![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশের লোকাল বাসগুলোকে
দেখলে মনে হয় এগুলো ছিঁচকে চুরির
দায়ে মার খেয়ে বাড়ি ফিরছে।এগুলোর
রসিক নাম \'মুড়ির টিন\'।
আবার আদুরে ভঙ্গিমায় কিউট কিউট পা
ফেলে চলা প্রাইভেট কার গুলোর রসিক
নাম \'প্লাস্টিক\'।
আর এক পাল নিরুপায়...
ভীড় পথে একদলা অবয়বে
নিঃশ্বাস
চোখ বুজে কথকতা
জড়ো গল্পে আর নেই কেউ,
হলদে বাড়ি খয়েরী জানলার
বোনা মাকড়শার ঘর
পষ্ট দেখি রোজ, কিম্বা নিশুতি রাতের বড্ড ভয়।
দুপুরের ভাতঘুমে
মাছের পদের স্বাদ হতাশার রোদে
কড়া হয়ে
কোটরে জ্বালা ধরায়...
গতো দেড় ঘন্টা যাবত কুমড়োর মতো
ফোলা মুখ নিয়ে আনু ছাদে যাবার
সিড়ির শেষ ছ\'নম্বর ধাপে বসে আছে।
পার্থক্য শুধু এই যে কুমড়োর হলুদ রঙের বদলে
তারটা বিশদ লাল হয়ে আছে।
কিভাবে যেন ঠিক সময়মতোই...
দোতলা ঘড়ির তাল-লয়ে মাখামাখি
চৌরাস্তার মোড়ে
কদিনের মুখচেনা ফটকের
খোলামুখ সুধায়,"দুপুর নাগাদ আসুন।"
কদাচিৎ আসে,যায় শ্লথগতির কিছু পদচিহ্ন,
টিফিনবাটিতে গরম ভাত শীত শীত গন্ধে জুড়োয়,
সন্তর্পণে এক দলা পেঁয়াজ এর ঝাঁঝ চোখে এসে লাগে
কি দায়ে কে...
শেফা জেনারেল স্টোর।
দোকানটা আমার বেশ পরিচিত।কিন্তু দোকানদার মামার সাথে খাতিরটা এখন অব্দি যুতসই পর্যায়ে নিয়ে ঠেকাতে পারিনি।
দোকানের একমাত্র কাঠের চেয়ারটাতে বসে তাকে আটার বস্তা...
নাগরিক জগতের থাইগ্লাসগুলিন বড্ড
অসহায়
যখন ভারিক্কি চালে লোডশেডিং এর সময়
সন্ধ্যায় গলির মুখে
তখন পপকর্ণ পলিথিনবন্দী হয়,
সন্ধ্যা সাতটার এলার্মঘড়িতে ফুটওভার
ব্রিজের চাঁদের আলো মিনিটের কাঁটায়
লেগে থাকে
তাই ভয় ভয় আদলে চিনি আর চামচের
ঠোকাঠুকি ছাপিয়ে...
যতদূর মনে পড়ে ছেলেবেলায় আমি খুব
রকমের সাদামাটা বাচ্চা ছিলাম।
সাদামাটা মানে একেবারেই সাদামাটা।
দাপাদাপি, গোয়ার্তুমি আবদারের
ধারেকাছেও ঘেঁষতাম না।
আমার বয়েসি ছেলেপেলেরা যখন ফিশিং গেমের মাছগুলোর নাটবল্টু খুলতে না পেরে কেঁদে
কেটে সব একসার...
কানে এলো সেই পোস্টম্যান নাকি
ভুল শহরেতে আগ বাড়ালো আচানক,
আমাদের অনুমতি ব্যতিরেকে,
নিশুতি রাতের ডাকবাক্সে দুড়দাড় চিঠি
এলো
একখানা রামধনু রঙে মাখা।
ফিরতি উত্তর বলে কিছু আছে বৈকি
এপাড়ায়,
হাত পেতে যেন দেখলাম
ছেলেবেলার মালাই আইসক্রিম কি
আয়াসেই...
ভোর থেকে সকাল
নাকি সকাল থেকে ভোর
মস্তিষ্কে জমা রেখে কিছু
কাকতালীয় ব্যাপার
আমি রইলাম।
গতো সন্ধ্যেতে
ছিলো একচোট আহ্লাদ
আর ক\'রাত অন্ধকার তবু
জোনাকিরা বুঝি
বেশ চঞ্চল।
সিজোফ্রেনিয়ার দিনগুলিতে
দিনপত্রীর আলসেমো
ঠিক তাই বাড়ন্ত।
মায়াকাঠির একপেশে দৌরাত্ন্যে
এমনি একরাশ পাবলো নেরুদা হতে নেই।
আমার বোকা কিসিমের কল্পকথার
আজ বেশ মন খারাপ হল
ফসিলস কানে গুঁজে তাই
আনমনে প্রলাপ আওড়াই।
ডায়েরীর মাঝের চারটে পাতা
বোধহয়
বেনামে সঁপেছিলাম ক\'বার।
আনাড়ি আঙ্গুল চাপে আঁকতে গিয়ে
তোমাকে,
কর্কশ মায়ায় জড়াতাম বারবার
আর বারবার।
সেই ছেলেমানুষি সংলাপ গিলে
নিয়েছে নিঁখুত...
কতেক জীবন ন\'টা পাঁচটা অফিস যায় না
জানতাম,
বিশিষ্টজনের জাপানিজ কফিকাপে এদের
হাতে খানিক আঁচ লাগে।
অনভ্যস্ততার বশে আর কাঁচুমাচু জড়তায়।
দুবেলার পেটপূজো হয় অপ্রাসঙ্গিক
অভ্যেস।
দুপুরের কড়া রোদে চিবুক বিশেষ বেগুনী
রং দেখায়।
কাঁচাবাজারের লিস্টিতে লাউ শাকের
ডগা
অবসন্ন পায়ে...
ঘুম ঘুম কালো রাত্তিরে \'জলের গানের\'
অদ্ভূত গীতিময়তায় একটুকুন
জেগে থাকতে চাই,
টুপ করে নেমে যাওয়া সন্ধ্যায়
তালপাখা দোলানো ঠান্ডা গরম
বাতাসে একটুকুন শিহরিত হতে চাই,
রোদভাঙা বিকেলে লেবুচা কাপের
ঘূর্ণিধোয়ায় একটুকুন মিশে যেতে চাই,
সাদা ভোরের চুপচাপ...
ভাবি এক বোতল সায়ানাইডে যদি
সবরকম বিষাদ খোঁজা যেত,
যদি একবেলা পেটপূজো হতো অনায়াসে।
এই ঘর,এই অবেলা
ফি বছর একটা অন্ধকার ধেয়ে আসে।
আচ্ছা,
দোয়েল চত্বরের মাটির গেলাসেও তো
রোদ ঝুলে থাকে,
পাশ দিয়ে রিকশাওয়ালা কেমন সুখী সুখী
ঘন্টা...
ধুরছাই এর দখলে সব,
গুটিয়ে নিয়েছে তরতাজা ক্লেশ,
নভেম্বর রেইন দেখা হলোনা তাই।
আহ্লাদী শখ করতলে চাপ খেয়ে মরে
আছে।
অশনি সংকেত ইকো হয়ে ঘিরে ধরে,
বিশাল ঘূর্নিপাকে গোত্তা খেয়ে
নিথরপ্রায়।
চোখ বুজে দুহাতের তর্জনী আর বুড়ো
আঙ্গুলের মেলবন্ধন...
অষ্টপ্রহরের শুরুতে একটা
লালচে পাতা চৌকাঠ ডিঙোলো।
অন্ধকার সবে বেরিয়ে এসেছে।
গায়ে ভীষন শীত মাখা।
উনুনের আঁচে সে আরো যেন হলুদ হলো।
সে কি মরমর মরমর শব্দ,
ঝরা পাতারও যে একটা গল্প আছে।
সিনডারেলার মতো যার এন্ডিং...
©somewhere in net ltd.