নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামহোয়্যারইন শুরু থেকে লেখালেখি করছিলাম হঠাৎ আইডি বন্ধ হয়ে যায় তারপর আবার নতুন করে আইডি খুলে লেখালেখি শুরু করলাম সবার প্রতি কৃষ্ণচূড়া শুভেচ্ছা রইল
সময়ের শরীরটা বরফছিল
কিন্তু কখন রক্ত গলা বরফ
গড়ে গড়ে ক্ষত বিক্ষত নদী হলো;
রক্তাক্ত হলো বালুচর!
চারপাশে নীরব জনতার ঢেউ,
মেঘাচ্ছন্ন বৃষ্টি বাদলও স্তব্ধ;
কি হবে এখন শরীরটার?
সমস্ত কাক, ফেশকুল্লা শারিবদ্ধ
চিৎকার আর্তনাদ খানিক বজ্রপাত...
সমস্ত কবিতা আজ আমার বাকরূদ্ধ:
ভাষা নেই, অশ্রুসিক্ত- দেশ ও মাটি;
ওদের হৃদপিণ্ড নেই, আছে ক্ষমতা!
ওদের সন্তান নেই, আছে শুধু ক্ষমতা!
তাই নিরবিগ্নে চালায় তোমার বুকে গুলি,
রক্তাক্ত বাংলার বর্ণমালা- কবিতা আরও
জেগে...
মৃত্যুর ডাকঘর টিয়া পাখি
তুমি ডাব গাছেই থাক!
তোমার চারপাশে এক দল
কাক- কা কা করছে-
ভীষণ মৃত্যুর আর্তনাদে;
তোমার আকাশে কালবৈশাখী মেঘ
এই মৃত্যুর ডাকঘর বুঝিস না,
আর কত চাই টিয়া পাখি-
আর...
নেট থেকে সংগ্রহ
শিশির ভেজা ভোরের পরিবেশটা সাদা
রঙের পায়রা উড়ানোর আর্তনাদ-
সন্ধ্যাটা যেনো রঙিন জোছনাময় কায়া;
বিকালটা জলধারা যমুনার ঢেউ
সুখটা গোলাপ ফুলের বালুচর-
শ্মশান যেনো প্রণয়ের গন্ধ বাতাস
যেখানে শকুনের অট্টহাসি প্রবাদ-
বিচ্ছিরি ভাষার...
এই বৃক্ষ কখন ছায়া দিবে-
পিপাসা মিঠাবে- কখনো জ্বালানি;
খাট পালঙ্ক- এমন কি ছোট ঘরের ছাউনি!
কি করেছি এই বৃক্ষের জন্য?
তবু মানুষ ভাবি অনেক কিছু-
মূল বান দেখি দু\'চোখ ভরে
বাস্তবতা কোথায়- মাটির...
এক দিন আউশ ধান উঠানে হাজির!
গন্ধটা ঠিক, কখন বাউর হলো- বুঝে
উঠতে পারলাম না,তারপর কত উৎসব
নাচ, গান, সিনেমা দেখা আর কত কি?
হঠাৎ সফলের মাঠে আর আউশ ধান
দেখা গেলো না, চুপচাপ আইল...
যে কোটা নির্দিষ্ট একটা গাছের
আম পারা ছাড়া, অন্য গাছের
আম পারা যায় না- সেই কোটার
দরকার আছে কি? অবশ্যই
কোন দরকার নেই; চলো-
কোটা মুক্ত আম পারি সবাই
মিষ্টি আম পেট ভরে খাই...
দেখো দুল পাট্টা পাতার প্রেম
বড়ই চমৎকার দুল দিয়েই যাবে-
কিন্তু পৃথিবীর স্বাদ, আহ্লাদ এমন কি-
আলো বাতাস ঘ্রাণ পাবে না;
যাই বলো একে জীবের প্রেম
বলে না- মোহ উল্ট বাঁশি- যেখানে
সুর...
গভীরতা বুঝা হয়নি
সমুদ্রের ত সীমানা নেই;
তবু সাঁতার কাটে-
হয় তো এখানে, নয় তো অন্যখানে
ক্ষত যেখানে- গভীরতাও সেখানে-
যা কিছু প্রণয় বলে না,
হাড্ডির সাথে হাড্ডি-
শিনার সাথে শিনা মিশিয়ে
গভীরতা চিনতে হয়!
নয় তো...
এই জন্মের প্রথা শুধু
জল মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে;
ঘাসফড়িংরা জন্ম দিনের
শুভেচ্ছাই দুলছে!
ও দিকে চাঁদ মুচকি হাসির
আড়ালে অমবস্যায় ঢাকছে;
যেখানে দলছুট মাঠে প্রণয়ের
আকাশ ঘুড়ি হয়ে গেছে-
সেখানে কি করে জন্ম দিন
সুমিষ্টি প্রণয়ে আশা...
কোন খেলা প্রিয়ছিল, বন্ধু বলল না-
গোল্লাছুট নাকি বদমদাড়-
ফুটবল নাকি ক্রিকেট!
খেলতে- খেলতে সন্ধ্যা;
বইয়ের টেবিলে বন্ধু আন মনা-
ভোরের শিশির ভেজা হাঁটা
তারপর স্কুল- স্কুল শেষে আবার
ঐ আলই পাথার দৌড়ে ছুট;
সবাই ভুলানাথ...
পরামর্শ, এখন বৃষ্টি বাদল নেয় না;
সবার মনে এখন চৈত্র পুড়া খরা-
প্রশান্তি সহ্য হয় না- কারণ ছোট
হবো বলে পরামর্শ এখন সমুদ্র!
জল খেলার বায়না,কোথায় খুঁজি
মুখ দেখার আয়না,সেও বলে পচা
বাতাসের গায়ে- এসি কি...
এদিক সেদিক শুধু শ্রাবণ ডাকে,
তবু ফুটে না কলি!
গন্ধ পাপড়ি বহুদূর-
ভাসে না নাকে,
এই পূর্ণিমায় যদি আসে-
এক কাপ গরম পানি
পিপাসা শুধু মুখে
তৃপ্তির জানালাটা খুলে যাক
আষাঢ় কিংবা শ্রাবণে
দেখো দেখো দৃষ্টি...
বৃষ্টির দিনে আষাঢ় কাঁদে না
বজ্রপাতে মন পুড়ে না-
কি মেঘ শূন্য আকাশ
লাগে না প্রশান্তির বাতাস;
শুধু স্মৃতির বাতায়নে
বয়ে যায়- কি যে বেদনা
মন কায়া দোসর বুঝে না
গভীর জল কাদার ঢেউ
নদী জানে না- হারিয়ে...
©somewhere in net ltd.