নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে পছন্দ করি স্কুল জীবন থেকেই। আমার কাব্য গ্রন্থ 'শিকড়ের সন্ধান' প্রকাশিত হয়েছে ২০১৫ সালে।
(জাপানে প্রচলিত ‘হাইকু’ জাপানি কবিতা)
এক
জগতে এলে
করো যুদ্ধ, হয় না
সময় গেলে।
দুই
সূর্যি মামার
আশ্বাস। নেই ভয়
হোক আঁধার।
তিন
এই জীবন
ক্ষণিকের; তবু দ্যাখি
কত স্বপন।
চার
শরত এলে
ঘাসের কত সাজ
সোনার দুলে।
পাঁচ
খুশি কৃষাণ
হাঁটে হেমন্ত মাঠে
সোনার ধান।
ছয়
আছি তো আমি
রবি বলে রাত্রিকে
কেঁদো...
সতত তুমি পাশে থেকো হে হেমন্ত
এবার পেলাম তোমায় বৃষ্টি মুখর বেশে;
পেঁজা পেঁজা মেঘগুলো রয় আকাশে ভেসে
ঝলমলে দিনও ফিঁকে হয় কুয়াশার মলিন পরশে।
সতত তুমি পাশে থেকো হে হেমন্ত
তুমি এলে কষ্টের ক্ষণ...
রক্ত কালিতে লেখা শোকের দিনটি
প্রতিবার ঘুরে ফিরে আসে আগষ্ট পনেরো;
কাঁদে আকাশ বাতাস বাংলার মাটি
বন্ধুসম জাতির পিতা, ছিল না আর কারো।
কি ভয়াল কত নিষ্ঠুর ছিল সে রাত
ঘাতক পশুদের কত...
কই বুঝ শিশুটির, যে আঁচল তলে
তবু হাসে যেই দ্যাখে আকাশের চাঁদ;
যখনই হয় সে বড়, নানা চক্র, ছলে
লভিতে মুঠোয় সে কি দুরন্ত উন্মাদ।
ছোঁয়া পেলে তার পেল যেন স্বর্গখানি
আরো মানুষ জগতে, নেই...
সবাই চিনি তারে, আসলে কি চিনি ?
দাবদাহে বা যখন ঐ সে রিমিঝিমি;
কি কষ্ট ঘাম, তবু আশায় বুক বাঁধে
অতীব বরিষণে আবার হৃদয় কাঁদে;
শিশির কণায় ছেয়ে আকাশ বাতাস
কারো উল্লাস, তাদের...
(জাপানে প্রচলিত ‘হাইকু’ জাপানি কবিতা)
এক
জীবন আর
স্বর্গ নরক যেন
এ বারংবার।
দুই
শিশির কণা
প্রেম ঘাসে, পাল্টে রং
দেখায় সোনা।
তিন
কত কাকুতি
এ হৃদয় মন্দিরে
হাসে নিয়তি।
চার
তুমি কাতর
উপাসনা প্রার্থনা
সে তো পাথর।
পাঁচ
কি ছুটাছুটি
জগতে মানুষের
শেষে ঐ মাটি।
ছয়
এলে বসন্ত
প্রকৃতি কি...
কে তুমি বার বার বল যেন লিখি
বাংলার ঐ রক্ত ইতিহাস;
কাঁপে হাত সজল হয় দু’টি আঁখি
হই নির্বাক থেমে যায় শ্বাস।
৭ই মার্চে দিলেন বজ্র ডাক যিনি
উদ্বুদ্ধ হলো সারা দেশ;
হৃদে সব, জ্বলে...
দ্যাখি যত মানুষেই
-সাইদুর রহমান
ছল বল আরো কত না কলা কৌশল
অবহিত
জগতে এমন প্রাণী সে যে আমরা মানুষ;
রাজ, রাজত্ব, হানাহানি, জবর দখল
করায়ত্ত
কঠিন কঠোর কখনো আবার হারাই হুঁশ।
ধরিত্রী বাগে, প্রতিদিনই...
একদিন
-সাইদুর রহমান
তবুও তো জীবনখানি চলছে ধেয়ে
স্বপ্ন কল্পনা ভাবনা শত
বাঁধছে বাসা হৃদয়ে যত
জোর করে হাসছি কিছুই না পেয়ে।
জগতে কারো কথা, কেউ না শুনে
নীরবে সহি সকল ব্যাথা
মুখে ফুটে না কোন কথা
রণিত হয়...
তরল তিমিরে যেন প্লাবিত পৃথিবী
রোদ স্নানে ফিরে পায় তার সজীবতা;
পাখিদের কলরবে, উচ্ছ্বসিত সবি
মৃদু স্নিগ্ধ সমীরণে নাচে তরুলতা।
উষ্ণ দুপুরে মাটির বুকখানি যেন
হয়ে উঠে ক্লান্ত, হয় অতীব তৃষ্ণার্ত;
পশুপাখি মানুষের কি কষ্ট কখনো
বিকেলের...
কেমন বাবা তুমি, জন্ম নিলে ভুবনে
ঔরসজাত সন্তানের ছিলে বিশ্বাস
শুধু কি তাই, ছিলে স্বপন আশ্বাস
কে আর আপন তাদের এই কাননে ?
নিষ্ঠুর অপ্রেম, অন্তরে জানোয়ার শ্বাস
দিবে...
বন্ধুরা তোরা আজ কে কোথায় আছিস
কত যে বুনেছি স্বপ্ন ঐ স্কুল কলেজে;
যান্ত্রিক এ যুগে হয়ত ভুলে গেছিস
ভুলিনি, তোরা সদাই এ হৃদয় মাঝে।
স্বপ্ন রাজ্যে উঁকি দেয় কত বন্ধু মোতি
স্মৃতির পাতায় রয় কত...
(শিশু রাজনকে উৎসর্গ)
আহা রাজন, কত নিষ্ঠুর এই ভুবন
কত উড়বে ডানা মেলেছিল স্বপন;
চোখ ফেটে এলো জল
নর পশুতে এত জঘন্য কাম অনল
শ্রেষ্ঠ মানুষে আজি পশুর রক্ত ঢল।
অহরহ আনাচে কানাচে এই দিনে
ঘটে বীভৎস...
ঐ মরু সাহারার বুকে, যদি না ফুটতো ফুল
পেতাম কি কখনো আল কোরআন
আসতো কি রোজা, নামাজ আযান
সেই ফুলই তো প্রিয় নবী মোহাম্মদ রাসুল।
হতো কি এতো আলো বর্ষণ ঐ সে বালুচরে
হতো...
©somewhere in net ltd.