নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আঁধার দুনিয়ার ছবি! ..... ছন্নছাড়ার পেন্সিল......সবার অন্ধকার থাকে না, অথবা অন্ধকার প্রিয় নয়। তাই সবাই কবিতা পড়তে পারে না, কবিতা পড়ার জন্য চোখের ভিতর সমুদ্র এবং বুকের ভিতর আদিগন্ত ধূ ধূ প্রান্তর লাগে। ..... কবি নির্ঝর নৈঃশব্দ্য *************************http://www.rabindra-rachanabali.nltr.org/node/2
শব্দিতা আমাদের প্রতিবেশী ছিলো। শব্দিতা আবার ফিরে এসেছে।
মদের গেলাসে শব্দিতা জড়িয়ে যাবার গেলাস ভেঙে গেলে শব্দিতা উঠে গেছে বিলবোর্ডে। আমরা ভেবেছিলাম, শব্দিতার সাথে ঘুমাবো। সে ঘুমায় নি। সারারাত বিলবোর্ডে...
ফুলের কাজ করা পর্দাটা জানালার ফ্রেম থেকে খুলে আনতে আনতে সোনিয়া দেখে, একটা মাকড়সা জাল বুনে রেখেছে ফ্রেমের পুব কোণে। তার হাত থেমে যায়। পরিচ্ছন্ন পরিপাটি বাসায় কখনো ঝুল জমতে...
শহরের মধ্যখানে গ্রাম্য সরল কিশোরীর সিঁথির মত কালো সড়ক ধরে সোজা চলে যায় সাজিক। পেছনে মানুষদের মুখের ক্যানভাসে তার ছায়া পড়ে পড়ে হলুদ হয়ে যায়। সাজিকের ছায়া আটকে থাকে অফিসফেরত...
*
তোমার বুকের পাত্রে রাখা দুই গ্লাস দুধ
আমার স্পর্শের নির্ভেজাল লিকার
চুম্বনের চিনি মিশিয়ে আদিম রেস্তোরাঁয়
চল শুনি যুগলবন্দী শীতের ঝংকার।
*
কুয়াশার ভেতর ঢুকে পড়ে রোদের ছুরি
ফালি ফালি কাটে হিমবাতাস
আমার ছুরিও কাটে তোমার গিরিখাত
মাতাল...
*
মৃত সাপগুলো বিষাক্তরুপে জ্যান্ত হচ্ছে করোটির ভেতরে!
*
মদের গেলাসে মিশে যাচ্ছে প্রেমিকার পোড়া মাংসের ঘ্রাণ!
*
অধীকৃত ললনার বসন খুললেই উঠোনে ঘোরে গন্ধগোকুল।
*
নির্জন রেলপথ হিসেব রেখে দিয়েছে ইঞ্জিনের শীৎকার।
*
পায়ে সাপ ঘুমায় আর আমরা...
শরীর খুলে আনি দীর্ঘবিষাদের ঘুম
দেহসড়কে লাল বাতির দৌরাত্ম্য পেরিয়ে
ঘুমিয়ে পড়ি পত্রহীন বৃক্ষের মত
নাকে চেপে রাখি বুকফুলের ঘ্রাণ
এই ফুলের ভেতর ঢুকে পড়ে অন্যফুল
দিশেহারা আমি হাতড়ে বেড়াই প্রিয় কার্ণিশ
ঠোঁটের সাথে মিলিয়ে রাখি...
থামো!
বুকের সড়কে লাল সংকেত জ্বলছে
থামাও তোমার গতির আস্ফালন
থামো!
মোড়ের পাশে অন্ধ দোকানদার
পসরা সাজিয়ে বসে আছে ফুল ও চুম্বনের
এক গেলাস গরম চুম্বন চলো ভাগাভাগি করি পান
তোমার জন্য সড়কবাতি অনন্তকাল লাল
এখানেই হঠাৎ...
মেঘহীন আকাশ কেনো জানি অনিন্দিতার ভালো লাগে না। অনিন্দিতার বড্ড বেশী মেঘসংসারি হবার ইচ্ছে।
মধ্যরাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে অনিন্দিতা খুঁজে পায় তার মেঘসংসার। যে সংসারে সাদা মেঘ হলো তার দেয়াল আর...
রাতের আয়নায় ফেরী করে দেখি নির্ঘুম চোখের কালিতে লেপটে আছে তেপান্তরের নিষ্প্রভ চাহনি আর ভালোবাসাহীন নিরুদ্দেশ কথামালা। ফেরার কোনো পথ নেই। ফেরার আগে ভেঙে গেছে খড়নিবাস। আমার চড়ুইসংসার। এখানে লেপ্টে...
বুকের শহরে তেপান্তর নিয়ে চলে যারা, পীচ ঢালা রাজপথে যুগল ছায়ার নকশায় তাদের কি আসে যায়!
আমি দেখেছিলাম, সারা শহরে কোথাও কোনো কদম গাছ নেই। এই শহরে কদম ফোটে না। কদম...
কাঁচের চুড়ি ভেঙে গেলে রাত্রিদিন
কেমন আছো একা একা আমিহীন......
যে দেয়ালে হেঁটে যেত টিকটিকি আর টিক টিক ঘড়িদৌড়
ইতিহাস ঘেঁটে দেখি সতেরো শো সাতষট্টি দিনের কালিঝুলি
জমে জমে ম্যুরাল!...
ভেঙে ফেলেছি রোদের কণা, ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছে সুতীব্র ইতিহাস। আমি প্রস্তুত ছিলাম। অথবা ছিলাম না। আমার ঘরকন্না এখন ইচ্ছানির্ঘুম বাতাস, নিকোটিন আর দারুরসের পেয়ালা, কর্কশ দিন ও মায়াময়ী রাতের...
তেপান্তরে রোদ ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো মেঘ
যাবতীয় সীমারেখা পেরিয়ে
আমাদের ঘরের টিনে বৃষ্টি হয়ে যায়...
শরীরের ভেতর থেকে তীব্র সূর্য নিংড়ে আনে
লবণ ও পানি
গুলিস্তান থেকে ফার্মগেট...
©somewhere in net ltd.