![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আকাশ জুড়ে মেঘ মেয়েরা খেলছে গোল্লাছুট
জোছনাগুলো কোথায় গেল কে করেছে লুট।
চাঁদের আলো মেঘ সরিয়ে মিট মিটিয়ে হাসে
একটু আলোর কণা এসে পড়ল সবুজ ঘাসে।
আলো পেয়ে ঘাসপোকারা বাড়িয়ে দিল হাত
জোছনা এলো মেঘ...
কাকে বলি ধনী আর
কাকে অভিজাত
কার কত টাকা আছে
কার বড় হাত।
কে থাকে কোন খানে আছে বাড়ি গাড়ি
নারী নিয়ে কারা খায় সিসা মদ তাড়ি
কার কটা ছেলে মেয়ে কত হালি...
একটুখানি বৃষ্টি হলেই
পানির তলে ঢাকা
ঢেউ খেলে যায় নদীর মতো
রাস্তাগুলো ফাঁকা।
ঘরবাড়ি আর দোকানপাটে
ঢেউয়েরা দেয় চুম
শহরবাসীর কষ্ট অনেক
হারায় চোখের ঘুম।
রোগে শোকে ল্যাংড়া জ্বরে
নাকাল শহরবাসী
উন্নয়নের জোয়ার ভাটায়
ময়লা জলে...
হনহনিয়ে পনপনিয়ে যাচ্ছি মেঠো পথে
মনে হলো পথের বদল উঠেছি কোনো রথে।
সরু পথের দুধার ধরে হাজার রঙিন ফুল
মেৌমাছিদের উত্তেজনায় ফুলেরা খায় দোল।
ফুলের গায়ে হাত বুলিয়ে আদর করে চলি
মনের সুখে ফুলের...
হে বীর!
যা দিয়েছো তাতেই আমরা
তোমার কাছে ঋণী
তোমার দানে মুগ্ধ সবাই
ভুলব না কোন দিনই।
বন্ধু আমি জানি না তোর ভাগ্যে কী যে ঘটে
হয়তো রসিক খাদকেরা খাবে তোকে ছিঁড়ে
তোকে দিয়ে ভারি ভোজন পাড়ায় গেল রটে
শক্ত বাঁধন ছিন্ন করে আসবি কী আর ফিরে!
হয়তো কারো...
লক্ষ টাকার শপিং করে
বলছো সবে শুরু
এমন সময় হাত বাড়িয়ে
দাঁড়িয়ে এক বুড়ো;
বলল আমায় দেন না মাগো
একটা নতুন জামা
রেগে মেগে পুলিশ ডেকে
বললে তাকে থামা।
পুলিশ তাকে ধমক মেরে থামিয়ে দিলো বটে
হাতপাতা...
কতটুকু আর এতটুকু মেয়ে তার ছোটো ছোটো হাতে
খুটিনাটি যতো কাজ করে সে ভাত বেড়ে দেয় পাতে।
চাওয়াটুকু তার খুব বড়ো নয় পেট ভরে ভাত খাওয়া
এই অসহায় মেয়েটুকু চায় কোনো মতে...
জন্ম দিনের দাওয়াত পেলেই
যাও গো যদি ছুটে
যায় না বলা তোমার সে ধন
নিতেও পারে লুটে।
অভিজাতের দোহাই দিয়ে
চলছে এমন ধারা
ফিরে আসে দাওয়াত খেয়ে
হয়ে সর্বহারা!
গভীর রাতে একা একা ফিরছি যখন বাড়ি
পায়ে পায়ে হাঁটেরে কে? বিপদ দেখি ভারি!
ঘাড় ফিরিয়ে যেই বলেছি কেরে তুই বাও?
মিনমিনিয়ে বলল আমি কিরকি ভূতের ছাও।
কিরকি ভূতের ছাও?!
হাতের ব্যাগ মাটিতে পড়ে...
মাঝরাতে রাগারাগি সব চুপচাপ
দুই জনে দুই দিকে ভারি শোক তাপ
ও তো দেখি নাক টানে ছিত ছিত ছিত
কেনো জানি মায়া হলো কমে গেল জিদ।
পাশ ফিরে চেয়ে দেখি টুকটুকে লাল
গাল দুটো ফুলে...
আমগাছ থেকে দুষ্টু ছাগল
নেমে এলো শেষে
আমের বদল ঘাস খাবো
বলল ছাগল হেসে।
ওড়না ছেড়ে ওজন দিয়ে স্বাস্থ্য রাখো ঠিক
আমরা কত অসাম্প্রদায়িক জানুক চতুর্দিক।
শহরে এলেন দাদা
হাঁটতে গেলে লুঙি তোলে, রাস্তাঘাটে কাদা।
এক পসলা বৃষ্টি হয়ে গেলো
রাস্তা খুঁজে পায়না দাদা, মেজাজ এলোমেলো।
রিকসা-গাড়ির চাক্কা পানির তলে
হোঁচট খেয়ে উল্টে পুল্টে পড়ল গভীর জলে
ছাতা জুতা গেলো স্রোতে ভেসে
চুবান...
তার কেউ নেই। সর্বহারা। দিগন্ত ছুঁয়েছে পানি
ছিল তার সব। ছিল কলরব। ছায়ার আঁচলখানি।
মানুষ গিয়েছে গহীন বনে। পাহাড়ে লুকায় পাখি
চারদিকে তার থই থই পানি। ছল ছল দুই আঁখি।
আকাশ থেকে গভীর...
©somewhere in net ltd.