নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামহোয়্যারইন শুরু থেকে লেখালেখি করছিলাম হঠাৎ আইডি বন্ধ হয়ে যায় তারপর আবার নতুন করে আইডি খুলে লেখালেখি শুরু করলাম সবার প্রতি কৃষ্ণচূড়া শুভেচ্ছা রইল
মা গো তোমার কবরের মাটি
এখন আমার বুকের মাঝে-
নিঃশ্বাসের আগে গন্ধ পাই যত!
আগে কোন দৃশ্যময় ছিল না মা-
এখন গুমরে মরা, বাতাসের আগে
দৃশ্যময় ভেসে যায় মা গো- মা
মেঘহীন বৃষ্টিগুলো চোখ...
কতখানি উন্নত হয়েছি, তারি একটা চিত্র
ভবিষ্যতে আর উন্নত হবো- এটাই মিত্র!
গলাবাজি মিথ্যা বাজি সবই এখন গোত্র-
এই না হলো স্বদেশ প্রেম বাঙালির পত্র;
এবার তোরা লও হাতে লাঠিসোঁটা রক্ত-
গলা ফাটাও উন্নত করো...
দেহের সবুজ রঙে শূন্যাকাশ
মাটির উপর স্পর্শ ছোঁয়া পা-
হেঁটে যাচ্ছে সাদা কালো মেঘ;
ঝড় বৃষ্টি দিনের মাথায় অন্ধকার
তবু লাল, নীল, সবুজ- হেসে উঠে
একমুঠো সোনালি জল কাঁদার হাত
আফসোস বিস্মৃতি ফিরবে না আর-
হৃদয় ভাঙ্গা...
আজ শুধু শ্রাবণের প্রথম দিন
নরম ঘাস পালঙ্ক ভেজে গেলো-
গোলাপের মন আনন্দে বাসর রাত!
অথচ এখানে বর্ষার রাস্তা ঘাট
জলে থৈ থৈ; শ্রাবণ তুমি কদম
ছুঁইলে কেন? নাকি অন্যকিছু-
যুগে যুগে কালো মেঘ বজ্রপাত
কলঙ্কের জল...
দেহের রক্তগুলো
ব্যর্থতার কোষে পরিনিত!
দুর্বলতার দুর্বলা ঘাস
সূর্যমুখি ঠোঁটে একাকার।
তবু দেহো হেসে উঠে-
সোনালি মাঠ প্রান্তর;
জোছনা রাতের যত ক্ষুধা
বুঝে না নির্ঘুম চোখ-
তোদের ভোর হয় জয়ের ক্রন্দনে
অথচ অম্লান ব্যর্থতার কোষে রক্ত মাংস।
০১ শ্রাবণ...
শুধু শুধু মরা বৃক্ষের কথা
একটা মাছের পোনাও
মনে রাখে না; কি বাস্তব?
ছায়া, মায়া, এক চাল মমতা
যেনো পথিকের স্বার্থপরতা-
একটা মরণেও জানে না;
নির্দয় মাছ সাঁতার কাটেই যায়-
গভীর জল কিংবা নিম্ন স্রোত;
আমি বৃক্ষের...
ফুলের দিকে তাকালে
লজ্জাবতীর কথা মনে হয়;
সত্যিই লজ্জা না থাকলে
ফুলকে ছোঁয়া যেতো না-
ভালোবাসার রাগ, অনুরাগ
অভিমান বুঝা যেতো না!
দেখো দেওয়ালের লজ্জা নেই
হোঁচট খেয়ে ব্যথা লাগে ভীষণ
জন্মটাই জানো লজ্জার ভূষণ-
লজ্জাতেই খুঁজি প্রণয়ের পূজন।
২৮...
তোমাকে কখনো আশার
আকাশে চাঁদ হতে দেখিনি;
ভেসে গেছে অমাবস্যার মেঘ!
হাতের মধ্যে-চোখের কোণে
ভিজে গেছে রাস্তার মোড়;
শুকেছে যত কৃষ্ণচূড়ার গাছ-
গোলাপ দেখলেই আশা বেদনায়
দৃষ্টি গোচর করে এক সমুদ্র জল!
তবু আশার বুড়ো হতে অনেক দেড়ি-
মরণেও...
সত্যই কি ? ঘৃণা ইটের মতো;
ইট মারলে রক্তাক্ত- এমন কি
মৃত্যু; তাহলে আমি মৃত্যু শুধু
প্রশ্ন ভেসে যায়- সাদা মেঘে-
সবুজ ঘাসে-আর জল স্রোতে
ঘৃণা কখনো লাল গোলাপের ঘ্রাণ
অথচ হয়েছে ধোঁয়াহীন ইট ভাটা;
দিগন্তে ছুঁয়ে...
জন্ম আমি দেখিনি;
তোমাদের জন্ম দেখে
উপলব্ধি করি; স্বাদ পাই
গন্ধ পাই আর কত কি?
তবু জন্ম, জন্ম দিন বলে কথা!
জন্ম নিয়ে কত স্বপন কত ইতিহাস
রয়ে যায় সোনালি মনে মৃত্যুর ঘরে
ভেবো না জন্মের ব্যর্থতা
অশুভ...
সময় এখন ত্যাগের মহিমান্বিত গন্ধ
উড়া সকাল দুপুর- পেটের চারপাশ
মাংস আর মাংস রাখার মহা ধুম, আর
প্রতিযোগিতার লম্বা সারি মন ভাবনার
নাই দাঁড়ি; পশুর রক্ত হয় কোরবানি!
মনের ময়লা সেরকমী থাকলো জানি
মরণশীল মন এক...
কঠিন আর সহজ
কখন যে একাকার হয়ে বসে
মনে ভাবা মুশকিল;
নিয়ম আর অনিয়ম চমৎকার
খেলা হচ্ছে শুধু শুধু!
আমাদের উঠন জুড়ে-ফসলি
মাঠ বড় অভাগা বৈকাল
মনে আনন্দ নেই যেনো শ্মশান
তবু ধৈর্য দেখা যাক-
সময়ের চাকা কোন দিকে...
তোমার উন্নয়নের সড়ক এখন
দেহের ধূলি বালি; রাস্তার মোড়ে
নাক ফাটা গন্ধ উড়ি! পরিশ্রমে হাঁটতে
হাঁটতে পায়ে এখন ভেরিকোজ;
বাঁশকাটা উন্নয়ন দেখে- দেখে শিশু
মুখ বন্ধ করে হাসতে- হাসতে মরে!
তবু গলায় গলায় লাল নীল...
উপরেও খাও- নিচেও খাও
খাও- খাও মানে মহাসমুদ্র জল;
জানো কি? এত খাওয়ার মধ্যে
বৃদ্ধক সামনে- মরণ তো কথায় নাই
তবু উপরে খাও নিচেও খাও
খাও- খাও জীবনের নদী নালা...
ভুলে যাচ্ছি অনেক কিছু
যমুনার কাঞ্চগেরি ফসলের জমি
ফসলে- ফসলে কাউন;
ভুলে যাচ্ছি আইল পাথারে
বৈকালির হৈহল্লোর, বদমদাঁড়ি
গোল্লাছুট, সুলটির মধ্যে হুছুট খাওয়া!
ভুলে যাচ্ছি অনেক কিছু
কেয়া আপাদের বাড়িতে...
©somewhere in net ltd.