![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দ্বীপ সরকার। জন্মঃ ১লা মার্চ ১৯৮১ ইং। গ্রাম-গয়নাকুড়ি। বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানা। পিতা-মৃত হাবিবুর রহমান। মাতা-আলহাজ্ব আছিয়া বিবি। মুসলিম পরিবারে জন্ম। গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন ১৯৯৯ ইং। সম্পাদিত লিটেল ম্যাগ, কুয়াশা। প্রকাশিত বই ৫টি। ভিন্নভাষার গোলাপজল ২০১৮। ডারউইনের মুরিদ হবো ২০১৯। ফিনিক্স পাখির ডানা ২০২০। জখমগুচ্ছ ২০২৩। বুবুন শহরের গল্প ২০২৪। https://mkuasha.blogspot.com/2025/03/kuasha.html
ওয়ালপেপার
দেয়ালে ছাঁটানো ওয়ালপেপার-
বেজিকে নিয়ে দৌড়াচ্ছে বিষাক্ত সাপ
বেজির নিশ্বাসজুরে আতঙ্কলিপি
জিবনকে মেপে ঢেলে দিচ্ছে বাঁচার আকুতি
সাপের ফণায় ছোঁবলের কারিশমা
বেজি দৌড়াচ্ছে-
কিছুদূর যেতেই বেজি শক্ত হয়ে দাড়ায়
পাল্টা আক্রমণে থেঁতলে দেয় ফণার ব্লেড
সাপটি নেতিয়ে পড়ে
বেজির...
হিজাবের ভেতর ফুল
হিজাবের ভেতর ফুল
মৌরিদের ভুরুর কাস্তে -উড়ালসেতুর ঝুল
দৃষ্টির উঠোনে তার ছাই
দুয়ার খুললেই এস্ট্রে থেকে -বহুদূর ঢুকে যাই
শুনলাম ওরা থাকে হিলে
আমার ইচ্ছাদের পৌঁছে দেয় - গেরুয়া রঙা চিলে
খুব বিচ্ছিরি...
আমি এবং আমরা বাচক সর্বনাম
.
ঠোঁট দুটো ভিজিয়ে নিচ্ছে নিক-
কিছু দৈবাক নিয়ম তো থাকেই,
যুগ পরিমান সময় কেটে গেছে
সম্বোধনহীন, নামহীন - পরস্পর,
.
এক সকালে উচ্ছাসের পানপাতার রসে
ঢেলে দিচ্ছিলাম ধূসর পারদ
পারদগুলো বিলীন...
একটি পৈত্রিক দুঃখরাত
দ্বীপ সরকার
একটা বালিশহীন দুঃখঘুম;
চোখের রেটিনা থেকে খালি হচ্ছে সমুদ্র-
আমার চোখ দুটো পোয়াতি মেঘের মত,
ফেটে বেরোচ্ছে অজস্র গহীন;
নর্দমার ভেতরে বেঁচে থাকার নকশা
ইঞ্জিনিয়ারের জানা নেই,
অথচ অভিজ্ঞতার কাতারে অসংখ্য ধূলোমলিন...
নেতা
.
দ্বীপ সরকার
.
টান টান ভাষণে উপচে পড়ছিলো ক্ষ্যাপা,
আঙুল উঁচিয়ে ধরছিলো শারীরিক ভঙ্গিমা
অতঃপর মৃদস্বরে নেমে আসলো বাস্তবতা...
.
জনগন সব বোঝে -
নিন্দিত ব্যাকরনের কমা সেমিকোলন থাকেনা।
ভেতর বাহির বৃদ্ধাঙ্গুলির হাহাকার ক্রমশঃ ফুটে ওঠে।...
টান টান ভাষণে উপচে পড়ছিলো ক্ষ্যাপা,
আঙুল উঁচিয়ে ধরছিলো শারীরিক ভঙ্গিমা
অতঃপর মৃদস্বরে নেমে আসলো বাস্তবতা...
.
জনগন সব বোঝে -
নিন্দিত ব্যাকরনের কমা সেমিকোলন থাকেনা।
ভেতর বাহির বৃদ্ধাঙ্গুলির হাহাকার ক্রমশঃ ফুটে ওঠে।
.
লেখাঃ১৯/৮/১৭ইং
খসড়া পাঠ
দ্বীপ সরকার
এটা আমার চুড়ান্ত কবিতা নয়
খসড়া বলে চালিয়ে দিতে চাই....
তোমরা এই কবিতা পড়বেনা
কারন কবিতা হতে হলে প্রথমতঃ
মানুষের কথা বলতে হবে।
কিন্ত এই সব প্রজাতন্ত্রের মানুষগুলোকে
কবিতার আবহে ক্যামনে এনে বলি
আমার কবিতা...
আজকে একটা বার্মিজ সেন্ডেল কিনছিলাম।শানু আমাকে বললো \'\'বর্ষার দিনে এটাই ঠিক,,
আমি সেন্ডেল কিনে পুরনো সেন্ডেল দুটো প্যাকেটে উঠিয়ে নতুন জোড়া পায়ে দিয়ে হাঁটছিলাম। সত্যিই দেখি সেন্ডেলের নিচে বৃষ্টিশাবকদের সার্কাস ,...
\'\' তখনও জীবিত ছিলাম -
যতক্ষণ লেজটা কিঞ্চিত অবশিষ্ট ছিলো,
আমি এই রকমই একটি প্রগতিশীল সাপ।
আমি খুব সাদাসিধে -ভীষণ পরিপাটি,
জড়তা ভাঙা স্বভাবে হাঁটি,
ঈশ্বর ছায়া ভুলে আমার পথে আসে।
আমিও ক্রমশঃ এঁকে বেঁকে...
গোখরা/ দ্বীপ সরকার
\'\' তখনও জীবিত ছিলাম -
যতক্ষণ লেজটা কিঞ্চিত অবশিষ্ট ছিলো,
আমি এই রকমই একটি প্রগতিশীল সাপ।
আমি খুব সাদাসিধে -ভীষণ পরিপাটি,
জড়তা ভাঙা স্বভাবে হাঁটি,
ঈশ্বর ছায়া ভুলে আমার পথে আসে।
আমিও ক্রমশঃ...
ঘুম থেকে উঠলেই ইদানিং চোখগুলো
দ্রুত বায়োস্কপ থেকে বেরিয়ে পড়ার মত
আচনক খুলে ফ্যালে রাত,
ঘুমটা রাত্রীদের বায়োস্কপের মত।
অথবা জনাকীর্ণ দূপুরে সেঁটে থাকা স্বপ্নরোদ।
একটা বীজ খুব চেনা লাগা ধানের মত,
অন্য বীজটা হুতুমপেঁচার...
চেনা পথটা হারিয়ে গেছে
অচেনাপথটা মৃতঃ
এক পথে ঘোলাটে কাদা ঘাপটি মেরে থাকা-
আরেকটা সংক্রামকবাহী ধুলো,
যে পথটা হারিয়ে ফেলেছি তা ছিলো
তরমুজ চেরা নদীপথ -
নদীর নাম যমুনা এক্সপ্রেস,
রঙিন ও সারি সারি কদম্বের কোরাস,
এই পথেই...
চেনা পথটা হারিয়ে গেছে
অচেনাপথটা মৃতঃ
এক পথে ঘোলাটে কাদা ঘাপটি মেরে থাকা-
আরেকটা সংক্রামকবাহী ধুলো,
যে পথটা হারিয়ে ফেলেছি তা ছিলো
তরমুজ চেরা নদীপথ -
নদীর নাম যমুনা এক্সপ্রেস,
রঙিন ও সারি সারি কদম্বের কোরাস,
এই পথেই...
কবিতা মানেই প্রেম বিরহ,সুখ দুঃখ,প্রকৃতি ;
অথচ একটা কথা বলতেই হয়
লাশকাটা ঘরের কোন প্রাণ নেই,
কারন,ওখানে অস্ত্রের যুক্তি চলে।
লাশ কাটার চাকু, কুড়াল,দা, ছুরি,
দূর্গন্ধময় নিঃশ্বাস,ভয়,
এই সবও কবিতা হতে পারতো-
তাকে যদি কবিতা...
ঠিক উন্মুক্ত শরীর, বাদাম চেরা স্তন বেয়ে
আসা ক্লীব লিঙের আত্না,
অসম্ভব ভয়ের বেড়াল ঝাঁপিয়ে পড়ে যেনো,
জড়বস্তুও আচনক খুলে ফেলে চোখ।
.
দয়িতার নাটকে ধর্মের জয় দেখে অধর্মের চোরাবালি কান্না,
আমরা গুটিকতক চিত্রানদীর জোসনা,
পালকহারা...
©somewhere in net ltd.