নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন সচেতন নাগরিক, ছাত্র, লেখক, এবং নাট্যকর্মী
নাভিমূলে বিচ্ছিন্নতা
আর্তনাদে কম্পিত মৃত্তিকা
বাহু বন্ধনে আবদ্ধ শিশু
স্বাদ মাতৃত্বের
স্বাদ ধরণীর বুকে জেগে উঠা
নতুন প্রাণের স্পন্দনের
যে আকাঙ্ক্ষা ডুমুরের মত
লালিত হয়েছে রাতের আঁধারে
যে তরঙ্গ...
ভাবলাম কৃষ্ণচূড়া হয়ে
দখিন হাওয়ায় ভেসে
তোমার দিকে চেয়ে চাতক প্রাণ
আর তুমি অপলক
বৈকালী সিগ্ধতায়
কোমলতা ফিরেবে নিরবে
রাজহংস জলকেলি ভুলে উদাস
ভাট বনে গুনগুন করে ভ্রমর
মড়মড়...
প্রেম তোমায় বড্ড অনুভব করি
বসন্তের শেষে শুকনো পলাশের বনে
নিশ্চুপ নিরবতা ভেঙে মড়মড় ধ্বনিতে
নুপুর পায়ে নেমে আসবে মৃত্তিকার স্পর্শে
অপেক্ষা নয় প্রতীক্ষা করি সে বসন্তের
তুমিও তো একদিন...
স্বাধীনতা তোমায় বড্ড অনুভব করি
অপেক্ষা করি কবে আসবে চিঠি নামহীন
হেমন্তের মটর দানার মত গোটা গোটা লেখা
পায়রার পাখায় চেপে স্পর্শ করবে মনপ্রাণ
তোমার প্রতিটা কোণায় পদচিহ্ন একে
ছুটবে দিগ্বিদিক...
[
- মোহাম্মদ সজল রহমান
শব্দ ও কারিগরি সহযোগিতায় : নাহিদ হাসান
যাত্রা শুরু করলাম ইউনেক্সো ঘোষিত অন্যতম বিশ্ব ঐতিহ্য হিরন পয়েন্ট সুন্দরবনের উদ্যেশে। এই মুহুর্তে আমাদের...
যদি ফিরে আসি এই পথে
বছর তিনেক পর
যদি ফিরে আসি এইপথে
দেখা হবে ভাট ফুল দূর্বা বন
দেখা হবে সজনের ডালে শুভ্র মেঘ
সরিষা ফুলের পাঁপড়িতে মৌমাছির আনাগোনা
যদি ফিরে আসি কার্তিকে
নবান্নের দেশে...
চৈত্রের দুপুরে পুড়েছে আশা,
ফেলে গেছে ভষ্ম - অস্তিত্ব ।
স্বপ্ন মিশেছে কালবৈশাখী ঝড়ে,
দখিন দুয়ার খুলে উকি দেয়া স্বপ্ন ।
কাজলের রেখা হয়ে দিগ্বিদিক ছুটে
পশ্চিমে পাহাড় ঘেঁষে রক্তিম শুভেচ্ছায়
কবি মুক্তি চাই...
বিজলীরা রোদ্দুর হতে পারে না,
কিংবা পারেনা ক্ষ্যান্ত বর্ষণ কাক ডাকা ভোর
নিভে যায় ল্যামপপোস্টের আধারে
শুকিয়ে যায় অশ্রু শক্ত বালিশে
পালাবদল হয় মাংস পিণ্ড কিংবা ক্ষমতায়
আমরা নিরব দর্শক ।
দেখে যায়,...
হলুদ গাড়িটা ক্রস করেছে এই মাত্র
খুব স্বাভাবিক ছন্দে সাইকেলে রতিন
ছুটে চলেছে রোজকার মত আকাশী
রঙের বাড়িটার ছাঁদে অপেক্ষায় মালতী।
গোধূলির আলো নেভার আগেই-
বেজে উঠেছে সাইকেলের বেল,
ছাদের...
ছবিতে : বন্ধু তন্নী
ব্যাধিতে ব্যথা
মোহাম্মদ সজল রহমান
আজ ওর মুখে প্রথম শুনলাম সে কথা
হৃদয়ের কোঠরে কোঠরে আঘাত পেয়ে ফিরে আসে
বাক যন্ত্রের স্বাধীনতা খর্ব করে সে রুধীতে চাই সব
ব্যাধিতে...
আয়নার মেয়ে
মোহাম্মদ সজল রহমান
গাড়ির গ্লাসে দেখা তার প্রথম অবয়ব-
শান্ত চাহুনি, মৃদু হাসি চেপে রাখা ঠোঁট দেখে লাগে বাঁকা চাঁদ,
এলো চুলের কিছুটা কান, কিছুটা মুখের কোণে নৃত্যে পাগল...
খুব একা লাগে
মোহাম্মদ সজল রহমান
অনেকদিন পর হয়তো তোমাকে খুজতে গিয়েছিলাম
বেইলি রোডের সেই পুরাতন বাড়িতে
২০১নম্বর হলদে রঙের বাড়ি
রোজ বিকালে খোলা চুলে অপেক্ষায় থাকতে বারান্দায়
বহুদিন হল তোমার বারান্দায় ঝুলে থাকা...
কিছু বলবার আগেই চিৎকার করে পাড়ার মানুষ জড়ো করলো। ভয়ে আমার শরীর হিম হতে চলেছে, পায়ের তলাতে মাটি সরে গিয়েছে ইতি মধ্য । কেন জানি মনে হল আমার ৪৮ কেজির...
জানালাটা অনেক দূর
এক পায়ে নূপুর দুটি দুল
ঝুপড়ি ঘর পেরিয়ে আকাশ
খোলা জানালা ঝুল বারান্দা
অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে একটা কাক
একটা চড়ুই ক্লান্ত ডানা
দিন শেষে সূর্যে বেদনার সুর
খোলা ছাদ বিছানো মাদুর
অপলক চেয়ে থাকে মেয়েটি
বন্ধ...
একপশলা মেঘের বুকে স্বপ্ন জমছে হেমন্তে
সন্ধ্যারাতে বাকা এক ফালি চাঁদ উকি দেয়-
অন্ধকার আকাশে মনের অজান্তে।
হেটে চলেছে সে, আমি, আমরা।
ল্যাম্পপোস্টের আলোতে দেখেছিলাম
সদ্য মরিচিকার মত দেখা
লাল ঠোঁটের নিচে কালো তিল।
১৩ অগ্রহায়ণ...
©somewhere in net ltd.