![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ওরা ক্রুদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করে, \'শুদ্ধ\' হতে চায়
বলল গুরু দূর হয়ে যা, রক্ত কেনো গায়!
জলে নেমে তাড়াতাড়ি, ছাপ করে আয় গা
জলের বদল ভক্ত সকল, রক্তে ডুবায় পা!!
একটি ছড়া পালিয়ে গেছে বইয়ের পাতা থেকে
আয় ফিরে আয় আদর করে বলছি তাকে ডেকে
বলল ছড়া, বইয়ের পাতায় থাকবোনারে বসে
দেখবো এবার ঘুরে ফিরে বিশ্বটাকে চষে।
বন-বনানী পাহাড় থেকে উঠলো সাগর বেয়ে
হাত বাড়িয়ে...
কেউ জানি না কখন যাবো
কোথায় হবে ঠাঁই
কার ঘরে যে কড়া নাড়ে
কার যে ওঠে হাই।
এমনি করে আপন-স্বজন
যাচ্ছে দূরের দেশে
শিশু হয়ে আসি সবাই
হারাই নানান বেশে!!
এই তো সেদিন এসেছি আমি, এতটাই অষ্পৃশ্য?
মানুষের হাতে মানবতা মরে, দেখেছে গোটা বিশ্ব।
ক্লান্ত পৃথিবী, মানুষের ভারে, মানবতাহীন, নিঃস্ব
মানুষের রক্তে নদানদী আজ, ধরণী দেখেছে দৃশ্য।
আয়লান গেছে আমিও গেলাম, উপুড় হয়েছি...
ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে ফুল ছিল না বনে
বাগান জুড়ে ভ্রমর ওড়ে মধুর প্রয়োজনে।
ফুলের কলি উঠল বলি আবার এসো ফিরে
পাঁপড়ি মেলে মধুর কলস ভরবে যখন ধীরে।
ভ্রমর এসে গুনগুনিয়ে গাইল ক্ষুধার গান
পাঁপড়ি মেলো...
ঝড়-ঝাপটা শীলের ঘায়ে
একটি পাখি যায় মরে
যায়না ফেলে জাতপাখিটা
তাকে ফেলে নিজ ঘরে।
অমানুষে করছে জবাই
রোহিঙ্গাদের ধরে ধরে
মানুষ থেকে মানবতা
নিঃশ্ব হাতে যায় সরে!
লোকটার এমন চলাফেরা কথার এমন ছিরি!
হঠাৎ হঠাৎ কোঁচর থেকে বের করে সে বিড়ি।
মেচের কাঠি মাথায় ঘষে আগুন ধরায় তাতে
ঘুরে বেড়ায় দিনের বেলা লুকিয়ে থাকে রাতে।
খাবার দিলে খায় না কিছু তাকিয়ে...
মন্টি বায়না ধরে বসে আছে, ভূত দেখাতে হবে। মন্টির শ্লোগান ”এক কথা এক দাবী-ভূত দেখাতে কবে যাবি।”
ডর-ভয় দেখিয়ে কাজের কাজ কিছুই হলো না বরং তার ভূত দেখার আগ্রহটা...
দরজা খুলেই চিৎ হয়ে পড়ে গেল সুরুজালি। ’কী হয়েছে, কী হয়েছে’ করতে করতে ছুটে এলো ঘরের লোকজন। সুরুজালি ’বাঘ বাঘ’ বলে আঙুলে ইশারা করতেই সবাই বাইরের দিকে তাকালো। দরজার...
তোমারা যতো ট্রাম্পকে নিয়ে করছ টানাটানি
হিসেব করে নিত্য যারা দিচ্ছ নানান বাণী
মিডিয়া তাকে পেছন থেকে যতই ধরে টানে
বামের কথা ঘুরিয়ে যারা নিচ্ছে বেদম ডানে
তাতে কিছু যায় আসে না সম্মুখে...
প্রভু
হাতি চড়ার মিটিল না শখ
দিলে না আমায় সাধ্য
শুঁড় লাগিয়ে মহিষের মুখে
করেছি তাকেই বাধ্য।
হাঁটা চলা তার যেমন তেমন
সম্মুখে হাতি হাতি
হাতির পিঠে চলাতে যতটা
ততটাই মাতামাতি।
হঠাৎ একদিন মহিষ আমার
হাতি হয়ে গেল...
বাঁশবাগানে কানাবগীর
ডিম ফুটেছে দুই
চুপটি করে যেই বলেছি
একটুখানি ছুঁই?
বলল বগী অবাক হয়ে
ছুঁইলে আমার জানা
একটি হবে বোবা আর
একটি হবে কানা।
দিতে পারো আমার হাতে
একটু আদর করি
দুষ্টু ওরা, ভীষণ পাজি
লাফিয়ে যাবে পড়ি।
ছানা দুটি তুলে...
বিত্তবাসনা চিত্ত মাঝে
নিত্য করে খেলা
আকাশকুসুম কল্পনাতে
ভাসাই সুখের ভেলা।
ভাগ্যগুণে পেয়ে যাবো
যা চেয়েছি মেলা
বিবেক এসে পেছন থেকে
জোরসে মারে ঠেলা।
ভাগ্য বলে হাত-পাবিহীন
অচল পড়ে থাকি
কর্মগুণী মানুষ পেলেই
চোখ ইশারায় ডাকি।
দুঃখ যতো আসে আসুক
ভয় করো না তাতে
জানি ওরা বসত করে
অলস লোকের সাথে।
অলস হয়ে থাকবে যত
দুঃখ-ব্যথা বাড়বে তত
তাই বলে কি দুঃখ নিয়ে
কাঁদবে অবিরত?
কোথায় থাকে সুখপাখিটা
কেউ কি তা জানে?
দুখের পিঠে সুখের বসত
পরিশ্রমের...
হেমন্তিকার দু\'চোখ ভরা জলে
তার সাজানো বাগান পানির তলে
আকাশ ভরা কালো মেঘের খেলা
বৃষ্টি এসে শীতকে মারে ঠেলা।
পালিয়ে গেছে কুয়াশারা
মেঘের আলোড়নে
ঝুপ ঝুপা ঝুপ বৃষ্টি দেখে
শীত পালালো বনে।
©somewhere in net ltd.