![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গাড়ী ভাড়া বাড়ে
জিতে যায় মালিক-শ্রমিক
আমজনতা হারে।
ভাড়া নিয়ে বাড়াবাড়ি
হাতা টেনে মারামারি
হচ্ছে বারেবারে
কে বুজাবে কারে?
বাড়তি ভাড়া অপমান
প্যাসেঞ্জারের ঘাড়ে।
গাড়ি ভাড়া বাড়ুক
যাত্রী হারে হারুক
দুঃখ বলি কারে?
আমার সবুজ গাঁয়ে
সকালবেলা বেড়িয়ে এলাম
খালি পায়ে পায়ে।
নীরব নিঝুম গাছপালারা
দাঁড়িয়ে আছে চুপ
ডোবার জলে লাফিয়ে পড়ে
ব্যাঙেরা দেয় ডুব।
ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু
দেয় ভিজিয়ে পা
কুয়াশাদের ছোঁয়া পেয়ে
লাফিয়ে উঠে গা।
বিলের পাড়ে সাদা বক
অলস...
মা-বাবাহীন এই শিশুটির
এমনই করুণ দশা
সলতেবিহীন সোনার পিদিম
সূঁইয়ের উপর বসা।
ঝরে পড়ার আগে...
জগতটাকে আপন আলোয়
একটু দেখে নেওয়া;
নিভে যাওয়ার আগে
মাথা তুলে শব্দ করে
একটু জানান দেওয়া।
কীটে খাওয়া পাঁপড়ি যখন
বোঁটার কাছাকাছি
স্বপ্ন এসে চোখ...
হাতের মুঠোয় থাকলে যদি
খুঁজে বেড়াই কেন
তোমার কাছে পাবো বলেই
এতটা লেন দেন।
পথের যদি ধুলো থাকে
উড়বে জানি ধুলি
মনে যদি ভাষা থাকে
ফুটবে কত বুলি।
ফুলের কাছে ভ্রমর এসে
করে ঘোরাফেরে
তোমার আমার স্বপ্ন দিয়ে
তুমি আমি...
হেমন্তের ওই ঝিরিঝিরি হাওয়ায়
নাও ভাসালাম শান্ত নদীর জলে
বিকেলবেলার মলিন রোদের ছায়া
কেঁপে কেঁপে উঠছে পানির তলে।
নদীপাড়ের কাশের বাগানগুলি
দাঁড়িয়ে আছে ভাঙা হাটের মতন
সাদা ফুলের পাঁপড়ি খসে পড়ে
শরৎ নেই, কে নিবে তার যতন।
নতুন...
তাকে দেখে ভেসে ওঠে মনে
রাজনের তৃষ্ণার্ত অসহায় মুখ
নির্মম আঘাতে ক্লান্ত শরীর খুঁটিতে বাধা
ধুকে ধুকে মরে যাওয়া বেদনার চোখ।
কানে ভেসে আসে
তার হিংস্র ছোবলে ক্ষত বিক্ষত
কিশোরের বাঁচার করুন আর্তনাদ
চোখে ভেসে...
ধানের ক্ষেতের আলে আলে
মাকড়সাদের জালে জালে
কুয়াশাদের মুক্তো দানা দানা;
ডোবা নালায় কাদা জলে
বেগুনী সাদা ফুলের দলে
দাঁড়িয়ে আছে শান্ত কচুরিপানা।
সাঝেরবেলা কুয়াশা হাঁটে
মাটি ছুঁয়ে ছুঁয়ে
ভোরবিহানে ঝরে পড়ে
পাতা চুয়ে চুয়ে।
ঝিরি ঝিরি শীতল হাওয়া
নরম রোদে...
ঝির ঝির ঝির শীতল হাওয়া
বইছে ধীরে ধীরে
শীতের আমেজ সঙ্গে করে
হেমন্ত এলো কি রে?
সকালবেলা সবুজ ঘাসে
মুক্তো দানা দানা
বুঝে গেছি বুঝে গেছি
কুয়াশারা দেয় হানা।
শীতের ঝাপি খুলল বুঝি
শীতপাহাড়ের বুড়ি
ফসল কাটার সময় হলো
চাষিরা...
ইচ্ছে করে এই শহরের অলিগলি পেরিয়ে
একটা দে্ৌড়ে শহর থেকে যাই কোথাও বেরিয়ে
সবুজ বন সবুজ পাহাড় রঙ্গীন প্রজাপতি
আয় না কাছে, এলে তোমার এমন কী আর ক্ষতি?
আমার বাড়ির দেয়ালগুলো উঁচু
হাঁটতে গেলে দেৌড়ে...
বন্ধু তুমি এতই বেপরোয়া
মানুগুলো পাখী ভেবে
যেই করেছ ঠুস্
একটা শিশু লুটিয়ে পড়ে পথে
আচমকা সে উঠল রক্ত রথে
তখন তুমি ছিলে কতটা বেহুঁশ
অস্ত্র এবং আইন তোমার হাতে
কোথায় তোমার রইল মানবতা
যখন তখন যাকে...
মা গিয়েছে কাজে
ছনের ঘরে একলা একা
বসে থাকে খুকী
ভাল্লাগে না। ঘরের মেঝে
করে আঁকিবুকি।
স্বপন দেখে খুকী
মেঘে চড়ে উড়ে বেড়ায়
আকাশ ছুঁয়ে ছুঁয়ে,
ঘুম ভেঙে যায়।
মাথার উপর
পড়ছে পানি চুয়ে।
বহু বছর ধরে...
একটা কাছিম ডাঙায় উঠে
আদর নিতো কেড়ে
মায়ের আদর স্নেহ পেয়ে
উঠছিল সে বেড়ে।
মানুষগুলো ভাবতো তাকে
তাদেরই এক জন
নিখাদ আদর-ভালোবাসার
নিখাদ আয়োজন।
জলে ডাঙার ভালোবাসা
পড়লো বিষম ফাঁদে
বিদায়ক্ষণে মা-কাছিমে
চোখ ফুলিয়ে কাঁদে।
বাধ মানে না ভালোবাসা
কিম্বা আদর...
ওলো তোরা দাঁড়িয়ে কেনো, আয়
সাজানো বাগান গুটিয়ে শরৎ
যাচ্ছে চলে প্রায়।
ও হেমন্ত একটু সময় দাঁড়া
দিসনে এতো তাড়া
কুয়াশারা আসছে আসুক
সবুজ ঘাসের পাতায়।
শরৎ বলে যাই যাই
হেমন্ত বলে আসি
বর্ষা বলে চিন্তা কীশের
আছি পাশাপাশি।
খুব সকালে দুর্বাডগায়
শিশির কণা হাসে
কাশফুলেদের পাঁপড়িগুলো
মুখটা লুকায় ঘাসে।
সেই যে কবে বর্ষাকালের
মেয়াদ হলো শেষ
এখনও মেঘ দাপিয়ে বেড়ায়
গোটা বাংলাদেশ।
তাকে যখন চেয়েছিলাম
অনেক কিছুর পরে
সাজিয়েছিলাম মনের রঙে
অনেক আপন করে।
স্বপ্ন ছিলো চোখে মুখে
হাঁটা এবং চলায়
বলতো সবাই মিলেছো ভালো
তোমরা ষোলোকলায়।
অবশেষে পেয়েছিলাম তারে।
পাওয়ার পরে স্বপ্নগুলো
করতো উড়ু উড়ু
আমার মতো সেও ভাবে
পাচ্ছি না ঠিক...
©somewhere in net ltd.