নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামহোয়্যারইন শুরু থেকে লেখালেখি করছিলাম হঠাৎ আইডি বন্ধ হয়ে যায় তারপর আবার নতুন করে আইডি খুলে লেখালেখি শুরু করলাম সবার প্রতি কৃষ্ণচূড়া শুভেচ্ছা রইল
কঠিন আর সহজ
কখন যে একাকার হয়ে বসে
মনে ভাবা মুশকিল;
নিয়ম আর অনিয়ম চমৎকার
খেলা হচ্ছে শুধু শুধু!
আমাদের উঠন জুড়ে-ফসলি
মাঠ বড় অভাগা বৈকাল
মনে আনন্দ নেই যেনো শ্মশান
তবু ধৈর্য দেখা যাক-
সময়ের চাকা কোন দিকে...
তোমার উন্নয়নের সড়ক এখন
দেহের ধূলি বালি; রাস্তার মোড়ে
নাক ফাটা গন্ধ উড়ি! পরিশ্রমে হাঁটতে
হাঁটতে পায়ে এখন ভেরিকোজ;
বাঁশকাটা উন্নয়ন দেখে- দেখে শিশু
মুখ বন্ধ করে হাসতে- হাসতে মরে!
তবু গলায় গলায় লাল নীল...
উপরেও খাও- নিচেও খাও
খাও- খাও মানে মহাসমুদ্র জল;
জানো কি? এত খাওয়ার মধ্যে
বৃদ্ধক সামনে- মরণ তো কথায় নাই
তবু উপরে খাও নিচেও খাও
খাও- খাও জীবনের নদী নালা...
ভুলে যাচ্ছি অনেক কিছু
যমুনার কাঞ্চগেরি ফসলের জমি
ফসলে- ফসলে কাউন;
ভুলে যাচ্ছি আইল পাথারে
বৈকালির হৈহল্লোর, বদমদাঁড়ি
গোল্লাছুট, সুলটির মধ্যে হুছুট খাওয়া!
ভুলে যাচ্ছি অনেক কিছু
কেয়া আপাদের বাড়িতে...
এক কথার উজানের গন্ধ
চিনি না-জানি না, ভুলে গেছি;
এমন কি মেঠোপথের ধূলো বালি!
নাকের দীর্ঘ বাতাস সব সময় বয় না
ঐ চূড়া বালিতে কিঞ্চত সুখ
সেই সুখের প্রণয় খুঁজে সমুদ্র।
আর রাত এলেই জেগে...
কদম হেসেছিল বর্ষার কোণে
শাপলা বিলে ভেলা ভাসে- ভাসে
প্রাণচঞ্চল সাদা মেঘে ফাগ্লুনের লুকোচুরি।
আগুন যেনো সবুজপ্রান্তর দুর্বলা ঘাস
আইল পাথার আর থৈ থৈ খাল বিল
সবই আজ অম্লান কদম পাপড়ির ঘ্রাণ,
কৃষ্ণচূড়া রাস্তার মোড়ে রাঙা...
কদম চোখে মেঘ
হাত ছোঁয়া বৃষ্টি
মন ফেরিতে শ্রাবণ
দেহে বসন্ত অনল
প্রেম সিক্ত মাটি;
বর্ষার জোছনা রাত
শুধু ঘাসফড়িং নাচ
আর জেগে থাকা
শিশির ভেজা বাঁধ-
কদম প্রণয় নাশ।
০১ আষাঢ় ১৪২৯, ১৫ জুন ২৩
নদীর চোখ দেখছে খরস্রোত
উজানে শুধু নদের বালুচর
সুখের মোহনায় যে নদীর
অট্টালিকার রোদচশমা ছাঁদ;
মমতাময়ী জল গড়ে গড়ে
ঝর্ণাধারা, পাহাড়ের কান্না
ময়ূরী ঢেউ রাতের স্বপন নয় কি
চঞ্চল মনে শোকাহত ঝড়
খরস্রোতে এক বার ভাসতে চাই
প্রণয়ের কিনারা...
ঐখানে খরস্রোত প্রায় দেখি
জমির ভাঙান কতখানি ক্ষত!
নদীর ময়ূরী ঢেউ জানে না
পূর্ণিমায় ঝলমল করে উঠে
অট্টালিকার রোদচশমা ছাঁদ;
বৃষ্টির নোনাটে গন্ধ তাও বুঝে না
অবুঝ অহমিকা সংসার ধর্ম
কি নির্দয় খরস্রোত-মাটির ছোঁয়া
বুঝলো না- প্রতিনিয়ত ভেসে
যাচ্ছে,...
প্রায় আকাশটা দেখছি অবাধ্য
সূর্য উঠে না, এদিক সেদিক
ফুলকি পারে চাঁদটাও!
নিজের ছায়াটাও দাঁড়ায় না
ভুলে গেছে সোনালি ক্ষণ;
মাটিগুলি অন্যগন্ধে আসক্তি হয়েছে
একেই বলে সীমাবদ্ধহীন অবাধ্য
গরুগাড়ির চাকার মতো মন
ভীষণ সার্থপরতা অবাধ্যকে হার মানছে
শুনো শুধু...
তোদের কে কোথায় রাখি
বুকের তাজা রক্ত বুঝে উঠতে
পারে না, তোরা অবুঝ ফুলের ঘ্রাণ;
তারার হাসিটা খুব বুঝতে পায়
অথচ মাটির ছোঁয়া জানিস না-
প্রতিটি সময় দিন বদলের হাসি কান্না!
বুকের তাজা রক্ত বার বার...
কালো দাঁত এখন ভীষণ ঝকঝকা,
কণ্ঠে সাদা মেঘের বক চারিপাশ
হাত ছুঁয়া সংলাপ বসবে দলে দলে বেশ!
লিখিত মনোচিন্তা হাসির আড়ালে ফেশ-
সিংহী ফাঁদে আটকাবে এই মেষ!
সবুজ ঘাসের জয়োধ্বনি, রক্তাক্ত মাঠ
বুঝলে- অবাক হওয়ার কিছু...
আকাশের গায়ে মেঘ বৃষ্টি নাই
কাদতে ভুলে গাছে- তাই চোখ
আর কাদে না! দেহ জুড়ে যত
কান্নার স্লোগান; প্রভুর প্রেমে
শোকাহত- হইতো এভাবেই
চলছে- মেঘ বৃষ্টি নাই- বৃষ্টি নাই
শুধু শুধু প্রেম সাগরে বালুচর
এই দেহের চারপাশ...
কর্ম কৃতি আর নীতি
সবই চায় দাদাগিরি!
মুখের জলপাই হাসি-
আর রোগবালায় কাশি;
চেনে দেয় মৃত্যুর নাশী
তবু মানুষ হিংস্র বিদ্বেষী!
মামাগিরিতে তরকারি ঝাল
নানাগিরিতে কাচা, ভাজা
বাদামে দাদাগিরির দাম।
২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯, ০৬ জুন ২৩
কবিতার যদি সোনালি শৈশবের ঘ্রাণ না থাকে
তাহলে কিসের লাবণ্যময় কবিতার চয়ণ
মুখে হাতে পিঠে সব জায়গায় শৈশব
নদীমাতৃক হেঁটে যাচ্ছে বালুচর হাসছে
ফসল ভরা মাঠ আর মাঠ যেনো নবান্নের
গন্ধ পাগল! শ্রাবণের চোখে থৈ...
©somewhere in net ltd.