![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেঘ তুমি পাহাড়কোলে ঘুমিয়ে পড়ো, যাও
আমি এখন আমার মতো সাজাই ভেজা মাটি
নদীর জলে পাল তুলে ঐ ছুটে চলে নাও
দেখো আমি নিজের মতো করছি পরিপাটি।
ওই যে দূরে কাশের বনে হাওয়ায় তোলে...
সরু পথ ধরে হেঁটে হেঁটে আমি চলেছি অনেক দূর
জানি না আমি রাত পেরিয়ে কখন হয়েছে ভোর।
পথের দুপাশে ছিল বনফুল
আমাকে দেখে আনন্দে ব্যকুল
তাদের সাথে কথা বলে বলে
কত পথ আমি গিয়েছি যে...
দুঃখ যত আসে আসুক
ভয় করোনা তাতে,
দুঃখ গুলো বসত করে
অলস লোকের সাথে।
অলস হয়ে থাকবে যত
দুঃখ ব্যথা বাড়বে তত
তা বলে কি দুঃখ নিয়ে
কাঁদবে অবিরত?
কোথায় থাকে সুখ পাখিটা
কেউ কি তাহা জানে?
দুখের পিঠে সুখের...
আঁকা বাঁকা পথ ধরে চললাম
যাকে পাই তাকে আমি বললাম
এই দেখো পাখা আমি মেলছি
আকাশের মেঘ নিয়ে খেলছি।
ওই দূরে পাহাড়ের চূড়াতে
যাব আমি ঘুড্ডিটা ওড়াতে
কে কে যাবে হাত তুলে বলো তো
মন ভরে ঘুরে...
জানলা খুলে বসে আছি একা
উঠবে কখন জোছনাভরা চাঁদ
চুপটি করে আপন মনে ভাবি
বাবা ধরার এই পেতেছি ফাঁদ।
কে জানি কে বলেছিল কবে
বাবা নাকি চাঁদের কোলে থাকে
জানলা খুলে বসে থাকা ছেলে
দেখেই নাকি হাত...
প্রতিভাটুকু বিকাশের চেয়ে
নিজেকে প্রকাশে ব্যস্ত
নাম কামাইয়ের গুরুভারটুকু
করেছি প্রচারে ন্যস্ত।
প্রতিভা বিকাশের পথঘাট নয়
অতীব সোজাসাপটা
প্রতিভাকে রাখি ঘুম পাড়িয়ে
বাহিরে দেখাই খাপটা।
প্রচারের তোড়ে প্রতিভার মুখ
খুলে খুলে হয় বন্ধ
প্রচারের চেয়ে প্রতিভার জোর
কমে গেলে হয়...
শরতের রোদমাখা সকালবেলা
আলোথালো চোখেমুখে করেছে খেলা
ঝিরঝিরে হাওয়া এসে পাতাটা নাড়ায়
কচি কচি রোদ এসে হাতটা বাড়ায়।
মেঘগুলো অভিমানে দূরে দূরে থাকে
মাঝে মাঝে রেগেমেগে গুড় গুড় ডাকে
শরতের রোদগুলো মেঘ ঠেলে আসে
মেঘেদের ফাঁকে ফাঁকে...
ব্যাগখানা খুব ভারী পিঠটাও বাঁকা
কাঁধে নিয়ে ব্যাগখানা খুকী দেয় হাঁটা
প্রায়ই সে ইশকুলে যায় নাকি লেটে
নাম্বার আট পেলে তিন দেয় কেটে।
এতটুকু খুকী তার মুখে নেই ভাষা
চারপাশের মানুষের কত শত আশা
সব আশা...
তাঁরা যখন কোমড় বেঁধে ময়লা সাফে ন্যাস্ত
আমার দেশের মানুষ তখন ফটো তোলায় ব্যস্ত
কেউবা দেখে অবাক হয়ে তাঁদের মহান কাজ
তবুও কেউ হাত লাগায় না, কাজে বেজায় লাজ।
উচিৎ ছিল তাঁদের সাথে ঝাপিয়ে...
প্রেম যেন সাগর এক
সীমাহীন জল
কুল নেই দুই ধারে
অথই অতল।
বয়ে চলে কুলু কুলু
থামে না চলা
কত কথা বুকে তার
যায় না বলা।
কত লোক কত ভাবে
মজেছে প্রেমে
কেউ কাঁদে কেউ বাধে
সোনালি ফ্রেমে।
কারো প্রেম নদী...
আরেকটা নলা মুখে দে বাপ
পড়ালেখা বড় কষ্ট
চোখের কোনে কালি পড়েছে
দেখছি আমি পষ্ট।
সেই যে কখন বিকেলে আবার
আসবি ফিরে তুই
তোর প্রিয় খাবার রেধেছি দেখ
সজনে ডালে পুঁই।
আর কটা ভাত মুখে দিয়ে যা
এভাবে...
আঁকা বাঁকা পথে দেখুন হাঁটছে আমার ছড়া
হেঁটে হেঁটে গড়িয়ে চলে যায় না তাকে ধরা।
একটু হাঁটে একটু ছোটে একটু গড়ায় পথে
পেছন ছুটে ক্লান্ত আমি থামে না কোনো মতে।
যাবি কোথায়? দুষ্টু পাজি...
সোনা যাদু সভ্য হয়ে বস তো
আর দেবো না এই নলাটা খা
তিনটা ক্লাসের পরে হবে ছুটি
তখন কি বাপ চলবে তোমার পা?
ঢের চলবে পা, দেৌড়ে এসে খেলতে যাব
খেলা শেষে পড়তে বসব, তখন...
সন্ধ্যা হয় হয়
কালো কালো মেঘ ভেসে ভেসে যায়
কত দূর যাবে জানি না
উড়ে উড়ে যায় সাদা সাদা পাখি
কত দূর যাবে তাও জানি না।
আমিও এসেছি বহু পথ হেঁটে
আমিও হয়েছি পাখি!
কত দূর পথ...
চারদিকে ছলছল জল করে খেলা
তার মাঝে শিশুরা ভাসিয়েছে ভেলা
ঢেউগুলো চুমু খায় ছোট ছোট ঘরে
মনে হয় এই বুঝি ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ে।
কাজ নেই; বস্তিতে করে হাহাকার
কষ্টেরা জমে জমে হয়েছে পাহাড়
শিশুরা খেলা ফেলে...
©somewhere in net ltd.