নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝে মাঝে কিছু কিছু অনুভূতি অব্যক্ত থাকে। কারন এই অনুভূতিগুলো প্রকাশের ভঙ্গি আমাদের জানা নেই। এই অনুভূতিগুলো সারাজীবন অপ্রকাশিতই থেকে যায়!!!
ঐ যে মেয়েটা! চঞ্চল আর এলোমেলো স্বভাবের জন্য
সবাই যাকে এক নামে চিনতো! আরে ঐ যে… সবসময়
জিনস, শার্ট কিংবা টপস পরে যে মেয়েটা ক্যাম্পাসে
আসতো, একবার ক্লাসের ক্যাপ্টেনকে চেয়ার ছুঁড়ে
মেরেছিলো যে। হ্যাঁ...
ক্যান্টিনে ঢুকে এদিক সেদিক তাকিয়ে কোনের একটা টেবিলের দিকে এগুতেই বাধা পেলো মেয়েটা। পাশের একটা টেবিল থেকে তাকেই ডাকছে ছেলেগুলো
-এই এই মেয়ে শোন না!
-জ্বি... (অপ্রস্তুত হয়ে)
-কোন ব্যাচ ?
-নতুন ব্যাচ ৪১
-ও...
সকাল ৮.১০
-কি ভাবছিস! জমিদারের ছেলে হয়েছিস? তোর বাপ টাকার গাছ লাগিয়েছে? খোদার ত্রিশটা দিন অফিস করে মাস চালায় সে! আর নবাবের বাচ্চা আসছে নতুন ফোন কিনবে। হারামজাদা...
সন্ধ্যা ৭.২৯
-এই যে ভাই!...
-ওরা সবাই যাবে আর আমি একা বাসায় বসে বসে কি করবো? আমি তো বড় হয়েছি, না কি? এখনো একা একা একটু বেড়াতে দিবে না?
-কথা কানে যায় না? অন্য ছেলেদের সাথে...
অনেকক্ষণ ধরে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা সানগ্লাস পরা ছেলেটাকে দেখে ক্রাশ খেয়েছে মেয়েটা। ছেলেটার এদিক সেদিক তাকানো দেখে মনে হচ্ছে কিছু একটা খুঁজছে। এক পা দু পা করে ছেলেটার দিকে...
কে বলেছে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও সেরা অভিনেতা? অস্কার জুরিরা বোধহয় জানে না মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন বাবার ছেঁড়া জুতোর গল্প...
ধানমন্ডির পিজ্জা হাটে বসে দাঁত দিয়ে নখ কাটছে আশিক। কাল বিকেলে লোপাকে চিঠিটা দেওয়ার পর থেকেই নার্ভাস লাগছে। এই কয়েকদিনেই লোপাকে বড্ড ভালোবেসে ফেলছে। তার ভালোবাসার উত্তরটা জানতেই লোপাকে চিঠিটা...
নতুন কেনা সেম্ফনি ডব্লিউ সিক্সটি এইটটা হঠাৎ করেই সকাল থেকে আর চালু করতে পারছি না। প্রাইভেট পড়িয়ে অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে কিনেছিলাম সাধের ফোনটা, আর আজ মাসখানেক না যেতেই...
গল্পটা আবারও সেই লাজুক মেয়েটির যে সাদা এ্যাপ্রোন আর গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে পরিপাটি রুমে বসে আছে। টেবিলের ওপর রাখা নেমডেস্কে মেয়েটির নামের আগে ডাক্তার শব্দটি জুড়ে দেওয়া। আর সেই নার্ভাস...
- আপনি আমায় ভালোবাসেন?
- হ্যাঁ..সে জন্যই তো প্রপোজ করলাম।
- এখন যদি হ্যাঁ বলি, কি করবেন? প্রতিদিন আমার সাথে মোবাইলে লুতুপুতু টাইপের কথা বলবেন, কথা বলতে বলতে একসময় ফোন সেক্স শুরু...
কফিতে বিস্কুট ভিজিয়ে ভিজিয়ে খাচ্ছিলো মাইশা। ঠিক সে সময়ই বিছানার পাশে রাখা ফোনটা বেজে উঠলো। স্ক্রিনের ওপর চোখ পরতেই চমকে বিষম খেলো মেয়েটা।
আড়াই বছর পর সেই মানুষের চেনা নাম্বার...
সন্ধ্যা ৮.১০- \'কুত্তার বাচ্চা! তোর মতো অপদার্থ, বেকুব.......\'
রাত ১১.৩৭- \'টেবিলে খাবার রাখা আছে, খেয়ে নে\'
বিদায়বেলায় বাবা বলেছিলো \'নিজের দিকে খেয়াল
রাখিস খোকা! আমাদের নিয়ে তোকে ভাবতে হবে না...\'
ছেলেটা তার বাবার কথা রেখেছে :/
©somewhere in net ltd.