নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুটা প্রকাশিত বাকীটা অপ্রকাশিত
আসমানী তারায় দোল খেতে খেতে
মনে পড়ে যায় নীরার কথা।
বৃষ্টিজলের চা হয়ে উঠে ব্ল্যাক ওয়াইন
মাথা ঝাঁকিয়ে আমি থামিয়ে দেই পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি
নীরা হাসে-
কলকাতার রোদ্দুর তার চুল ছুঁয়ে উঠে যায় ওপারে
আহেরীটোলার...
খুল্লনার শার্পার প্রেমে
হাজার বছর ধরে চলছে সাবকনসাস
অকণ্টক অকপট এই নিজেকে সাবসট্যানশিয়েট-
করা হয়ে উঠেনি।
মহাপ্রলয় আসন্ন, অচিরেই
পীতসার অরণ্যের পুংস্কোকিল হয়ে মহাকাশ খেয়ে নেব
হয়তো তখন দূর হবে জগদঙ্কুল সকল রেংকরাস।
কোমরের নিচে শুয়ে...
“দ্রীঘাংচু পত্রনিবাস” ক্যাফেটরিয়ায় বসে আছি। নিত্যানন্দ টেবিলে ফুচকার প্লেট রাখতে গিয়ে বললো- রয়’দা তোমার একটা চিরকুট আছে। আমি হাত বাড়িয়ে নিলাম। দুইহাজার বারো খ্রিস্টাব্দে লেখা জন্মদিনের চিরকুট। কফিতে ফুটান দিতেই...
চুমু তুমি ফিরিয়ে নিতেই পারো
_____তা’তে আক্ষেপ নেই আমার
চুমু কিংবা যৌনতার দিয়ে সম্পর্ক হয় না।
_____ওসব পথে পড়ে থাকে
________ পথ মানে তো নর্দমা
________________নর্দমা মানে নরক
_______________________নরক মানে অজাচার
__________অজাচার পৃথিবীর আরেক নাম
_________সেই পৃথিবীতে...
নামহীন একটি নদী—
চোখের আঙিনায় তুলে রেখেছো একযুগ ধরে।
ছিলো একদিন অনেক গল্পকথা;
যা আজ ঝুলে আছে সচকিত কানের দুলে।
কেটে যাচ্ছে জলে কেনা রোদমেঘ দিন,
ফুরিয়ে আসছে আষাঢ়ের ঋণ।
অপেক্ষা আর অপেক্ষায়...
মাঠজুড়ে কাঁচগল্পের থই-থই
জায়নামাজে থমকে থাকা আমি
__চোখ বুজে যে পৃথিবী আঁকি
______তাতে দুঃখ থাকে না।
স্বার্থবাজ ফুলগুলোও সুবাস ছড়ায়
পথের শিশু শিলালিপি খুঁড়ে দেখে
________অর্থের ব্যঞ্জনা সমুখে।
ফুলহাতা শার্টের হাতা গুটিয়ে
নুনচোখে ঈদ নিয়ে বাড়ি ফিরি।
জন্মান্ধ...
তুই-আমি আর আমরা হাঁটছিলাম
মুখরিত মানবের রোদেলা মিছিলে
তোর পরনে কালো-লাল জামা
______আমার চমক চোখে
সবুজ রথের চাকায়
বৃষ্টির জল তোকে দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছিল
র্যাংলার আনন্দমোহন বসু’র বিদ্যাপীঠের সমুখে
আমরা সুর তুলেছিলাম।
তুই বলেছিলি—
আমার কবিতা তোর ভালো...
অনিলা, এই অভিমানি শহরে-
“কেমন আছো এখন তুমি” তা’ আমি জানি না
তোমাদের রঙধোয়া বাড়ির দেয়ালে কত্তোদিন ছবি আঁকিনি
ও-পথে আর যাওয়া হয় না,
অথচ-
বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হলেই আমরা দেয়াল রাঙাতে বসে যেতাম
তুমি...
সে অনেককাল আগেকার কথা। কতোকাল সেটা নাই বা বললাম। তবে যেহেতু অনেককাল লিখেছি সেহেতু সেটা পুরোনো কথাই ধরে নিতে পারেন। তো সেই সময়ে আমার বইপড়ার তরঙ্গাইত নেশা। নেশা মানে...
আমার সকল ইচ্ছের জলে
তুমি ঢেলে দাও বিষ—
আমি হাসি মুখে বিষ করি পান।
অমরত্বের জন্য করি না কোনো প্রার্থনা,
সকল অঞ্জলি থাকে জমা।
কান্নাকে ফড়িঙ করে উড়িয়ে দেই
তোমার চলার পথে,
অভিমান জমে থাকে তার...
সেদিন মনঘোর মেঘদিন ছিল না। রোদমুখো রঙদার দিন ছিল। তোমার শাড়ির ভাঁজে কথারা ছিল দ্বৈতসত্তার অধিকার নিয়ে। তোমাদের নিবাসতলে অধিক জনমানুষের কোলাহল তুমি নিতে পারছিলে না। ‘তবুও মেনে নিতে...
বিশাখা, ঘুমিয়ে আছো?
রোজকার চিন্তা-ভাবনা শিখায় তুলে
বোধিবৃক্ষের গায়ে হেলান দিয়ে চোখ বুঝে
ভ্রু-যুগলে ভুজঙ্গ সমাজকে দূর্দান্ত যন্ত্রণায় চেপে রেখে,
নিশ্বাসে নিশ্বাসে কান্না ছড়িয়ে দিচ্ছো।
সম্ভ্রম হারানোর যে অসভ্য শহর তোমার
লজ্জা হরণ করছে, সে...
বয়সটা ছোট হতে হতে, পাপবোধ কমে আসছে।
এখন আলো বিরক্ত লাগে
সেলফোনের ওপাশে বিব্রত নাটক অনুভূত হয়।
দৃশ্যায়ন হয় না, অদৃশ্য হওয়া যত ভালো মানুষী।
খারাপ মানুষটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে-
তাতে আমরা কেউ কেউ...
বাজারে বাড়ন্ত মাছের দাম
বুবন মাসি হাঁক ডাকে-
সোনাই টমেটো কত কেজি?
দু’কেজি পনেরো টাকায়, বেশ সস্তা!
শিলাবৃষ্টিতে সব ধান নষ্ট হয়ে গেছে
টমেটো খেয়ে পেট ভরবে কি?
বুবন মাসি রংজ্বলা কাপড় পরে বাজারে আসেন
শাড়ি-কাপড়ের...
তারপর-
একদিন সব কবিতারা থেমে গেলে
আমি চোখ খুলে রাখলাম অলকানন্দার চোখে
অন্ধ নাবিকের মতো ছুটে চললাম নিরভিমান এক শহরের দিকে।
অনুভবে জেনে নিলাম কল্পরা এখানে রোজ গল্প হয়ে ভাসে,
ভ্রমর আর মীনফুল খেলা...
©somewhere in net ltd.