নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আঁধার দুনিয়ার ছবি! ..... ছন্নছাড়ার পেন্সিল......সবার অন্ধকার থাকে না, অথবা অন্ধকার প্রিয় নয়। তাই সবাই কবিতা পড়তে পারে না, কবিতা পড়ার জন্য চোখের ভিতর সমুদ্র এবং বুকের ভিতর আদিগন্ত ধূ ধূ প্রান্তর লাগে। ..... কবি নির্ঝর নৈঃশব্দ্য *************************http://www.rabindra-rachanabali.nltr.org/node/2
জোনাকীর ভেতর দিয়ে ফুল ফোটে আর এক মেঘ মন ঘাসবনের কানে কানে বলে যায় অজস্র ঘুমের গল্প। গল্পের নাম রাতপ্রিয়া। গল্পের নাম অনিদ্রসুখ।
জোনাকীদের গ্রামে যে ফুলগুলো ফোটে আর নদীর জলে...
এইসব দেহে ঝড় উঠে আর মরা ডাল
আমাদের গন্তব্যের শরীরে রেখাপাত করে
উচ্ছিষ্ট ইতিহাস
সময়ের ভুলমানুষগুলো পদপিষ্ট করে রেখে গেছে যা!
বরঙ শুনতে পারতো সহস্র বছরের বজ্রনিনাদ
লাউ আর ধনেপাতার স্পর্শে বেড়ে উঠা
নিযুত নিযুত অকম্পিত...
মধ্যরাতের নৈঃশব্দ্যের ভেতর তোমার চোখের গল্পপাঠ করবো। মধ্যরাত অদ্ভুত সময়। খোলস ভেঙে সবকিছু নিজস্ব রুপে বিমূর্ত হয়ে উঠে। যে গাছগুলো পাখিগুলো মাছগুলো কিংবা মেঘগুলো সারাদিন বেয়াড়া বালকের হাতের ডানার মত...
কুয়াশার ভেতর নিকোটিন ছড়ালেই পোলাওর সুবাস
তোমার মতন করে
চালের সাথে ডাল
ডালের সাথে আদা পেয়াজ মাংসভুনা
খিচুড়ির ঘ্রাণ
বাতাসের ডানায় লেপ্টে থাকে
এখন কেবল নিকোটিন পোড়ে
দুধ পুড়ে গেলো বলে একবার লাল চা দিয়ে
তোমার তীব্র হতাশা
একদিন...
দূরে মিথেন পুড়ে যাচ্ছে আর তীব্র চিৎকার
বহেড়াফলের ডালে শিশির জমে টুপ
ভাঙা গাড়ি তুলে রেখে নিস্তব্ধ গ্যারেজ
রাত বাড়ে চোখের ভেতর চুপ
হরিণীর ঘ্রাণ নিয়ে ঘরে ফেরার ভেতর
কিছু চা ফুল
ফেরি করে অনেক না...
ভাঙনের ভেতর দিয়ে সমুদ্রের স্রোত
তোমার অন্ধকারে পোতাশ্রয়ে কালো কালো জাহাজ
দূরে হুইসেল ভেঙে ভেঙে বাতিঘর একা পোড়ে
আর আমি সুন্দর সকালে হরিণীর ঘ্রাণ বুকে নিয়ে
ঘরে ফিরি
ফেরা শেষ হলেই বহেড়াফলের নেশায়
আস্ত দুপুর রসালো...
কুড়িয়ে পাওয়া নুড়িপাথর
শ্যাওলাধরা দেয়ালের গায়ে ঘষে ঘষে
ফুটিয়ে তুলছো ফেলে আসা মুখ
দেয়াল কী জানে
কোনো এক নোনতাসকালে
উষ্ণ চায়ের গেলাস ভেঙে রক্তাক্ত
একপুরুষালি জীবন
এবঙ তুমিই সে মগ্নতার নিখাদ ভাঙন কারিগর
তারচেয়ে শ্যাওলার চকচকে সবুজে
হিসেব করে...
ভেঙে যাওয়া আকাশখানি
ঘুণে খাওয়া ফুলদানিতে
একটা বিকেল যাচ্ছে চলে
সন্ধ্যাবুকের শয্যা নিতে
হঠাৎ ঝরে বহেড়া ফল
চমকে উঠে পাতার আচল
বিষাদ কে দিয়েছে মেখে
বহেড়া বৃক্ষের শেকড় থেকে...
বৃক্ষ জানে আদিপাপদিন
ফলের ভেতর স্মৃতি মলিন
গোপনে তার কান্নাঘরে
একা যুবকের...
কালো টিপ চোখ তুই ভাঙ্গছিস আলো
অযথা দিন শুরু না হতেই এলোমেলো
কালো চাদরে কার আদরে ঘুমের খেয়াল
হাতের স্পর্শে জমে উঠে কুয়াশার দেয়াল
এভাবেই ভুল হতে থাকে
এভাবেই বেড়ে উঠে পাগলামি
কালো ফুল এলিয়ে যাওয়া...
বেড় ভেঙে বেড়ে উঠে আস্ত সকাল
আর ঢুকে পড়ে রাক্ষুসে মাছের পেটে
অথচ কথা ছিলো বোহেমিয়ান...
গতকাল রাতে যারা ঘুমায়নি
তাদের দল থেকে বহিষ্কৃত রাত্রিযাপন
আর আস্ত সকাল শেষে
দুপুরের রোদ জাগিয়ে তোলে ঘুমের স্কুইডিটি
আমার বিকেল...
এইসব শব্দের ভেতর নামি। আমার সাথে নেমে আসে তোমাদের শহরের আলোর সবগুলো সমাধানহীন রাশি। পাগলাটে বৈজ্ঞানিক সমীকরণের পিঠে সমীকরণ আঁকে, সূত্রের ভেতর চলকের দীর্ঘ সঙ্গম দেখে ক্লান্তিহীন। অথচ আমি জানি,...
গ্রীবা পেরোলেই নিস্তব্ধ বাস স্ট্যান্ড
নীরবে টিকেট কেটে কেটে বাড়ি ফিরছে মানুষ
সস্তা সুরকি ইটের পরিচয়হীন ঘর
ক্ষণিকের আশ্রয় দেবে বলে গুণে যায় ক্ষণ
অথচ এখানে কেউ নোঙর ফেলে না
অথবা আশাহত নাবিক মদের দোকান...
সেদিন স্রোতের ভেতর ভেসে ডুবে ভেসে যাচ্ছিলো
জোছনাকুমারী
আমাদের বিবশ শরীর ঘ্রাণের হিসেব লিখে লিখে
তখনো ঘুমিয়ে যায় নি পুরোপুরি
আমাদের হাতগুলো বিভিন্ন যোনিপথ ঘুরে এসে
থেমে পড়েছিলো পাশের বাড়ির বারান্দায়
রোদে ঝুলানো কারো ধূসর ব্রার...
তির তির করে কাঁপছে শীতগ্রস্থ রাত
কামনামদির তোমার চোখের পাতার মত
জোছনার পেয়ালা উপুড় হয়ে গেছে
আর ঝরছে ঝরছে অবিরত
এবার তবে ঘুমের কথা হোক
বুকের ভেতর বালিশচাপা ওম
ভেঙে পড়ে দেহের আকাঠ ঘুম
ঘুমের ভেতর একটা...
©somewhere in net ltd.