![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আকাশ জুড়ে সাদা মেঘে খেলছে গোল্লাছুট
মেঘের আকাশ কে তাড়ালো করছে কারা লুট!
শুকনো মাটি ঠনঠনা ঠন কাশের বনে ঢেউ
টের পেয়েছি টের পেয়েছি এলো বুঝি কেউ।
কে এলোরে বলতে পারিস, পাকছে কেন...
প্রাণের প্রিয় বন্ধু আমার
অনেক দিনের পরে
পেছন থেকে হঠাৎ আমায়
ঝাপটে যখন ধরে;
অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকে
টেনে নিলাম বুকে
মুখের ভাষা বন্ধ হয়ে
প্রকাশ পেলো চোখে।
দুটি মুখের কথার ভার
চারটি চোখে নিলো
কিছুটা যায় বাষ্প হয়ে
কিছুটা...
এক টুকরো মেঘ
নেমে এলো মাটির কাছাকাছি
এক চিমটি মেয়ে
মেঘের সাথে খেলবে কানামাছি।
চোখ বেধেছে মেয়ে
ভোঁ ভোঁ করে ঘুরছে উঠোন জুড়ে
হাত বাড়িয়ে মেঘ
ছুঁয়ে ছুঁয়ে খেলছে উড়ে উড়ে।
বলল মেয়ে, নাহ্
কানামাছি খেলব না আর
যাব মেঘের...
মাগো, তোর ধুলোমলিন চরণ দুটি দে
মাথায় তুলে রাখি
মা তোর অচল অবশ হাত দুখানা দে
বুকেতে এনে মাখি।
তোর অশ্রু যখন ঝরেছিল কষ্ট পেয়ে পেয়ে
তুই কষ্টগুলি ভুলেছিলে আমার দিকে চেয়ে।
এখন তোকে বুকে মাথায়...
সত্যি যদি চলেই আস তুমি
গাঁটরি বোচকা শক্ত করে বাঁধো
রওনা দেয়ার ঘন্টাখানেক আগে
খিল লাগিয়ে ইচ্ছামতো কাঁদো।
কাঁদার পরে হালকা দেহ মনে
ইচ্ছা হলে উড়াল দিতে পারো
মনটা তোমার শক্ত করে অনেক
বাপের বাড়ি চিরতরে...
তুমি আমায় সস্তা ভাবো কেনো?
ভাব করেছি তাতেই আমি বিলিয়ে দেবো দেহ?
তোমার সাথে হবে না বনানবনি
ভাবের সাথে ভাব মেলে না মিছেই আদর স্নেহ।
প্রেম পিরিতি ভালোবাসা সে তো অনেক দূরে
যেতে যেতে দেখছি...
সৃষ্টিশীলদের মৃত্যু নেই। তাঁরা বেঁচে থাকেন তাদের সৃষ্টির মাঝে।
তাঁরা যতটা যেমন সৃষ্টি করে গেছেন তাঁরা ততটা তেমন জীবীত।
ইচ্ছে হলেই আমি তাঁদের নাড়াচাড়া করতে পারি, পড়তে পারি এবং সযতনে রেখে দিতে...
দাদার বয়েস হবে পাঁচ কুড়ি ছয়
তা বলে শোকে দুখে গুটি শুটি নয়
খায়-দায় চলে ফিরে ফুরফুরে ভাব
দেখে শুনে মনে হয় ইংরেজ সাব।
ছোটোদের বই নিয়ে মন দেয় পাঠে
নাতি পুতি খুতি নিয়ে খেলেন...
জানলা খুলে বসে আছি একা
উঠবে কখন জোছনাভরা চাঁদ
চুপটি করে আপন মনে ভাবি
মাকে ধরার এই পেতেছি ফাঁদ।
আকাশ ভরা জোছনা ঢেলে চাঁদ
মায়ের সাথে আসছে ধীরে ধীরে
মেঘের মেয়ে দুষ্টু ভীষণ পাজি
আড়াল...
শরৎ এলো বুঝি...
কখন এলো কোথায় এলো
আপন মনে খুঁজি।
পেয়ে গেছি পেয়ে গেছি শরৎ এসেছেরে
সকালবেলা কলাপাতায় কিম্বা সবুজ ঘাসে
হাতের ছোঁয়ায় নরম রেখা মিটমিটিয়ে হাসে
নুয়ে পড়া ধানের পাতায় শিশির কণা জ্বলে
কাশের বনে মুক্ত...
ঢাকা শহর ছেয়ে গেছে মশায়
শান্তি নেই হাঁটা শোয়া বসায়
সারাটা রাত চষে বেড়ায় বাসা
চুপি চুপি হুল ফুটাবে খাসা।
আরাম করে রক্ত খাবে চুষে
থাপড় দিলে উঠবে ওরা ফুঁসে
আদর করে...
বাদশা-নোভার বিয়ে হলো জানলো সারা দেশ
উড়ছে হাওয়ায় বিয়ের খবর বলল সবাই বেশ
তারা, যাচ্ছে কবে হানিমুনে রইল জানার বাকি
নতুন বরের শরীর খারাপ সবই বুঝি ফাঁকি!
বাদশা মিয়ার শরীর জুড়ে গর্ত এবং ঘা
দুর্বলতায়...
দেখেছিলাম তাঁকে আমি পত্রিকার এক পাতায়
বসে আছেন রাজাশনে রাজার মুকুট মাথায়!!
তিন ডজনের(!)সংবর্ধনাতে হাজির ছিলেন তিনি
জানিয়ে দিলেন জেলাবাসী তাঁর কাছে যে ঋণী।
পীরের মতো বসে আছেন চারিদিকে মুরিদ
পূর্ণ (!) হাতে হাত...
ইঁদুর দেখে বেড়ালগুলো
পাচ্ছে ভীষণ ভয়
শেয়াল দেখে কুকুরগুলো
লেজ গুটিয়ে রয়।
গরু-মহিষ দিচ্ছে হানা
বাঘ-সিংহের পালে
গুঁতো খেয়ে ওল্টে-পুল্টে
পড়ছে নদী-খালে।
পশুর মতন মানুষ যদি
পশুরুপী হতো
লেজ গুটিয়ে সমাজ ছেড়ে
বনে চলে যেতো!
কেমন মজা হতো
©somewhere in net ltd.