![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাকের বাসায় ডিম পেড়েই
কোকিল পালায় কেন্?
ভাবতে গেলে দেখেছি ভেবে
লাগবে তত্বজ্ঞান।
কষ্মিনকালেও কাক-কোকিলের
হয় না মাখামাখি
দেখতে লাগে একই রকম
কালো বরণ পাখি।
কোকিলডিমে তা দিয়েই
ছানা ফোটায় কাক
প্রভুর বিধান ভাবতে গিয়ে
মাথায় খেলো পাক।
ঋতুর রাজা বসন্তকাল
কোকিল...
পায়ের তলে সবুজ ঘাস
আকাশে আমার ঘুড়ি
মুক্ত আকাশে লাল সবুজে
মিলবে কোথায় জুড়ি।
সুতলি দিলাম ছেড়ে
দমকা হাওয়ায় গর্জন করে
মেঘেরা আসে তেড়ে।
ঘুড়ি আমার তীরের বেগে
উঠছে ঠেলে ঠেলে
মেঘের বুক ফালি করে
পেছনে সব ফেলে।
কে রুখবে...
পথিকের নেই পা
পথের আছে গর্ত
সম্মুখে তোমার যাত্রা
রয়েছে অযুত শর্ত।
শর্ত পেছনে ফেলে
সাহসে ফেলো চরণ
দিগন্তে মিলবে ঠিক
প্রকৃতি করবে বরণ।
অন্ধেরাও চলে পথ
চোখেতে নেই আলো
বিশ্বাসের প্রদীপ হাতে
নিঃশ্বাসে তাড়ায় কালো।
পথে বসে ভাত খায় আদরের ছেলে
ক্ষুধা নিয়ে মা তাকে খাওয়ায় ঠেলে
মা যায় কাজে আর ছেলে করে খেলা
কোনোদিন কোনো ভাবে নয় অবহেলা।
ছেলে নিয়ে ঘুম যায় আকাশের তলে
দেখে তার ছেলেটা তারা হয়ে...
বাঁশবাগানে কানাবগীর
ডিম ফুটেছে দুই
চুপটি করে যেই বলেছি
একটুখানি ছুঁই?
বলল বগী, অবাক হয়ে
ছুঁইলে আমার জানা
একটি হবে বোবা আর
একটি হবে কানা।
দিতে পারো আমার হাতে
একটু আদর করি
দুষ্টু ওরা, ভীষণ পাজি
লাফিয়ে যাবে পড়ি।
ছানা দুটি তুলে...
হঠাৎ করে উঠলো ক্ষেপে ষাঁড়
বাহির থেকে কে দিয়েছে তাড়া
রাখাল ছেলের পরাণ বুঝি যায়
তাগড়া গরু দিয়েছে গা ঝাড়া।
কাদাজলে উঠছে তুফান ঝড়
ক্ষুরার ঘায়ে উড়ছে ধুলোবালি
তীরের বেগে দেৌড়ে ছুটে গরু
ব্যর্থ রাখাল দিচ্ছে বেদম...
অবুঝ শিশুর মতন
পিতা যেমন আদর করে নিচ্ছে মেয়ের যতন।
বয়সভারে নেতিয়ে পড়া মা
ভাতের নলা সামনে ধরে বলছে ছেলে, খা।
এমনি করে এই ছেলেকে কোলে পীঠে করে
রাখতো চোখে চোখে
এ কোল থেকে ও...
আকাশ ছুঁবে হাত বাড়িয়ে
পা বাড়িয়ে জল
স্বপ্ন আছে ওদের মনে
আছে সাহস বল।
সাগর নদী বন পেরিয়ে
যাবে অচিন দেশে
লড়াই করে সব হারিয়ে
ফিরবে বীরের বেশে।
মেঘ বানাবে নেৌকো কোষা
দেখবে জগৎ ঘুরে
সীমার মাঝে অসীম তারা
ইচ্ছে মতন...
অবস্থাটা চরম
ঘরে বাইরে চারিদিকে
অসম্ভবের গরম।
ইলিক্ট্রিসিটি গেলো
গায়ের ঘামে গা-গোসলে
শরীর এলোমেলো।
বৃষ্টি এলে ত্যাক্ত স্বরে বলি
এসব তোমার বড্ড বাড়াবাড়ি
এখন, বৃষ্টিবিহীন তপ্ত আবহাওয়া
বৃষ্টি তুমি ঝড়োবেগে এসো তাড়াতাড়ি।
বৃষ্টি আসুক ঝমঝমিয়ে
পালিয়ে যাক গরম
অসময়ে বৃষ্টি চাওয়াচাওয়ি
হলে হলো...
ওরা হন্যে হয়ে চষে বেড়ায় দেশ
জষ্ঠি মাসের রঙ্গিন মাছির মতো
একটু কোথাও মেলে যদি নাড়ু সন্দেশ;
চষে বেড়ায় বলে
কপালগুণে হঠাৎ হঠাৎ নাড়ুর দেখা মেলে।
গপাস গপাস গিলে ফেলে নাড়ু
লাঙ্গলখানা ভাঙ্গা বলে দেখায় সবাই...
ভেবেছি অনেক দূর
তাকে নিয়ে আর হবে না আমার
বাধবো না কোন সুর।
গানের ছন্দে দ্বন্দ্ব বিষম
সুরেও পায় না তাল
যা বলি তা হয় না বলা
অবস্থা এমনই বেহাল।
দুই দিকে দুই জনে
মুখ ফিরিয়ে শুয়ে বসে...
নেংটি ইঁদুর শখ করেছে
হবে ডোবা পার
একটু গিয়ে হাবুডুবু
জান চলেনা তার।
সামনে ছিলো একটি ব্যঙ
ধরলো তাকে কষে
হাপুস হুপুস খামচে ধরে
পীঠের উপর বসে।
ব্যঙ চলেছে আপন মনে
ইঁদুর বলে থামো
কী বিচ্ছিরি শরীর তোমার
হতে পারে ব্যামো।
তারচে\'...
উঠোন সাদা সাদা
তপ্ত রোদের ঝিকিমিকি
পাশেই মলিন কাদা।
আকাশনীলে সাদা মেঘে করছে দাপাদাপি
পাহাড়চূড়ায় ঝটাবুড়ি খুলছে শীতের ঝাপি
আসবে যদি আসো তবে
শীতেরা মেলে ডানা
মেঘ ডিঙিয়ে রোদের মিছিল
দিচ্ছে বেদম হানা।
মেঘ-বৃষ্টি-রোদের খেলায়
বাড়াবাড়ি গরম
আঁচল টেনে ঘোমটা পরে
শীতেরা...
গ্রামে সবুজ ঘাসে
ভোরবিহানে হালকা সাদা
কুয়াশারা হাসে।
অবুঝ শিশুর মত
উড়ে বেড়ায় এলোমেলো
হয়নি পরিণত।
হাত বাড়ালে হাত ভিজে না
লাগে ভেজা ভেজা
পায়ের তলায় ঘাসের ডগা
হালকা তুলো পেঁজা।
আর কটা দিন পরে
শীতের হাওয়ায় কুয়াশারা
ঢুকবে বাড়ি ঘরে।
©somewhere in net ltd.