![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ, একটি সকাল পেরিয়ে গেলো
অকারণে
তারপরেও সূর্য আমায় দিচ্ছে আলো
কী কারণে?
তারপরেও জানলা গলে বাতাস আসে
আমার ঘরে
অকারণে সকাল গেলো দুপুর যাবে
এমনি করে!
তা হবে না তা হবে না, একটা বিহিত
করতে হবে
সচল...
যাচ্ছে উড়ে ধীরে ধীরে
মেঘের সাদা মেয়ে
আজকে নাকি পাহাড়কোলে
হবে তাদের বিয়ে।
পাহাড়বুকের সবুজ ঘাসে
ঘুমায় অবুজ ছেলে
মেঘপরীদের আগমনে
চক্ষু দুটি মেলে।
পাহাড়ছেলে সবুজ সবুজ
রঙ মেখেছে গায়ে
মেঘের মেয়ে আকাশ থেকে
বিজলি মাখে পায়ে।
বিয়ে হলো মেঘ-পাহাড়ে
সবুজ-সাদায় মিল
আকাশ...
সত্যি তুমি চলে যাবে!
যাও।
আমারও আছে দু দুখানা পাও।
তুমি যাবে উত্তরে আর
দক্ষিণে যাবো আমি
মনে রেখো
তুমি আমার ঘরের বধূ
আমি তোমার স্বামী।
সত্যি সত্যি চলে গেলাম
দু\'জন দুই দিকে
ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু
ঢেউ খেলানো গভীর...
পাহাড়ের বুকে মেঘ ভেসে যায়
সাদা সাদা তুলো তুলো
এই সুযোগে রোদেরা এসে
উড়ায়ে চলেছে ধুলো।
রোদে তাপেরা বাড়াবাড়ি করে
গরম দিয়েছে ঢেলে
পাহাড়ের বুকে মোচড় দিয়ে
উঠেছে মেঘের ছেলে।
আকাশে উঠেছে মেঘ
বাতাস দিয়েছে বেগ
প্রকৃতির বুকে তাকিয়ে মেঘের
হৃদয়ে...
মন খুলে প্রেম কথা যাবে না বলা
লুকোচুরি করি তাই তোমার সাথে
হৃদয়ের উচ্ছ্বাস করে তোলপাড়
ঠোঁটে এসে কথাগুলো ঝগড়া বাধে।
এতোদিন যেই ভাবে বলেছ কথা
যেইভাবে দিনরাত বিলিয়েছ প্রেম
সেইভাবে সখী তুমি বলোনা গো আর
দিনে...
হাতের মুঠোয় পেয়েও যাকে
লইনি হাতে টেনে
মনের মতো পেয়েও যাকে
নেইনি তাকে মেনে;
অবহেলার কষ্ট নিয়ে
যেই গিয়েছে দূরে
ইচ্ছে হলো এখনই যাই
তারই কাছে উড়ে।
গিয়েছিলেম, ততক্ষণে
অন্য আয়োজনে
পাইনি তাকে, হারিয়ে গেছে
বাঁচার প্রয়োজনে।
এমনি করে আসে যায়
আমার অনেক...
পাহাড়কোলে সবুজ ঘাসে
মেঘের লুটুপুটি
বলল মেঘে আসব আবার
নিলেম ক\'দিন ছুটি।
সূর্য এলো রোদে তাপে
আকাশ হলো নীল
নদীর জলে মাছের খেলা
হাওয়ায় ওড়ে চিল।
পথের কাদা শুকিয়ে এখন
পথের ধুলোবালি
গাড়ির চাকায় ঘুরে বেড়ায়
পথেই চালাচালি।
মেঘে-রোদে সুখে দুখে
এমনি কাটে...
শিশুদের হাতে খবরের কাগজ
আর নিরাপদ নয়
শিরোনামগুলো খুনখারাবির
জাগিয়ে তুলেছে ভয়।
একটি পাতাও বিপদমুক্ত
দেখছি না আমি খুঁজে
মেয়েটি এসে পত্রিকা চায়
দিয়েছি চক্ষু বুঝে।
শিরোনামগুলো আঙুলে দেখিয়ে
প্রশ্ন দিয়েছে জুড়ে
জবাব বিহীন পিতার সামনে
পেপার দিয়েছে ছুঁড়ে।
`পেপার কি...
কবির ঘরে `কবি\' না-হয়ে
হয়েছে এক পুত্র
ঘরে গিয়ে দেখি কবির গতরে
টাটকা মলমূত্র।
কখনো সে বুকে পেটে লয়ে
কখনো ঝাকায় দোলনায়
প্যান্টি তেনার স্তূপ পড়ে গেছে
ছোটখাটো এক আলনায়।
ছেলের ভাষা বুঝে গেছে কবি
পিতার ভাষাও ছেলে;
চাটগেঁয়ে ভাষায়...
বড় অকারণ কে করে বারণ
মিছেমিছি মার খায়
শক্ত হাতে লাঠি নিয়ে মাতে
শিশুদের প্রাণ যায়।
শুরু ক্রন্দন মানব বন্ধন
মিডিয়াতে খবর আসে
হাতটা বাড়াই লাইনে দাঁড়াই
দুষ্টরা নীরবে হাসে।
শিশুরা শিশু তা বলে কি নিচু?
ছোট ভেবে মেরে...
সন্ধ্যার নীল আকাশের বুকে
পাখিরা মেলেছে ডানা
কত দূর হতে করে আসা যাওয়া
কতটুকু জানি আছে তার চাওয়া
কতটুকু সে নিয়ে গেলো আজ
কতটুকু আছে বাকি!
খালি পেটে ওরা আসে সারি সারি
ভরা পেটে ওরা ফিরে যায়...
মেঘ দলগুলি
মন প্রাণ খুলি
সরে গেলো ধীরে ধীরে;
রোদ হেসে বলে
মেঘ গেলো চলে
আমরা এসেছি ফিরে।
রোদেরা এসে খেলা করে রোজ
হাঁসফাঁস করি তাপে;
মেঘ হেসে বলে, আরাম করো
বৃষ্টিকে ভরেছি খাপে।
রোদের পরে বৃষ্টিটা চাও
বৃষ্টির পরে রোদ
এতটুকু...
বাইশে শ্রাবণ আজ
ছুড়ে ফেলে সব কাজ
ছুটিতে গেলেন রবী;
এ দিবস এলে
মন প্রাণ ঢেলে
জেগে ওঠেন কবি।
কত লোক লোকে
কী বেদনা শোকে
ঢেলে দিয়ে মন প্রাণ;
অমর সৃষ্টিগুলি
উড়ায়ে পথের ধুলি
নানা সুরে বাজে গান।
আমি যদি বলি উত্তরে যাও
সে যাবে ঠিক দক্ষিণেই
বাধা দিলে পরে হাঙ্গামা বাধে
কোনো কিছুতে রক্ষে নেই।
পূবে যদি বলি পশ্চিমে যায়
পশ্চিমে বললে, পূবে
ক্যাচালে প্যাঁচালে দিনগুলি কাটে
সংসারটাই ডোবে ডোবে।
আমার ছিল না অন্য চিন্তা
তাকে...
এক টুকরো মেঘ
নেমে এলো মাটির কাছাকাছি
এক চিমটি মেয়ে
মেঘের সাথে খেলবে কানামাছি।
চোখ বেধেছে মেয়ে
ভোঁ ভোঁ করে ঘুরছে উঠোন জুড়ে
হাত বাড়িয়ে মেঘ
ছুঁয়ে ছুঁয়ে খেলছে উড়ে উড়ে।
বলল মেয়ে, নাহ্
কানামাছি খেলব না আর
যাব তোমার...
©somewhere in net ltd.