![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমি আমায় সস্তা ভাবো কেনো?
ভাব করেছি তাতেই আমি বিলিয়ে দেবো দেহ?
খুব দেখেছি. তোমার সাথে হবে না বনানবনি
ভাবের সাথে ভাব মেলে না মিছেই আদর স্নেহ।
প্রেম পিরিতি ভালোবাসা সে তো অনেক দূরে
খাবলে...
কেউ জানে না কোথায় থাকে তারা
বুড়ির খবর লয় না এখন কেহ
নিজের জীবন নিজেই চালায় টেনে
ধণুকবাঁকা হয়েছে তাঁর দেহ।
একলা ঘরে আপন মনে কেঁদে ভাসায় বুক
খুঁজে বেড়ায় শূণ্য ঘরে হারিয়ে যাওয়া...
প্রাণের প্রিয় বন্ধু আমার/অনেক দিনের পরে
পেছন থেকে হঠাৎ আমায়/ঝাপটে যখন ধরে;
অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকে/টেনে নিলাম বুকে
মুখের ভাষা হারিয়ে গিয়ে/প্রকাশ পেলো চোখে।
দুটি মুখের গোপন ভাষা/চারটি চোখে নিলো
কিছুটা যায়...
খবর পেলাম নন্দীবাবু হুক্কাজলে ছান করেন
সকালবেলা হাত-পা খুলে যাকে তাকে দান করেন!
ব্যাপারটা কি ব্যাপারটা কি রি রি করে লোক এলো
কিপটে নন্দীর কী হয়েছে মাথাটা তার খুব গেলো!
তথ্য নেয়া খুব ঝামেলা...
পেশায় এবং নেশায় তাদের বেজায় রকম মিল
বাপ-বেটাতে হোটেলে গিয়ে উজাড় করে দিল
দেয় ছড়িয়ে ভাতের মতো টাকাকড়ি সোনা
মধুলোভে মেৌমাছিদের নিত্য আনাগোনা।
তাদের কোনো ভয় ছিল না বিশ্বাসে বুক ভরা
কে জিগাবে, সাহসটা কার?...
ওই যে দূরে চাঁদের বুকে
কালো মতন ছায়া
ওই খানেতে চোখ ফিরে যায়
ওই খানেতে মায়া।
ওই দেখা যায় পুবের কোণে
মায়ের ছায়াখানি
ওই খানেতে জোছনারা সব
করছে কানাকানি।
এই যে আমি হাত বাড়ালাম
জোছনা আসে হাতে
ঘুম তাড়িয়ে মাকে...
অগাধ টাকা ধনসম্পদে বেড়ে ওঠেছে ছেলে
ফূর্তি করে হোটেল কক্ষে লেখাপড়া ফেলে।
টাকায় নাকি সবই হয় মানে না কোনো বাধা
ইচ্ছে মতন কৃষ্ণ বানায় নিজেকে বানায় রাধা।
অর্থ-বিত্ত-চিত্ত উড়ায় বিলায় প্রেম ও প্রীতি
তার ইচ্ছাতে...
‘যাবি নাকি?’
‘কই?’
‘মিনুদের বাড়ি।’
‘এত রাতে?’
‘ডাব খাবো। দেখিসনি, মিনুদের ঘরের কোণে গাছভর্তি কচি কটি ডাব? কাঁদিসুদ্ধ সাবাড় করে দেবো, চল।’
‘মিনুটা যা ত্যান্দড়রে বাবা! এই ডাকাত মেয়ে টের পেলে আর রক্ষে...
নদীর পাড়ে বালুচরে উড়ছে রঙ্গিন ঘুড়ি
মনে মনে ভাবছে শিশু আমিও যাবো উড়ি।
হাত-পাগুলো পাখা হলো শরীর হলো মেঘ
হাওয়ার বুকে বৈঠা টেনে বাড়ায় গতিবেগ।
ইচ্ছে হলো আরেক শিশুর হবে...
সেই যে কখন মা গিয়েছে কাজে
আসবে কখন?
দুপুরবেলা, একটা যখন বাজে।
লেজটা নেড়ে একলা একা কেমন করে খাস?
তুই তো দেখি খেতে পারিস, মাঠের কচি ঘাস।
ছাগলছানা ওলান থেকে সরিয়ে নিল...
ঐ যে দূরে গাঁয়ের পরে আকাশ নেমে আছে
মেঘের পিঠে চড়ে আমি যাবো তারই কাছে।
আমায় তখন সারা বাড়ি পাবে না কেউ খুঁজে
মা ও বাবা আমার খোঁজে কাঁদবে দুচোখ বুঝে।
সাগর নদী বন...
রাগ করেছে খোকন সোনা
এক্কেবারে চুপ
মা বকেছে? দেয়নি বুঝি
গরম গরম স্যুপ?
রেগেমেগে আগুন খোকা
তুলছে ফণা ফুঁস
অফিস থেকে এসেই কেন
দাওনি লেবেনচুষ।
বন্ধু, তুমি আজ কত দূরে...
হৃদয়ে তব মূর্তি বানিয়ে
যত্নে আমি রেখেছি টানিয়ে
অরূপের মাঝে স্বরূপে খুঁজে
পরম শ্রদ্ধায় দু\'চোখ বুঝে
পেয়েছি তোমার দেখা;
সাধ্য সাধনা শেষ করেছি
বুকের মাঝে চেপে ধরেছি
আবেগের বেগ কেটে গেল যেই
স্বরূপে হয়েছি...
ইঁদুর দেখে বেড়ালগুলো
পাচ্ছে ভীষণ ভয়
শেয়াল দেখে কুকুরগুলো
লেজ গুটিয়ে রয়।
গরু-মহিষ দিচ্ছে হানা
বাঘ-সিংহের পালে
গুঁতো খেয়ে ওল্টে-পুল্টে
পড়ছে নদী-খালে।
পশুর মতন মানুষ যদি
পশুরুপী হতো
লেজ গুটিয়ে সমাজ ছেড়ে
বনে চলে যেতো;
কেমন মজা হতো!
©somewhere in net ltd.