি, শুনেছি ভাগ্যকুল নামে এক অদেখা ঘাটের গল্প যার মিষ্টি নাকি জগৎ বিখ্যাত। তারপর একদিন আমিও দেখতে গেলাম পদ্মাকে। তার সেই বিপুল সৌন্দর্য যা আপনি তুলে এনেছেন ছবিতে। অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো।
+
২৯ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:১৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
গত কয়েক মাসে কিছু ঝামেলাতে বেশ কয়েক বার দেশের বাইরে যেতে হয়েছে, তাই ব্লগে অনিয়মিত ছিলাম। তাছাড়া বয়স বাড়ছে ক্লান্তি বাড়ছে ব্লগে লেখালেখি করার মতো অবসর পাই না। অনেক সময় বানান ভুল হয়ে যায়, পোস্টে বানান ভুল হলে সমস্যা নেই কারেকশান করা যায় কিন্তু মন্তব্যে বানান ভুল হলে শেষ।
আমরা আসলে নদীর দেশের মানুষতো। আমাদের নদী খুব টানে। নদীর প্রতি আমাদের ভালোবাসা জন্ম জন্মান্তের। এই নদীকে যদি আমরা বাঁচিয়ে রাখতে পারি তাহলে বাংলাদেশ বাঁচবে বাংলাদেশের জনপদ বেঁচে থাকবে।
আমি মিষ্টি নিয়ে পোস্ট দিবো। বাংলাদেশের দই মিষ্টি কি ছিলো তা অবশ্যই লিখবো। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লেগেছে। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
১৮| ২৯ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৫৯
মোগল সম্রাট বলেছেন: ঠাকুর ভাই, কেমন আছেন? পদ্মার ওপারে আমার গ্রামের বাড়ি হ্ওয়ায় গত দুই দশকে অসংখ্যবার পদ্মা পাড়ি দিয়েছি। কখনো ফেরিতে, কখনো লঞ্চ, কখনো স্পীড বোর্ড, কখনো ট্রলার। আমাদের মনে পদ্মা নদী দেখে কাব্য চেতনা কোনদিন জেগেছে কিনা মনে পড়েনা। পদ্মার পাড়ে গিয়ে ভাবতাম কবে এই আজাবের অবসান হবে।
২৯ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:১০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সম্রাট ভাই আমি ভালো আছি। আমি বুঝতে পারি কি পরিমান কষ্ট করে বাড়ি গিয়েছেন বিশেষ করে ঈদ ও অন্যান্য সরকারি ছুটিতে। আমি বুঝতে পারি - আমি জানি কতোটা সমস্যা নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন। পদ্মায় প্রচুর দুর্ঘটনা ঘটেছে এও জানি ভাই। তারপরও আমরা নদীর দেশের মানুষ আমাদের প্রাণ এই নদীর সাথে মিশে আছে।
আমি বিশ্বাস করি সম্রাট ভাই কখনো যদি দীর্ঘ সময় ধরে প্রবাসে থাকেন এই পদ্মার পানির জন্য আপনার মন ব্যকুল হয়ে কাঁদবে। বাড়ি ফেরার যে টান যে বাড়িতে যায় না, যার বাড়ি ঘর নেই সে জানে না। আপনি বাড়ি ফেরার টানে অনেক কষ্ট করেছেন - এখন পদ্মা সেতু হয়েছে। এই সেতু ১৯৭০-১৯৮০তে হওয়া উচিত ছিলো। এখন আশা করি পদ্মা ব্রিজে বাড়ি যাবেন। তবে পদ্মার ভালোবাসা আপনার জন্য থাকবে অনন্তকাল।
আপনার উপস্থিতি আমায় লেখায় অনুপ্রেরণা দেয়। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
১৯| ২৯ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:০৫
রানার ব্লগ বলেছেন: নজরুলের এই গান টা আমার অসম্ভব প্রীয় !!!
২৯ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি গান “পদ্মার ঢেউ রে” পোস্টের মন্তব্যগুলো পোস্টের প্রাণ। আপনাদের মন্তব্য পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
২০| ২৯ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:১০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ২০২১ এর ফেব্রুয়ারীতে গেছিলাম পদ্মা আর সেতু দেখতে। গিয়ে পৌছাই সন্ধার একটু আগে মাওয়া ঘাটে,। সেকী কুয়াশা পদ্মার সেতু দেখতে পারিনি কুয়াশার কারণ। তবে পদ্মা দেখেছি। তামীম পদ্মার পাড়ে দাঁড়াতে পারেনি ঠান্ডাার কারণে । আমি ছবি তুলতে বললে সে দেখি কাঁপতেছে। মাত্র দশ মিনিট থেকেছিলাম। আফসোস মিটে নাই। তাসীনের বাপরে বলতেছি যাবো সেখান্ আবার দেখি যায় কিনা। সেদিনের অনেক ছবি আছে। সময় আর মিলে না এখানে দেয়ার জন্য।
সুন্দর পোস্ট হয়েছে ভাইয়া জি
২৯ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
প্রিয় বোন ছবির যাদুকর, আমরা মাটির দেশের মানুষ, আমরা নদীর দেশের মানুষ - তাই হয়তো আমাদের মাটি পানি এতো টানে। আমাদের বাড়ির জন্য মন কাঁদে। আমাদের আত্মীয় পরিজনের জন্য মন কাঁদে। আমরা এক যায়গায় কিছু দিন থাকলে সেই যায়গার জন্যও মন কাঁদে। এই নরম মন নিয়েই আমাদের জন্ম এই নরম নিয়েই আমাদের মৃত্যু।
সময় করে পদ্মা বেড়াতে যান ভালো লাগবে। আপনার ছবি ব্লগ দেখে দেখে আমিও ছবি ব্লগ পোস্ট দেওয়া শুরু করেছি।
আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লেগেছে। আপনাকে অ-নে-ক অ-নে-ক ধন্যবাদ।
২১| ২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৫৫
ল বলেছেন: এককালে পদ্মা তীরে মাঝি-মাল্লাদের আনন্দের সাথে গায়তো-
ঢাক্কা ঢোলের লা
কোল্লে কোল্লে যা
কোল্লে আছে লাল ছেলে
তুল্লে নিয়ে যা।
দিন বদলের পালায় সেকালের পদ্মা আর আজকের পদ্মার সাথে মানুষের জীবন কর্মের তফাৎ হলেও সম্পর্কের বিভেদ ঘটেনি।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
প্রিয় ল ভাই, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, এই পোস্টে তিন তিনটি মন্তব্য পরে আছে যার মন্তব্য উত্তর সঠিক সময়ে করা হয়নি। আমি জানি না কি কারণে হয়েছে বা হয়তো আমার মনে ছিলো না। প্লিজ মনোকষ্ট নিবেন না।
আমরা আসলে নদী আর মাটির দেশের মানুষ। তাই আমাদের জীবনের প্রতিটি স্মৃতিতে নদী আর মাটি মিশে আছে।
২২| ০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার কানে এখন ও ফিরোজা বেগমের টান ই বাজে যখন এর গানের গানের কথা মনে আসে। ছেলে বেলায় পদ্মা পাড়েই ছিলাম, আমাদের গ্রাম ও পদ্মা র কাছে একাংশ তো পদ্মা তে বিলীন ই। ভাললাগছে আপনার পদ্মা কথন ছবি ও স্মৃতিতে।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:০৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, এই পোস্টে তিন তিনটি মন্তব্য পরে আছে যার মন্তব্য উত্তর সঠিক সময়ে করা হয়নি। আমি জানি না কি কারণে হয়েছে বা হয়তো আমার মনে ছিলো না। প্লিজ মনোকষ্ট নিবেন না।
বাংলাদেশ যে নদীমাতৃক দেশ শুধু তাই নয়। বাংলাদেশের মানুষই হচ্ছে নদীমাতৃক। নদীর সাথে আমাদের সম্পর্ক যুগ যুগান্তরের। এই সম্পর্ক ত্যাগ করে থাকা আমার পক্ষে অসম্ভব বিষয়। আপনাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য দিচ্ছি ৭১ এ বাংলাদেশ যুদ্ধে জয়ী হওয়ার সাথে নদীর সম্পর্ক অনেক অনেক।
২৩| ১১ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রমত্তা পদ্মার ছবিগুলো খুবই সুন্দর!
আপনি যে তিনজন স্বনামধন্য শিল্পীর নামোল্লেখ করেছেন, তাদের সবাই অত্যন্ত দরদ দিয়ে 'পদ্মার ঢেউ রে' গানটি গেয়েছেন। সবগুলোই ভিন্ন ভিন্ন কারণে আমার ভালো লাগে।
পদ্মা সেতু দেখতে মাওয়া ঘাটে গিয়েছিলাম গতবছর। নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবার পর কিছুদিন আগে সেতুটি সাধারণের জন্য চালু হয়েছে। সমগ্র দেশবাসী এই সেতুর নির্মাণ কাজ সমাপ্তিশেষে সাড়ম্বরে চালু হওয়ায় ভীষণ উৎফুল্ল হয়েছে।
চমৎকার পোস্টে প্লাস। + +
০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:০৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, এই পোস্টে তিন তিনটি মন্তব্য পরে আছে যার মন্তব্য উত্তর সঠিক সময়ে করা হয়নি। আমি জানি না কি কারণে হয়েছে বা হয়তো আমার মনে ছিলো না। প্লিজ মনোকষ্ট নিবেন না।
পদ্মার ঢেউ রে' গানটির সাথে আমার অনেক অনেক স্মৃতি জড়িত। আমি জানি না আপনি নদীর পাড়ে থেকেছেন কিনা, নদীর পাড়ে থাকা এক ধরনের নেশা। নেশা ধরে যায় মনে নদীর পাড়ে থাকার জন্য। নদী ছেড়ে আর যেতে ইচ্ছে করে না।
আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:২৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট।