নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'If Stavrogin believes,he does not think he believes. If he does not believe ,he does not think he does not believe.'-The Possesed
সন্ধ্যাগুলো ক্রমেই আরও বিশাল হবে
দীর্ঘ দীঘল আরও দীর্ঘ হবে
সূর্য ডোবার কাল
পৃথিবী তো এমন থাকবে না চিরকাল
রাতগুলো ধীরে ধীরে দিন হবে
কয়লা রঙের অন্ধ গন্ধ তুলে...
আমি কোথায় পৌঁছালাম জানি না। কার ঘর, কোন দেশ? আকাশের কোন খণ্ড আমার মাথার উপরে হেসে ভেসে ছিল কে জানে? কেবল বুঝলাম পায়ের কাছে হাজার পাখির লাশ পড়ে...
এর নামও কাদম্বিনী ।হবে হয়তো রবীন্দ্রনাথেরই। সেই বেশ । সেই চোখ। সেই হুতাশ করা অবাক হওয়া মুখ। যেন সে আদতে এই ইহজগতের কেউ নয়। কয়েক দিন হল মরে...
অন্ধকার একাকার।
যাবতীয় তন্দ্রা বন্ধ করে আমার ঘর জুড়ে অতীতের অদ্ভুত গরম বাতাস বয়ে চলেছে। কপালে, কপোলে ঘামের অজস্র নিদাঘ বিন্দু। প্রতিটি কণায় একটা একটা গতকাল ভর করে আছে...
বাংলাদেশের ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দ। নদীমুখী গ্রামের সূর্যমুখী পথ। জনহীন।
একজন আইসক্রিম বিক্রেতার ভ্যান ধীরে এগিয়ে আসছে। \'মৌসুম এলো ভালোবাসার, মৌসুম এলো...\' মাইকে উন্মাতাল নারীকণ্ঠের গান উদাস বিকেলের নিরালা-নিশ্চুপ ভাব ভেঙে দিতে...
এক হাজার একশ\' বছর পরে,
অজস্র অমাবস্যা চাঁদের ওপারে,
বিশেষ এমন এক দেশ খুঁজে পাবে,
আজন্ম যেখানে জন্ম নেবে খাঁটি সতেজ বিদেশি।
আজীবন তারা বিভাষায় কথা বলবে।
বিজাতির ধর্মই হবে তাদের...
কোন একটা অঞ্চলের ভাষাও হতে পারে সার্বজনীন। কোন একজন নির্দিষ্ট মানুষের গল্পও হতে পারে হাজার জনের। স্বপ্ন দেখার মতোন অতি মানবিক, আবহমান একটা ব্যাপারকে \'রোশনাই বিউটি পার্লার\' গল্পের অংশ...
শহরের দেবী আসবেন সমুদ্রতীরের এই নিবিড় ছোট্ট গ্রামে। প্রায় হাজার বছর ধরে ক্রমাগত নগর, বন্দর দেখে ভয়ানক ক্লান্ত চোখজুড়ে তিনি দেখতে চান দিগন্ত-অপার সমুদ্র, নীল-উচাটন ঢেউ।...
এই প্রেম কোনদিন, কখনওই অন্য প্রেম নয়।
এমন ভরা কুয়াশায় শহরের গলিগুলো চোখের সামনে এসে নিভে যায়। কোথায় কোন আকাশে লুকিয়ে থাকে
বিশাল-প্রদীপ সূর্য। যে পথ মন্দির,...
এক পৌষ কুয়াশা, এক মাঘ নিবিড় শিশির।
সহস্র শীতের এক আকাশ রোদ্রহীন দিন
যেমন
তুমি আজীবন আমাকে না জেনে
আমার আড়ালে, অন্তঃঅন্তরালে
যুগ যুগ বেঁচেছিলে।
যেমন
আজীবন তোমাকে না চিনে
ওপারে, তোমার অন্য কিনারে
কালে...
শহর থেকে শহরগুলো যতখানি দূরে,
ভোর থেকে ভোরে
মেঘ উতলা মেঘনা নামের নদী
ততদূর বহুদূর বয়ে চলে যায়,
দেশ দেশান্তরে
ভোর থেকে ভোরে
হৃদয় থেকে হৃদয়গুলো যতখানি দূরে।
তোমার আমার দেখা হল বলে সূর্য...
দিন-ক্ষণ-তিথি প্রভৃতি উল্লেখ পূর্বক বেচারা মরণচাঁদ সবেমাত্র পরবর্তী সাতদিনের বিস্তারিত কর্মসূচি দিনপঞ্জিতে লিপিবদ্ধ করে উঠে দাঁড়াল। ঠিক তক্ষুনি মরণদেব এসে মরণচাঁদ ভৌমিকের ঘাড় মটকালেন। টেবিলে পড়ে রইল চীনামাটির ধবল...
যমুনা নদীর তখন তরুণ বয়স। এপার ওপার মাতাল করা খোলা ঘোলা ঢেউগুলো তখন আরও অশান্ত ছিল। সেই উত্তাল দিনগুলোতে প্রথম প্রেমের আভাস এল মনে। নদীর প্রেম তো মানুষের মতোন...
এই ঢাকা শহরে বর্তমানে যতজন ভূতের বাস, তাঁর দাবি তিনি সবার থেকে বৃদ্ধ।
হতেই পারে। মোঘল আমলের কোন ভূত তো আর এই শহরে থাকে না। কোম্পানি আমলেরও নাই। খুব পুরাতন যারা...
ক্ষয়ে যাওয়ার , সয়ে যাওয়ার দীর্ঘদীঘল দিনগুলো আর মনে পড়ে না।
কোন এক রাত এসে, কোন এক গহন-চাঁদের কুযাশায় স্মৃতি মুছে রূপালি রূপকথা ভরে দিয়ে গেল... কেউ একজন আমার জীবন...
©somewhere in net ltd.