নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব সরু পাহাড়ি পথ। পাশাপাশি দুজন তো নয়ই, সামনা সামনি দুজনকেও বেশ খানিক জায়গা ছেড়ে দিয়ে পাশ কাটাতে হয় এমন পাহাড়ি পথ। দু দিকে বড় বড় বুনো ঘাস...
ঘুম ভাঙ্গল। চোখ মেলে তাকাতেই পরিস্কার আকাশের স্বচ্ছ রোদ চোখে পড়ে যেন জানালো, হে অতিথি! তোমায় স্বাগতম। হোসেন, একটু হেসে নিজেকে নিজেই বলল, স্বাগতম। এ যেন অন্য জীবন, এ...
- কেমন আছো?
- এইযে ভালো।
- তুমি এখনো রাতে দেরী করে বাড়ি ফেরো?
- এখন রাতে কোথাও ফিরে যাই না।
- কেন?
- উত্তর দিতে বাধিত নই যে।
- এখনো একরোখাই আছো?
- তর্কে আগ্রহী...
রাত। নগর ঘুমালো মাত্রই। সারাদিনের কোলাহলের পর একরাশ নীরবতা।
হাল্কা শীত শীত ভাব, দিনের বেলায় অতটা বোঝা যায় না। খানিক কাচুমুচু হয়ে দুহাত দিয়ে গরম চায়ের কাপ নিয়ে উষ্ণতা...
নদীর নাম সোনারুপাখালী। অদ্ভুত সুন্দর এক নাম। নামের বিশ্লেষণ করলে হয়ত আসতে পারে সোনালি পাখা। অর্থ যাইই হোক নদী ততখানি বড় নয়। গোলপাতার একটা বন আছে এখানে, বন...
মাঝে মাঝে এই পর্যায়টা আসে, সেদিন কোথাও বের হতে ইচ্ছে করে না. চিলেকোঠার ছাদের এক কোনায় বসে থাকতেই ইচ্ছে করে। সেদিন রাত দেখতে ভালো লাগে। ভাগ্য ভালো...
১২টা বাজলেই, সিটি করপোরেশন এর ফুলবানু খালা ঝাড়ু নিয়ে রাস্তা ঝাড়ু দিতে নামেন। সবুজ একটা ভেস্ট পড়ে ধীর লয়ে রাস্তার এক কিনার ধরে আস্তে আস্তে আগাতে থাকেন। মাঝে মধ্যে...
বাড়িটা বেশ বড়। সামনে খোলা উঠান। উঠানে আঁটোসাটো হয়ে হাটা চলার জায়গা না বরং বেশ বড় জায়গা। ছোট করে বাগান। চা খাবার জন্য টেবিল চেয়ার। বাড়ির ভেতরটা বরং বাইরের...
এক মধ্যদূপুর ছিল। যাকে কেউ ভালোবাসত না। সূর্য প্রখরতা দিয়ে পোড়াতো সবাইকে, তীব্র তেস্টায় ভোগাতো, তীব্র তাপে সবাই এড়িয়ে চলত আর দায় পড়ত মধ্যদূপুরের। খুব শখ ছিল তার শরতের...
গত তিন চার দিন হোসেন রাস্তার মোড়ের চা দোকানে চা খেতে যায় না। তার মানে যে ঘর থেকে বের হয় না তা নয়। দোকান টা এড়িয়ে যায়। দোকানের মতি...
পেছন থেকে ডাক ভেসে এলো
" হোসেন ভাই, উঠেন"
চেনা কন্ঠ, ঘাড় না ঘুড়িয়েই বোঝা যায়, মনা ড্রাইভার। রিকশা টা ব্রেক করে সামনে দাড়াতেই হোসেন উঠে পড়ল রিকশায়।
শীতের রাত্রি, ল্যাম্পপোস্ট হলুদ আলো...
তখন দুরন্ত কৈশোর। সবে মাত্র ঘুড়ি ওড়ানো শিখেছে হোসেন। প্রথম দিকে ঘুড়ি বেশি উচু তে উঠত না। বাতাসের মাপঝোক, নাটাই এর কারসাজি তে হাত তখন অপরিপক্ক। খোলা মাঠে অনেক খানি...
এখন রাত প্রায় ১১টা বাজে। হোসেন বের হচ্ছে বাসা থেকে। প্রথমে ভাত খাবে, তারপর চা খাবে, এরপর নিত্য হাটাহাটি শুরু হবে। ৬ তলা বিল্ডিং একটু পুরোনো ধাচে বানানো, সিড়িগুলি বেশ...
গরমে, ঘামে শরীর ভিজে হোসেনের ঘুম ভাংলো। রুমে কোনো ঘড়ি নেই। হোসেন জানালা দিয়ে শুয়ে শুয়ে বাইরে দেখে আন্দাজ করে নিল সন্ধ্যা ৭.৩০ এর মত বাজে। বাইরে যানবাহনের হর্নের...
সন্ধ্যার পর থেকেই বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। চারিদিকে একটা থমথমে ভাব আছে। ভ্যপসা টাইপ একটা গরম। ভালো ঝড় হবার লক্ষন। হোসেন, তার মেসের বিছানায় শুয়ে জানলা দিয়ে আকাশের বিদ্যুৎ চমকানো দেখছে। ছোট...
©somewhere in net ltd.