![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চক্ষু জুড়ে ঘুম নেই
রোদের ঝিকিমিকি
হাসি দেখে সূর্য মামার
মেঘ পালালো ঠিকই।
মেঘের মেয়ে ঘুমায় এখন
সবুজ পাহাড় কোলে
দূরপাহাড়ের শীতের বুড়ি
চক্ষু দুটি খোলে।
শীতের বুড়ির ঘুম ভেঙ্গেছে
ঐ তুলেছে হাই
নিঝুম রাতে শীতের হাওয়া
করছে যাই...
কাশের বনে ঢেউ খেলে যায়
দুষ্টু গরম হাওয়া
রোদে তাপে মেঘ উড়ে যাক
এমনই ছিল চাওয়া।
মেঘ পালালো পাহাড় কোলে
আকাশ সাদায় নীল
ফড়িং ওড়ে কাশের বনে
হাওয়ায় ভাসে চিল।
পতিত জমি কাশে কাশে
ফুলে ফুলে সাদা
নেচে উঠে...
এখনও আকাশে মেঘের বাড়াবাড়ি
সুযোগ পেলেই বৃষ্টিরা দেয় হানা
কাদাজলে হাবুডুবু খাচ্ছে পথের গাড়ি
ইচ্ছে করে উড়ে যাব মেলে দুখান ডানা।
জ্যামে পড়ে ছেলেমেয়ের মেজাজ ভীষণ চড়া
ছন্দতালে যেই শুনালাম তিন তিনটে ছড়া
বলল তারা ছন্দতালে...
প্রতিদিন তাকে দেখি আড় নয়নে
সেও দেখে বোধ হয়
কলসির জল উথলি উথলি ওঠে
ভালোবাসে মনে হয়।
সেও ভাবে এমনই
আমার ভাবনা ছোঁয়না তাকে
তার ভাবনাও আমাকে
তার কলসির পানি উথাল পাথাল করে
আমার ভেতরে ওঠে ঢেউ
তার কলসির...
চাচা বলেন ডাটে
কিনতে হবে চেতাল গরু
মেজাজ হবে চড়া,
চার দাঁতের চোটেপাটের
রঙে পদে কড়া।
শরীর টিপে ল্যাঞ্জা ধরে
টান দিতেই, ষাঁড়ে
ইতিল-বিতিল টেংরি লাফে
ঝেংরি-গুঁতু মারে।
দেখতে লাগে হরিণ হরিণ
চক্ষু টানা টানা
কিনে নিলেন চেতাল গরু
চয়েজ ষোলোআনা।
ময়না চাচা সকাল সকাল গরুর হাটে গেলো
গরুর হাটে মনের মতো গরু পাওয়া গেলো।
গরুটা আমার খুব পছন্দ সত্যি মনের মত।
লেজ টিপে চামড়া টেনে দাম জিগায়, কত?
দাম শুনেই ময়না চাচা গেলেন...
আমি তাকে হারাতে চাইনি
সেও চায়নি আমাকে
অথচ দুজনই হারিয়েছি
দুজনকে।
আমি বলি আমি বীর
সেও বলে তাই;
হারানোর পর
ভেঙ্গেচুরে ঘর
আমাদের ভেতরে আমরা
নিয়েছি যে ঠাঁই।
আবারও বেধেছি ঘর
দুজন দু দিকে
আমরা বীর
আমাদের জীবন ঝুলে আছে
জানালার শিকে।
ঈদ চলে এলো...
এখনও আকাশে মেঘ-বৃষ্টি
প্রকৃতি এলোমেলো।
শহর ছেড়ে মানুষগুলো
যাচ্ছে গাঁয়ের বাড়ি
জ্যামে পড়ে আটকে আছে
হাজার হাজার গাড়ি।
গরুর হাটে গোবর-কাদায়
হোক না মাখামাখি
কষ্টগুলো ঈদের জন্য
আলাদা করেই রাখি।
দুঃখ যতো ঝেড়ে ফেলে
সুখটা মনে পুষি
জেগে থাকুক সবার...
দুখেরা যখন আসে...
অযাচিত কষ্টগুলো পষ্ট হয়ে ভাসে
সুখের পিদিম নিভু নিভু দুখের রোষানলে
তপ্ত হয়ে লুটিয়ে পড়ে হলদে মরা ঘাসে।
সুখ চলে যায় সুখের দেখা
পাই না প্রয়োজনে
দুঃখ কেবল মেতে উঠে
দুখের আয়োজনে।
প্রভু
দুঃখটুকু থাকুক...
সম্মুখে তার স্বপ্ন অধীর পেছনে জীবন পানি
দুই জীবনের মাঝখানে তার রশির টানাটানি।
দৃষ্টি ফেলেছে অনেক দূরে পেছনে বোঝা ভারী
বুকের ভেতর এই কিশোরের দুঃখ সারি সারি।
এই কিশোরের দুঃখগুলো ধীরে ধীরে সরে যাক
পথের...
উফ্ গাড়ীগুলো চলছে না কেন? থেমে আছে
ইশ, কখন যাবো গাঁয়ের বাড়ি, দাদির কাছে?
দাদির হাতের পিঠা পায়েস খাব কখন?
দেরি হলে রাগে দাদি কাদলে, তখন?
দাদা নাকি ডাব পেড়েছে কয়েক হালি
দেরি কেনো? মনে...
পিতাহীন দুই ভাইবোন মিলে
সংসার ধরেছে টেনে
অসুস্থ মাকে খাওয়ায় তারা
পথ্য অষুধ এনে।
ইটের পরে হাতুড়ি চালিয়ে
স্বপ্ন দেখে তারা
হাসি ফোটাবে মায়ের মুখে
আনন্দে দিশাহারা।
একদিন তারা মজুরি পেয়ে
কিনেছে নতুন শাড়ী
হাতে দিলে পরে মায়ের মুখে
হাসিটা ফুটবে...
দাম বেড়েছে, বাড়ুক...
বেতন আমার বাড়ছে দফে দফে
আমির সাহেব কম্পানিতে আছেন
বাজার থেকে এসেই বেটার হচ্ছে দফা রফে।
বেতন বাড়ার দেৌড়ে তিনি পেছন পড়ে আছেন
আমার সাথে ব্যাগ নিয়ে সে বাজারে যায় হেঁটে
বাজার থেকে...
টাকাওলার ছেলে
লেখাপড়া ফেলে
বন্দুক হাতে ঘুরে বেড়ায়
ইচ্ছে হলেই, ঠুস্
শখের বশে পাখি মারে
উৎসাহ দেয় সবাই তারে
পাখির জীবন, তেমন কী আর
বাদাম লেবেনচুষ।
কিন্তু সেদিন ঘটলো ব্যাপার অন্য
রক্ত মাখা সেই পাখিটার জন্য
সঙ্গী পাখির আর্তনাদে ভিড়...
©somewhere in net ltd.