নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামহোয়্যারইন শুরু থেকে লেখালেখি করছিলাম হঠাৎ আইডি বন্ধ হয়ে যায় তারপর আবার নতুন করে আইডি খুলে লেখালেখি শুরু করলাম সবার প্রতি কৃষ্ণচূড়া শুভেচ্ছা রইল
অনুতপ্তের অনল
জ্বলে যাচ্ছে তুলসী পাতা;
সর্বোচ্চ চূড়ায় বৃষ্টি
চোখে বুকে অজস্র ঢল ঢল
দেখার চোখ নেই-
কথা বলার ভাষা নেই অবিচল
হারিয়েছে বহুদুরে
কি মায়া প্রশান্তি মৃত্তিকার দেশে
অনুতপ্তের নির্ঘুম
অশ্রু সজল রাতভোর অবিরাম
শোকাহত হোক
এই আকাশ সবুজ আলো...
ভাবতেই পারি না
তুমি নেই- না ফেরার দেশে
কি অভিমান করে
চলে গেলে- চলে গেলে,
সারা আঙ্গিনা জুড়ে
খুঁজে ফেরি- মা গো- মা;
তোমার রান্না ঘর-
ধান শুকনো উঠান,
পায়ের চটি- থাল গ্লাস
সবই দাগ লেগে আছে!
স্মৃতির ভেলা যাই...
আদি গন্ধ নিয়ে, এখন ছুটছে
স্মার্ট নেশায় রাতদুপুর নির্ঘুম!
জ্বলছে আলোর প্রদিপ; একটু
শুন আদি কথা- সময়ে পার ঘুম
প্রশান্তি দেখো এ কাল- সে কাল
জেগে তুলো ধেন জ্ঞান,মলিন সব
ইতির স্পর্শ হবে আলোকিত সজল
উদ্ভূত ধূসর...
আমি তারার দেশে
যাচ্ছি- খুঁজতে-
কি হারালাম- কি হারালাম
জানলো জোছনা রাত!
ঝিঁঝিঁপোকার গায়েন;
আমি তারার দেশে-
যাচ্ছি- খুঁজতে।
খুঁজতে খুঁজতে পেলাম
মা হারনার যন্ত্রণা
চাঁদের বুকে অসীম সীমানা
জনম তরীর আলপনা;
মায়ের মুখ মলিন করা
দেখছি সবই আন মরা-
কি পেয়ে...
রাত পুহায় রাত-
ভোর শিশিরে দেখি
সবুজ আলপথে ঘাস-
মন ভেজা রোদ!
রাত পুহায় রাত;
দৌড়ায় দৌড়ায় কত দূর
তেল ভাজা উঠন
আলপিনে বুঝে না
জীবন সংসার আঁধার
দৌড়ায় দৌড়ায় কতদূর;
সোনার পালঙ্কে ঘুম
আর কতখানি কুম
বাস্তবতার কলকাঠি ভাবি না
এই চলে...
মনেতে শিয়াল শকুনের উৎপাত
চলছে শিয়াল, শকুন- উড়ছে শিয়াল, শকুন
শিয়াল, শকুন ছাড়া দেহ হাত পা অচল;
যাকে তাকে- শিয়াল শকুন বলছো
এটাই সারাক্ষণ চলছে মনোভাব
শিয়াল, শকুন থেকে নিষ্পাপ
বলো- বলো- কি করে পাওয়া যায়;
ভয়ে...
ঘর অন্ধকারে
মাগো কেমন আছো?
মনে পরে কি আমারে-
মাগো- মনে পরে;
সোনার সংসার
রইল আমার-
হাতছানি অন্ধকার
মাগো মনে পরে।
আলোর মুখে
আশা হতো দিন-রজনী
এমনকী করে যাবে চলে
জোছনা রাত ভাবেনি;
প্রভুর কাছে সুধায়!
ঐঘরে থাকে জানি
জান্নাত বাগিচায়
মাগো মনে পরে।
২২ শ্রাবণ...
মা বলার ডাক এখন চাঁদ
তারাদের মাঝে হাসে;
উঠানের ঝিঝিপোকার শব্দ
শ্রাবণের নোনা চোখ!
স্মৃতির দুধ ভাতে যেনো
দুপুরের থাল- রাতের পাটি
বসানো খাবার, সকালের পিঠা
পুলি চারপাশে শুধু হাহাকার মা;
দৌড়াই আইল পাথার ছুটে
বাবা...
এক গল্পের মধ্যে
সহজেই কষ্ট খুঁজে পাওয়া যায়
ঘুর পাক খায় শুধু কবিতার রূপ,
ভাবনায় লোমখারা হয়ে যায়-
গুরুগম্ভীতার মেঠো পথে কবিতা!
বিভিন্ন চরিত্রের নাম থাকায় গল্প
অথচ কবিতার নাম মেঘের ছায়া...
মনের যত দৌড়
আকাশ সীমা-
রঙ ছুঁয়ে যায়
মাটির কায়া;
মেঘে ঝড় বৃষ্টি
চোখে নেই মায়া!
বট বৃক্ষ, বাঁশ
চাটাই বুঝে না-
কার কেমন ছায়া;
রঙধনু জোছনা রাত
প্রেম যমুনায়
আসে না চাঁদ;
চাঁদের গায়ে রঙিন বাড়ি
শূন্য মনে কত আড়ি
কার কি এসে...
তুমি আগুন- আগুন
আমি শীতল বাতাস
ফুর ফুরে জ্বল, আর
আমায় লাগে ভাল ভাল;
তুমি অথৈ পানি
আমি শুধু ঢেউ
বর্ষা ছাড়া জমে না
জমে না বালুচর কেউ;
তুমি সময়ে চেতনা
আমি জুড়ে বেদনা
আসে না আর ফাল্গুন!
মনতে জ্বলে...
এই সংসার মানেই
জান্নাত জাহান্নামের খেলা
সুখ দুখ নায়ের ভেলা!
জীবন যেনো জীবন্ত লাশ
কেউ জানে না তার নাশ;
তবু যুগ যুগান্তর স্বাদ পাই-
অন্যায় অতেচার জীবন সঙ্গী
খেলা হচ্ছে সময়ের চাবিকাঠি
বিভক্ত যত সব নিয়ম-কানুন-
তবু জাগে উঠে...
রাতের আকাশ নিরব নিস্তদ্ধ-
হেঁটে যাচ্ছে শুধু চাঁদ আর চাঁদ;
খই ভাজা মাঠের অলি গলিতে
ভাবনার মুড়ির কাটায় ক্লান্ত-
তবু সংলাপ শেষ নয় মধ্যরাত!
ভোরের কুনজন পাখিদের গান
ভরে যাচ্ছে নদ নদী- খাল বিল
ঘাম ঝরানো দেহ...
অভিমান বাস্তবতা বুঝে না,
উড়ে গেলো- শঙ্খচিল
সব সীমানার অতীত;
কুঁড়েঘরে বাঁশ বাগানে
ঐ চাঁদ বড়নিঠুর অভিমানি!
রেখে গেলো ক্ষত বিক্ষত
রঙধনু আকাশ; সোনালি মাটির
মলিন করা মুখমণ্ডল হাসি।
আমি ভুলে যাচ্ছি বর্তমান,ভবিষ্যৎ-
খুঁজছি একগলা মৃত্তিকার আনন্দ উৎসব।
১১ শ্রাবণ...
©somewhere in net ltd.