![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নির্বিকার তাকিয়ে ছিলেন তিনি
এ বাড়িটার কাছে জনাব অনেক বড়ো ঋণী।
লুকিয়ে আছে অনেক স্মৃতি ইটের কণায় কণায়
রক্তে ভাসে স্মৃতিগুলো সাপের ফণায় ফণায়।
মালগুলো সব পাখির মতো উধাও হয়ে গেলো
অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলেন,...
এই ছবিটা...
হারিয়ে যাওয়া দিনের কথা মনে করিয়ে দিল
ইট-পাথরের শহর থেকে গাঁয়ে টেনে নিলো।
ছোটোবেলা মাথাল মাথে বৃষ্টিতে যাই ভিজে
টুপ টুপা টুপ শব্দ হতো মজা পেতাম কী যে!
হারিয়ে গেছে চাষীর মাথাল...
নাইল্লা খেতের আলের পাশে ঘাসে ভরা ক্ষেতে
সময় পেলেই সুফির বাপে উঠবে খেলায় মেতে
মনে যেমন ফূর্তি তাঁহার গায়ে বিষণ তেজ
হারবে না সে কোন খেলায় গুটাবে না লেজ।
ভাই-ভাতিজা-চাচার সাথে খেলায়...
মনের গভীরে দুখের কথা লিখেছি গোপন করে
যতই লিখি ততই দেখি দুখেরা গিয়েছে সরে।
আমি দুখের কথা জনে জনে যখনি বলেছি কেঁদে
দুখের বদলে সুখ আসে না; দুঃখ এসেছে সেধে।
দুঃখ সহিব একাকী আমি...
হায়রে ... জুয়েলার্স!!
যতই করো জারিজুরি যতই নয় ছয়
জানতে পেলাম তোমার সোনা
মোটেও বৈধ নয়।
অন্য জুয়েলার্স?!
অন্যগুলো নিখাদ আছে বৈধ ষোলোআনা
তা না হলে আইনের হাত দেয়নি কেন হানা?
আমরা কেবল দর্শক হয়ে দেখছি নানান...
বাজেট নিয়ে কথা বলি কম
তাল তুলনা করতে গেলে
আটকে আসে দম।
তারপরেও যা দেখেছি
তাতেই হাঁস ফাঁস
কোথায় যেন কেমন করে
ঢুকছে বরাক বাঁশ!!
এত চাপ তাপ, এত টানাপড়েন, বহন করেছে চিত্ত
উপরে-নিচে ছাড়া ছাড়া সব তাড়া খায় মধ্যবিত্ত!
সুখ-দুখ আর বিরহ ব্যথা থিতু হয় মাঝ পথে
উঁচু নিচুরা আগের মতো উড়ে চলে নিজ রথে।
[img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/Babunty/Babunty-1496457748-984abaa_xlarge.jpg
ছায়া
বিএম বরকতউলাহ্
মা-বাবা আদর করে ছেলের নাম রেখেছিলেন ’ধনু’। সেই ধনু এখন বড় হয়েছে; তার সাথে পাল¬া দিয়ে বড় হয়েছে তার নামটিও। ’ধনু’ হয়ে গেছে ’ধনুডাকাত’। এখন...
বড়ো বিপদে আছি, দেখ্
কতটা বিপদ বুঝে নে তুই
করব না উল্লেখ।
এখানে তোকে মানায় না ঠিক
দূরে কোথাও চলে যা
\'পালিয়ে যেতাম থাকতো যদি সচল দুটি পা!\'
শত ছুঁই ছুঁই বুড়িটার মনে সন্দে জেগেছে ভারি
এত যে গরম পড়েছে দেশে এত যে জ্বর-জ্বারি!!
ঘরে-বাইরে নিরাপদ নয় নারী ও শিশুর জান
টিভির খবরে বুড়ির হৃদয় ভেঙ্গেচুড়ে খানখান।
অভিযোগ করে ভুলভাল করে রোগিটা...
পুকুর পাড়ে হঠাৎ করে ব্যাঙের ডাকাডাকি
গরম জলে যায় না থাকা সেদ্ধ হওয়া বাকি।
ব্যাঙের ডাকে সাড়া দিয়ে মেঘের ছেলে মেয়ে
ওঠে তারা আকাশ পানে রোদের শরীর বেয়ে।
গুড়ুম গুড়ুম আওয়াজ করে মেঘের ছোটাছুটি
মাটির...
যা পাবি তুই একলা খাবি
দিবি না তুই? দে
খোলা মাঠে আমরা ছাড়া
তোর সে আপন কে?
আমরা বুঝি দিই না তোকে
আলু কেঁচু পোকা
চিল শকূণে ধরতে এলে
দিইনা বুঝি ধোকা?
একলা যদি খাবি তবে
একলা গিয়ে...
মেয়েটি কালো...
ফাঁকি দিয়ে সে কোথায় যেন গোপন করেছে আলো।
কাজল কালো চোখ দুটি তার
দেখেছি আমি তাকে যত বার
চোখের প্রভায় মুচকি হাসিতে লাগে যে আরো ভালো।
বিমূর্ত সেই রূপ
হেয়ালী শিল্পীর তুলির আঁচড়ে
সত্যি...
সত্যি যদি চলেই আস তুমি
গাঁটরি বোঁচকা শক্ত করে বাঁধো
রওনা দেয়ার ঘন্টাখানেক আগে
খিল লাগিয়ে ইচ্ছামতো কাঁদো।
কাঁদার পরে হালকা দেহ মনে
ইচ্ছা হলে উড়াল দিতে পারো
মনটা তোমার শক্ত করে আরো
বাপের বাড়ি চিরতরে ছাড়ো।
বাড়ি...
লুকিয়ে আছে জামের ছানা
কচি পাতার আড়ালে
ফুচকি দিলে কুঁকড়ে থাকে
মুচকি হাসে দাঁড়ালে।
আমি যখন বড়ো হবো
আসবে ছুটে বুলবুলি
গাছের তলে খুকি এসে
ডাকবে হেসে চুলখুলি।
©somewhere in net ltd.