![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক টুকরো মেঘ পথভুলে একা একা ভেসে বেড়ায় আকাশে।
সে ভাসতে ভাসতে চলে আসে একটা বিরাণ ভূমির উপর। সেখানে একটি গাছ দাঁড়িয়ে আছে। মেঘটি ভাবল, বোধ হয় ওই গাছটি আমার...
বহুদিন হয় দেখি না তোকে বহু দূরে আছিস পড়ে
এই ভাবি তোর দেখা পেয়ে যাই এই বুঝি দেখি ঘরে।
রাতের বেলা চাঁদের আলোতে মনে মনে ছবি আঁকি
অতীতের সব স্বপ্ন সাধনা অল্পতে দিল...
ভাসিয়ে নিলো ঘরবাড়ি তার নিঠুর বানের পানি
সম্বল তার টুকরি আর কোলের শিশুখানি।
মাথার উপরে খোলা আসমান নিচে পানির টান
হারালেও সব বেঁচে আছে তার কোলের শিশুর প্রাণ।
বানের জলে নিয়ে গেলো সব রইল...
সাপের মতো এঁকে বেঁকে/গোপাট গিয়েছে গ্রামে
শান্ত শীতল মায়া ভরা গ্রাম/ঢুকেছে সবুজ খামে।
শহর থেকে বাড়িতে গেলে
জুতো খুলে দুই পা মেলে
মাটির ছোঁয়ায় শিহরণ নিয়ে/বাড়িতে গিয়ে থামে।
পথের ধারে কোমল ঘাসে
বনফুলেরা মুচকি হাসে
ঘাস-মাটিতে...
আমি বিশ্বমাঝে ছড়িয়ে দিলাম আমার সকল ব্যথা
আমি বলে দিলাম বিশ্বলোকে আমার গোপন কথা
আমার যতো দুখ-যাতনা আমার একার নয়
বিশ্বমাঝে দিলাম ছেড়ে আমার কীসের ভয়?
কষ্টগুলো আমার ভেবে যেই লয়েছি নিজে
দুঃখগুলো নিজের...
ওরা সব হারিয়ে দিবানিশি করে দুখের চাষ
ওদের কষ্টগুলি পষ্ট হয়ে থাকে বারো মাস।
বেঁচে থাকার স্বপ্নগুলো হারিয়ে ফেলে ভাষা
সব যাতনা দেয় ভুলিয়ে স্বাধীনতার আশা।
চাওয়া পাওয়ার দ্বন্দ্ব ভুলে সামনে যখন তাকায়
ভাগ্য তাদের...
শিকারির হাতে পড়েছে শিকার/মৃত্যুর প্রহর গণে
প্রবল ক্ষমতা শক্তি সামর্থে/কাঁপন তুলেছে বনে।
সবলের হাতে দুর্বলেরা/মার খায় রোজ রোজ
খাবলে ধরে নখর ঠোঁটে/করে তারা ভুরিভোজ।
শক্তি সামর্থ্য দুর্বার গতি/দোর্দণ্ড প্রতাপশালী
প্রকৃতির বুকে জীবন-মৃত্যুর/নির্মম চালাচালি।
মুখের ভাষা নেই বলে তার, চোখের ভাষায় বলে
মনের কথা বলতে গিয়ে, হাত-পা সমানে চলে।
মেজাজ বিষম চড়া
মিছেমিছি আর দুষ্টুমি ছাড়া, আসল মেজাজে গড়া।
কেন যে একদিন ছল করে আমি
মিছে কথা...
নিলামে তুলেছি ভালোবাসা আর
কীর্তিকলাপগুলি
আরো তুলেছি আবেগের বেগ
জমানো কষ্টগুলি।
তুলেছি আরো বেদনাবিদুর স্মৃতির চিহ্নগুলি
গোপন করিনি টেবিলের ওপর দিয়েছি এসব খুলি
কেউ এসে দেখে নেড়েচেড়ে দেখে
এটা ওটা খুঁটে খুঁটে
একজন এসে টেবিলসুদ্ধ নিলাম
নিয়েছে লুটে!
চলে গেল সে
সঙ্গে নাকি নিয়েছে আলগা শাড়ি
যাক চলে সে যাক
দেখি কদিন থাকে বাপের বাড়ি!
ঘটনা কি!
মোবাইল ফোনে কয়না দেখি কথা!
কেমন জানি গোমট নীরবতা।
লোক পাঠিয়ে খবর নিলাম শেষে
যা শোনালো লোকটি ফিরে এসে;
উপুড়...
দুধের ওপর বেঁচে আছে মা-হারা এই ছেলে
হাঁড়িপাতিল ভেঙে ফেলে দুধ না মুখে পেলে
মা-ছাগলের সঙে ছেলে খাতির করে রোজ
আচ্ছা মতোন বানে টেনে করে ভুরিভোজ।
দূরে গেলে মা-ছাগলে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে ডাকে
এই ছেলেটা...
ওরা, সব হারিয়ে পড়ে থাকে বস্তি এবং ড্রেনে
ওরা, নেশা করে রশি বেঁধে চাঁদকে নামায় টেনে।
ওরা, চাঁদের সাথে কথা বলে কষ্ট ভুলে থাকে
ওদের কেহ বাপ দেখে নাই হারায় কেহ মাকে।
...
ভীষণ ক্ষমতা তার
ইচ্ছে হলেই ফু মেরে সব উড়িয়ে দিতে পারে
লড়াই করে কেউ পারে না সবাই খালি হারে।
এবার ফু দিতেই খেয়াল করে বেলুনে এক ছেদা
ফুয়ে ফুয়ে ভুসভুসানি বেরোয় গোবর লেদা!!
সরষে খেতের আলে...
দুই পরিতে হাতে ধরে, দুলছে বিষম তালে।
সবুজ পাতা হলুদ ফুলে
লম্বা চুলের বেণী তুলে
হাসির জোয়ার উথলে ওঠে হলুদ মাখা গালে।
তাদের দেখে সরষে খেতে
মেৌমাছিরা উঠলো মেতে
প্রজাপতি থমকে দাঁড়ায়, নাচের মায়াজালে।...
মেয়েটি কালো...
ফাঁকি দিয়ে সে কোথায় যেন গোপন করেছে আলো।
কাজল কালো চোখ দুটি তার
দেখেছি আমি তাকে যত বার
চোখের প্রভায় মুচকি হাসিতে লাগে যে আরো ভালো।
বিমূর্ত সেই রূপ
হেয়ালী শিল্পীর তুলির...
©somewhere in net ltd.