![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি পাখি মনের দুখে, কান্না করে রোজ
হাত বাড়িয়ে আদর করে, কে নিয়েছে খোঁজ?
এই পাখিটার দুঃখ অনেক, হারিয়ে গেছে ছেলে
তাকিয়ে থাকে সকাল বিকাল, চোখের পানি ফেলে।
এই পাখিটার ঘরবাড়ি নেই, সব নিয়েছে...
নদীর পাড়ে কাশের বনে ঢেউ খেলে যায় হাওয়া
দৃশ্য আহা এমন মজার যায় না কোথাও পাওয়া।
ছুটে গেলাম বনের ভেতর আদর দিল ফুলে
নিলাম কিছু হাতের মুঠোয় কিছু দিলাম চুলে।
ফেরার সময় কাশের পরি...
তাঁরা দেশের অনেক বড় কিছু
উল্টোপথে চলতে গিয়ে
নিয়ম-কানুন দলতে গিয়ে
নিজের পদ ও মাথাখানি
করলো কেমন নীচু!
ওঁরাই যদি এরূপ করেন
উল্টোপথে গাড়ি চড়েন
কোথায় যাবে দেশটা বলুন
সামনে নাকি পিছু!
গোয়াল ঘরে বোয়াল এসে টেনে নিল গরু
খবর শুনে পাড়ার লোকে চক্ষু করে সরু।
এক জনে কয় হতেই পারে খবর মিছে নয়
আমার বাড়ি কী ঘটেছে শুনলে পাবে ভয়।
গাছের আগায় মহিষ ভেড়ায় বাসা...
মেঘ তুমি পাহাড়কোলে ঘুমিয়ে পড়ো, যাও
আমি এখন আমার মতো সাজাই ভেজা মাটি
নদীর জলে পাল তুলে ঐ ছুটে চলে নাও
দেখো আমি নিজের মতো করব পরিপাটি।
ওই যে দূরে কাশের বনে হাওয়ায় তোলে...
উল্টো বুড়োর কাণ্ড দেখে বল্টু হাসে ফিক
হাসিগুলি পাখনা মেলে ঘুরছে চতুর্দিক।
হি হি করে ছুটে এলো গাঁয়ের ছেলেমেয়ে
এরাও হাসে হি হি করে উল্টো বুড়ো পেয়ে।
কী হয়েছে কী হয়েছে বললো জোয়ান বুড়ো
হাসি...
সবকিছু আজ পেছনে ফেলে
বন্ধুর পথে হেঁটে
ভেবেছে তারা জীবন থেকে
দুঃখ গিয়েছে কেটে।
গতরে তাদের যাতনা চিহ্ন
সব নিয়েছে কেঁড়ে
সুখ আসে না সুখের বদল
দুখেরা আসে তেড়ে।
এতটুকু ঠাঁই পেয়েছে যে তাই
এতেই জীবন রক্ষা
কোথায়...
এক.
গভীর রাত। ঝুম বৃষ্টি পড়ছে।
‘মা, মাগো দরজা খোলো।’
জমিলার মা ও বাবা ছোট ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে রাতের খাবার খাচ্ছিল। দরজার কাছে ‘মা’ ডাকার হালকা আওয়াজ পেয়েও...
বর্ষার বিরুদ্ধে শরৎ ঋতু, মামলা দিয়েছে ঠুকে
অভিযোগ তার বর্ষা ঋতু, সাজানো বাগানে ঢুকে-
সবকিছু সে তছনছ করে
ক্রুদ্ধ ষাঁড়ের মত
যখন তখন আসবিনা তুই
নিষেধ করেছি শত।
অথচ সেই বর্ষাকাল
পেরিয়ে গেছে কবে
শরতের...
ভাল লেখা পোস্ট দিলে
হয়ে যায় চুরি
কতখানে কত নামে
করে ওড়াউড়ি!
লেখা নিয়ে লাভ কীরে
প্রতিভাটা ধর
নিজগুণে লেখা লিখে
ভরে ফেল ঘর।
চোর চোর চোর বেটা নিবি কয় খান?
লেখালেখি সোজা নয়-স্রস্টার দান!
তোকে দেখে আমি বলে দিতে পারি, কেনো এত দুর্বার
পাখা নেই তোর সাধ জাগে কেনো পাখা মেলে উড়বার।
তোর মনে যতো চঞ্চল পাখি পন পন করে উড়ছে
নানা কল্পনা ভাবি অল্প না মাথা...
বানভাসিতে মানুষগুলো কাঁপছে থরো থরো
এই সময়ে তোমরা সবাই একটা কিছু করো।
হাতের কাছে যা-কিছু পাই এসো না ভাই লই
কোথায় কাঁদে ক্ষুধায় মানুষ তাদের পাশে রই।
ঘরহারা এই মানুষগুলো কোথায় খাবে বলো
তোমার আমার...
তাঁরা যখন দিশাহারা
বেঘোরে দেয় প্রাণ
খেয়ে দেয়ে ঘোমের ঘোরে
পাচ্ছি পোলাও ঘ্রাণ।
গোসত খেয়ে সুস্থ মনে
করছি রুটিন কাজ
পাশের দেশে রোহিঙ্গাদের
মাথায় পড়ে বাজ।
হায়রে মানুষ মানবতা
কেমন তোমার রূপ
খুঁজে বেড়াই পাইনা...
যতো বেদনা, যাতনা এবং
পশুত্ব ছিলো মনে
এক লহমায় তুড়ি মেরে সব
পাঠিয়ে দিয়েছি বনে।
মনের পশু বশ মানে না?
উঁকি ঝুঁকি দেয় মর্মে
ত্যাগের মহিমায় জ্বালিয়ে দেব
নিত্য নানান কর্মে।
ইচ্ছে করে হাত-পাগুলো ছুঁড়ে ফেলে দেই
মাথামুণ্ডু থাকুক শুধু দেহে
চক্ষু দুটো কাঁটার ঘায়ে উপড়ে ফেলে দেই
অন্ধ হয়ে বলব খালি হে হে।
তা-ছাড়া আর উপায় দেখি না যে
মানুষরূপে মারছি মানবতা
বিশ্বলোকে দেখছে কেবল চেয়ে
চুপটি...
©somewhere in net ltd.