![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামহোয়্যারইন শুরু থেকে লেখালেখি করছিলাম হঠাৎ আইডি বন্ধ হয়ে যায় তারপর আবার নতুন করে আইডি খুলে লেখালেখি শুরু করলাম সবার প্রতি কৃষ্ণচূড়া শুভেচ্ছা রইল
এক গল্পের মধ্যে
সহজেই কষ্ট খুঁজে পাওয়া যায়
ঘুর পাক খায় শুধু কবিতার রূপ,
ভাবনায় লোমখারা হয়ে যায়-
গুরুগম্ভীতার মেঠো পথে কবিতা!
বিভিন্ন চরিত্রের নাম থাকায় গল্প
অথচ কবিতার নাম মেঘের ছায়া...
মনের যত দৌড়
আকাশ সীমা-
রঙ ছুঁয়ে যায়
মাটির কায়া;
মেঘে ঝড় বৃষ্টি
চোখে নেই মায়া!
বট বৃক্ষ, বাঁশ
চাটাই বুঝে না-
কার কেমন ছায়া;
রঙধনু জোছনা রাত
প্রেম যমুনায়
আসে না চাঁদ;
চাঁদের গায়ে রঙিন বাড়ি
শূন্য মনে কত আড়ি
কার কি এসে...
তুমি আগুন- আগুন
আমি শীতল বাতাস
ফুর ফুরে জ্বল, আর
আমায় লাগে ভাল ভাল;
তুমি অথৈ পানি
আমি শুধু ঢেউ
বর্ষা ছাড়া জমে না
জমে না বালুচর কেউ;
তুমি সময়ে চেতনা
আমি জুড়ে বেদনা
আসে না আর ফাল্গুন!
মনতে জ্বলে...
এই সংসার মানেই
জান্নাত জাহান্নামের খেলা
সুখ দুখ নায়ের ভেলা!
জীবন যেনো জীবন্ত লাশ
কেউ জানে না তার নাশ;
তবু যুগ যুগান্তর স্বাদ পাই-
অন্যায় অতেচার জীবন সঙ্গী
খেলা হচ্ছে সময়ের চাবিকাঠি
বিভক্ত যত সব নিয়ম-কানুন-
তবু জাগে উঠে...
রাতের আকাশ নিরব নিস্তদ্ধ-
হেঁটে যাচ্ছে শুধু চাঁদ আর চাঁদ;
খই ভাজা মাঠের অলি গলিতে
ভাবনার মুড়ির কাটায় ক্লান্ত-
তবু সংলাপ শেষ নয় মধ্যরাত!
ভোরের কুনজন পাখিদের গান
ভরে যাচ্ছে নদ নদী- খাল বিল
ঘাম ঝরানো দেহ...
অভিমান বাস্তবতা বুঝে না,
উড়ে গেলো- শঙ্খচিল
সব সীমানার অতীত;
কুঁড়েঘরে বাঁশ বাগানে
ঐ চাঁদ বড়নিঠুর অভিমানি!
রেখে গেলো ক্ষত বিক্ষত
রঙধনু আকাশ; সোনালি মাটির
মলিন করা মুখমণ্ডল হাসি।
আমি ভুলে যাচ্ছি বর্তমান,ভবিষ্যৎ-
খুঁজছি একগলা মৃত্তিকার আনন্দ উৎসব।
১১ শ্রাবণ...
তুমি আকাশ দেখলে মা
বাতাস অনুভব করলে;
অথচ প্রবাহ রক্তের কষ্ট
বুঝলে না; কেমন করে
তোমাকে বুঝাবো বলো?
আমি এখন জীবন্তলাশ!
একসাগর কষ্টের জোয়ার
ভাটা খেলার সঙ্গী গো মা;
কি করে সান্ত্বনা পাই বলো-
শুধু মাটির...
মা গো তোমার কবরের মাটি
এখন আমার বুকের মাঝে-
নিঃশ্বাসের আগে গন্ধ পাই যত!
আগে কোন দৃশ্যময় ছিল না মা-
এখন গুমরে মরা, বাতাসের আগে
দৃশ্যময় ভেসে যায় মা গো- মা
মেঘহীন বৃষ্টিগুলো চোখ...
কতখানি উন্নত হয়েছি, তারি একটা চিত্র
ভবিষ্যতে আর উন্নত হবো- এটাই মিত্র!
গলাবাজি মিথ্যা বাজি সবই এখন গোত্র-
এই না হলো স্বদেশ প্রেম বাঙালির পত্র;
এবার তোরা লও হাতে লাঠিসোঁটা রক্ত-
গলা ফাটাও উন্নত করো...
দেহের সবুজ রঙে শূন্যাকাশ
মাটির উপর স্পর্শ ছোঁয়া পা-
হেঁটে যাচ্ছে সাদা কালো মেঘ;
ঝড় বৃষ্টি দিনের মাথায় অন্ধকার
তবু লাল, নীল, সবুজ- হেসে উঠে
একমুঠো সোনালি জল কাঁদার হাত
আফসোস বিস্মৃতি ফিরবে না আর-
হৃদয় ভাঙ্গা...
আজ শুধু শ্রাবণের প্রথম দিন
নরম ঘাস পালঙ্ক ভেজে গেলো-
গোলাপের মন আনন্দে বাসর রাত!
অথচ এখানে বর্ষার রাস্তা ঘাট
জলে থৈ থৈ; শ্রাবণ তুমি কদম
ছুঁইলে কেন? নাকি অন্যকিছু-
যুগে যুগে কালো মেঘ বজ্রপাত
কলঙ্কের জল...
দেহের রক্তগুলো
ব্যর্থতার কোষে পরিনিত!
দুর্বলতার দুর্বলা ঘাস
সূর্যমুখি ঠোঁটে একাকার।
তবু দেহো হেসে উঠে-
সোনালি মাঠ প্রান্তর;
জোছনা রাতের যত ক্ষুধা
বুঝে না নির্ঘুম চোখ-
তোদের ভোর হয় জয়ের ক্রন্দনে
অথচ অম্লান ব্যর্থতার কোষে রক্ত মাংস।
০১ শ্রাবণ...
শুধু শুধু মরা বৃক্ষের কথা
একটা মাছের পোনাও
মনে রাখে না; কি বাস্তব?
ছায়া, মায়া, এক চাল মমতা
যেনো পথিকের স্বার্থপরতা-
একটা মরণেও জানে না;
নির্দয় মাছ সাঁতার কাটেই যায়-
গভীর জল কিংবা নিম্ন স্রোত;
আমি বৃক্ষের...
ফুলের দিকে তাকালে
লজ্জাবতীর কথা মনে হয়;
সত্যিই লজ্জা না থাকলে
ফুলকে ছোঁয়া যেতো না-
ভালোবাসার রাগ, অনুরাগ
অভিমান বুঝা যেতো না!
দেখো দেওয়ালের লজ্জা নেই
হোঁচট খেয়ে ব্যথা লাগে ভীষণ
জন্মটাই জানো লজ্জার ভূষণ-
লজ্জাতেই খুঁজি প্রণয়ের পূজন।
২৮...
তোমাকে কখনো আশার
আকাশে চাঁদ হতে দেখিনি;
ভেসে গেছে অমাবস্যার মেঘ!
হাতের মধ্যে-চোখের কোণে
ভিজে গেছে রাস্তার মোড়;
শুকেছে যত কৃষ্ণচূড়ার গাছ-
গোলাপ দেখলেই আশা বেদনায়
দৃষ্টি গোচর করে এক সমুদ্র জল!
তবু আশার বুড়ো হতে অনেক দেড়ি-
মরণেও...
©somewhere in net ltd.